প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
রণেশ মৈত্র | ২৪ মার্চ, ২০১৯
গত ১৫ মার্চ বাঙালি জাতি যখন গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে এনে ফেলেছেন, তখন বাংলাদেশের প্রত্যূষে (নিউজিল্যান্ডের সাথে আমাদের সময়ের পার্থক্য সাত ঘণ্টা) টেলিভিশন ইন্টারনেট প্রভৃতি ভয়ংকর খবর পরিবেশন করে সমগ্র বিশ্ববাসীকেই হতবাক, ক্ষুব্ধ ও দুশ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়লেন।
বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল, অকল্পনীয় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেও ৫/১০ মিনিট সময়ের জন্যে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার খবর জনিত স্বস্তির নিঃশ্বাস সত্ত্বেও, সেখানকার মসজিদ দুটিতে তড়িৎ ও ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ফলে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত অর্ধশতাধিক মানুষের ও অগণিত আহত মানুষদের জন্য গভীর শোকে শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। সমগ্র বিশ্বই আজতক ব্যথাহত শোকাহত ও নিন্দাবাদে সোচ্চার।
ঘটনাটির শুরু অকস্মাৎ তবে আততায়ীর গুলিবর্ষণ চলেছিল ছয় সাত মিনিট ধরে। দু’টি মসজিদে জুম’আর নামাযের জন্য সমবেত শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বুক লক্ষ্য করে। প্রকাশ্যে দিবাভাগে এমন ভয়াবহ হত্যালীলা সংঘটিত হলেও পুলিশ আসতে বেশ বিলম্ব ঘটেছিল বলে জানা যায়। তা যদি সত্য হয় তবে তা নি:ন্দেহেই বিস্ময়কর ও প্রতিবাদযোগ্য ঘটনা।
মসজিদ দুটি নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সুসজ্জিত ক্ষুদ্র শহর ক্রাইস্ট চার্চে অবস্থিত ছিল। ঐ ক্রাইস্ট চার্চের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামেই পরদিন তৃতীয় শেষ টেস্ট ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের সাথে খেলার জন্য বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল সেখানে অবস্থানকালে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জুম’আর নামাজে অংশ নিতে একটি মসজিদের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনটি শেষ হতে কিছুটা সময় বাড়তি সময় লেগে যায়। তদুপরি সেখানে ঐ সময়ে ঝির ঝির করে বৃষ্টি হচ্ছিলো। এ কারনে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মসজিদের কাছে চৌঁছাতে নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা ৫/১০ মিনিট বাড়তি সময় লেগে যায়।
মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র ক্রিকেটাররা দেখতে পান মসজিদে ও মসজিদ প্রাঙ্গণে কয়েকটি লাশ পড়ে আছে রক্তাক্ত দেহে। মসজিদের অভ্যন্তরে রক্তের সমুদ্র বইছে যেন। বিস্ময় বিমুড় বাকহীন ক্রিকেটাররা কালবিলম্ব না করে ফিরে আসেন চাঁদের হোটেলে বা মোটেলে দিশেহারা অবস্থায়।
ঘটনার যা তথ্য এ যাবত দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম সমূহে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে তাতে জানা যায়, এক অস্ট্রেলীয় জঙ্গি ও উগ্র জাতীয়তাবাদী ব্রেন্টন টেরাস্ট পাঁচটি বন্দুক নিয়ে (যার মধ্যে একটি মাত্র বন্দুকের লাইসেন্স ছিল) অভিবাসী ও মুসলমান মুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে সেদিন ঐ দুর্ঘটনাটি ঘটান। হত্যাকারীর অস্ত্রে লেখা বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ শ্লোগান এবং হামলার ১০ মিনিট আগে নিউজিল্যান্ড সরকারকে দেওয়া ৭৩ পৃষ্ঠার “দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট” শীর্ষক এক বিশাল ইস্তেহারে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সবিস্তারে জানা যায়। পুলিশ তাকে সহ একজন নারী ও অপর দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েও হাসতে হাসতে “শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক” আঙ্গুল তুলে দেখান। হত্যাকারী তার বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও “পুনরুজ্জীবিত শ্বেতাঙ্গ পরিচয়ের প্রতীক” বলে প্রশংসা করেন। তার বিশ্বাস এই হত্যাকাণ্ডের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাঙ্গরা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অনুরূপ প্রতিবাদ জানাবে।
ধর্মবিশ্বাসে ব্রেস্টন মুসলমান, হিন্দু বা বৌদ্ধ বা জৈন নন। একজন খাঁটি খৃষ্টান শতভাগ উগ্র ধর্মান্ধ জঙ্গি সন্ত্রাসী খৃষ্টান। ঘটনা সম্পর্কে জানার পর অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ব্রেষ্টনকে একজন “উগ্রপন্থা দক্ষিণপন্থী সন্ত্রাসী ও উগ্র জাতীয়তাবাদী বলে অভিহিত করেন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিত্তা আর্ডান ঘটনার পরদিন আয়োজিত এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, এই হত্যালীলা নিউজিল্যান্ডের বুকে অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত। শান্তির দেশ নিউজিল্যান্ডে দিনটি অন্যতম কালো দেশ এ পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলে, ধর্ম-বর্ণ-জাতীয়তা নির্বিশেষে সকল অভিবাসী নিউজিল্যান্ডের আপন জন কোন প্রকার ভেদাভেদের বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। তাই এ ঘটনা যে বা যারাই ঘটিয়ে থাকুক তারা আদৌ নিউজিল্যান্ডের বন্ধু নন। যে কোন দেশের, ভাষার, বর্ণের, অভিবাসীই হোন না কেন নিউজিল্যান্ড তাঁদের সবাইকে আত্মস্থ করে নিয়েছে সাদা বা কালো কোন সন্ত্রাসীকে নয়। তিনি বলে, এই দুর্ঘটনার পর নিউজিল্যন্ড তার অস্ত্র আইন পালটাবে।
জঙ্গি সন্ত্রাসী ব্রেনটন ট্যারেন্ট কতটা ভয়াবহ একজন মারাত্মক অপরাধী তার বিবরণ দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়। তাতে বলা হয়েছে, খুনি ব্রেস্টন ট্যারেন্ট একজন চরম মুসলিম বিদ্বেষী ছিলেন। ঘটনার দিন আল নূর মসজিদে যাবার সময় পথে চলন্ত গাড়িতে যে গান বাজানো হচ্ছিল তা থেকেও তার মধ্যে থাকা উগ্র ইউরোপীয় এবং মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। হেলমেটে থাকা ক্যামেরায় মাধ্যমে ট্যালেন্ট আল নূর মসজিদে হামলা করতে যাওয়া থেকে শুরু করে হামলার পুরো ঘটনা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেন। ১৭ মিনিটের ঐ ভিডিওতে ট্যারেন্ট যখন গাড়ী চালিয়ে আল নূর মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন তখন গাড়ীতে একটি সার্বিয় লোকগান বাজাচ্ছিল। ঐ গানে সাবেক বসনীয় সার্ব নেতা রাদোভান কারাদাভিচ ও তাঁর সেনাদের প্রশংসা করা হচ্ছিল। সেই সময় গানের কথায় বসনিয়া যুদ্ধের সময় ক্রোয়েশীয় ও বসনিয় মুসলমানদের প্রতি অসম্মান জনক করতে ব্যবহৃত নানা বাক্যও ছিল। নব্বুই এর দশকে বসনীয় যুদ্ধের সময় প্রায় আট হাজার মুসলমান পুরুষ ও বালককে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন কারাদজিস। এই ঘটনা “গ্রেবেনিৎসার গণহত্যা” নামে পরিচিত। তাকে চল্লিশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল আন্তর্জাতিক আদালত। ওয়ার্ল্ড অব আর্থার ব্রাউনের ‘ফায়ারি” গানটি বাজানো হচ্ছিল যার কথায় ছিল “আই এম দ্য গড অব হেল ফায়ার”।
অস্ট্রেলিয়ার অপর একজন সিনেটার ফ্রেসার অ্যাসিং নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্ট চার্চে সংঘটিত জঙ্গি হামলা ও গণহত্যার খবরের প্রতিক্রিয়ায় যা বলেছেন তা আরও মারাত্মক। তিনি এর জন্য মুসলিম অভিবাসীকে দায়ী করেছেন। প্রকারান্তরে তিনি উগ্র ধর্মান্ধ জাতীয়তাবাদী অস্ট্রেলীয় খৃষ্টান জঙ্গি সন্ত্রাসী খুনি ব্রেস্টন হ্যারিসন টারান্টিকে নির্দোষ হিসেবেই আখ্যায়িত করলেন।
ঐ উগ্রদক্ষিণ পন্থী সিনেটার আরও বলেছেন, “এর পরও কি মুসলিম অভিবাসন ও সহিংসতার মধ্যে যোগসূত্র থাকা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকে?”
অবশ্য ফ্রেসার অ্যানিং এর এই বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর সমগ্র অস্ট্রেলিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। সেখানকার সাবেক এক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তার সমালোচনায় মুখভ খুলেছেন। ক্রাইস্ট চার্চে হামলা নিয়ে ফ্রেসার বক্তব্য টুইটারে শেয়ার করেছেন একজন অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক। ফ্রেসার ঐ টুইটে লিখেছেন, ‘সব সময়ের মত এ ঘটনার পরও বামপন্থী রাজনীতিবিদ ও সংবাদ মাধ্যমগুলো দায় চাপাবে অস্ত্র আইন বা জাতীয়তাবাদী আদর্শের সমর্থকদের উপর। কিন্তু এগুলি সবই অসত্য এবং চর্বিত চর্বণ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এর পরও কি মুসলিম অভিবাসন ও সহিংসতার মধ্যে যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকে? নিউজিল্যান্ডের রাজপথ আজ যে রক্তে ভেসে যাচ্ছে তার জন্য দায়ী অভিবাসন নীতি। এর কারণেই মুসলিম চরমপন্থিরা নিউজিল্যান্ডে ঢোকার সুযোগ পায়।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ দাভিদ এই বক্তব্যের জন্য সিনেটার ফ্রেসার বিরুদ্ধে “চরম পন্থাকে উসকানি” দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। টুইটার বার্তায় তিনি বলে, “শোক ও সমবেদনার সময়ে এই অস্ট্রেলীয় সিনেটর সহিংসতা ও চরমপন্থার আগুনে বাতাস দিয়েছেন। এই বর্ণবাদী লোকটির কারণে অস্ট্রেলীয়রা চরমভাবে লজ্জিত হবেন। তিনি কোনভাবেই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্বশীল কেউ নন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মন্তব্য করেছেন, “এক সহিংস ডানপন্থী, চরমপন্থি সন্ত্রাসীর দ্বারা নিউজিল্যান্ডে সংঘটিত হামলার দায় অভিবাসন নীতির উপর চাপিয়ে সিনেটার ফ্রেসার এনিং নিন্দনীয় কাজ করেছেন। এমন মনোভাবের কোন স্থান নেই অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সংসদে তো নয়ই।” অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম চানবুল, বলেন “ফ্রেসার অ্যানির মন্তব্য অত্যন্ত ঘৃণ্য।” তিনি অস্ট্রেলিয়ার সংসদের জন্য অসম্মানের কারণ। তিনি অস্ট্রেলিয়ানদের একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়ে সেটাই ঘটাতে চাইছেন যেটা সন্ত্রাসীরা চায়।”
সন্দেহভাজন হামলাকারীর জন্ম অস্ট্রেলিয়ায়। অস্ট্রেলিয়ার অপর নেতা ইভোন এক বিবৃতিতে বলেন, “নিউজিল্যান্ডে যা ঘটেছে সেজন্য ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় এসে ইসলাম বিদ্বেষী যে প্রচারণা শুরু করেছেন তাকেও অবশ্যই দায়ী করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য যে সব শ্বেতাঙ্গ রাজনীতিবিদ পশ্চিমা মূলধারায় গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছাড়িয়ে দেওয়াকে পাশ্চাত্যে একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।”
বাংলাদেশসহ ইউরোপীয় অপরাপর দেশগুলিও এই ভয়াবহ জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী কার্যকলাপের এবং নিউজিল্যান্ডের গণহত্যার কঠোর সমালোচনা করে নিহতদের জন্যে গভীর শোক এবং তাঁদের আপনজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের ঘটনা পৃথিবীর সকল দেশের কাছেই ছিল অপ্রত্যাশিত কারণ দেশটি শান্তির দেশ হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। সে কারণেই সম্ভবত: নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঐ দেশে অত্যন্ত শিথিল যার বিশাল মাশুল দিতে হলো দেশটিকে হয়তো আরও দিতে হবে।
সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজ এতে শোকাহতই শুধু নন অত্যন্ত বিক্ষুব্ধও বটে। শঙ্কিত হতেই হয় এই কথা বেবে যে এই সুযোগে আই.এস.জাতীয় উগ্র জঙ্গিবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে সর্বত্র তারা নিউজিল্যান্ডের ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসীদের এবং যেখানে যেখানে খৃষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের উপর সংগঠিত/অতর্কিত হামলা না চালায় সর্বত্র সাম্প্রদায়িকতা নতুন করে মাথা চাঁড়া দিয়ে না ওঠে। ক্ষুব্ধ হলেও বাংলাদেশের মানুষ তাদের সবকটি প্রিয় ক্রিকেটারকে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়ে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছেন। ক্ষোভের উত্তাপও অনেকটা কমেছে শান্তিপ্রিয় বাঙালি জাতির। কিন্তু নিহতদের প্রতি একাত্মবোধ তো তাঁদের প্রতি রয়েই গেল।
এখন সকলের আকাঙ্ক্ষা অতিদ্রুত দায়ী জঙ্গি সন্ত্রাসীদের বিচার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক এবং আদালতের রায় কার্যকর করা হোক। সমগ্র নিউজিল্যান্ড ও অষ্ট্রেলিয়াব্যাপী সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও উগ্র জাতীয়তাবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলিকে আইনের কঠোর আওতায় আনা হোক।
বাঙালি জাতিও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার শিকার। পাকিস্তান আন্দোলনের নামে তাঁরা তার রূপ প্রত্যক্ষ করেছেন প্রত্যক্ষ করেছেন পাকিস্তান আমলব্যাপী। আজও তার রেশ পুরোপুরি কাটেনি তাই মাঝে মাঝে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে থাকে। তবে ঐতিহ্যগতভাবে এ দেশের সাধারণ মানুষেরা অসাম্প্রদায়িকতার অনুসারী।
বিশ্বে একটি ধারণার সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরী। তা হলো সাম্প্রদায়িকতাকে কখনও সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে উগ্র জাতীয়তাবাদকে উগ্র জাতীয়তাবাদ দিয়ে বা বর্ণবাদকে বর্ণবাদ দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় না এবং তাতে শান্তিও আসে না। দেশে দেশে শান্তির একমাত্র চাবিকাঠি হলো সকল মানুষকে আপন করে নেওয়া সর্বত্র সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী জোয়ার সৃষ্টি করা।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য