আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫

Advertise

ভারতের পশ্চাৎমুখী যাত্রা

রণেশ মৈত্র  

সমগ্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ তার বিশাল গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য বিসর্জন দিয়ে নিশ্চিতই পশ্চাৎ মুখী যাত্রা শুরু করেছে। বিরোধী দল সমূহের তীব্র বিরোধিতাকে অগ্রাহ্য করে ভারতের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে বিজেপি নেতৃত্বাধীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক বিল পাস করে ভারতের নাগরিকত্ব আইনটি অনুমোদন করায় সমগ্র বিশ্ব আজ হতভম্ব-ভারতের কোটি কোটি সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মানুষ বিক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদ মুখর।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ এতটাই সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা, সান্ধ্য আইন, সেনা টহল প্রভৃতিকে অমান্য করে আসামের গুয়াহাটি নগরীতে মিছিলে মিছিলে রাজপথ প্রকম্পিত করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে অকাতরে প্রাণ দিচ্ছে। এই নিবন্ধ লেখার সময় পর্যন্ত (১৩ ডিসেম্বরের দুপুর) পাঁচজন নিহত হয়েছেন-আরও অনেক প্রতিবাদকারী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবুও আন্দোলন থেমে থাকে নি। সেখানকার মানুষ দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত নিবর্তনমূলক পদক্ষেপগুলিকে থোড়াই পরোয়া করছেন।

পশ্চিম বাংলা সহ ভারতের সকল অঞ্চলের জন নন্দিত বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, কবি, শিল্পী, রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্ত গুণীজনের অবিলম্বে এন.আর.সি. নামক ঘৃণিত সাম্প্রদায়িক আইনকে অবিলম্বে বাতিল বা প্রত্যাহারে করে নিয়ে ভারতের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে, অমলিন রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন। এই যুক্ত বিবৃতির প্রভাব সমগ্র ভারতের মানুষকে বিষাক্ত ঐ আইনটির বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে বলে জানা গেছে।

এখানে স্মর্তব্য যে ভারতের সংবিধানে যে তিনটি মৌলিক নীতিকে বিগত শতকের মাঝামাঝিতে বিপুল ভোটাধিক্যে গৃহীত অনুমোদিত হয়েছিল সেগুলি হলো গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। বি.জে.পি এই দশকের শুরুতে গণতান্ত্রিক পন্থায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্রমান্বয়ে ভারতীয় সংবিধানের তিনটি মৌলিক স্তম্ভকেই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে লোকসভায় বিপুল সংখ্যাধিক্যের জোরে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতে পারলেই নৈতিক ও আদর্শিকভাবে ভারতের সকল ঐতিহ্য ও গৌরবকেই ম্লান করে দিতে বসেছে।

ভারতের উগ্র দক্ষিণপন্থী দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক জোট ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক এলায়েন্স (এনডিএ) প্রথম দফায় ক্ষমতাসীন হওয়ার পর পরই ভারত জুড়ে সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপ শুরু করেছিল। ভুলে যাওয়া অসম্ভব যে তখন তারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভারতের নাগরিক মুসলমান, খৃষ্টানসহ নানা অ-হিন্দু ধর্মীয় নাগরিককে স্ব স্ব ধর্ম বাধ্যতামূলকভাবে পরিত্যাগ করিয়ে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করতে শুরু করেছিল। এর দ্বারা তারা ভারতের সংবিধানে স্পষ্টাক্ষরে লিখিত দেশের নাগরিকদের নিজ নিজ বিশাল অনুযায়ী ধর্ম পালনের বা না পালনের যে মৌলিক অধিকারে স্বীকৃতির উল্লেখ আছে তার লঙ্ঘন করতে শুরু করেছিল অত্যন্ত নগ্নভাবে। ভারত জুড়ে এর প্রতিবাদ ও উঠেছিল প্রতিবাদ ধ্বনি হয়েছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটকে ঐ কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল।

তবে তারা তাদের ঐ ঘৃণ্য কাজের সাফাই গাইতে গিয়ে বলেছিল সুদূর অতীতে ভারত বর্ষের সকল নাগরিকই ছিল হিন্দুধর্মের বিশ্বাসী। কিন্তু কালক্রমে নানা দেশ থেকে এসে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে অথবা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে তাদের একটি অংশকে ধর্মান্তরিত করে মুসলমান বা খৃষ্টান বা অন্যান্য ধর্মের দীক্ষিত করেছিল। সে কারণেই তারা আসলে কেউই মুসলমান বা খৃষ্টান বা বৌদ্ধ নয়-সকলেই হিন্দু। তাই তাদের হিন্দুত্বে পুনরায় দীক্ষিত করে সকলকে মূল ধর্মে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু বি.জে.পি নেতৃত্বাধীন জোট ঐ প্রকল্প থেকে সরে আসতে বাধ্য হলেও পরবর্তীতে শুরু করে গো-হত্যা, গো-মাংস ভক্ষণ বিরোধী উগ্র ধর্মান্ধ কর্মসূচি। উত্তর ও মধ্য ভারতের নানা অঞ্চলে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করা হয় কিন্তু ভারতের বেলার ভাগ রাজ্যে আজও তা নিষিদ্ধ হয় নি। কিন্তু গো-মাংস ভক্ষণ কোথাও নিষিদ্ধ নয়-শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গোমাংসকে নিষিদ্ধ বিবেচনায় তা ভক্ষণে বিরত থাকেন। কিন্তু অপর ধর্মাবলম্বী যেমন মুসলমান, খৃষ্টান প্রভৃতি গোমাংস খেয়ে থাকেন। মুসলমানরা ঈদে গরু কোরবানিও দিয়ে থাকেন।

এ সকলকে উপেক্ষা করে ভারতের বি জে পির মাস্তানেরা গো-হত্যা, গোমাংস ভক্ষণ ও গো-মাংস সংরক্ষণ বা বহনের অজুহাত তুলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা করতে, আহত করতে, আক্রমণ করতে শুরু করে। এ নিয়ে সারা ভারতে তখন মুসলিম অধিবাসীদের মনে গভীর আতংক ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েক মাস চলার পর কঠোর সমালোচনার প্রেক্ষিতে বিজেপির মাস্তানেরা এই কার্যকলাপ থেকে বিরত হয়। এগুলি সবই হয় বিজেপি প্রথম দফায় দিল্লির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরে।

সম্প্রতি দ্বিতীয় দফা নির্বাচন হয়ে গেল ভারতের লোকসভার। এবারেও তারা দেশব্যাপী মুসলিমদের নাগরিকত্ব হরণ (এন.আর.সি), রাম মন্দির নির্মাণ সহ হিন্দুদেরকে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে ভোটে নির্বাচিত হয়।

এই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হয়ে বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মিরে হঠাৎ করে প্রথম তারা দশ হাজার সৈন্য আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় পাঠায় যেন তারা কাশ্মির জয় করতে বসেছে। হিমালয়ের কোলে অবহিত কাশ্মির ভূ-শ্বাস হিসেবে বিশ্বব্যাপী খ্যাত। কাশ্মিরের জনস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অসংখ্য পার্ক, বিদেশি পর্যটকদের জন্যে নির্মিত হোটেল রেস্তোরাঁ, রাস্তাঘাট, যান বাহন, পাহাড়ি বাতাস সব মিলে কাশ্মির স্বর্গতুল্য স্থানই ছিল বটে।

তবে ১৯৪৭ সালে যখন সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে দ্বিখণ্ডিত করে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি পৃথক রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটলো তখন কাশ্মির সহ কয়েকটি অঞ্চল ভারত না পাকিস্তানের অংশীভূত হবে তার মীমাংসা অসম্পূর্ণ রেখে ইংরেজরা বলে যায়।

কাশ্মির বরাবরই মুসলিম প্রধান। কিন্তু সেখানকার রাজা ছিলেন হিন্দু। দেশ বিভাগের মধ্য দিয়ে সমগ্র ভারতে ও পাকিস্তান উগ্র সাম্প্রদায়িক আবহ রচিত হয়েছিল তার ফলে ইংরেজরা বলে যাওয়ার পরও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শুরু থেকেই শত্রুতামূলক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা উভয় দেশের মধ্যে সময় সময় সৃষ্টি হয় তার পরিণতিতে যুদ্ধ ও সামরিক সংঘাতও লেগেই থাকতো।

কাশ্মিরের রাজা কাশ্মিরী জনগণের কোন মতামত না নিয়েই ভারতে যোগদানের কথা ঘোষণা করার প্রেক্ষিতে নতুন করে পাকিস্তান যুদ্ধ ঘোষণা করে। ভারত তার সামরিক শক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করে। কিন্তু এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের একটি অংশ পাকিস্তান দখল করে নেয়। আজও সে অংশ পাকিস্তানের দখলে আছে।

কাশ্মিরী জনগণ রাজার ভারতে যোগদান ভাল চোখে দেখে নি। এর সুযোগ নিতে পাকিস্তান সর্বদাই যুদ্ধ উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এরই পরিণতিতে পণ্ডিত জওয়াহের লাল নেহেরুর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কংগ্রেস সরকার ৩৭০ ধারা জারি করে কাশ্মির বাসীকে কতকগুলি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন। এতে কাশ্মির বাসীরা সন্তুষ্ট হন। সেখানে অনুষ্ঠিত দফায় দফায় নির্বাচনে কংগ্রেস সমর্থিত সরকারও গঠিত হয়ে আসছিল। এই বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভারতের জনগণের মধ্যেকার সাম্প্রদায়িক অংশ মেনে নিতে পারে নি। তাই ৩৭০ ধারা জারির দীর্ঘ ৭০ বছর পরে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ঐ ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মিরকে সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় নিয়ে আসে।

সম্ভাব্য বিরোধিতার আশংকায় নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহ নেতৃত্বাধীন সরকার ৩৭০ ও ৩৫(ক) ধারা বাতিলের আগেই হাজার হাজার ভারতীয় সেনা পাঠায়, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে, সংবাদ সংগ্রহ, পাঠানো, সংবাদপত্র প্রকাশ প্রভৃতি অসম্ভব করে তোলার লক্ষ্যে এবং কাশ্মির বাসীদের পরস্পরের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করার লক্ষ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বিদেশি সাংবাদিকদের কাশ্মিরের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয় এমন কি ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রবেশও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

অত:পর যখন ধারা দুটি বাতিল ঘোষণা করা হয় তখন কারফিউ জারি করেও কাশ্মিরবাসীদের বিদ্রোহ প্রতিরোধ করা যায় নি। হাজারে হাজারে গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকে।

এভাবে কাশ্মির সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে কয়েক মাস। অত:পর ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহৃত হতে থাকে কিন্তু পরিস্থিতি আজও স্বাভাবিক হয় নি।

কাশ্মিরের এই পরিস্থিতি সৃষ্টির যে সাম্প্রদায়িক, বিশ্ববাসীর তা বুঝতে আদৌ বিলম্ব হয় নি। এখন কাশ্মিরের বাইরে থেকে কাশ্মিরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানদেরকে কাশ্মিরে পাঠানো হচ্ছে জমি জমা কিনে বাড়িঘর নির্মাণ, ব্যবসায়-বাণিজ্যে বিনিয়োগ প্রভৃতি করার লক্ষ্যে। এগুলি এতকাল কাশ্মিরীরাই নিয়ন্ত্রণ করতো। পরিণতিতে নিশ্চিতভাবেই অভ্যন্তরীণ সংঘাতের সৃষ্টি, জঙ্গিবাদের উত্থান এবং পাকিস্তানের পক্ষে নতুন করে সুযোগ সৃষ্টি। ভারত জুড়ে কাশ্মির বিদ্বেষও সৃষ্টি করা হয়েছে। কাশ্মিরের বাইরে কাশ্মিরীদের সন্তানদের লেখা পড়া, চলাফেরার ক্ষেত্রে চরম নিরাপত্তার সৃষ্টি হয়েছে। এমন কি, কয়েক মাস কাশ্মিরের বাইরে থাকা কাশ্মিরীদের সন্তানদের সাথে কাশ্মিরীদের টেলিফোন সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। এক কথায় কাশ্মিরকে এক ভীতির রাজ্য এবং কাশ্মিরীদেরকে সকল প্রকার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।

ইদানীং নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের মাধ্যমে ভারতের যে কোন অংশে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় কারণে নিগৃহীত হয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অমুসলিমদের অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টানিদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে যে সাম্প্রদায়িক আইন করা হয়েছে ভারত জুড়েই তার বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে শহরে-নগরে বিক্ষোভ-বিদ্রোহ সংঘটিত হচ্ছে ভারতের নানা স্থানে ১৪৪ ধারা ও সান্ধ্য আইন জারি হচ্ছে।

মার্কিন কংগ্রেস থেকে অমিত শাহকে সে দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণার হুমকি দিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক বিভাজন মূলক আইন পাশের প্রতিবাদে জাপানের প্রধান মন্ত্রীর পূর্বনির্ধারিত ভারত সফর স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের দু’জন মন্ত্রীও তাঁদের পূর্ব নির্ধারিত ভারত সফর অকস্মাৎ স্থগিত ঘোষণা করেছেন তবে কেন তাঁরা স্থগিত করলেন তা জনসমক্ষে স্পষ্ট করে না বলার ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। বস্তুত: বাংলাদেশ সরকার এখনও এ ব্যাপারে নীরব।

ভারতের সর্বত্র তীব্র প্রতিবাদ ধ্বনিত হচ্ছে তথাকথিত এন আর সি বা ক্যাব (CAB) এর বিরুদ্ধে। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেস সহ সকল অসাম্প্রদায়িক মাঠে নেমেছে। কেরাক্ষ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার, সমগ্র ছাত্র সমাজ ঐ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেছে।

কিন্তু সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টে জানা যায় সীমান্ত দিয়ে বেশ কিছু ভারতীয় বাঙালি মুসলিমকে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে (পুশ ইন)। যদি একথা সত্য হয় তবে নাগরিকত্ব সংশোধন মূলক ঐ সাম্প্রদায়িক আইনটি উভয় কক্ষে পাস হওয়ার পর যদি পুশ ইন ভারতের নানা দিক থেকে হতে থাকবে বলে আশংকা করা হচ্ছে তা যদি বাস্তবেই ঘটে তখনও কি অতীতের মত বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলেই উড়িয়ে দেবেন।

আসলেই ভারত সরকার এই বিষাক্ত আইন পাশ করে নতুন করে উপমহাদেশীয় সংকট সৃষ্টি করেছে। ভারত এই ব্যাপারগুলির মাধ্যমে তার ভাবমূর্তি মারাত্মক ভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে।

অপরদিকে আর্থিক দিক দিয়েও ভারত ক্রমশই নিম্নমুখী বলে নানা গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানের, এমন কি, বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে দায়ী করা হচ্ছে। সেখানে কৃষক বিদ্রোহ ভারতের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে, শ্রমিক ধর্মঘটও ঘটছে।

এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের যাত্রা যে পশ্চাতৎমুখী এবং সার্বিকভাবেই প্রগতি-পরিপন্থী তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অধ্যাপক ডা. শেখ মো. নাজমুল হাসান ২৭ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৫ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৪ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৮ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১১০ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪৪ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩২ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪৩ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯৩ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ২৫ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ শাখাওয়াত লিটন শাবলু শাহাবউদ্দিন