আজ রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

ইন্নাল মুলূকা...: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলতি যুদ্ধ

প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ  

ইংরেজ মহাকবি জন মিল্টন (১৬০৮- ১৬৭৪) তার “এ্যারিওপেজিটিকা” গ্রন্থে লিখেছেন, “... একজন মানুষ হত্যা মানে হচ্ছে একটা ভাল পুস্তককে হত্যা করা; আর যে ব্যক্তি একজন বিবেকবান-বুদ্ধিমান মানুষকে হত্যা করল, সে যেন তার প্রভুর মহান ‘ইমেজ’ বা সত্ত্বাকেই হত্যা করল”।

দেশে-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একটানা প্রায় ৪৫ বছরের আপাদমস্তক একজন শিক্ষকের অভিজ্ঞতা নিয়ে আজ আমি এ খোলামেলা নিবন্ধটি লিখছি। আসলেই আমি আমার উদ্বেগ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত, বিব্রত এবং কিংকর্তব্যবিমূঢ়। আমার এ অবস্থায় দেশ-বিদেশের রাষ্টনায়কগণ ও বুদ্ধিজীবীগণ আমাকে আদপেই ন্যূনতম কোন সহযোগিতা করতে পারবেন কিনা আমি জানি না।

নিকট অতীতে ইরান-ইরাক যুদ্ধ চলল প্রায় ৮ বছর। এ যুদ্ধ থেকে ইরান কোন শিক্ষা পেয়েছে কিনা, তা অন্তত আমি জানি না, বা বলতেও পারব না। তবে, এটা সত্যি যে, যেইমাত্র ইরাক তার প্রতিবেশী ছোট্ট একটি দেশ ‘কুয়েত’ আক্রমণ করল, তখন কোন সময় নষ্ট না করেই ইরাক, ইরানের সাথের তার ৮ বছরের ওই যুদ্ধের ইতি টানল, অনেকটা একতরফাভাবেই। কারণ, একইসাথে দুই যুদ্ধ চালানো তো অন্তত ইরাকের জন্য অসম্ভব ছিল।

আমার কথা: কোন জিনে ধরেছিল ইরাককে যে, সে কুয়েত আক্রমণ করল? যেন, “সুখে থাকতে ভূতে কিলায়”। মহা সুযোগ পেয়ে গেল পরাশক্তি আমেরিকা। দেরি না করে ইরাকের বিরুদ্ধে ডজন-ডজন ফাও ভয়ঙ্কর যুক্তি খাড়া করে বিশ্ব-শান্তি রক্ষার ধ্বজা ধরে ইরাক-সাদ্দামের বিরুদ্ধে আমেরিকা এমনভাবে চটে গেল যে, সাদ্দাম হোসেন যেন পালাবার এক মুহূর্ত সময়-সুযোগ-পথও না পান। ইরাকের মাথামোটা ডিক্টেটর সাদ্দাম তখনও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকিতেই অটুট ছিলেন। সাদ্দামের ভাগ্যে যা-ই জুটুক, যুগ যুগ ধরে কপাল পুড়ছে ইরাকের সাধারণ-অসাধারণ আমজনতার। আজও কেউ জানে না, ইরাকের অমাবস্যার রাত কবে কাটবে, বা আদৌ কাটবে কিনা।

কোন ভূতে ধরেছিল লাদেনকে? কীসের আদর্শ ছিল তাঁর? এর নাম কি জিহাদ? “নিজে বাঁচলে বাপের নাম”। কপাল-মন্দ হলেই মানুষ এরকম করতে পারে; যেটা করেছেন লাদেন। আমার মরহুম বড় দুলাভাই প্রায়ই বলতেন: “যে ডুবেই মরবে, তার পথ নিচের দিকে”।

নিজ ঘরের ইঁদুরই পরাশক্তি রাশিয়াকে সুযোগ করে দিয়ে ঢুকতে দিয়েছিল আফগানিস্তানে। আর, সেখানে কত বছর ছিল রাশিয়া? আর, আজ আফগানিস্তান কেমনই বা আছে? তবে যতটুকু জানি, ভাল আছে। আলহামদুলিল্লাহ্‌। অন্তত: মানুষ আর না মরুক।

গজিয়েছে ‘ইসলামিক স্টেট’। বোমার আগুনে, কামানের আগুনে ধুকে ধুকে পুড়ছে সিরিয়া। আর ফিলিস্তিন! ভাগ্য না দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে? বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ বিশ্বব্যাপী হতভাগা শরণার্থীদের সংখ্যার ফিরিস্তি গুনবে কে? এদের প্রতি শক্তিশালী দেশগুলোর বার্তা যেন এমন: “জন্ম নিয়ে স্বয়ং তোমরাই মারাত্মক ভুল করেছ”। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ? আজও কেউ এ যুদ্ধের ভবিষ্যৎ ফলাফল জানে না।

এখন আসা যাক আমার এ নিবন্ধটির শিরোনামের বিষয়ে। প্রায় চার মাস হয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের। দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসমূহের বরাতে জানা যায়: অমুক শুক্রবারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলের অস্তিত্ব বিপন্ন, হামাসের তীব্র প্রতিরোধের মুখে দেশটি টিকতে পারছে না, দুপক্ষের অনেক সৈন্য নিহত-আহত, চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছে ইসরায়েলকে, পিছু হটছেন নেতানিয়াহু, নেতানিয়াহুর দিন শেষ, তার বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে তার নিজ দেশে, গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ইসরায়েল, চতুর্দিক থেকে হামলা হচ্ছে ইসরায়েলে, ঝাঁঝরা হয়ে গেল দেশটি, দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে, অনেক দেশ ইতিমধ্যেই ইসরায়েল থেকে তাদের কূটনীতিকদের ফিরিয়ে নিয়েছে, প্রায় দেশেই জনতার তীব্র আন্দোলন হচ্ছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে, দেশে-বিদেশে খোদ ইহুদিরা এসমস্ত আন্দোলনের অংশীদার।

এগুলোর মধ্যেই ইসরায়েল অনবরত আকাশ-হামলা ও স্থল-হামলা করছে ফিলিস্তিনিদের উপর, ফিলিস্তিনের শিশু-নারী-বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ নিহত ২৭ হাজারের বেশি, আহত-নিখোঁজদের সংখ্যা এর কয়েকগুণ বেশি, বাস্তুচ্যূত লাখ লাখ মানুষ, তারা আছেন দুর্ভিক্ষের কবলে, নেই বিশুদ্ধ খাবার পানি, নেই পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা, নেই পয়ঃনিষ্কাসনের কোন সুব্যবস্থা, পিরিয়ড বন্ধ রাখার জন্য নারীরা নিচ্ছেন টিকা- আহ কী দুরবস্থা! নেই কোন স্বাস্থ্য-সেবা, হাসপাতালগুলো ধ্বংসযজ্ঞ, অবুঝ-নিষ্পাপ শিশুরা ভুগছে/মরছে পুষ্টিহীনতায়, শীত-বৃষ্টি, কাদাপানির মধ্যে ঠাঁই হচ্ছে না তাঁবুতে, তাঁবু বানাবারও নিরাপদ কোন জায়গা নেই, দখলদার ইসরায়েল ঢুকতে দিচ্ছে না গাজায় মানবিক সাহায্য-ট্রাক। গাজা হয়ে উঠেছে মৃত্যুপুরী।

আমেরিকা সরাসরি যাবতীয় সহযোগিতা করছে ইসরায়েলকে, বিশ্বে নাকি আমেরিকাও হারাচ্ছে অনেক বন্ধু, যে কারণে আমেরিকার দু’বারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যা করছে, তা অসহ্য, দেশে দেশে চলছে কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ, ইমেজ নষ্ট হচ্ছে আমেরিকার, পশ্চিমা বিশ্বের অনেকেই রয়েছেন চুপচাপ, অধিকাংশ আরব দেশই নীরব, কেউ কেউ আবার ফিলিস্তিনের পক্ষ হয়ে কথাও বলছেন, কথা বলছে ওআইসি-ও, নেই বিদ্যুৎ, যোগাযোগ-সংকট চরমে, লক্ষ মানুষ হয়েছেন শরণার্থী, নেই যাওয়ার কোন জায়গা, ইসরায়েল মেতে উঠেছে রক্তের খেলায়, তাদেরও মরছে শত শত সৈন্য, হামাসের হাতে আজও বন্দি আছেন শতাধিক ইসরায়েলি যদিও আগের চুক্তি অনুযায়ী অনেকেই মুক্তি পেয়ে ফিরেও গেছেন নিজ দেশে, তাদের মধ্যে অনেক বিদেশিও আছেন।

হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বছরের পর বছর ধরে বন্দি রয়েছেন ইসরায়েলি কারাগারে, প্রথম যুদ্ধ বিরতিতে যে সংখ্যক ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন, তার চেয়ে ঢের সংখ্যক বেশি ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরায়েল আবার বন্দি করে নিয়ে গেছে তাদের জেলে কোন অজুহাত ছাড়াই, কারাগারে তাদের সাথে নাকি করা হয় মানবতাবিরোধী নির্যাতন; এমনকি, যুদ্ধের মাঠের সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের ও নির্যাতনের ভিডিও ইসরায়েলি আর্মি ভাইরাল করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। অথচ, হামাসের হাতে বন্দি থাকা/হওয়া অনেক ইসরায়েলি নারী-পুরুষ হামাসের ব্যবহারের প্রশংসায় হয়েছেন পঞ্চমুখ।

যুদ্ধের মধ্যেই ফের চলছে পুনঃযুদ্ধ বিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের আলাপও, ইসরায়েল গাজাকে ধূলিসাৎ করেছে, আর বলছে-তারা পুরো গাজা উপত্যকা দখল করে রেখেছে, হামাস বলছে-গাজা হবে ইসরায়েলিদের গোরস্থান, ট্যানেল থেকে বেরিয়ে তারা যুদ্ধে লড়ছে গেরিলা কায়দায়, ধ্বংস হচ্ছে শত শত ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধযান, ইসরায়েলি সেনাদের অনেক লাশ খোঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না, গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে পড়েছে অনেক ফিলিস্তিনির মরদেহ, পচা লাশের দুর্গন্ধ এখন আকাশে-বাতাসে।

শোনা যাচ্ছে ইদানীং ইসরায়েলেরও নাকি একই অবস্থা, তাদেরও নাকি পথে পথে লাশ আর লাশ আর পচা গন্ধ, হাজার হাজার ইহুদি তাদের অধিকৃত দেশে নিজ নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অন্যত্র বা অন্য দেশে, হাজারও ইসরায়েলি সৈন্য হারিয়েছে মানসিক ভারসাম্য, দেওয়া হচ্ছে মানসিক চিকিৎসা, অধিকন্তু অনেক মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ নাকি ইসরায়েল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন, হাজার হাজার সেনা হয়েছেন সারা জীবনের মত পঙ্গু, খোলা হয়েছে অনেক নতুন চিকিৎসা-কেন্দ্র, ব্যবস্থা করা হয়েছে অনেক বাড়তি শয্যার, অনেক ইসরায়েলি সেনাকে নাকি টেনে-হেঁচড়ে নামানো হচ্ছে যুদ্ধে, এগুলোর একটাও কি আদপেই সুখের খবর?

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির সত্যিকারের কোন নিশ্চয়তা কোন পক্ষ থেকে এখনো পাওয়া যাচ্ছে না, ইসরায়েল হামলা করেছে এবং করছে নির্বিচারে, হাসপাতাল-আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ-স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় কোনটাই বাদ পড়ছে না, কখন-কবে যুদ্ধ শেষ হবে তার কোন আভাসই এখনো পাওয় যাচ্ছে না। সবকিছুই যেন রহস্যময়!

হাই-রাইজ ইমারতের ধ্বংসলীলা দেখা যাচ্ছে বিশ্ব-মিডিয়ার সুবাদে। দেখা ও শোনা যাচ্ছে হাজার হাজার নিখোঁজ আপন মানুষের জন্য বেঁচে-যাওয়াদের আহাজারি, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিচে চলছে অনেকটাই ব্যর্থ তল্লাশি। এরই মধ্যে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হচ্ছে পার্শ্ববর্তী অনেক দেশে।

আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, বাদশাহ-নবী সুলাইমান (আ.)-এর রাজকীয় ফরমান পেয়ে তখনকার ইয়েমেনের ধনাঢ্যা-বিজ্ঞ রানি বিলকিসের মুখ দিয়ে বেরিয়েছিল আল্লাহ পাকের কোরআনের আয়াত: “ইন্নাল মুলূকা, ইযা দাখালূ র্ক্বাইয়াতান, আফসাদূহা, ওয়াজাআ’লূ আ’ইয্যাতা আহ্লিহা আযিল্লাহ, ওয়া কাযালিকা ইয়াফআ’লূন”, অর্থাৎ, “বিদেশি যে কোন শক্তি যদি আমার দেশে একবার মাত্র প্রবেশ করতে পারে, তা হলে আমার (সুন্দর-গোছানো) দেশকে তারা তছনছ করবে, আমার দেশের সম্মানী-মর্যাদাবান সুশীল সমাজের (সকল) ভদ্র মানুষজনকে অসম্মান ও বেইজ্জত করবে (সম্ভ্রম লুট করবে নিষ্পাপ নারীদের, অতএব, আমি সে সুযোগ তাদেরকে দেব না, বরং, আমার দেশ ধনাঢ্য-শক্তিশালী দেশ হলেও ঐ রাজকীয় ফরমানে যা করতে বলা হয়েছে, আমি তা-ই করব, প্রয়োজনে বন্ধুত্ব গড়ে তুলব, অন্তত আমার দেশ ও দেশের শান্তি রক্ষার নিমিত্তে, কারণ আমার দেশ ও আমার দেশের মানুষজন আমার চাইতে বড়)”।

ইতিহাস আমাদেরকে জানায়, বর্তমান ফিলিস্তিনি জনগণ অতীতের ফিলিস্তিন নামক এই অঞ্চলেই ১২০০ বিসিই-সালের দিকে সর্বপ্রথম স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেন। প্রায় একই সময়ে ওই ভূখণ্ডে বর্তমান ইসরায়েলিদের অল্প সংখ্যক কিছু পূর্বসুরীরাও আসেন। ওই লগ্নে, আজ থেকে প্রায় ৩৩০০ বছর পূর্বে, মিশরের বাদশাহ ছিলেন ৩য় রামযেয। ওই কালে মিশরের বাদশাহর অনুমতি নিয়েই গাজার দক্ষিণাঞ্চলে (শুধু বর্তমান তেলআবিবে) এক অস্থায়ী বসতি স্থাপন করেন তৎকালীন ইহুদিগণ।

ওই সময়ে বর্তমান ফিলিস্তিন অঞ্চলে ছিল মাত্র ৫টি শহর। তৎকালে ছোট-বড় সব স্থান (বর্তমান তেলআবিব) মিলিয়ে ওই অঞ্চলের একটিমাত্র নাম ছিল “ফিলিস্তিয়া” অর্থাৎ, “(একমাত্র) ফিলিস্তিনিদের আবাস-ভূমি”। সেই সময়েই গ্রিকরা গোটা অঞ্চলের একক নাম দিয়েছিল “ফিলিস্তিন” বা “প্যালেস্টাইন”। এতে বুঝা যায়, তৎকালে ওই অঞ্চলে নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্টভাবে “ইসরায়েল” নামে কোন দেশ বা অঞ্চলই ছিল না, স্বাধীন রাষ্ট্র তো দূরের কথা। অধিকন্তু, হযরত ইয়াক্বূব (আ.) এর অপর নাম ছিল ‘ঈস্রা-ঈল’, যে “বানী ইস্রা-ঈল” নামে চির-আধুনিক মহা বিজ্ঞান-গ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআনে একটি সূরাহ্ও আছে। আর, ইয়া’ক্বূব (আ.) তো মুসলমানদের স্বীকৃত নবীদেরই একজন।

ওই সময়টা প্রথমে ছিল হযরত দাউদ (আ.) ও পরে তার পুত্র হযরত সোলাইমান (আ.)-এর শাসনামল। আর, আমরা সকলেই জানি, হযরত সোলাইমান (আ.)-ই নির্মাণ করেছিলেন পবিত্র মসজিদ “মসজিদ আল-আক্বসা - যার বর্ণনা রয়েছে পবিত্র আল-কোরআনের সূরাহ্ ‘আল-ইস্রা’-তে।

সময়ের গতিতে ফিলিস্তিনিরা আশ-পাশ এলাকায়ও বসতি স্থাপন করেন নিজেদের প্রয়োজনে এবং একক “ফিলিস্তিন” নামে, আর তখনই রিরোধ বাঁধে বর্তমান ইহুদি বা ইসরায়েলিদের সাথে। সে সময়ও ফিলিস্তিনিদের ছিল নিজস্ব উন্নতমানের সামরিক অস্ত্র-শস্ত্র ও সামরিক সংস্থাসমূহ। তারা ছিল স্বাধীন, কিন্তু প্রায়ই তাদেরকে মোকাবেলা করতে হত চতুর্দিকের বর্ডারধারি রাজ্যসমূহের বিরুদ্ধে। তবে এক সময় বা বিভিন্ন শতাব্দীতে তারা পারসিক, গ্রিক এবং রোমানদের দ্বারাও শাসিত হয়েছে।

আমি নিজে ইংরেজি ভাষা ও ইংরেজি সাহিত্যের একজন ছাত্র এবং অধ্যাপক। বিদেশে ৭ বছর ইংরেজি পড়িয়েছি প্রায় ১৪টি দেশের শিক্ষার্থীদেরকে। ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ভার্জিনিয়া উলফ নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলতেন, তিনি একজন বিশ্বনাগরিক। আমি নিজেও বলব, “আমিও একজন বিশ্বনাগরিক”। তাই, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের বর্তমান ভয়ঙ্কর এ যুদ্ধাবস্থা ও মানবিক বিপর্যয়কে আমি মেনে নিতে পারি না। সুতরাং, অতীত যা-ই হয়ে থাকুক না কেন, আমি স্বাধীন সার্বভৌম ও সম্মানজনক একটি দ্বি-রাষ্ট্রিক দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান চাই।

প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও ২৪ বছরের বিভাগীয় প্রধান, বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, ও দেশে-বিদেশে ৪৫ বছরের ইংরেজি ভাষা ও ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৩ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ