আজ মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

করোনাভাইরাস: আন্তর্জাতিক মনোভঙ্গী

রণেশ মৈত্র  

করোনা ভাইরাস এখন বিশ্বব্যাপী একটি ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। চীনদেশ থেকে শুরু হয়ে এশিয়া মহাদেশ পেরিয়ে আজ করোনা ছড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ায়, সুদূর মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপ ও আমেরিকার সর্বত্র। আমাদের ছোট্ট বাংলাদেশ, প্রতিবেশী ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানও আক্রমণের শিকার।

চীন তার বিশাল দেশে করোনা অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ করে দুনিয়াব্যাপী বিস্ময়ের সৃষ্টি করলেও তার এই বৈজ্ঞানিক সাফল্যকে অনেকে ভিন্নভাবেও দেখেছেন। এই ভিন্নভাবে দেখা লোকের মধ্যে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত সহ সমাজের নানা স্তরের মানুষকেই দেখতে পাওয়া যায়। তাদের সরাসরি বক্তব্য, পৃথিবীর মাতব্বরি নেওয়ার জন্য , পৃথিবীর প্রথম সুপার পাওয়ার হওয়ার জন্যই চীন ঐ ভাইরাস পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী সকল দেশের লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং হাজার হাজার মানুষ মৃত্যু বরণ করছে।

যে দিন সংক্রমণের দিক থেকে আমেরিকা বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ইতালি চীন, ইরান প্রভৃতি দেশকে ছাড়িয়ে গেল-তখন তারা তাদের অনুমানকে সঠিক এবং সুপ্রমাণিত বলে ধরে নিলেন। বিশেষ করে আমেরিকাকে চীনের প্রধান টার্গেট ধরে নেওয়ার ফলে আমেরিকা যখন সংক্রমণের দিক থেকে গোটা বিশ্বকে অতিক্রম করে গেল তখন চীনই যেন এটা করে আমেরিকাকে কাবু করে ফেলতে সক্ষম হলো-আমেরিকার বিশ্ব মেডেল কেড়ে নিয়ে চীন নিজেকে সেই আসনে বসানোর কাজে প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করলো। অর্থাৎ চীন বিশ্বের এক নম্বর সুপার পাওয়ারের স্থানটি আমেরিকার কাছ থেকে যেন ছিনতাই করে নিল।

১৯৭১ এ চীনের ভূমিকা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রে ছিল একেবারেই শত্রুতুল্য। তারা মাও সে তুঙ এর নেতৃত্বে আমেরিকা ও পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গলা টিপে ধরে তাকে বিপর্যস্ত করার ক্ষেত্রে অন্যতম উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিল। বাঙালি জাতি, ভারত, সমাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক বিশ্বেও সম্মিলিত উদ্যোগে পাকিস্তান, আমেরিকা ও চীন শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছিল এই এশিয়ার মাটিতেই। আমরা জানি, তৎকালীন বৈশ্বিক রাজনীতি এক্ষেত্রে এক প্রচণ্ড ভূমিকা রেখেছিল যা বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামে এক নেতিবাচক ভূমিকায় পরিণত হয়েছিল।

আজ বিশ্ব পরিস্থিতি যেমন বদলেছে তেমনি মোড়লগিরি নিয়ে তেমন একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাও আগের মত আর ঘটতে দেখা যায় না। যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্রভাবে চলমান, তা হলো বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রাধান্য বিস্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। চীন অবশ্যই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়েছে। আজ বেশ কয়েক বছর যাবতই দেখা যাচ্ছে, আমেরিকা চীনকে সমীহ করে চলেছে। বিশ্বের বাণিজ্যের সূচক দেখলেই বিষয়টি দিব্যি পরিস্কার হবে। চীনে সমাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এক ধরণের পুঁজিবাদ গড়ে উঠেছে কিন্তু বিশ্বব্যাপী মানুষ হত্যার অভিযোগ চীনের বিরুদ্ধে আজও ওঠে নি।

মানুষ খুনের একমাত্র দাবীদার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। মধ্যপ্রাচ্য তার দীর্ঘ দিনের আক্রমণের ভয়াবহ শিকার। লক্ষ্য, ঐ দেশগুলির অঢেল তেল সম্পদের মালিকানা অর্জন। সৌদি আরব এ কাজে আমেরিকায় বিশ্বস্ত বন্ধু হলেও অপরাপর দেশগুলি তার দ্বারা নরহত্যার ভয়াবহ শিকার। পাখীর মত মানুষ মেরে মধ্য প্রাচ্যকে বহুলাংশে বিরান করে দিয়েছে। এমন কোন দৃষ্টান্ত চীনের ক্ষেত্রে নেই। আছে পুঁজিবাদী প্রতিযোগিতা।

অনুভব করি, আমেরিকার স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের চাইতে চীনের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীর অনেক বেশী অগ্রসর অন্তত: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও তা দমনের ক্ষেত্রে। নানাবিধ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এতদিন ধারণা ছিল আমেরিকাই বিশ্বে সর্বাধিক অগ্রসর দ্বিতীয় অবস্থানে ইউরোপ বিশেষ করে জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ইটালি প্রভৃতি। সে ধারণা এবার নির্মমভাবে ভেঙ্গে চুরমার হলো। অন্তত: এই রোগটির ক্ষেত্রে।

কেউ কেউ চীনের উপর এতই ক্ষুব্ধ হয়েছেন যে, চীনের সাথে কূটনৈতিক অর্থনৈতিক সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবী এবং একই সাথে, চীনা পণ্য বর্জনের প্রাপ্তরও তুলছেন। কিন্তু এ ব্যাপারেও মাথা ঠা-া করে একটু ভাবলেই বুঝা যাবে এমন প্রস্তাবের অবাস্তবতা। কারণ বাস্তবতা হলো এই যে ইলেকট্রনিক পণ্য সহ বহু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার বহু আগে থেকে চীন দখল করে আছে। গার্মেন্টসের ক্ষেত্রেও তাই যদিও এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং ভারতও যথেষ্ট অগ্রসর। তদুপরি দামের প্রতিযোগিতায় ও চীনকে আজও কেউ অতিক্রম করতে পারে নি-পারে নি মানের ক্ষেত্রেও।

আরও একটি যুক্তি কেউ কেউ আনেন। সেটি হলো চীন সরকার সেখানকার উইঘুর নামক একটি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। যতদূর জানি, এ অভিযোগ বহুলাংশে সত্য। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে এ জাতীয় হত্যা অবশ্যই নিন্দার্হ। তবে এ নিয়ে বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় বা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সমূহে আজতক তেমন কোন খবর বা নিবন্ধটি লেখা হতে দেখি নি। তবে শুনেছি তাদের মধ্যে আই এস এর সৃষ্টি হওয়ায় তারা চীনা জনগণের মূল স্রোত থেকে ছিটকে পড়েছে এবং সেখানকার মূল বাসিন্দারা ঐ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একই কারণে উষ্মা প্রকাশ করে থাকেন।

এ ব্যাপারটিতে সাম্প্রদায়িকতা কাজ করে এমন অভিযোগ আজতক কোন মহল থেকে শুনি নি। তা থাকলে অবশ্যই তা নিন্দনীয়। কিন্তু এ ব্যাপারে আমেরিকা বা মার্কিন প্রশাসন বা স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প কি পিছিয়ে। ভারতের বিজেপি? বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, বি এন পি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি অংশই কমে যান? কৈ আমেরিকা, বিজেপি বা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির বিরুদ্ধে কার্যকর কোন প্রতিবাদী লেখাতো চোখে পড়ে না?

উগ্র চীন বিরোধিতার কারণে আজতক বিশ্ব মোড়ল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিশ্বব্যাপী যে নরহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দশকের পর দশক ধরে, এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে, তা যেন কদাপি ঘুর্ণাক্ষরেও বিস্মৃত না হই।

ফিরে আসি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে। গোটা বিশ্বেও শত শত কোটি কোটি মানুষের কণ্ঠে আজ একটাই রব, করোনা ভাইরাস, করোনা দুর্যোগ বা করোনা মহামারী। এই মহামারী অবশ্য আজও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে তেমন একটা বিস্তৃতি লাভ করে নি-যদিও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এ অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে। এই আশংকা প্রকাশের ক্ষেত্রে মূলত: এই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব জনিত কারণই প্রধানত: কাজ করেছে বলে আমার বিশ্বাস। অন্যকোন কারণও থাকতে পারে। তবে অনেকের মত আমারও ধারণা, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে এখন গ্রীষ্মকাল। আরও তিনমাস কমপক্ষে গ্রীষ্মেও খরদাহ অব্যাহত থাকবে। ফলে বাতাসে উড়ে বেড়ানো করোনার জার্ম দ্রুতই মৃত্যু বরণ করবে এবং এই প্রাকৃতিক বা পরিবেশগত কারণেই হয়তো আমরা যারা এই অঞ্চলের অধিবাসী তারা হয়তো তুলনামূলকভাবে কম ভুগতে পারেন যদিও চূড়ান্তভাবে এমন দাবী করার সময় হয়তো এখনও আসে নি। সম্ভবত: বিষয়টি আর মাস খানেক ধরে পর্যালোচনা করলে আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারবো।

কিন্তু ততদিনে বিশ্বের চেহারা কী দাঁড়াবে? শীঘ্রই সংক্রমণ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ না করতে পারলে বাংলাদেশের পরিস্থিতিই বা কী দাঁড়াবে? এ প্রশ্নের জবাব পাওয়া দুরূহ। কেমন দাঁড়াবে বিশ্বের পরিস্থিতি তা-ও অনুমান করা অত্যন্ত কঠিন।
যে গতিতে আমেরিকায়, ইতালিতে, ইংল্যান্ডে, ইরানে করোনা সংক্রমণ ঘটে চলেছে-যে ভীতিকর সংখ্যায় বিশ্বব্যাপী মানুষের প্রাণহানি ঘটছে তাতে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ রূপ নিয়েও উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক।

একটু ভাবা যাক আমেরিকা ইতালি জনশূন্য দুটি দেশে পরিণত হলো। চীনের কি কোন লাভ হবে তাতে? লাভ হবে কি আমাদের বাংলাদেশের বা ইউরোপের বা মারাত্মকভাবে মানব হত্যার শিকার মধ্যপ্রাচ্যেরই বস্তুত: কারও তাতে বিন্দুমাত্র লাভ নেই। তার চাইতে বরং এই মুহূর্তেই যদি করোনা ভাইরাস এ পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নেয় তবেই না আমরা ও বিশ্ববাসী শেষ হাসিটি হাসতে পারি। কিন্তু বিজ্ঞান এমন অলৌকিক কোন কল্পনা বিশ্বাসীচিন্তাকে প্রশ্রয় দেয় না।

তাই যা প্রয়োজন তা হলো আমেরিকান, ব্রিটিশ, ইতালিয়ান, চীনা এবং অপরাপর উন্নত দেশের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা দ্রুত যৌথ বা একক গবেষণায় করোনার সংক্রমণ ও তার চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর ওষুধ আবিস্কার করে গোটা পৃথিবীকে বাঁচাতেন। এই বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য-বিজ্ঞানীদের সাথে সকল নিষেধাজ্ঞার ঊর্ধ্বে উঠে লাতিন আমেরিকার ছোট্ট কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নত কিউবার স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদেরকে যুক্ত করা যায় তবে হয়তো ফল দ্রুততার সাথে পাওয়া যেতে পারে বলে বিশ্বাস করি। সমাজতান্ত্রিক কিউবা ইতোমধ্যেই একটি ওষুধ আবিস্কার করেছে বলে নানা সূত্রে জানা যায় এবং সেই খবর অনেক বেশী বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে কিউবা ইতালিতে তাদের বিপুল সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর খবর বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সকল দেশের সংবাদ পত্রগুলিতে ছবিসহ খবরটি প্রচারিত হওয়ায়।

আমি জানি আজ বিশ্বের প্রতিটি দেশ অপর দেশ থেকে অনেক দিন যাবত বিচ্ছিন্ন থাকার প্রস্তাবটিকে কেউ অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিতে পারেন। কিন্তু জোর দিয়েই বলা যায়। সরকারগুলি চাইলেই বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করে তেমন বৈঠক সম্ভব করতে পারেন। আর তা যদি না-ও হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে আজ দূর-দূরান্তের সাথে যোগাযোগ সেকেন্ডের ব্যাপার মাত্র।

কেউ যেন না ভুলি বৈশ্বিক এই সমস্যার সমাধান ত্বরান্বিত হতে পারে বৈশ্বিক এবং সমবেত উদ্যোগেই। এককভাবেও নিশ্চয়ই হতে পারে তবে তার সময় সাপেক্ষ হতে পারে এবং ঐ একক সাফল্য নানা কারণে সন্দেহের ঊর্ধ্বে নাও উঠতে পারে।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ