আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বৈশ্বিক সমস্যায় রিজার্ভ পরিস্থিতিতে সরকারের যে পদক্ষেপ

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী  

বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ মানবসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছেন। এই বৈশ্বিক মন্দার জন্য সরকার দায়ী নয়। কিন্তু উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ের মত সমগ্র বিশ্বব্যাপী বৈশ্বিক মন্দা ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা পরবর্তীকালে যখন বাংলাদেশের অর্থনীতি ও দেশপ্রেমিক এবং কল্যাণমুখী অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মন্দা মোকাবেলার ক্ষেত্রে তার সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে বারংবার নির্দেশ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করে চলেছেন।

সমগ্র বিশ্বব্যাপী বর্তমানে করোনা ভাইরাস পরবর্তী সময়ে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিম্ন প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। যা ক্রমবর্ধমান হারে চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক পরিবেশের মুখোমুখি করছে। আই এম এফ ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, বিশ্ব শিগগিরই মন্দা অবস্থার মধ্যে পতিত হতে যাচ্ছে, যেহেতু রাশিয়ায়-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ইউরোপের অর্থনীতিগুলো অত্যন্ত স্লো গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও মন্দা ভাব দেখা দিচ্ছে।

কিন্তু সরকার সতর্ক থাকায় যতটুকু মন্দাভাবে আক্রান্ত হওয়ার কথা তার চেয়ে স্লো গতিতে এদেশের অর্থনীতিতে মন্দ ভাবে পরিমাণ কম। এজন্য অবশ্য সরকার নানামুখী রাজস্ব নীতি ও মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় দেশ থেকে যাতে অর্থ পাচার হতে না পারে সেজন্য সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশে বিএনপির আমলে হাওয়া ভবনের মাধ্যমে অর্থ পাচার করা হতো। এ সরকারের আমলে চেষ্টা করা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তালিকা করে টাকা উদ্ধার করার এবং স্বনামধন্য কেউ যদি জড়িত থাকেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে সরকার চেষ্টা করে চলেছেন।

সরকারপ্রধান আগামী বছর যাতে দুর্ভিক্ষ না হয় সেজন্য বিভিন্ন স্থানে ফাঁকা জায়গায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছেন জমি অনুযায়ী যে কোনো ধরনের ফসল ও ফলদ বৃক্ষাদি রোপণ করার জন্য। আমার পৈতৃক ভূমিতে আমি প্রধানমন্ত্রীর কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কুমিল্লার পশ্চিম বাগিচা গাওতে বৃক্ষরোপণ করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে পাড়ার বখাটেরা যে গাছ লাগিয়েছিল সেই মেহনতি মানুষকে মেরে ধরে তালা দেয়া স্থানে গাছ উপড়ে ফেলেছে। আসলে আমাদের মন মানসিকতা ঠিক করতে হবে। আমজনতাকে বুঝতে হবে যে, জনকল্যাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং উদয়াস্ত খেটে চলেছে।

অনেক প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় যে, অধস্তন কর্মকর্তা থেকে আরম্ভ করে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পেছনের দরজা দিয়ে হয়, কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন দেয় না, একই পরিবারের ৪-৫ জনকে নিযুক্ত করা হয়। এই ধরনের অবৈধ ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রদান করায় তারা ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং এনজিওতে কর্মরত ছিল একদা শিক্ষক ছিল যে হঠাৎ করে খণ্ডকালীন শিক্ষক হয়ে এ সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বামপন্থী গ্রুপের আওতায় বর্তমান সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে।

বৈশ্বিক মন্দার সময়ে যখন ন্যায্যতা সাধুতার ভিত্তিতে চাকরি দেয়া উচিত, কারা ঐ অবৈধ নিয়ম প্রক্রিয়ায় ঢাকাস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবৈধ কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থায় এবং অন্যায়কারী ও অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তদের চাকরি জুতো পড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগ দেয়া উচিত। খণ্ডকালীন শিক্ষক যখন গৃহকালীন শিক্ষকদের কর্মকাণ্ডে অবৈধভাবে নাক গলায়, যেখানে শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর জন্য বসতে পারে না, বিরাট রুম দখল করে অবৈধভাবে কাজকর্ম করে এবং শুক্র শনিবার একটি টিভি চ্যানেলে প্রতিনিয়ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে রিহার্সাল দেয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। ওই ব্যক্তিটি আর যাই হোক বর্তমান সরকারকে গালাগালি করে থাকে। বৈশ্বিক মন্দার সময়ের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা যারা নেয় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি কমিশন রাঘববোয়ালদের না ধরলে তা আসলে দেশের অন্য প্রতিষ্ঠানেও হয়তো ছড়িয়ে পড়বে।

এরা বর্তমান সরকারের বোঝা স্বরূপ বিএনপি জামায়াতিদের মতই এক শ্রেণির বামপন্থী গিরগিটির মতো রং পাল্টিয়েছে। কিন্তু সরকারবিরোধী কাজে লিপ্ত। সমগ্র বিশ্বব্যাপী ইউক্রেন-রাশিয়ার জন্য বৈশ্বিক আমদানি রপ্তানি ও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে চলেছে। একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে, তবে এর জন্য আশঙ্কা নেই, বরং আই এম এফ যেভাবে মার্কিন ডলারের পরিমাণ কম দেখাতে বলেছে তা মোটেই যথাযথ নয়।

সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে এ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ হচ্ছে মার্কিন ডলার ৩২.৯ বিলিয়ন। সরকার চেষ্টা করেছে আমদানির ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রতা সাধনের জন্য। আমদানি নিরোধ করণের জন্য ইতিমধ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। অতিরিক্ত ডলার যাতে খরচ না হয় সেজন্য বিলাস জাতীয় পণ্যকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। দেশের বৈশ্বিক সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রাপ্য বিশেষজ্ঞদের মতামতকে বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন রোড শোয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এগুলো করার আগে অবশ্যই cost benefit analysis ভাল করে পর্যালোচনার দরকার ছিল। দেখা গেছে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের লোকাল ভ্যালু এডিশন হচ্ছে মাত্র ২০%। লোকাল ভ্যালু এডিশন বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থাপনা করা বাঞ্ছনীয়। রপ্তানি পণ্যের বিভক্তিকরণ করা প্রয়োজন। এমনিতেই বৈশ্বিক মন্দার সময়ে উন্নত ও অনুন্নত বিশ্বের দেশগুলো বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অন্য দেশ থেকে পণ্য আমদানি করবে না একথা মাথায় রেখে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে বেসরকারি খাতসমূহকে অবশ্যই নতুন স্ট্রাটেজি অনুসারে নতুন বাজার খোলার জন্য কেবল যাচাই-বাছাই করলে চলবে না, তদনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা দিয়ে গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ের গ্রাহকদের ক্ষমতা বিবেচনায় এনে দেশে পণ্যের বাজার স্থানীয় অর্থনীতিতে সংযুক্তির যে প্রয়াস সরকার করোনার সময়ে গ্রহণ করেছিলেন, যেমন ফুড ফর নেশান, ডিজিটাল হাট এগুলোকে পুনরায় চালু করা। বিএনপি-জামায়াতের আমলে যেভাবে টিসিবি এবং বিএডিসিকে খণ্ড-বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেহেতু কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বিশ্বাসী, তাদেরকে পুনরায় জাগ্রত কার্যকর করার জন্য ন্যায্য ফান্ডিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন ব্যাংকের কার্যক্রম ঢেলে সাজাতে হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ শিল্প উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রীর যে দিকনির্দেশনা তৃণমূল পর্যায় থেকে রয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আই এম এফ-এর নেটওয়ার্ক বাড়াতে বলেছে আসলে এদেশে যারা উচ্চবিত্ত তুলনামূলকভাবে তাদের কর কম দেয়ার প্রবণতা। যারা চাকরিজীবী তারা সব সময় কর দিয়ে থাকেন। এদেশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় পণ্যের দাম কম। যেহেতু পারচেজিং পাওয়ার গ্যারান্টি কম সেহেতু মূল্যস্ফীতি অধিক হলে ক্ষতি হয়। এখন আইএমএফ-এর পরামর্শ মত যদি ইন্টারেস্ট ক্যাপ তুলে দেয়া হয় তবে দেখা যাবে এনজিওদের মত অতিরিক্ত সুদের হার ব্যাংক চার্জ করছে। তখন দেশের জনসাধারণের উপর এটি মধুসূদন হবে এবং মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাবে। এমনিতেই জ্বালানি ও গ্যাস এবং বিদ্যুতের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। যে সমস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র অতিরিক্ত দামে পণ্য উৎপাদন করে থাকে সেগুলো বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। নেত্রকোনায় যে সমস্ত গ্যাস কূপ রয়েছে সেগুলো থেকে গ্যাস উৎপাদনের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এদিকে অফিস ও ব্যাংক বীমা এবং দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সপ্তাহে বন্ধের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে যাতে বিদ্যুৎ রেশনিং এই ক্ষতি না হয়।

বস্তুত: বিভিন্ন পদক্ষেপে সরকার চেষ্টা করছে মন্দা অবস্থা যাতে সার্থকভাবে কাটিয়ে উঠা যায়। বৈদেশিক ঋণ যেমন মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন রয়েছে তেমনি তা যেন আমাদের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইতিমধ্যে যে সমস্ত ব্যাংকার বিনিময় হার নিয়ে লিখতে চেয়েছে এবং এক্সচেঞ্জ হাউসসমূহ উচ্চ ডলার মূল্যের সাথে যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এক্ষেত্রে দুর্ভিক্ষকে আটকাতে হলে কৃষি বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় Top down approach এবং bottom up approach এর সাথে যোগসূত্র স্থাপন করে কৃষি, কৃষিজাত শিল্প নিয়ে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর স্বয়ং দেশের মানুষকে সাবধান করেছেন। সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একই যোগে কাজ করতে হবে যাতে করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা এই বৈশ্বিক মন্দার সময়েও অব্যাহত থাকে। অর্থ মন্ত্রণালয়কে সততা ও নৈতিকতার সাথে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে দেশের থেকে অর্থপাচার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান সরকার মন্দা মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন এই কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করতে হবে। বাংলাদেশ তার অর্থনীতির ভিত্তিতে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলুক।

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ই৪কোনমিস্ট; শিক্ষাসংক্রান্ত বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত; আইটি ও উদ্যোক্তা বিশেষজ্ঞ; সাবেক উপাচার্য প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ