আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয়া’-একটা অপসংস্কৃতি

সাব্বির খান  

পাকিস্তানের মত অভিজ্ঞ ও শক্ত সেনানিরাপত্তার বলয় ভেঙ্গে সে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য ও বর্বোরোচিত ‘শিশু হত্যাযজ্ঞ’-টি ঘটে গেল গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ মঙ্গলবার পেশোয়ারের সামরিক বাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে। কোমলমতি শিশুগুলো স্কুলের মিলনায়তনে জড়ো হয়েছিল বার্ষিক আনন্দ-উৎসবকে ঘিরে। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত তখন হঠাৎই শুরু হয় শিশুনিধন। তাঁদের কোন অপরাধ ছিল না, ছিল না কোন ব্যাপারে দায়বদ্ধতাও। বাইরে মুহুমুহু গোলা ও বোমার আওয়াজে প্রকম্পিত হয়েছিল স্কুলপ্রাঙ্গন। শিক্ষকরা প্রানপণ চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারেননি শিশুদের আর নিজেদের। যেন এক ‘মৃত্যুর সুনামি’ বয়ে গিয়েছিল স্কুলের বিভিন্ন প্রাঙ্গনে আর করিডোরগুলোতে। বিভৎস ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল নিস্পাপ কোমলমতি শিশু-দেহগুলো- যেন রক্ত গঙ্গায় স্নানরত অদ্ভূত নিথর সব দেহগুলো। 


ঘটনার দিনটি ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যুদ্ধ জয়ের ৪৪তম বার্ষিকী। একাত্তরের যে শত্রু দেশটির বিরুদ্ধে জয় পেয়ে স্বাধীন হয়েছিলাম, সেই দেশটিতেই ঘটে গেল মানবতার ইতিহাসে ভয়ংকর লজ্জাজনক, জঘন্যতম শিশুহত্যার মত একটি ঘটনা। কাপিয়ে দিল সারা বিশ্ব। ১৩০ জনের অধিক জীবন্ত নিস্পাপ শিশুকে চোখের পলকে হত্যা করা হলো। সেই সাথে পূর্ন হলো ধর্মান্ধ সারমেয়কূলের কিছু বেজম্মা পুরুষের স্বর্গলাভের অভিপ্রায়। একাত্তরে ধর্মের নামে পাকবাহিনীও ঠিক এভাবেই ঝাপিয়ে পড়েছিল নির্দোষ, অসহায়, নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপর। সেদিনও হত্যা করেছিল অসংখ্য নির্দোষ-নিস্পাপ শিশু-নারীপুরুষকে। বিজয়ের ৪৪ বছর পর হলেও এটাকে আমি কোনভাবেই ইতিহাসের অমোঘ প্রতিশোধ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারিনি। বিভিন্ন মিডিয়ায় নিস্পাপ, নিথর শিশুদের মরদেহগুলো যতবার দেখছি, ততবারই মনে হয়েছে-বিচ্ছিন্ন হলেও, ১৯৭১ ও ২০১৪-র ঘটনার দুটির মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। দুটোই ঘটেছিল ধর্মের নামে- পশুত্বের সর্বোচ্চ উন্মত্ততায়। আমি অবাক হই ভেবে, মানবশান্তির জন্য প্রেরিত ধর্মগুলোর মানুষেরা নিজেরাই আজ ফ্রাঙ্কেন্সটাইনের দানবের মত মানবহত্যায়ই উন্মত্ত। কেউ কি এই ধর্ম আর ধর্মান্ধতা কামনা করে!


কোন ধর্ম মানবশিশু হত্যাকে সমর্থন করে বলে শুনিনি। অথচ আমরা তা দেখছি অহরহ, প্রতিদিন, বিশ্বের কোথাও না কোথাও। কিন্তু কেন এই হত্যা, কে লাভবান হচ্ছে এই হত্যাযজ্ঞে-এ প্রশ্নের উত্তর হয়ত আপেক্ষিক অর্থে পাওয়া যেতে পারে। তবে সদোত্তর কোথাও নেই বা কেউ দেবেন বলেও আশা করতে পারি না। পাকিস্তানের এই লোমহর্ষক ঘটনার পরে আমরা দেখেছি খোদ বাংলাদেশে একাত্তরের গণহত্যাকারী দল  জামায়াতে ইসলামী ১৮ ডিসেম্বর শিশুহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী ও জামায়াতের দোসর খালেদা জিয়াও বলেছেন, “ধর্মের নামে এধরনের হামলা সমগ্র বিশ্বের বিবেকবান মানুষকে ব্যথিত করেছে।“ অথচ এই দুটি দলই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধর্মের নামে জেহাদ ঘোষনা করে বাংলাদেশকে একটা প্রায় মৌলবাদী আফগানিস্তান বানিয়েছিলো। জঙ্গীবাদের সূতিকাগার এই দলদুটির ‘ভুতের মুখে রাম নাম’ শুনে অবাকই হতে হয়।


বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুধু অতীত নয়, বর্তমানেও চলছে একধরনের ধর্মের নিরব ‘ছায়ানীতি’। বর্তমানের সেক্যুলার সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দেখে তা আরো স্পষ্ট হয়। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, বিশ্বের যতসব ইজম বা আদর্শভিত্তিক রাজনীতির ধারা চলমান ছিল, তা কি আজ বিলুপ্ত হয়ে গেল? পুজিবাদ আর সমাজতন্ত্রের বিলুপ্তিতে তৃতীয় একধরনের ইজম বা নীতি পৃথিবীতে আত্মপ্রকাশ ঘটবে বলে অনেক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিলো। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির আস্ফালন দেখে আপাতদৃষ্টিতে সেই তৃতীয় ইজমের কথাই স্মরন হয়। কিন্তু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবং রাষ্ট্রনীতি মানবজাতির কল্যানে কতটুকু সহায়ক হবে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা ভেবে গা শিউড়ে উঠবে যে কোন বিবেকবান মানুষেরই।


মাত্র গেল সপ্তাহে পাকিস্তানের মালালা বিজয়ীনী বেশে অসলো থেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার গ্রহন করলেন। এই শিশুটি বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়ে সেদিন বলেছিলেন, “এখনই কাজে নেমে পড়ার সময়, যাতে শেষবারের মত, হ্যা শেষবারের মত আমাদের একটি শিশুর শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার দৃশ্য দেখতে হয়। চলুন আমরা এমন এক প্রজন্ম হয়ে উঠি, যারা শেষবারের মত কোন শূন্য শ্রেনীকক্ষ, হারিয়ে যাওয়া শৈশব ও অপচয়িত সম্ভাবনা দেখবে।“ অথচ তাঁর এই বক্তব্যের রেশ বাতাসে মিলিয়ে যেতে না যেতেই আবারো শূন্য হলো শ্রেনীকক্ষ, হারিয়ে গেল শতাধিক শৈশব, অপচয় হলো অসংখ্য সম্ভাবনা।
তালেবান শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘ছাত্র’ বা শিক্ষানবিশ। আফগানিস্তানে পশতুন জাতিয়তাবাদি- ও সুন্নী ইসলামী আন্দোলনকে অনেকে তালেবান বলে থাকেন। 

তালেবান অর্থাৎ ছাত্র বলতে এক্ষেত্রে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকেই বোঝানো হয়, যারা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জেহাদী মনোভাবাপন্ন হয়। অসুন্নী যেকোন ভাবধারার বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ করে ইসলাম কায়েমের জন্য। আফগানিস্তানের মৌলবাদী তালেবানরা পাকিস্তানের সীমান্তে আফগান সরকার, ন্যাটো সেনাবাহিনী ও আন্তর্জাতিক ফোর্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আজ দীর্ঘদিন ধরে।  ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারে হামলা চালায় ১০ জন তালেবান জঙ্গী। সেখানে একজন ব্রিগেডিয়ার ও একজন লেফটেনেন্ট কর্নেল সহ ছয়জন সেনাসদস্য নিহত হন। ২০১১ সালের ২২ মে পিএনএস মেহরান ঘাটিতে তালেবান সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় যেখানে সেনাসদস্য সহ প্রায় ১৭ জন নিহত হন। প্রায় ১৬ ঘন্টার এই আক্রমনে করাচি নৌবাহিনীর ঘাটির একাংশ ধ্বংস হয়ে যায়। ২০১১ সালের মে মাসে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন হামলায় ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা চালিয়েছিল বলে তালেবানরা তখন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিল। ঠিক তার পরের বছর ২০১২ সালের ১৬ আগষ্ট মিনহজ নামের পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ বিমানঘাটিতে হামলা চালালে সৈন্যদের সাথে সংঘর্ষে একজন সেনা সহ আট জন জঙ্গী নিহত হয়। 

একই বছর ১৫ ডিসেম্বর তালেবান জঙ্গীদের দ্বারা আক্রান্ত হয় বাবা খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ১০ জন জঙ্গী, ২ জন পুলিশ ও তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়। ২০১৪ সালের ৮ জুন করাচি বিমানবন্দরে হামলা চালায় তালেবান জঙ্গীরা। সেনাবাহিনীর তালেবানদের বিরুদ্ধে আক্রমন চালালে প্রচন্ড সংঘর্ষে ১২ জনের মত জঙ্গী ছাড়াও অন্তত ২৮ জন নিহত হয়। গত নভেম্বরের ২ তারিখে ভারত-পাকিস্তানের ক্রসিং সীমান্তে তালেবান আত্মঘাতি বোমাবিস্ফরনে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাপে উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও খাইবার উপত্যকায় তালেবানদের নির্মূল করতে গিয়ে গ্রামের পর গ্রাম মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। প্রতিশোধ হিসেবে মাত্র ৬ জন  তালেবান জঙ্গী গত ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের সামরিক পাবলিক স্কুলের প্রায় ১৩০ জনের অধিক শিশুকে হত্যা করে। এভাবেই চলছে উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদের অপ্রতিরোধ্য লং মার্চ।


তালেবান শব্দটি একটি আন্দোলনের প্রতীকি নাম যা আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান হয়ে ভারত-বাংলাদেশেও খুটি গেড়েছে বেশ শক্তভাবে। তালেবান একটি আন্দোলনের নাম হওয়ায় বাংলাদেশের মাদ্রাসার ছাত্ররা আদর্শিকভাবে নিজেদের এক একজন জেহাদী তালেবান হিসেবেই গণ্য করেন এবং সেভাবেই নিজেকে গড়ে তোলেন। কোরান শিক্ষার পাশাপাশি এই তালেবানরা জাতিয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ধর্মগুরুর জেহাদী বই পড়ে থাকেন।  আফগানিস্তান বা পাকিস্তান ফেরত ভুরি ভুরি ‘তালেবান’ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচেতে আছেন, যারা সুযোগ পেলেই স্বমূর্তি ধারন করেন। ছাত্র ও জেহাদী অর্থে তালেবানদের সবচেয়ে বড় শো-ডাউনটি আমরা দেখেছিলাম ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে।  হেফাজতে ইসলাম নামের ভূইফোড় একটা মাদ্রাসাকেন্দ্রীক ‘তালেবান’ সংগঠনের নামে তাঁদের তাত্বিকগুরু আহমেদ শফির আদেশে তারা শাপলাচত্বরে জড়ো হয়েছিলেন সরকারকে গদি থেকে নামিয়ে ফেলার জন্য। কওমী মাদ্রাসার ‘তালেবানদের মূলত চালাচ্ছিল তখন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী এবং তাদের দোসর বিএনপি। এভাবেই তখন মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিল নাটের গুরুর। আফগানিস্তানের আদলে পাকিস্তানের তালেবানদের নাম হচ্ছে ‘তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। আর এদের আশ্রয় ও মদদদাতা হচ্ছে পাকিস্তান জামায়াত ইসলামী, যারা সেদেশের সংসদে দুইটি আসন দখল করে আছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্যরা অহরহই টিটিপির জঙ্গীদের পাকিস্তান জামায়াত ইসলামীর বিভিন্ন নেতার বাসা বা বাড়ী থেকে গ্রেফতার করছেন। 


পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংস্কৃতিটাই এমন যে, বিভিন্ন নামে ও বেনামে যে সব জঙ্গী মৌলবাদি সংগঠনগুলো রয়েছে, তারা সবাই-ই কোন এক সময় সরাসরি রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা অথবা সেদেশে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর দ্বারা সৃষ্টি। যে কারনে অনেকে টিপ্পনী কেটে এভাবেও বলে থাকেন যে, আইএসআই এর হাতের অস্তিনে লুকিয়ে রাখা কেউটে সাপ খোদ আইএসআইকেই আঘাত হানছে। জঙ্গীরা এবার শুধু নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় হাটে-ঘাটে-বাজারে পাখির মত সাধারন মানুষদের বোমা মেরে হত্যা করেছে। কিন্তু কখনোই এদের বিরুদ্ধে কোন দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। কারন একটাই- এদের একটা উদ্দেশ্যেই দেশের সেনাবাহিনী সৃষ্টি করেছিল এবং সেকারনে জঙ্গীদের এইসব খুন-হত্যাকে দেখেও না দেখার ভান করেছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার এই সব জঙ্গীদের মোটা টাকার বিনিময়ে অবসর জীবনে সামরিক প্রশিক্ষন দেয়ার কথাও আজ গোপন নয়। পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতের রাজনৈতিক অবস্থাকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেও একাধিকবার ব্যবহার হয়েছে এই বিভিন্ন নামধারী জঙ্গীদেরকে। কিন্তু সেই আগের কথায়ই ফিরে যেতে হয়-নিজেদের তৈরি ফ্রাঙ্কেন্সটাইনের আঘাত সামলাতেই পাকিস্তান এখন দিশেহারা। যে দৃষ্টিকোন থেকেই দেখা হোক না কেন, পাকিস্তানের ভয়াবহতা দেখলে চলমান যেকোন যুদ্ধের কথাই মনে করিয়ে দেয়।


জনাব শান্ত রহমান বাংলাদেশের একজন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়ার সামরিক কর্মকর্তা, যাকে আমি বড় ভাইয়ের মত শ্রদ্ধা করি। পাকিস্তান ঘটনার পরে তাঁর একটি মন্তব্য এখানে হুবহু তুলে দিচ্ছিঃ “আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের সরকার পাকিস্তানের মতই কিছু “ইসলামী-কার্ড” নিয়ে খেলছে। এর ভয়বহ ভবিষ্যত হয়তো অনেকেই বর্তমানে অনুধাবন করতে পারছেন না। তবে, নিজ গৃহের ছায়াতলে বেড়ে ওঠা এই কালসাপ যখন স্বমূর্তিতে আবির্ভাব হবে, তখন তা সামাল দেয়ার আগাম পরিকল্পনা কি আমাদের সরকার করে রেখেছেন? তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের ইসলামী দলগুলো, ইসলাম পছন্দ করা দলগুলো এবং বিভিন্ন পীর ও বেহেস্তের টিকেট বিক্রেতারা কি পেশোয়ারের এই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে কিছু বলেছে? নাকি এখনো হিসেব কষছে?


শান্ত রহমান ভাইয়ের দুটি মন্তব্যেই দুটি প্রশ্ন রয়েছে, যা আমারো। তোষামদের রাজনীতি সাময়িকভাবে হয়ত প্রশান্তি দেয়, কিন্তু দীর্ঘ রাস্তার শেষ প্রান্তে পৌছানের কোন নিশ্চয়তা দেয় না। রাজাকারদের ঘরে রেখে আর যাই হোক সুখের বাসর হয় না। জঙ্গীমৌলবাদ দমনে সরকার জনগনের সমর্থন চায়, অথচ তাঁরা নিজেরাই পোড়া মাটির গন্ধে বিভোর। সমর্থন চাওয়ার আগে বিজ্ঞানসম্মত ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। জঙ্গী দমনের নামে খালেদা জিয়াও রাজনীতি করেছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। এ ইতিহাস আমাদের অজানা নয়, তবুও আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে কার্পন্যবোধ করি। এই রীতিটা আজ অনেকটা জাতীয় সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস করা উচিত, “ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয়াটা একটা অপসংস্কৃতি। এই অপসংস্কৃতিকে পরিত্যাগ করা উচিত। তাতে জাতির এবং জনগণের মঙ্গলই হবে। 

সাব্বির খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলাম লেখক ও সাংবাদিক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ