আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কাঠামোয় উদ্যোক্তা সৃষ্টি

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী  

রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কাঠামোয় নানা ধরনের উদ্যোক্তা সৃষ্টির প্রয়াস গ্রহণ করা গেলেও কেবল দক্ষ ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পজাত উদ্যোক্তা ভাল করে। বিশ্বব্যাপী এ মুহূর্তে উদ্যোক্তা তৈরির আহ্বানটি মানব সমাজে সমাদৃত হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য রয়েছে। যদি বাণিজ্যিক উদ্যোক্তাদের কথা বলা হয়, তবে তারা প্রাথমিকভাবে মনোনিবেশ করে থাকে অর্থনৈতিক প্রতিদানের দিকে। অবশ্য এ অর্থনৈতিক প্রতিদান সর্বক্ষেত্রেই যে সামগ্রিকভাবে সমাজ বিচ্ছিন্ন তা কিন্তু নয়। অন্যদিকে সামাজিক উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্যমাত্রা থাকে সামাজিক প্রতিদানের দিকে।

ধারণাগতভাবে হয়ত বাণিজ্যিক উদ্যোক্তা এবং সামাজিক উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্র বিশেষে কর্মপদ্ধতি একই হতে পারে, যদিও তাদের মধ্যে বহুবিধ পার্থক্য থাকার কথা-অন্তত ধারণাগত স্তরে, কিন্তু বাস্তবতার আলোকে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এদিকে শৈল্পিক উদ্যোক্তারা এমন একটি অবস্থায় থাকে যাতে শিল্পকর্ম, গবেষণা, ধারণা, প্রযুক্তি সংস্থান এবং মেশিনসমূহের মধ্যে নতুন সংমিশ্রণ ঘটাতে সক্ষম এবং সহযোগিতার নানা ধরনকে অন্তর্ভুক্ত করে সংযুক্তি ঘটাতে সক্ষম হন। এক্ষেত্রে শিল্প সমাজ বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় বিশ্বব্যাপী অভিনয় ও নানা ধরনের শৈল্পিক সত্তার বিকাশ ঘটিয়ে মানুষকে উদ্দীপিত করতে পারে- যেখানে দক্ষতা বিশালভাবে জড়িত থাকে।

জোরপূর্বক উদ্যোক্তা হচ্ছেন এমন সব ব্যক্তি যাদের নিজেদের ব্যবসা করার কোন ধরনের পরিকল্পনা ছিল না, কিন্তু পরিস্থিতি তাদের এমন অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে যাতে কেবল বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্য নিয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। বাধ্যতামূলক বা জোরপূর্বক উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অনেক সময়ে তারা বুট স্ট্র্যাপিং করে থাকে। সাধারণত উদ্যোক্তারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে থাকে। কিন্তু তাদের অবশ্যই পারিপাার্শ্বিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের অবস্থা অনেক ক্ষেত্রেই সহায়তা করে থাকে। সৃজনশীল উদ্যোক্তারা এমন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে যাতে তাদের ব্যবসা পদ্ধতিতে সৃজনশীল কর্মকাণ্ড ও দক্ষতা ব্যবহার করে সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা পালন করে থাকে। তাদের কর্মকাণ্ডে যে বৈচিত্র্যময়তা এবং সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিমত্তার স্বাক্ষর রাখে তাতে সামগ্রিক অর্থে সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহের নানামুখী উত্তরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

দ্বিতীয় প্রজন্মের উদ্যোক্তারা হচ্ছেন যারা পারিবারিক সূত্রে শিল্প ব্যবসা বাণিজ্যের উত্তরাধিকার সূত্রে সুযোগ পেয়ে থাকেন এবং এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে ব্যবসায় উত্তরাধিকার ঘটার সুযোগ ঘটে থাকে। অথচ তাদেরই প্রথম প্রজন্ম যখন উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি হন তখন তারা পরিবারের মধ্যে প্রথমবার ব্যবসা শুরু করে থাকেন। তাদের পূর্ব ব্যবসার সূত্র জানা না থাকলেও কষ্ট করে তারা পারিবারিক বাধা দূর করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের ঘরে-বাইরে যথেষ্ট পরিশ্রম করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে হয়। বস্তুত উদ্যোক্তারা এমন এক ব্যক্তি যারা নতুন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সূচনা করে থাকেন, বেশিরভাগ ঝুঁকি বহন করে থাকেন এবং একদিকে যেমন পুরস্কার প্রাপ্তির সূমহ সম্ভাবনা থাকে, অন্যদিকে হেরে যেতেও পারেন। অনেক অসফল উদ্যোক্তাও পরবর্তী জীবনে সাফল্য লাভ করেছেন।

গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছি যে, সবাই হুট করেই যে উদ্যোক্তা হতে পেরেছে তা নয়। উদ্যোক্তা হতে গেলে মনস্তাত্ত্বিক চাপ থাকবে- তাকে সেই চাপ সহ্য করতে হবে। আবার উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে, বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল ধারণার বিকাশ ঘটাতে না পেরে এ ধরাধাম থেকে বিদায় নিতে হয়েছে এমন উদাহরণ কম নেই। ব্যাংক, এনজিও, ঋণদাতা এবং সরবরাহকারীরা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়ার আগে ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা মূল্যায়ন করে থাকে, যার জন্য ব্যবসায়িক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং ঋণগ্রহীতার বিচক্ষণতা বিচার বিশ্লেষণ করে থাকে। ব্যবসা ক্ষেত্রে আর্থিক যোগ্যতা অর্জনের জন্য দক্ষতা ও সক্ষমতা উভয়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যারা ঋণ গ্রহণ করবেন তাদের অবশ্যই শক্তিশালী ব্যবসা পরিচালনার জন্য ঋণ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক বিবেচনা বোধ এনে শক্তিমত্তা ও বুদ্ধিদীপ্তভাবে ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করতে হয়। ব্যবসার ক্ষেত্রে কি পরিমাণ কার্যদক্ষতা ও কর্মপদ্ধতি বাস্তবায়ন করা যায়, তার ওপর নাম্বারিং বা স্কোরিং করা হয়। ব্যবসায়ের আর্থিক দায়বদ্ধতা এমন একটি ট্র্যাক রেকর্ড, যা সংস্থাগুলোকে বিনিয়োগকারী বা আর্থিক সংস্থাগুলোকে ব্যবসা করার জন্য অর্থ ঋণ দিতে বা ভাল প্রার্থী কিনা তা নিরূপণ করতে ব্যবহার করে থাকে। অবশ্য এদেশে সুপারিশকারীর বা ঋণ গ্রহীতার ব্যবসার ক্রেডিটালিবিলিটির চেয়ে ক্ষমতা অনেক সময়ে দেখে থাকে।

ক্ষুদ্র ঋণ সাধারণত সরাসরি গরিব মানুষকে বিশেষ করে নারীদের টার্গেট করে দেয়া হয়, যা সাধারণত অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের ক্ষুদ্র উদ্যোগ/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম করে তোলে। ব্যাংকিং সেক্টরে যদিও ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না, কিন্তু অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বাংলাদেশের ব্যাংকিং মডেলে ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে দুটো জিনিস অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নীতি-নির্ধারকরা ভেবে দেখতে পারেন। উঠোন বৈঠকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের অংশীদারিত্বমূলক ব্যবস্থাপনা এবং অন্যটি হচ্ছে ঋণ গ্রহীতাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা। আসলে উদ্যোক্তারা যখন বাণিজ্যিক অর্থে ব্যবসা বাণিজ্য করেন তখন যে ঝুঁকি নেন তার সঙ্গে সম্ভাব্যতা, অনুধাবনযোগ্যতা, বোধগম্যতা কাজ করে থাকে। যদিও সামাজিক শৃঙ্খলা এবং সামাজিক পুঁজি ব্যবহার করে সামাজিক উদ্যোক্তাদের অভিপ্রায় সমাজের ওপরও নির্ভর করে থাকে সত্যিকার অর্থে লোক দেখানো না হয়ে বরং মানুষের মনের দীপ্তি ও কর্মক্ষমতাকে কতটুকু আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এ জন্যই সামাজিক উদ্যোক্তাদের অভিপ্রায়সমূহ সমাজের চাহিদা দ্বারা অনুভূত প্রভাব এবং সাফল্যের সম্ভাব্য হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। সামাজিক ব্যবসার মডেলের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সমাজের জন্য এবং ব্যাস্টিক অর্থনীতিতে যারা যারা সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষকে জয়-জয় (উহন-উইন) পরিবেশ তৈরি করার জন্য অভিপ্রায় বাস্তবায়ন করা দরকার।

সামাজিক ব্যবসা কর্মপদ্ধতি সরকারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ব্যাংক ব্যবস্থা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করার মাধ্যমে সামাজিক ব্যবসায়ের ধারণা প্রসারিত করে থাকে। সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সমাজের অর্থনৈতিক কর্ম কাঠামোয় সহযোগিতা ও এর ফলে সম্মিলিত হস্তক্ষেপ ধীরে ধীরে এবং অবশ্যই একটি ইতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি করবে, যা উন্নয়নশীল দেশ বিশেষত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সামাজিকভাবে প্রয়োগ করা হলেও, যারা বিভিন্ন সময়ে বেসরকারিভাবে এর প্রায়োগিক কলাকৌশল বাস্তবায়নে আগ্রহী হয়েছেন তারা নিজেদের কায়েমি স্বার্থে প্রলুব্ধ হওয়ায় দরিদ্র শ্রেণির কাছে সুযোগ-সুবিধা চুয়ে পড়া উচ্ছিষ্টের মতো হয়ে গেছে। কিন্তু যদি বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহ যারা সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে চলেছে, বিশেষত তাদের পরিচালনা পর্ষদ, বাংলাদেশ ব্যাংক বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ব্যবসা এবং সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করত তবে নিম্ন আয়ের মানুষ আরেকটু সুন্দরভাবে সরকারের চাহিদা ও নির্দেশিত পথে মানবকল্যাণে ব্রতী হতো। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সামাজিক উদ্যোক্তারা অর্থ উপার্জন করে থাকে। তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ হচ্ছে অনেকেই ব্যবসার মালিক হিসেবে এদেশে সফল হতে পারেন এবং একই সঙ্গে কখনও কখনও ভাল কিছুও করতে পারেন।

যা হোক, কোন ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা তাদের জন্য কোন ধরনের লাভ নেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। সামাজিক উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে শিক্ষামূলক কর্মসূচি, যারা ব্যাংকিং পরিষেবা পাননি তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কর্মসূচির আওতায় আনা এবং মহামারীর মধ্যেও কিছুটা হলেও সহায়তা প্রদান করে থাকে। তবে সেবামূলক কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অবশ্যই স্বল্প। এক্ষেত্রে ‘ব্র্যাক মডেল’ একটি ভাল উদ্যোগ। এতে উন্নয়ন কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং বিনিয়োগের একটি সহযোগী নেটওয়ার্ক-এগুলো সব মিলিয়ে দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের সামাজিক ভারসাম্যহীনতা দূরীকরণ এবং আর্থিক স্থায়িত্ব বৃদ্ধির বিস্তৃত লক্ষ্য গ্রহণ করে থাকে। এদেশে ব্র্যাক ১৬টি সামাজিক উদ্যোগ পরিচালনা করে থাকে। রাজনৈতিক অর্থনীতি উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। যদিও উদ্যোক্তাদের প্রায়ই মুক্তবাজার অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবু অর্থনীতিতে গবেষণা বাস্তবসম্মত উপায়ে দীর্ঘকাল ধরে তার বিশ্লেষণে উদ্যোক্তারা উপেক্ষিত হচ্ছেন।

রাজনীতির অর্থনৈতিক দৃষ্টান্তকে পর্যালোচনা করলে এক ধরনের অবহেলাও আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে সামষ্টিক অর্থনীতিতে বুদ্ধিগত সম্পত্তির অধিকার (আইপিআর) প্রভাব বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়। দেশের সামাজিক উদ্যোক্তারা এখন করোনার প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিনকে যাতে সমাজের সর্বস্তরে প্রদান করা যায় তার জন্য বাণিজ্যিক উদ্যোক্তাদের চেয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেসরকারিভাবে উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ করে দেশী-বিদেশী প্রয়োজনীয় অনুমতি প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। ইয়াস সাইক্লোনের কারণে স্থানীয় মানুষ যেভাবে সামাজিক উপায়ে বেড়িবাঁধগুলো যাতে ভেঙে না পড়ে সে জন্য একত্রিত হয়ে যেভাবে কাজ করেছে, তা সামাজিক উদ্যোক্তার একটি ভাল উদাহরণ। সামাজিক উদ্যোক্তার রাজনৈতিক অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থে গবেষণা, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ওপর তাদের প্রভাবসমূহ পর্যালোচনা নিয়মিতভাবে করে বিভিন্ন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা এবং বাস্তবায়নের ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়।

বিভিন্ন প্যাটেন্ট নীতিমালার কলাকৌশলগুলোর গবেষণা, উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নে আলাদা প্রভাব রয়েছে, যা মৌলিকতার সঙ্গে কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সহায়তা করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, আইপিআর সুরক্ষা ও উদ্ভাবনের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে- যা অবশ্য উন্নত দেশসমূহের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশসমূহের তুলনায় অধিক হারে প্রযোজ্য। একটি উন্মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বিশ্বব্যাপী সুরক্ষার জন্য সর্বোত্তম স্তরে পৌঁছাতে আইপিআর সুরক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে।

আসলে রাজনৈতিক অর্থনীতি উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রেখে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোই হোক, অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোই হোক কিংবা সেমিফর্মাল কাঠামো হোক, উদ্যোক্তাদের জন্যে সামাজিক উন্নয়নে অংশ নিতে যে ঝুঁকি দেখা দেয়, তার প্রতিদান পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। তবে কোভিডকালীন অবশ্যই আইপিআর স্থগিত রেখে কোভিড প্রতিরোধী ভ্যাকসিন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যেক্তাদের জন্য সকল দেশে বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত করে সবর্জনীন ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং সব মানুষের জন্য বণ্টন ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী দরকার।

রাজনৈতিক অর্থনীতি উদ্যোক্তাদের এক ফলপ্রসূ পন্থা। মুক্তবাজার অর্থনীতির মূল কার্যসমূহ উৎপাদনশীল উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কতটুকু সংশ্রব মেনে চলে সেটি বিচার্য বিষয়। এমনকি নব্য উদারপন্থী ধারণাসমূহতেও উদ্যোক্তারা যাতে সুস্পষ্টভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। এ জন্য সমাজ ব্যবস্থায় উদ্যোক্তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি যথার্থ মূল্যায়ন সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

উদ্যোক্তারা দেশের সম্পদ। উদ্যোক্তারা তখনই গতিশীল হবেন, যখন তারা দেশ-সমাজের কথা বিবেচনা করে দেশের সম্পদ দেশেই রাখবেন এবং ভবিষ্যতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে গতিময় ভূমিকা পালন করতে পারেন।

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ই৪কোনমিস্ট; শিক্ষাসংক্রান্ত বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত; আইটি ও উদ্যোক্তা বিশেষজ্ঞ; সাবেক উপাচার্য প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ