আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

ভারতের লোকসভা নির্বাচন: একটি পর্যালোচনা

রণেশ মৈত্র  

অবশেষে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্তভাবে জানা গেল। সকল জল্পনা কল্পনারও অবসান হলো। বহু ভাষী, বহুজাতিক, বহু আদর্শিক, বহু ধর্মে বিশ্বাসী কোটি কোটি মানুষের দেশ হলো বিশাল ভারত যে দেশে ১৯৪৭ এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে আজ ২০১৯ এই দীর্ঘ ৭২টি বছর ধরে আজ এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র মোটামুটি অব্যাহতভাবে লালিত হয়ে এসেছে যার নজীর পৃথিবীতে বিরল। আর সে কারণেই আজ অন্তত: দুটি মাস ধরে গণতান্ত্রিক বিশ্বেও শত শত কোটি মানুষের দৃষ্টি নিবন্ধ ছিল ভারতের নির্বাচনের প্রতি।

ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালের বিশ্বস্ত বন্ধু। তাই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ আরও গভীরভাবে নজরে রেখেছেন সে দেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতির দিকে, লোকসভার ভোটের দিকে নির্বাচনী ফলাফলের দিকে। এই ভাবে আর কোন দেশের নির্বাচনের প্রতি বাঙালি জাতির নজর রাখতে কোন দিনই দেখা যায় নি। দেখা যায় নি পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার বা অপরাপর প্রতিবেশী দেশের নির্বাচন কালে।

ইতোমধ্যে টেলিভিশনের কল্যাণে জানা গেল, ভারতের পেরুয়া নেতৃত্ব দ্বিতীয় বারের মত দিল্লীতে গদিসীন হতে চলেছেন যদিও এই নিবন্ধটি যখন লিখছি তখনও পর্যন্ত কাজ চূড়ান্তভাবে শেষ হয় নি।

বিস্ময়কর হলেও জানা গেছে যে অতীতের ঐতিহ্যবাহী ঘাঁটি উত্তর প্রদেশ এবারও কংগ্রেসের হাতে ধরা দিল না। সেখানে এবার রাহুল গান্ধীর মত কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাজিও পরাজয় বরণ করতেন। সেখানেও বিজেপি’র প্রাধান্য বজায় থাকছে অবিশ্বাস্য ভাবেই। রাহুল অবশ্য কেরালার একটি আসন থেকে জয় লাভ করেছেন।

গুজরাটও আবার বিস্ময়ের সৃষ্টি করলো। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঐ প্রদেশে প্রায় সব কটি আসনে বিপুল ভোটাধিক্যে বিজয়ী হলেও ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস আশাতীত সংখ্যক আসনে বিজয় ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হলেও, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে আজ দেখা যাচ্ছে আবারও ২০১৪ সালের মত চিত্রই। গত বছর ভাবা গিয়েছিল গুজরাটি সহ কয়েকটি বিধান সভার নির্বাচনী ফলাফল কংগ্রেসের অনুকূলে যাওয়ায় তা রীতিমত প্রভাব ফেলবে এবারের লোকসভা নির্বাচনেও। কিন্তু যে ধারণা শেষ পর্যন্ত ভ্রান্ত প্রমাণিত হলো বিজয় আবার অর্জন করলো বিজেপিই।

পশ্চিম বঙ্গে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে প্রায় অস্তিত্বহীন করে ফেলেছে এবারের নির্বাচনী ফলাফল। সেখানেও উত্থান ঘটে গেল বিজেপি’র দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস যে উগ্র বাম-বিরোধিতা করে কয়েকবছর আগে ক্ষমতা দখল করে পশ্চিম বাংলায় দক্ষিণ পন্থীদের উত্থানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন, বিজেপি তার যথার্থ সদ্ব্যবহার করে পশ্চিম বঙ্গে দ্বিতীয় বৃহত্তম দলে পরিণত হতে পেরেছে। আগামী নির্বাচনে যদি পশ্চিম বঙ্গ বিধান সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করে বিপুল সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়ে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি সরকার গঠন করেন, তাতে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। রাজনীতির গতি প্রকৃতি তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গও কি তবে উগ্র হিন্দু সাম্প্রদায়িক দলের খপ্পরে পড়বে? ভারতে দক্ষিণপন্থীদের উত্থান কি এতটাই প্রবল?

এক চরম আত্মঘাতী পথে যাত্রা শুরু করেছে ভারতবর্ষ। তার সকল গর্ব, সকল অহংকার, সকল অর্জন ধূলিসাৎ হতে চলেছে। বিভেদকামী শক্তি ক্ষমতায় এসেছে আবারও। পরিণতি যে মারাত্মক হতে পাওে তেমন আশংকা একেবারেই বাস্তব।

কী আশ্চর্য! ২৩ মে ২৪ মে ফলাফল গণনা ও ঘোষণার আগ পর্যন্ত যখন সমস্ত এক্সিট পোল জানালো মোদিও দল পুনরায় ক্ষমতায় আসছেন তবে তাঁদের আসন সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস পাবে। বি.জি.পি’র আসন সংখ্যা হ্রাস পাবে এ প্রশ্নে কারও দ্বিমত ছিল না। যদিও সবাই মোদি কোন ক্রমে টিকে যেতে পারেন এমনটি ভাবছিলেন সবাই। বুথ ফেরত জরিপে পশ্চিম বাংলায় গেরুয়া বসন ধারীরা তাদের পূর্বেকার দুটি আসনের জায়গায় এবার বড়জোর ১০/১২ টি আসন পেতে পারে এই রূপই ধারণা দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তারা ২২ টি আসনে জিতেছে। এবার কোন রকমে কংগ্রেস দুটি আসন ধরে রাখতে পারলেও বামফ্রন্ট সকলকে হতাশ করেছে একটিও আসন না পেয়ে। বিজেপি’র যেমন ভূমিধ্বস বিজয় অর্জিত হলো তেমনই করুণতম পরাজয় ঘটলো টানা ৩০/৩৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা লালঝাণ্ডার গৌরবমণ্ডিত বামফ্রন্ট। পরিণতিতে পশ্চিমবঙ্গেও মানুষের সেখানকার সমাজে এক গভীর বিপর্যয় যে নেমে আসার আশংকা অনেকেই তা স্বীকার করেন। শুধুই বা পশ্চিমবাংলার মানুষ কেন সমগ্র ভারতের মানুষকেই যে ভুগতে হবে অনেকের ভাবনাতেই তার প্রকাশ ঘটেছে। ফেসবুক একটি পোষ্টে জানা গেল উত্তর প্রদেশের একটি অঞ্চল থেকে আতংকে মুসলিমরা পালাচ্ছেন।

ভারতের নবেল বিজয়ী প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অসত্য সেন এই ফলাফল দেখে এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন যে তা তিনি অত্যন্ত তিক্ত ভাষায় প্রকাশ করেছেন। অমর্ত্য সেন বলেছেন “ভারতের মানুষ বোকা ও মূর্খ তাই তারা বিজেপির মত দলকে বিজয়ী করেছে। স্বনামের খ্যাত আন্তর্জাতিক মর্যাদা সম্পন্ন বেশ কয়েকটি বিদেশী পত্রিকাও, যেমন ওয়াশিংটন পোষ্ট নিউইয়র্ক টাইমস সহ বেশ কয়েকটি বহুল পঠিত সংবাদপত্র“ভারতে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিজয়” ও “ভারতে বিভেদ পন্থী হিন্দুত্ববাদী মোদিও দল বিজয় অর্জন করলো” জাতীয় শিরোনামে খবর প্রকাশ করে তাদের অভিমতের প্রকাশ ঘটিয়েছে।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ পৃথিবীর সকল দেশে সরকার প্রধানরা প্রথা মাফিক রাষ্ট্রীয় শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাকিস্তান ভাবছে, সর্বাগ্রে শুভেচ্ছা জানাই নতুবা যদি আক্রান্ত হই: শ্রীলংকা ও অনুরূপ জঙ্গি ও বিদ্রোহী প্রশিক্ষণের আশংকায় সন্ত্রস্ত। বাংলাদেশ ভাবে পুরাতন ছিটমহল সমস্যার সমাধান যেহেতু সম্ভব হয়েছে তদ্রূপ হয়তো তিস্তা নদীর জল সংকটেরও সমাধান হবে। এ ব্যাপারে বিদ্বজ্জনেরা ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করে বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালে আন্তরিকভাবেই ছিট মহল সমস্যার সমাধান করতে চাইলেও সংবিধান সংশোধনের মত সংখ্যাধিক্য না থাকায় এবং তৎকালীন বি.জে.পি ও সাম্প্রদায়িক গলগুলি তাতে সমর্থন না দেওয়ায় সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব না হওয়াতে কংগ্রেস সরকার তা করতে পারেন নি।

তিস্তা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও কংগ্রেস সরকার যথেষ্ট চেষ্টা করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোঁয়ার্তুমিয় ফলে তা সম্ভব হয় নি। এখন যদি মমতা রাজী হতেন তখন বিজেপি নেতা মোদী কি করেন তার পরীক্ষাটা ভালভাবে করা যেত। তবে গোঁয়ার্তুমিতে ভরা মমতা ব্যানার্জিও এবারকার লোকসভার ফলাফলের পর তিস্তা সমস্যার সমাধান যে আরও দুরূহ হয়ে গেল সে কথাটি মনে রাখা প্রয়োজন। তবে নির্বাচিত প্রতিবেশী দেশের সরকারকে রাষ্ট্রীয় ভাবে অভিনন্দন জানিয়ে পারস্পারিক সম্পর্ক দৃঢ়তর করা এবং আন্ত: রাষ্ট্রীয় বিরোধগুলি মিটিয়ে ফেলার কথা না বলার কোন কারণ নেই। তবে তা সবই সৌজন্যমূলক এ কথাও মনে রাখা প্রয়োজন।

অভিযোগ উঠেছে যে, পশ্চিম বাংলায় বামেরা ‘রামে’ ভোট দিয়েছে বলেই ঐ রাজ্যে বিজেপি এত বড় বিজয় অর্জন করতে পেরেছে। প্রচারটি চালিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকৃত মস্তিষ্কেও মত তিনি এক এক বক্তৃতায় এক এক কথা বলছেন যা অনেক সময় স্ব-বিরোধীও হয়ে পড়ছে। মমতা বলেছেন, তাঁরা রাজ্যে লোকসভার যে ৪২ টি আসনে জোট অনুষ্ঠিত হলো তার ৪২টিতেই তৃণমূল বিজয়ী হবে। কিন্তু কার্যত বিজয়ী হলো তার প্রায় অর্ধেক এবং বিজেপি সেখানে তৃণমূলের প্রায় সমশক্তি সম্পন্ন হয়ে উঠেছে তলে তলে ঘুর্ণাক্ষরেই তিনি তা টের পান নি। দাবীটি যখন মিথ্যা প্রমাণিত হলো তখন “যত দোষ নন্দ ঘোষ” এর মত তিনি বামদের ঘাড়ে দোষটি চাপালেন।

তবে এ কথাও ঠিক যে অনেকে বিশ্বাসও করেন যে বহু বাম কর্মী বিজেপিকে ভোট দিয়েছে পশ্চিম বাংলায়। বামফ্রন্টের পোড় খাওয়া নেতৃত্ব কদাপি এমন সিদ্ধান্ত নেবেন না এ প্রশ্নে আমি নিশ্চিত। তবে এমনটা হতেই পারে যে নেতৃত্বেও নির্দেশ অমান্য কওে কিছু কিছু নির্যাতিত (তৃণমূলের গুণ্ডাদের দ্বারা) কর্মী হয়তো বিজেপিকে ভোট দিয়ে থাকবে। তৃণমূল নেত্রী কট্টর কমিউনিস্ট বা বামফ্রন্ট বিরোধী। সি.পি.এম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কিছু ভুল ভ্রান্তি হয়েছিল।

নন্দীগ্রামে পুলিশদের উপর গুলি চালিয়েছিল যার জন্য মূখ্যৗমন্ত্রী ভুল স্বীকার করে দু:খও প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে পুলিশ প্রচণ্ড বাড়াবাড়ি করেছিল আর সেটাকে পুঁজি করেই মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় এলেন বিপুল শক্তি নিয়ে। এবার তঁর দ্বিতীয় দফা শাসন চলছে (এবং সম্ভবত: এটাই তাঁর শেষ দফা)।

কিন্তু ২০১৯ এর ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভারতবাসী কেন এমন আত্মঘাতী রায় দিলেন তা নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। ভাবতে হবে বামপন্থীরা (যেমন সি.পি.আই., সি.পি.এম প্রভৃতি) এবং উদার অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যবাহী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে সেখানকার জনগণ কেন এমন করুণভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন।

এ বিষয়য়ে ভাববেন ভারতের জনগণই বিশেষ করে ভারতের ক্ষতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। আমার দৃষ্টিতে এই দু’টি শক্তির পরাজয়ের কারণগুলি নিম্নরূপ:

এক. কংগ্রেসের উপর ঐতিহাসিক দায়িত্ব বর্তেছিল তাদের জনপ্রিয়তা এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা ভারতে কত নীচে নেমে গেছে সেটা গভীর ভাবে উপলব্ধি করার। সঙ্গে সঙ্গে কথাও বুঝা উচিত ছিল ভারতের সমাজদেহে ধীরে ধীরে কি পরিমাণহীন সাম্প্রদায়িকতা স্থান করে নিয়েছে। এই বিষয় দুটি গভীর ভাবে পর্যালোচনা করে ভারতের সকল অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে একটি মোর্চায় সংগঠিত করে সবগুলি কেন্দ্রে “কমন” প্রার্থী দাঁড় করিয়ে সম্মিলিতভাবে লড়াই করা;

দুই. এ ব্যাপারে অপর সকল অসাম্প্রদায়িক দল, বিশেষ করে সকল বামপন্থী শক্তিরও উচিত ছিল একই উদ্দেশ্যে সময় থাকতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।

তিন. বামফ্রন্টের শ্লোগান ছিলো, “মোদি হঠাও, ভারত বাঁচাও” মমতা হঠাও, বাংলা বাঁচাও”। শ্রুতিমধুর যতই হোক, বাস্তব কথাটা হলো লোকসভার নির্বাচন দিয়ে তো মমতাকে হঠানো সম্ভব না। মোদিকে হটানোই প্রধান কাজ কারণ প্রগতিশীল ভারত গড়ার ক্ষেত্রে প্রধান শত্রুই হলো আর.এম.এস., জজরং দল প্রভৃতি উগ্র হিন্দু জঙ্গিবাদী সমর্থিত বি.জে.পি. এবং তার পাহারাদার নরেন্দ্র মোদি। তার জন্যে ঘনিষ্ঠতম মিত্র কংগ্রেসের সাথে যে কোন মূল্যে ঐক্য গড়ে তুলে আরও সকল অসাম্প্রদায়িক আঞ্চলিক দলগুলিকে ন্যূনতম কর্মসূচীর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রবৃত্ত হওয়া।

চার. পদলোভী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া স্বপ্নে বিভোর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে রাজী হতেন না হয়তো কিন্তু সামগ্রিক ভাবে অনেক লাভ হতো। স্মরণে রাখা দরকার প্রত্যক্ষভাবে মুসলিমদের পুড়িয়ে হত্যা করা এক বিজেপি নেতাকে গুজরাট থেকে জিতিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এটাও লক্ষণীয় যে লোকসভা নির্বাচনে সর্বমোট ২৭ জন মুসলিম প্রার্থী বিজয়ী হলেও, বি.জে.পি এ থেকে কিন্তু একজন মুসলিম প্রার্থীকেও তারা বিজয়ী করে আনে নি।

পাঁচ. বিজেপি বা এন ডি এ জোটের নরেন্দ্র মোদিও বিকল্প প্রধান মন্ত্রী হিসেবে কাউকে ভারতবাসীর সামনে তুলে ধরতে ভারতরে বিরোধী দলগুলির শোচনীয় ব্যর্থতা।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ