আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

কাশ্মির খাঁচাবন্দি

রণেশ মৈত্র  

কাশ্মির পরিস্থিতি আজ বিশ্ববাসীকে ভাবিত করে তুলেছে। পরিস্থিতি নিয়ে এই দুর্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে ভারতের বিজিপি নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদী কর্তৃক আকস্মিকভাবে একজন সামরিক শাসকের কায়দায় ৭০ বছরের একটি আইন বাতিল করে দেওয়ায়। ভারতের পার্লামেন্ট, লোকসভা এবং তার উচ্চকক্ষ উভয়ক্ষেত্রেই বি জে পি এখন যথেষ্ট সংখ্যক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মন্ত্রিত্ব করছে। তাই সংবিধানের কোন ধারা উপধারা বাতিল বা অন্য যে কোন ধরণের সংশোধনী ভারতের হালের ঐ শাসকদের জন্য আদৌ কঠিন কিছু নয়।

সেই সুযোটিই নিয়েছেন মোদি। প্রকাশ করেছেন তাঁর আজন্ম লালিত উগ্র সাম্প্রদায়িকতা যা মারাত্মকভাবে মুসলিম বিরোধিতারূপে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করলো কাশ্মির সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে। ঐ দুটি ধারা অতীতের কংগ্রেস সরকার পন্ডিত জওহর লাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে আজ থেকে দীর্ঘ ৭০ বছর আগে কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা দিয়েছিলেন। এক কলমের খোঁচায় তা বাতিল করে দেওয়া হল মাত্র সপ্তাহ দু’য়েক আগে।

ধারা দুটি বাতিলের ৩/৪ দিন আগে থেকেই কোন প্রকার ঘোষণা না দিয়ে হাজার হাজার সৈন্য ট্যাংক ও অপরাপর মারণাস্ত্রে সজ্জিত করে ছোট্ট ঐ পাহাড়ি রাজ্যটিতে পাঠানো হয় যেন ভারত সরকার কাশ্মির বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন কোন অনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিয়েই।

বিশ্ববাসীর উদ্বেগের কারণ ঐ মুহূর্ত থেকেই শুরু যার সহসা নিরসনের কোন সহজ সংক্ষিপ্ত পথ দেখা যাচ্ছে না।

১৫ আগস্ট বাংলাদেশে জাতীয় শোক দিবস। ঐ দিন ভারতের স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসে প্রতিবছরই অপরাপর দেশের মত, অনেক অনুষ্ঠানাদির আয়োজন হয়ে থাকে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে।

কিন্তু সকল কর্মসূচীর মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল দিল্লীর লালকেল্লায় সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রীর সালাম গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। ঐ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সাধারণত তাঁর আমলের সাফল্য ও ভবিষ্যতের কর্মসূচী সম্পর্কে আলোকপাত করে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি।

আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলিও এবারের ১৫ আগস্টে প্রদত্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বেশ গুরুত্বসহকারেই তবে সংক্ষিপ্ত আকারে, প্রকাশ করেছে। ঐ ভাষণের অংশ বিশেষ নীচে তুলে দিচ্ছি ভারতের সরকারের কাশ্মির সম্পর্কে সর্বশেষ বক্তব্য পুনরায় আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকার কাছে তুলে ধরার জন্যে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “কাশ্মিরের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে। এটি তার সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার দশ সপ্তাহের অর্থাৎ মাত্র ৭০ দিনের মধ্যেই তিনি কাশ্মিরের  ৭০ বছর ব্যাপী বিরাজিত ‘সমস্যার’ সমাধান করেছেন। তাঁর মত কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে তাঁর সমগ্র ভারতবাসীর এবং সকল অঞ্চলের জন্য (কাশ্মিরসহ) সমানাধিকার পুনরুদ্ধার করেছেন।”

তাঁর দীর্ঘ ৯২ মিনিট ব্যাপী প্রদত্ত দীর্ঘ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও দাবী করেন, ভারত শাসিত কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত কাশ্মিরের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনবে। একই  সঙ্গে ভারতের উন্নয়নে কাশ্মির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “এক দেশ, এক জাতি এখন বাস্তব, এর জন্য গর্বিত ভারত।”

তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মির থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার এবং তাকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করার মধ্য দিয়ে সাবেক (চরম দক্ষিণপন্থী) কংগ্রেস নেতা সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কাশ্মিরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা কাশ্মিরে শুধু দুর্নীতিকেই অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

কিন্তু কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল পরবর্তী কাশ্মিরের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বা কাশ্মিরবাসী ঐ সিদ্ধান্তকে কতটা সমর্থন জানিয়েছে বা বিরোধিতা করেছে এসব বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি তাঁর দীর্ঘ ভাষণে একটি শব্দও উচ্চারণ করেন নি।

তিনি তাঁর ভাষণে ‘নতুন ভারত’ গড়ার কথা বলতে গিয়ে প্রথমবারের মত বলেছেন “জনসংখ্যা বৃদ্ধি” নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি যে সব দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে, তারাই প্রকৃত দেশ প্রেমিক এবং সম্মানীয়।

খোদ কাশ্মিরেও কড়া পাহারার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি কর্তৃক আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কাশ্মিরী আঞ্চলিক শিল্পীদের নাচ ও গান পরিবেশনে রাজী না হওয়ায় বাহির থেকে অনুষ্ঠান করা হলেও আদৌ সেখানে কাশ্মিরীরা দর্শক যোগ না দেওয়ায় অনুষ্ঠানের পুরো মাঠ ছিল ফাঁকা এক কোনে মাত্র ৩০/৪০ জন পুলিশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়-ফেসবুকে তার ছবি প্রকাশিত হতে দেখেছি।

এবার কাশ্মীরিদের প্রতিক্রিয়া এবং আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে দিল্লী ফিরে এসে যা জানিয়েছেন তার উদ্ধৃতি তুলে ধরছি। ‘সংবাদ’ এর ১৬ আগস্ট সংখ্যার তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রতি তিন কলামব্যাপী “কাশ্মির পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানালেন সমাজকর্মীরা” শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়- “কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা দুটি প্রত্যাহার করে নেয়ায় স্থানীয় মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। পাঁচ দিন ধরে কাশ্মিরের নানা প্রান্ত ঘুরে সেই ক্ষোভের আভাস পেয়েছেন ভারতের কয়েকজন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মী। এমন কি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার পরিস্থিতি নেই সেখানে। সেই ক্ষোভ যাতে প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্যে একদিকে রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা, অপরদিকে চলছে সংবাদ মাধ্যমের উপর অঘোষিত নিয়ন্ত্রণ।

কাশ্মির থেকে ফিরে এসে ১৪ আগস্ট বুধবার দিল্লীতে সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন ওই রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের কর্মীরা। পাঁচ দিনের সফর শেষে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে তারা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন তার নাম দেওয়া হয়েছে “কাশ্মির খাঁচাবন্দি” (Kashmir caged) তাঁরা কাশ্মিরের রাজধানী স্ত্রীনগরসহ অঞ্চলটির নানা প্রান্ত ঘুরে, সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে এমন সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, ৩৭০ ধারা বিলোপ করার ক্ষেত্রে যেভাবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তা নিয়ে একটা ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে কাশ্মীরিদের মধ্যে । কিন্তু সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশ করার কোন সুযোগ নেই।

ওই দলের সদস্য অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রঁজ বলেছেন, ‘শ্রীনগর হোক বা তার বাইরে কোন স্থান-মানুষ সব জায়গাতেই ক্ষুব্ধ। তাঁরা বলেছেন, যেন একটি জেলখানায় তাঁদের রেখে দেওয়া হয়েছে। খুব বেশী প্রতিবাদ করতে পারছেন না মানুষ। সরকার নিষেধাজ্ঞা একটু নিষেধাজ্ঞা একটু শিথিল করলেই মানুষ প্রতিবাদ জানাতে বেরিয়ে পড়ছেন, তৎক্ষণাৎ আবার নিষেধাজ্ঞা বলবত করা হচ্ছে।

আর সৌরার মত যেখানেই কিছুটা প্রতিবাদ হয়েছে, সেখানেই ছররা গুলি চালাচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে ছররা গুলিতে আহত বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসারত অবস্থায় থাকতে তাঁরা দেখেছেন বলে জানান জঁ দ্রঁজ।ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রায় ৬০০ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে আটকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও শহরে বা গ্রামে যেখানেই তাঁরা গেছেন, সেখানেই দেখেছেন তরুণ বা যুবক, এমন কি স্কুল শিক্ষার্থীদেরকেও আটকে রাখা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী মাঝরাতেও বাড়ীতে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে আটক করছে। এক বৃদ্ধকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই রাস্তায় যেতে দিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে অনুরোধ করায় তাঁর দিকে ছররা গুলি ছোঁড়া হয়েছে।

প্রতিনিধি দলটির অপর সদস্য, সারা ভারত মহিলা সমিতির নেত্রী মইসুনা মোল্লা জানান, “মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলির সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নেতাদের তো আটক করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় প্রতিটা গ্রাম থেকেই অনেক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ সংগঠিত করার দক্ষতা আছে, এমন ব্যক্তিদেরকেই আটক করা হয়েছে। কত মানুষ যে কারাগারে আছেন তা কেউ জানেন না।

এদিকে অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রঁজ আরও জানা, “সেখানে সংবাদ মাধ্যমের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। কাস্মীরী সংবাদ মাধ্যম তো কোন কাজই করতে পারছে না। ইন্টারনেট বন্ধ রাস্তায় যানবাহনও তেমন চলাচল করছে না কারফিউ প্রভৃতি নিষেধাজ্ঞার ফলে তাই তাদের খবর সংগ্রহ করারও কোন উপায় নেই। একটা দুটো খবরের কাগজ হয়তো কোনভাবে বেরুচ্ছে। কখনও দু’পাতা-কখনও চার পাতার কাগজ হয়তো কোনভাবে বেরোচ্ছে। তাও আবার সেই কাগজ বিক্রি করার কোন সুযোগ বিশেষ নেই। তাদের (সংবাদপত্র বিক্রেতাদের) উপরও খবরদারী চলছে।

আর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের হাতেগোনা কয়েকজন সাংবাদিক আছেন যারা সত্যিকারের চিত্রটা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলি অনেকটা প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে পারছেন বলে মন্তব্য করেন দ্রঁজ।

ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেশীরভাগ ভারতীয় সাংবাদিকই শ্রীনগরের যে অংশ থেকে কাজ চালাচ্ছেন, সেখানে মাঝে মাঝে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না তা নয়। কিন্তু সেটাকেই কাশ্মিরের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে যে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে তা বহুলাংশে অসত্য।

কাশ্মিরের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বাংলাদেশের মানুষও তা জানতে পারছেন না। দেখা যাচ্ছে রয়টার্স বা এএফপি জাতীয় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও খবর সংগ্রহ ও পরিবেশন করতে পারছে না। ভারতের বর্তমান “গণতান্ত্রিক” সরকারের অসাধারণ গণতান্ত্রিক আচরণের জন্যেই যে তা সম্ভব হচ্ছে না তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এই কঠোরতা যে একদিন ঐ ‘গণতান্ত্রিক’ সরকারের গলার কাঁটা হিসেবে দেখা দেবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিস্ফোরণ যেদিন ঘটবে কোন নিষেধাজ্ঞা দিয়েই তা আর থামানো সম্ভব হবে না।

মাঝখান থেকে বিজেপি সরকারের এহেন কার্যকলাপ কাশ্মির, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ সহ গোটা উপমহাদেশ জুড়ে যে এক সাম্প্রদায়িক আবহ রচনা করেছে তাও সকল দেশের গণতন্ত্রের জন্যেই বিপদজনক হতে পারে। সর্বত্র উগ্র জঙ্গিবাদের উত্থানের আশংকাও পুরোপুরি বাতিল করা যায় না।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ