আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Advertise

মানবসৃষ্ট কারণেই পাহাড়ধস

আব্দুল করিম কিম  

পাহাড়ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৫ জন। চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পাহাড়ধসের ঘটনায় আরও লাশ বাড়ছে। সর্বশেষ মোট ১৫১ জনের মৃত্যু সরকারী ভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এই পাঁচ জেলার প্রায় ২০টি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এবারের এ ভয়াবহ পাহাড়ধসে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচিত সমালোচিত হচ্ছে।

এ মানবিক বিপর্যয় শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কারণে ঘটেনি মানবসৃষ্ট কারণও এর পেছনে রয়েছে বলে বিষয়টি সমালোচিত হচ্ছে। প্রাকৃতিক কারণে পাহাড়-টিলায় ধস নামলে বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেটা আলোচনার বিষয় নয়। ৫/১০ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু বাংলাদেশে এখন স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এবার পাহাড়ধসে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে বলেই আলোচনা হচ্ছে। সংবাদপত্রের শিরোনাম হচ্ছে। এছাড়া উদ্ধার অভিযানে গিয়ে উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাসহ একাধিক সেনা সদস্যের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু বিষয়টিকে আরও আলোচিত করেছে।

ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক হওয়ায় দেশের সর্বস্তরের মানুষ শোকাহত। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান শোক বাণী দিয়েছেন। অবশ্য সরকার প্রধান এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও তাঁর পূর্ব নির্ধারিত বিদেশ সফর অব্যাহত রেখেছেন।

স্থানীয় প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। না, জীবিত মানুষের উদ্ধারের আশায় নয়, মৃত মানুষের লাশ তালিকাবদ্ধ করার জন্য উদ্ধার চলছে।

পাহাড়ধসের এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পাহাড়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের ব্যস্ত সময় অতিবাহিত হচ্ছে। বেসরকারি টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধিরা উদ্ধার অভিযানের সর্বশেষ পরিস্থিতি দর্শকদের ঘণ্টায় ঘণ্টায় জানাবেন। বিভিন্ন ফোরামে পাহাড়ধসের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে কিছুদিন জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হবে। অতঃপর যেই লাউ সেই কদু হয়েই পরবর্তি পাহাড়ধসের অপেক্ষায় সবকিছু মুলতবি হয়ে যাবে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর জন্য শেষপর্যন্ত কাউকেই দায়ী করা হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জান-মালের ক্ষতিকে নিয়তি বলেই মেনে নেবে? কিন্তু এই মানবিক বিপর্যয়ের জন্য আসলে কি নিয়তি দায়ী? চুলচেরা বিশ্লেষণ দরকার।

জানা দরকার, এ পাহাড়ধসের জন্য প্রাকৃতিক না মনুষ্যসৃষ্ট কারণ বেশি দায়ী।

বাংলাদেশে পাহাড়ধসের প্রাকৃতিক কিছু কারণ রয়েছে। পাহাড়ি মাটির উপরে কঠিন শিলার উপস্থিতি কম। ফলে ভারি বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ধসের আশঙ্কা এমনিতেই থাকে। এছাড়া পাহাড়ধসের জন্য বড় গাছপালা কেটে ফেলা অন্যতম কারণ। পাহাড়ে বসবাসের জন্য ও চাষাবাদের জন্য উপরের শক্ত মাটির স্তর কেটে ফেলা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে প্রবল বর্ষণে পাহাড়ের মাটি ভেঙ্গে পড়ে। প্রায় এক দশক ধরে পার্বত্য এলাকায় নিয়মিত ধস হচ্ছে। এ জন্য আশির দশক থেকে শুরু হওয়া যত্রতত্র বসতি স্থাপন, বন উজাড়কে মূলত দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জিও সায়েন্স অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পাহাড়ধসের পেছনে প্রাকৃতিক কারণ এবং মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। প্রাকৃতিক কারণ হলো— পাহাড়ের ঢাল যদি এমন হয় যে ঢালের কোনো অংশে বেশি গর্ত থাকে। তখন অতিবৃষ্টিতে ভূমি ধ্বস হতে পারে। এ ছাড়া ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং পাহাড়ের পাদদেশের নদী ও সাগরের ঢেউ থেকেও পাহাড়ধস হতে পারে। আর মনুষ্যসৃষ্ট কারণ হিসেবে গবেষণায় বলা হয়েছে, পাহাড়ের গাছ পালা কেটে ফেলা, মাটি কেটে ফেলা, পাহাড়ে প্রাকৃতিক খাল বা ঝর্ণার গতি পরিবর্তন, পাহাড়ের ঢালুতে অতিরিক্ত ভার দেওয়া এবং খনি খননের কারণে পাহাড়ধস হয়।

তবে আমাদের ভূতাত্ত্বিকরা বলছেন, বাংলাদেশে মূলত পাহাড়ের উপরের দিকে কঠিন শিলার অভাব, পাহাড়ের মাটি কেটে ফেলা এবং বড় গাছপালা কেটে ফেলার কারণেই পাহাড়ধস হয়ে থাকে। প্রতিটি পাহাড়ি অঞ্চলের মাটিতে সেখানকার আবহাওয়া উপযোগী গাছ-পালা, লতা-গুল্ম ও ক্যাকটাস জন্মায়। কিন্তু চাষাবাদের প্রয়োজনে সেসব গাছ-পালা, লতা-গুল্ম ও ক্যাকটাসকে বাদ দিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকের চাষাবাদ শুরু হলে মাটির গুনগত পরিবর্তন হয়।

বাংলাদেশের পাহাড়গুলোতে কঠিন শিলার অস্তিত্ব কম থাকায় বৃষ্টির পানি মাটি শুষে নেয়। অনেকক্ষেত্রে মাটি নরম ও পিচ্ছিল হয়ে যায়। ফলে ভারি বর্ষণে মাটি ভেঙ্গে পড়ে। তাছাড়া যারা পাহাড়ে বাস করে তারা ঘর নির্মাণের জন্য পাহাড়ের সবচেয়ে শক্ত মাটির স্তরও কেটে ফেলে। এতে পাহাড়ধসের শঙ্কা আরও তীব্র হয়।

পাহাড়-টিলায় বসবাস করা অনুচিত বা অবৈধ কিছু নয়। পাহাড়-টিলার পাদদেশে বসতিও হতে পারে। মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে সিলেটের অনেক জনবসতি রয়েছে। মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই সিলেটের ভোলাগঞ্জ। চেরাপুঞ্জির সেই পাহাড় যদি কখনো ধসে পড়ে তবে ভোলাগঞ্জ সহ আশপাশের অনেক জনপদ মাটির নিচে চাপা পড়ে যাবে। বড় আকারের ভূমিকম্প হলে প্রাকৃতিক কারণে সেটা হতে পারে। কিন্তু মনুষ্যসৃষ্ট কারণে খাসিয়া পাহাড় ধসে পড়বে না। চেরাপুঞ্জিতে বসবাসরত আদিবাসী খাসিয়ারা পাহাড়ে কিভাবে বাস করতে হয় তা জানে। পাহাড় কিভাবে রক্ষা করতে হয় তাও তাঁদের জানে। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় আদিবাসী খাসিয়াদের পুঞ্জি রয়েছে পাহাড়ের চুড়ায়। আজ পর্যন্ত সেসব পুঞ্জিতে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেনি। কেউ বলতে পারবে না পাহাড়ধসে খাসিয়া পুঞ্জি বিরান হয়েছে। একই ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ের সুউচ্চ স্থানে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায় শত শত বছর ধরে বাস করছে। ম্রো জনগোষ্ঠির পাড়া দেখেছি পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে। সুউচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে আদিবাসী ত্রিপুরার গ্রাম দেখেছি। পাহাড়ধসের কারণে সে সব গ্রাম ও পাডা মাটিচাপা হয়েছে এমনটি শোনা যায়নি। এর কারণ, পাহাড়ের অধিবাসীরা পাহাড়ে বসবাসের কিছু নিয়ম মেনে চলে। তাঁদের ইনডিজেনাস জ্ঞান পাহাড় সুরক্ষায় ও নিজেদের টিকে থাকায় ভূমিকা রাখে।

আশির দশক থেকে সমতলের বাঙালি সেটেলারদের পাহাড়ে বসতি স্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। এই বাঙালিদের পাহাড়ে বাস করার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কি নেই, তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। ভৌগলিক দিক থেকে বিশেষ এই অঞ্চলে বসতি স্থাপনের জায়গা নির্বাচন করা বিজ্ঞানভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি প্রয়োজন ছিল, সেটেলার বাঙালিদের পাহাড়ে বসবাসের কায়দা -কানুন শেখানো। কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে একটি বিশেষ অঞ্চলে ভিন্ন জীবনধারার একপাল মানুষকে বসবাসের জায়গা ইজারা দিয়ে দেয়া হল। সেই মানুষদের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিবেশ-প্রতিবেশে তৈরি হওয়া বিরূপ প্রভাব ধর্তব্য নেয়া হল না।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ধ্বসের কারণে হওয়া এবারের মানবিক বিপর্যয়ের দায় আশির দশকের রাজনৈতিক, সামরিক ও প্রশাসনিক নেতৃত্বকেও নিতে হবে। পাহাড়ে সেটেলার বাঙালিদের অবাধ বসতি নির্মাণ ও চোরাচালান পাহাড়কে বৃক্ষশূণ্য করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় পাদদেশে খেয়াল খুশি মত গড়ে তোলা বসতি পাহাড়কে দুর্বল করেছে। বড় বড় কোম্পানির কাছে ইজারা দেয়া পাহাড়ে চলছে ইচ্ছেখুশি চাষাবাদ। সেই সব চাষাবাদের প্রয়োজনে পাহাড়-টিলার পাদদেশে বস্তি নির্মাণ করে ভূমিহীন সেটেলার বাঙালীদের কলোনি গড়ে তোলা হচ্ছে নিয়মিত। এ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কতটি বসতিকে প্রশাসন উচ্ছেদ করতে পেড়েছে?

দুর্ভাগ্যজনক সংবাদ হল- তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার কোন তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছে নেই। তিন পার্বত্য জেলাতে অনেক বিশাল এলাকা, গত বিশ বছরে সিলেট জেলায় পাহাড়-টিলা ধসের একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সিলেটে পাহাড়-টিলার পরিমাণ কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। যৎসামান্য এখনো আছে তা রক্ষার জন্য গত একযুগ ধরে একজন পরিবেশকর্মী হিসাবে কথা বলতে গিয়ে প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের চক্ষুশূল হয়েছি। কিন্তু তবুও পাহাড়-টিলা কাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় নাই। এবারের এই লাশের সারি যদি আমাদের চিন্তা-চেতনাকে নাড়া দেয় তবেই এই হুতাসন অর্থবহ হবে।

অবিলম্বে পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের দেয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ বসতির তালিকা তৈরি করা ও তালিকায় থাকা পরিবারকে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। পাহাড়-টিলাকে ধস থেকে রক্ষা করতে হলে বৃক্ষ নিধন সম্পুর্ন রুপে বন্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্রগ্রামের ভূমি বাঙালী সেটেলারদের ইজারা প্রদান বন্ধ করতে হবে।  ন্যাড়া পাহাড়ে মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী বৃক্ষরোপণ করতে হবে।

আব্দুল করিম কিম, সমন্বয়ক, সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও প্রকৃতি রক্ষা পরিষদ।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ