আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

ষড়যন্ত্র, তবে তা ধর্মীয় না!

জহিরুল হক বাপি  

আগামী পৌনে চার বছর পৃথিবী আবারও রক্তাক্ত হবে। মহামারি করোনায় যত মানুষ মরেছে তারচেয়ে বেশি মরবে। আহত হবে, পঙ্গু হবে। জো বাইডেন পলিসি হিসাবে ট্রাম্পের আগের প্রেসিডেন্টদের অস্ত্র ব্যবসাভিত্তিক অর্থনীতিকে বেছে নিয়েছে। তারা প্রকাশ্যে A-র বন্ধু, B-র শত্রু। আর A, B পরস্পরের শত্রু। তবে B সব সময়ই তাদের সৃষ্টি। A-র কাছেও অস্ত্র বিক্রি করে আর B-কে তো তারাই তৈরি করে। সে পলিসি দৃশ্যমান। চলছেই।

এই পলিসির বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হচ্ছে মুসলমানদের দ্বারা। এটা ইতিহাস, এটা চলমান। একদিকে মুসলমানই মুসলমানদের মারছে। অন্যদিকে মুসলমানরা ইসলামের বিরুদ্ধে ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে গর্বিত হচ্ছে। ষড়যন্ত্র তো আর যার তার বিরুদ্ধে হয় না। ষড়যন্ত্র হয় বিশেষ কারো বিরুদ্ধে। তাই ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এটা তাদেরকে বোঝানো হয়েছে। বুঝিয়েছে ওই খ্রিস্টান, ইহুদি ধর্মাবলম্বীরাই (?!)। এর কারণ মূল জায়গা থেকে চোখ সরিয়ে রাখা। কারণ এখানে ধর্ম, জাত-পাত কোন কিছুই কোন বিষয় না। মূল বিষয় ব্যবসা। মুসলিমদের মূল বসবাস এশিয়ায়। পুরো একটা ধর্মগোষ্ঠীকে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ক্ষমতাধর দেশগুলো মুঠোর ভিতর পেয়ে গেছে কোন ধরনের একতা ছিল না বলে।

মুসলিমরা যে দিন বুঝতে পারবে তাদের বিরুদ্ধে যা হচ্ছে বলে তারা ভাবছে তা মোটেও ধর্মীয় কারণে না, পুরাটাই ব্যবসা সেদিন হয়ত এসব অস্ত্রব্যবসাকেন্দ্রিক অর্থনীতি বা যুদ্ধকেন্দ্রিক অর্থনীতি থেকে ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলা বেরিয়ে আসতে বাধ্য হবে।

মুসলমানদের একভাগ আরেকভাগকে অনায়াসে অমুসলিম, কাফের বলছে। প্রত্যেকেরই আবার এ সম্বদ্ধে নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কারণে নিজস্ব ব্যাখ্যা আবার নিজেরাই বদলায়। সহজেই তাই তাদেরকে যুদ্ধে, জঙ্গিবাদে নামানো গেছে, যাচ্ছে। যুদ্ধ মানেই শুধু অস্ত্র ব্যবসা না। যুদ্ধ মানেই ঔষধ, গাড়ি, খাবার আরও অনেক কিছুর ব্যবসা। এধরনের অবস্থা কেন হলো?

মুসলিমরা যে দিন বুঝতে পারবে, মানবে আসল ষড়যন্ত্র কী, কেন তখন হয়ত এই অস্ত্রঅর্থনীতি অন্য এলাকায় যাবে। সেটা যে ধর্মীয় লেবাসে যাবে তা নাও হতে পারে। ইরাকের কুয়েত দখলের মতো কিছুও হতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতেই তো আমেরিকান সিনেটর বাংলাদেশকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিল মিয়ানমার আক্রমণ করতে। বাংলাদেশে যদি খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অধ্যুষিত দেশ হতো তাও ওই সিনেটর এই চেষ্টা করতেনই। এখানে ধর্ম বিষয়ই না, বিষয় যুদ্ধ বাঁধিয়ে ব্যবসা। তবে যদি ইহুদি অধ্যুষিত দেশ হতো তবে ওই সিনেটরকে অন্যভাবে দেখতাম।

আইএস, তালেবান, বোকো হারেম, হামাস যার নামই মনে আসে প্রত্যেকের নামের পাশে আমেরিকাকেন্দ্রিক ক্ষমতাশালী দেশের নাম ছায়ায়-ছায়ায় আনাগোনা।

আমাদের দেশের কথায় আসি। সাঈদী থেকে জামায়াতি হুজুররা সব কিছুতেই ইহুদি-নাসারার ষড়যন্ত্র টেনে আনে। আমেরিকা হচ্ছে ইহুদি নাসারাদের ঘাঁটি। সেই ইহুদি নাসারাদের দেশ আমেরিকা কি চেষ্টাটাই না করেছিল জামায়াতি রাজাকারদের বাঁচাতে! কেন? সবই ক্ষমতা, অর্থ বানানোর কারখানা।

জহিরুল হক বাপি, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ