প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ | ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অতি সম্প্রতি মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক গণ আদালতের রায় অনুযায়ী মিয়ানমারের সেনা সদস্য, পুলিশ এবং তাদের মদদ প্রাপ্ত জনগণ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর গণহত্যা , মানবতাবিরোধী অপরাধসহ নানা প্রকার ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটন করছে।
এখন প্রশ্ন হল মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সংঘটিত অপরাধের দায়ভার কার উপর বর্তাবে?
মূলত আমরা জানি অপরাধগুলো সংঘটনের পেছনে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং তাদের মদদপ্রাপ্ত মিয়ানমারের উন্মত্ত জনতা।
Rome Statue অনুযায়ী অপরাধীদের উপর দুই ধরনের দায়ভার অর্পণ করা যায়:
১) ব্যক্তিগত অপরাধের দায়ভার (Individual Criminal Responsibility) এবং
২) ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়ভার (Superior Responsibility).
আমরা দেখেছি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে প্রথম দফাতেই নেতৃস্থানীয় অপরাধীদের বিচার শুরু করা হয়। এরপরে আমরা দেখি সরাসরি Superior Responsibility র জন্য ম্যানিলা ট্রাইব্যুনালে জেনারেল ইয়ামাশিতার মৃত্যুদণ্ড হয়।
মিয়ানমারের ক্ষেত্রে আমি মনে করি রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে গণহত্যা চালানো হয়েছে তার দায়ভার সে দেশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উপরে বর্তায়। সে ক্ষেত্রে যে ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা উচিৎ মিয়ানমারের তিনি হলেন মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি।
এছাড়াও আরও যেসব ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করা উচিৎ তারা হলেন- মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হিলেইং (Senior General Min Aung Hlaing), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. জেনারেল কায়া সুই (Lt. General Kyaw Swe), প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লে. জেনারেল সেইন উইন (Lt. General Sein Win) এবং সীমানা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী লে. জেনারেল ইয়ে অং (Lt. General Ye Aung)।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য