আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

দক্ষিণএশিয়ার যেকোনো দুটি রাষ্ট্রের সম্পর্কের যোগফল শূন্য

মাসকাওয়াথ আহসান  

গতকাল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী " ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক" বলায় নাগরিকদের মধ্যে বেশ তিক্ত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন; দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গলাগলি-রক্তারক্তি-গলাগলি এমন লোকজ আঙ্গিকের সম্পর্ক। এই অঞ্চলে এক খণ্ড জমির জন্য রক্তিয়রা রক্তিয়দের মাথা ফাটিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের করে দেওয়ার যে ঐতিহ্য; ওটিকেই মাঝে মাঝে মিল মহব্বত করতে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানোর সময় আদর করে রক্তিয় সম্পর্ক বলে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে লুডু খেলা, বিয়েবাড়িতে তরকারিতে লবণ না হওয়া, অন্যের হাঁস গৃহে ঢুকে পড়া ইত্যাদি নানা বিষয়ে নিয়মিত সংঘর্ষ ও রক্তারক্তি হয়। এটা নিয়ে সবাই এটুকু না বুঝে রগড় করে যে, এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসলে দক্ষিণ এশিয়ার মিনিয়েচার। দক্ষিণ এশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি বুঝতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেলটিকে আপনার মাথায় রাখতে হবে। কেবল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোক মারকুটে, কেবল নোয়াখালীর লোক স্বার্থপর, কেবল বরিশালের লোক কর্কশ, কেবল ঢাকার লোক বাটপার, কেবল পাবনার লোক পাগল, কেবল গোপালগঞ্জের লোক বুবু-পাগল, কেবল বগুড়ার লোক ম্যাডাম-পাগল; ঠিক এমন করে দেখে একটা আত্মতুষ্টি পেতে চাই আমরা।

আসলে তো তা নয়; এই পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই পুষ্টিহীনতার জীনগত আশ্লেষে মস্তিষ্ক বর্ধিত না হবার ব্যাপারটা; জনমানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিকাশকে বনসাই পর্যায়ে রেখে দিয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান; এগুলো বনসাই রাষ্ট্র; তা বলাই বাহুল্য।

দুর্নীতি সব দেশেই হয়; কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার লোকের মতো দুর্নীতির রক্তারক্তি কোথাও নেই। কত টাকা চুরি-ডাকাতি করলে ধনী হওয়া যাবে; এটা পরিমাপের ক্ষমতা নেই; দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের। চুরি করে ধনী হয়ে ফেসবুকে সেই ধন-সম্পদ প্রদর্শনী করে জনসম্মুখে নিজের চুরি উন্মুক্ত করে দেবার পরেও নিম্ন বুদ্ধাংকের সমাজ সেখানে গিয়ে অভিনন্দন আর তেলের নহর বইয়ে দেয়। এরকম নির্বোধ চোর আর চুরিভক্ত লোকজনের দেখা মিলবে প্রধানত: দক্ষিণ এশিয়ায়।

১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে হঠাৎ "ভারত উদয়"-এর উন্মাদনা তৈরি হয়; কল্পনায় ভারত পৃথিবীর ষষ্ঠ পরাশক্তি হয়ে উঠলো; জাতিসংঘে তাকে স্থায়ী সদস্য করা উচিত; এরকম একটি মিডিয়া-মাদকতা দেখা গেলো। এসময় প্রতিদিন ভোরে রেললাইনের ধারে প্রাতঃক্রিয়া সারতো ভারতের বিপুল জনসংখ্যা। কিন্তু বলিউডের হার্ড-বোর্ডের বিশাল সেটে নানান রঙের বাতি জ্বালিয়ে; পশ্চিমা-জগতে ভারত সম্পর্কে নতুন ধারণা তৈরির চেষ্টা করা হলো। কারণ আগে ভারত কাবাডির সর্ষের তেল মাখা পালোয়ান, নাগনাগিনীর খেলার বেদেনি, তেঁতুল গাছের নিচে মফিজ মিয়ার ধন্বন্তরি মলম বিক্রি, বড় জোর 'কামসূত্রে'র অতিরঞ্জিত যৌন কলা কৈবল্যবহুল এক প্রায় আদিম জনপদ হিসেবে চিত্রিত হতো পশ্চিমা মিডিয়ায়। সেটা বদলে "কাভি খুশি কাভি গাম' ফিল্মে প্রাসাদ-হেলিকপ্টার; "দেবদাস" ফিলিম-এ পার্বতীর প্রাসাদ, বিশাল এক নাচঘরে পার্বতী-চন্দ্রমুখীর "মারডালা" নাচ দেখলেই বোঝা যায়; শরৎচন্দ্রের উপন্যাস 'দেবদাস"-এ কীরকম প্রাচুর্যের রঙ মাখানো হয়েছে। আসল ভারতের সঙ্গে কল্পনার ভারতের পার্থক্য স্পষ্ট হয়; বানিয়ে ছানিয়ে নিজেদের বড়লোকির গল্প প্রতিষ্ঠার এই চলচ্চিত্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে।

আজ দু'হাজার বিশ সালে চীন-ভিয়েতনামের দিকে তাকালে বোঝা যায়; কোন রকম উদয়ের গল্প না করে কীভাবে সক্ষম রাষ্ট্র হয়ে ওঠা যায়। নিজের সম্পর্কে বড় ধারণা দেয়ার ধাপ্পাবাজিটা দক্ষিণ এশিয়ার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। পুষ্টিহীনতায় মস্তিষ্ক বর্ধিত না হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের কাল্পনিক সাফল্যের গল্পের সঙ্গে বাস্তব সাফল্য কোনদিনই মিলে না।

ফলে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান এগুলো হচ্ছে কাল্পনিক রাষ্ট্র; বাস্তবে নেহাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া-জাপানের নতুন বিশ্ব-অক্ষে ভারত একটি আইটেম নাম্বার মাত্র। একটি চলচ্চিত্রে জুড়ে দেয়া আইটেম নম্বরের গুরুত্ব আমরা সবাই জানি।

আবার চীন-রাশিয়া-ইরান নতুন বিশ্ব-অক্ষে পাকিস্তান নেহাতই একটি মুজরা পার্টনার। ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে পাকিস্তানকে একটু প্রশ্রয় দিয়ে সমুদ্র বন্দর, সড়ক পথ এগুলোর নেহাত পাহারাদার এই পাকিস্তান। ব্যবসাটা করছে, চীন-রাশিয়া-ইরান।

সুতরাং ঘুরে ফিরে ভারতের যত মাতবরি দক্ষিণ এশিয়ায়। পাকিস্তানের যত মাতবরি তা ভারতের সঙ্গে। কাশ্মিরের জমি নিয়ে মাথা ফাটাফাটির রক্তিয় এই ভারত-পাকিস্তানের রক্তিয় সম্পর্ক। এদের সাফল্যের তুলনা-প্রতিতুলনা সব নিজেদের মধ্যে। মনে রাখা দরকার দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ নিজেদের মধ্যে তুলনামূলক প্রতিযোগিতার জীবন যাপন ছাড়া আর কোন নির্মল জীবনের খোঁজ কখনো পায়নি।

হিন্দু-মুসলমান ছদ্ম বিভাজন দিয়ে দক্ষিণ এশিয়া বিভাগ সম্ভব হলেও; বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নোয়াখালী-বরিশাল-উত্তরবঙ্গ-ঢাকা ইত্যাদি যেসব শ্রেষ্ঠত্বের বোধজনিত ভ্রান্তি আছে; একই জিনিস আরও বড় পরিসরে ভারত-পাকিস্তানে রাজ্য ও প্রদেশগুলোর মাঝে রয়েছে। এই সাংস্কৃতিক বিভাজনের যে প্রতিযোগিতা; সেখানে মোদ্দা কথা হচ্ছে; যা নেই; তা নিয়ে প্রতিযোগিতা। সংস্কৃতি দক্ষিণ এশিয়ার ঐ একটাই; মনোমালিন্য-ঝগড়া-মাথা ফাটাফাটি-রক্তারক্তি আবার মিটমাট গলাগলি।

ভারতের আয়তনের বিশালতা; অথচ ব্যক্তিত্বের দুর্বলতা চোখে পড়ার মতো। সে একজন হৃষ্টপুষ্ট বড় দাদা; যারা শরীরে পৃথুলতা; কিন্তু কাজে-কর্মে সক্ষমতা না থাকায় অর্থনৈতিকভাবে অসফল। ফলে এর ছোট ভাইয়েরা চীনের মতো অর্থনৈতিকভাবে সফল রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা-অংশীদারিত্ব গড়ে তুললে; বড় দাদা গোস্বা হয়ে যায়। বিচিত্র এই ব্যর্থ মানস। এই পৃথুল অকর্মণ্য বড় দাদার ছোট ভাইগুলোরও সামর্থ্য দাদার মতোই। প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ থেকে বড় অবকাঠামো নির্মাণ কোন কিছুর সামর্থ্য বাংলাদেশ-পাকিস্তান এসব রাষ্ট্রের নেই। আর বড় দাদাটি অকর্মণ্য তাকে দিয়েও এসব কাজ সুচারুরূপে হবার জো নেই। আবার বড় দাদার সাধ যে ছোট ভাইদের এই কাজগুলো সে নিজেই করে দেবে।

এইরকম জিও-পলিটিক্যাল কমেডি পৃথিবীতে আর দেখিনি। এই কারণে ফেসবুকে যখন দেশগুলোর উগ্রজাতীয়তাবাদী লিলিপুটিয়ানদের পরস্পরের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করতে দেখি; বিচিত্র অনুভূতি হয়।

পশ্চিমা দেশগুলোতে এই অপরিমিত আচার-আচরণ আর বাড়িয়ে বলার অভ্যাসের কারণে; দক্ষিণ এশীয়দের সঙ্গে অন্যদেশের লোক খুব একটা মেশেনা। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার লোক আবার একজন শ্বেতাঙ্গ বন্ধু পেলে অন্যদের জানান দিতে ফেসবুকে তার-সঙ্গে একটি সেলফি পোস্ট করে দেয়। আসলে সে তার রক্তিয় দক্ষিণ এশিয়দের সঙ্গেই ফেসবুক প্রোফাইল প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।

বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটান-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা; এসব দেশের লোক বড় দাদা ভারতের "বাড়িয়ে বলা" গল্পের তোড়ে ছোট বেলা থেকে অন্তর্মুখী রয়ে গেছে। ফলে এরা মুখচোরা। এ কারণে পশ্চিমা বিশ্ব এদের পছন্দই করে; যেহেতু মুখ খুলেনি; তাই ইমেজটা ভালো আছে। আর ভারত সেই নেহেরুর যুগের আত্মবিশ্বাসে মুখ খুলে; সর্বত্র ভারত উদয়ের গল্প বলে ও আমার দাদা জমিদার ছিলো; এই পরিচয় দিয়ে পুরো বিশ্বেই হাস্যষ্পদ হয়েছে।

আধুনিক পৃথিবীতে দক্ষিণ এশিয়া অচল। ভারত-পাকিস্তানের কিছুটা ডেটারেন্স ও গুরুত্ব তাদের রয়েছে; এদের পারমানবিক অস্ত্র থাকার দুটি গল্প দিয়ে রাখার কারণে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান নিয়ম করে ভেঙে পড়া ও অন্যান্য কিছু লক্ষণ দেখে সন্দেহ হয়, এগুলোও তাদের ধাপ্পাবাজি।

যা হোক; অযথা ভারতকে এতো বড় শক্তি ভেবে ফেসবুকে শক্তিক্ষয় অপ্রয়োজনীয়। পাকিস্তানের পারমানবিক বোমা থাকার ব্লাফে পাকিস্তান সীমান্তে 'ফেলানি' হত্যার সাহস নেই ভারতের। বাংলাদেশ পারমানবিক বোমার ব্লাফটা না দেয়ায়; এখানে সীমান্ত হত্যায় ভারতের লিলিপুট সেনারা রীতিমত বাহুবলি। ওদিকে কিছুদিন আগে চীনের সেনাদের একদিনের হাতুড়ি পিটায় রীতিমতো ঘরে ঢুকে খিল দিয়েছে বড় দাদা।

পরাশক্তি হলে ভারত কখনোই বাংলাদেশের মতো একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের কাছে প্রতিদিন সম্পর্কের নিশ্চয়তা চাইতো না। তার সময়ই থাকতো না বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবার।

ভারতের সচেতন নাগরিক সমাজ এটা জানেন; যে ভারত সাতটি দশকেও রাষ্ট্র হয়ে উঠতে পারেনি। আর বুদ্ধিবৃত্তিক সাফল্য ও সাংস্কৃতিক উড্ডয়নের গল্পটাও যে খুব কেজো নয়; তা বোঝা গেলো সরাসরি হিন্দুত্ববাদী একটি দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসা আর গো-মূত্রের মধ্যে নানা রোগের নিদান খোঁজার প্রবণতাগুলোতে। গো-মাতাকে নিয়ে যে মিথ; ঐটিই দক্ষিণ এশীয় বাস্তবতা। তাই দক্ষিণ এশিয়া একটি গো-সভ্যতা। তাই এর রাজনীতি-ধর্ম-সংস্কৃতি-পররাষ্ট্রনীতি-লোকাচার সবকিছুই দিন শেষে গোবর ছোঁড়ার অশ্বমেধযজ্ঞ; যাকে বলা যায় লা-গোবরিনা ফেস্ট।

শূন্যের সঙ্গে শূন্য যোগ করলে শূন্যই হয়। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার যে কোন দুটি রাষ্ট্রের সম্পর্কের যোগফল শূন্য।

মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা শিক্ষক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ