আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

রোহিঙ্গারা যাবে কেন?

জুয়েল রাজ  

রোহিঙ্গা মহাসমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমবেত হয়েছিল, সেটা দেখে অনেকেই শিউরে উঠেছেন। যারা ২০১৭ সালের আগস্টে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে গালিগালাজ করছিলেন, ইসলামের শত্রু হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন তারাই এখন আবার রোহিঙ্গাদের গালিগালাজ শুরু করেছেন, স্লোগান তুলছেন "হঠাও রোহিঙ্গা বাঁচাও দেশ"। রোহিঙ্গাদের হঠানো কি আদৌ সম্ভব? হিসাবটি খুব কঠিন, বাংলাদেশ চাইলেই এখন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারবে না। সব চেয়ে বড় কথা রোহিঙ্গারা নিজেরাই ফিরে যাবে না।

২০১৭ সাল বাণের পানির চেয়েও দ্রুত আসছিল রোহিঙ্গারা। সীমান্ত খুলে দিলো বাংলাদেশ। জয়জয়কার শুরু হলো চারদিকে। হাতে গোনা কিছু মানুষ নানাভাবে গাইগুই করছিলাম। কাজটি কোনভাবেই ঠিক হচ্ছে না। কারণ প্রত্যেক জাতির নিজস্ব একটা ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইতিহাস থাকে, আরকান বা রোহিঙ্গাদের ইতিহাস ভাল কিছু নয়। রোহিঙ্গারা জাতিগত ভাবেই দেশদ্রোহী ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সবসময়ই বিরোধী ভূমিকায় ছিল বলে জানা যায়।

সেই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে জায়গা দিতে যখন ধর্মের দোহাই উঠে তখন ধর্মের ভয়ে চুপ থাকতে হয়েছে। কারণ দেশের চেয়ে, মানবতার চেয়ে, ধর্ম বড়! কাউকেই বুঝাতে পারিনি রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে বাংলাদেশে আসে নাই। নির্যাতন নিপীড়নে ইতিহাসে বহু দেশ, জাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের মতো এইভাবে পালিয়ে আসে নাই। কারণ সরকার বিরোধী শক্তি বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত, আওয়ামী লীগ সমর্থক গড়ে বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ, রোহিঙ্গা প্রেমে এতোই অন্ধ হয়েছিলেন যে সম্ভব হলে রোহিঙ্গাদের বিবি বানিয়ে তখনই ঘরে তোলার অবস্থা! অনেকেই নাকি সেখানে বিয়ে করার জন্যও সেসময় লাইন ধরেছিলেন। সরকার শুরুতে রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে কূটনৈতিক উত্তর দিলেও, বলা যায় শেখ হাসিনা এক প্রকার বাধ্য হয়েই পরবর্তীতে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন।

সরকারি হিসাবমতে ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আছে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে, যারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এবং দুর্যোগময় মুহূর্তে বাংলাদেশ তাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। যদিও বাংলাদেশে সর্বমোট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৫ থেকে ১৬ লাখ। আর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মাত্র ৫৫ হাজারের তালিকা প্রেরণ করেছে মিয়ানমার সরকারকে। যদিও একজন রোহিঙ্গাও ফিরে যেতে রাজী হয় নাই। এই বিলাসী জীবন ছেড়ে কেন যাবে? ভূতে না কিলালে কোন রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরবে না।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে ছিলেন তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা যারা জানেন তারা বুঝতে পারবেন শরণার্থীদের কষ্ট। কত মানুষ খেতে না পেরে, অসুখে, মহামারীতে মারা গেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এর কোনটাই ঘটে নাই। সরকার বাড়িঘর তৈরি করে দিয়েছে, রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে। ৭১ সালে ভারতের শরণার্থী শিবিরে আমাদের পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। যাদের সবার বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের ভিতর ছিল। কোনধরনের ধর্মীয় সংস্কার ছাড়া ভারতের বালাট ক্যাম্পের বালিতে তাদের লাশ ঢেকে দেয়া হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই আমাদের পরিবার ক্যাম্প ছেড়ে বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন। কারণ যাদের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসেছিলেন সেই শিশুরাই যদি না বাঁচে তাহলে দেশের মাটিতে মরাই ভাল। কিন্তু রোহিঙ্গা শিবিরে সেই মৃত্যু আতংক নেই। তাই দুই বছরে লক্ষাধিক শিশু জন্ম নিয়েছে সেখানে।

কাশ্মিরে যুগের পর যুগ নির্যাতন নিপীড়ন চলছে। ফিলিস্তিন, এতো নির্যাতন নিপীড়নে কি মাটি ছেড়েছে? বেলুচিস্তান কিংবা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের চিত্র প্রায় একই। অনেকে আবার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার সাথে মিয়ানমার বাহিনীর নির্মমতাকে তুলনা করেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে, সাড়ে সাত কোটি মানুষের কয় কোটি ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল? মাত্র এক কোটি। বাকি সাড়ে ছয় কোটি বাংলাদেশের ভিতরেই ছিল। কিন্তু রোহিঙ্গারা সদলবলে চলে এসেছে। এমন কোন হীনকর্ম নেই যার সাথে তারা জড়িত নয়। ইয়াবা পাচার, মানব পাচার, যৌন ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি সব কিছুর সাথে জড়িত। পাশাপাশি দাতা সংস্থার নামে ত্রাণ সহায়তা আরও অলস করে দিয়েছে রোহিঙ্গাদের। কথা হচ্ছে তাদের জন্মহার নিয়ে সেটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। যেখানে অশিক্ষা, ধর্মের জুজু আছে সেখানে জন্মহার রোধ করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে তাদের দোষারোপ করে লাভ নেই। বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত শ্রেণির মধ্যেও এই প্রবণতা বিদ্যমান।

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে দীর্ঘদিনে। মিয়ানমারের থেকেও আগে বাংলাদেশের মানুষকে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন গণহত্যার ও নির্যাতনের ছবিকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ছবি হিসাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের দ্বারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে সহমর্মিতা তৈরি করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্যাপকভাবে সেটা শুরু হয়েছিল। জামায়াতে ইসলামির সাথে মিয়ানমারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সেখানে সাহায্য সহায়তার নামে জামায়াত ইসলামি মাদ্রাসা-মক্তব তৈরি করে রোহিঙ্গাদের মাঝে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে। এবং বাংলাদেশে তাদের নাগরিকত্ব ও নানা সুযোগ সুবিধার স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের বাংলাদেশে আসার জন্য তৈরি করেছে। সেখানে মিয়ানমারের নির্যাতন বিষয়টি আরও সহজ করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের কাছে লন্ডনের মতো অবস্থা। একসময় লন্ডনে অভিবাসী ও তাদের নাগরিকদের সরকারি সুযোগ সুবিধা এতো বেশি ছিল যে মানুষ টাকা থাকলে ও নিজের বাড়ি কিনতো না। সরকারি বাড়িতে থাকে। অভিবাসীরা এই সুযোগটা নিয়েছে সবচেয়ে বেশি। চাইল্ড বেনিফিটের আশায় ৮-১০টা সন্তান জন্ম দিতেন। দিনদিন ব্রিটেনের সরকার যদিও সেই সব সীমিত করে নিয়ে আসতেছে। বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাদের কাছে এখন লন্ডন।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই তৈয়বা সহ ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী মাদ্রাসা-মক্তবের নামে, ওয়াজ-বয়ানের নামে সেখানে রোহিঙ্গাদের মাঝে উগ্রবাদের দীক্ষা দিচ্ছে। মূলত শরণার্থী শিবিরকে ঢাল করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ধর্মীয় উগ্রবাদের চাষ চলছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা আগামী ১০ বছর যদি চলমান থাকে, বাংলাদেশ যে উচ্চতায় পৌঁছাবে সেটি অনেক বৃহৎ শক্তির পছন্দনীয় নয়। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এই ১৫ লাখ শরণার্থীকে কোনভাবেই দীর্ঘদিন শিবিরে ধরে রাখা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করবে এরা। সবচেয়ে বড় কথা রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক গিনিপিগ হয়ে গেছে। ভারত চীন পাকিস্তানের ভূ-রাজনীতি সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা খুব ভালভাবেই বিষয়টা বুঝতে পারবেন। সংক্ষেপে বললে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মূল চালিকাশক্তি হলো চীন। মিয়ানমারে বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আছে চীনের। চীন আজকে বললে কালকেই মিয়ানমার সীমান্ত খুলে দিবে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য। এই প্রসঙ্গে খুব সীমিত আকারে ব্যাখ্যা করা কঠিন।

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হঠাৎ করে এতো শক্তিশালী হয়ে উঠলো কিভাবে? ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া নিশ্চয় আমেরিকা যাওয়া সম্ভব নয়, কোন দেশী পাসপোর্ট নিয়ে সে আমেরিকা গিয়েছিল? মুহিবুল্লাহকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাত দেখে কেউ প্রশ্ন তুলেননি। শরণার্থী হয়ে কার সাহায্যে, কিভাবে সে আমেরিকা পৌঁছালো। সবাই ব্যস্ত হয়ে গেলেন প্রিয়া সাহা নিয়ে। প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের জন্য বিপদজনক নয়। যতোটা বিপদজনক রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারে জনসভা তো দূর কি বাত, কোন প্রতিবাদ রোহিঙ্গারা করেছে বলে জানা নেই।

মুহিবুল্লাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে দ্রুত। ১৩৪টা এনজিও ক্যাম্পগুলোতে কাজ করছে, এদের মনিটরিং নয় সরাসরি মাঠ পর্যায়ে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। রোহিঙ্গা ছাড়া বহিরাগতদের ক্যাম্পগুলোতে বসবাসের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে সরকার এবং সরকারের বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। তাদের মহাসমাবেশ সেই অশনি সংকেত দিয়ে গেল। সুখের নিড় ছেড়ে রোহিঙ্গারা আপাতত মিয়ানমারে ফিরছে না এটা প্রায় নিশ্চিত। ইতোমধ্যে পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় বাঙালিদের হুমকি, খুন, লুট সবই করছে রোহিঙ্গারা। তাই দ্রুত লাগাম না টানলে অনেক হিসাব চুকাতে হতে পারে বাংলাদেশকে।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ