প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
রেজা ঘটক | ২৫ জুন, ২০১৬
২৩ জুন ২০১৬ ব্ল্যাক ফ্রাইডে। এদিন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে গ্রেট বৃটেনের বেরিয়ে যাবার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ইইউ থেকে বের হবার জন্য ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে স্কটল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
ইংল্যান্ডের ৫৩.৪ শতাংশ ভোটার ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দিয়েছে, আর ৪৬.৬ শতাংশ ভোটার ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে। ওয়েলসের ৫২.৫ শতাংশ ভোটার ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দিয়েছে, আর ৪৭.৫ শতাংশ ভোটার ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের ৬২ শতাংশ ভোটার ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে, আর ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে মাত্র ৪২ শতাংশ স্কটিশ ভোটার ভোট দিয়েছে। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ৫৫.৮ শতাংশ ভোটার ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে, আর মাত্র ৪৪.২ শতাংশ ভোটার ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দিয়েছে। মোট ৫১.৯ শতাংশ ভোটার ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দিয়েছে, অন্যদিকে ৪৮.১ শতাংশ ভোটার ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটের হিসাবে এই পার্থক্য মাত্র ৩.৮ শতাংশ হলেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে আগামীতে।
ভৌগলিক মানচিত্র অনুযায়ী, গ্রেট বৃটেনকে যদি তিনটি দ্বীপ হিসাবে বিবেচনা করি, তাহলে দেখা যায় যে, মূল ভূখণ্ড ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ভোটাররা মূলত ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে অপর দুই দ্বীপের অধিবাসীরা স্কটিশ ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের নাগরিকরা ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে। মানচিত্র থেকে যে বিষয়টি খুবই ক্লিয়ার সেটি হলো, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ভোটাররা একক বৃটেনের পক্ষে একলা চলো নীতি গ্রহণ করেছে, যেখানে তাদের জাত্যভিমান একটা মূল ফ্যাক্টর। অপরদিকে স্কটিশ ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের নাগরিকরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সুযোগ সুবিধা পাবার জন্য ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের নাগরিকদের আসল ব্রিটিশ ধরলে, তাদের খবরদারি করার যে চিরায়ত মানসিকতা, সেটা স্কটিশ ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের নাগরিকদের চেয়ে অনেকটা কট্টর ডানপন্থী। এখন এর ফলাফল হতে পারে স্কটল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড গ্রেট বৃটেন থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য নতুন করে রেফারেন্ডাম করতে পারে। আসলে ব্রিটিশ নাগরিকরা এক ইউরোপ ইস্যুতে ব্রাসেলসের দিকে তাকিয়ে থাকার ভঙ্গীকে কোনোদিন সহজভাবে নেয়নি। যে কারণে দীর্ঘ ৪৩ বছর পরে হলেও তাদের সেই অন্তর্দাহ এখন সুস্পষ্ট হয়েছে। এক ইউরোপে বৃটেনের পরে খবরদারি করা অপর দুই বড় মোড়ল হলো ফ্রান্স ও জার্মানি। এখন ফ্রান্সও ইইউ তে থাকার প্রশ্নে রেফারেন্ডামের দিকেই যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৩ জুনকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে বলার অনেক কারণ আছে। আগামীতে বিশ্ব রাজনীতিতে গ্রেট বৃটেনের এই রেফারেন্ডাম নানান কিসিমের প্রভাব বিস্তার করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কটল্যান্ডে নিজের গলফ কোর্স দেখতে এসে শুক্রবারের গণভোটের এই ফলাফলকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, 'এটা একটা দারুণ ব্যাপার যে যুক্তরাজ্যের জনগণ তাদের 'নিজ দেশকে ফিরে পেয়েছে'। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ বলেছেন, 'এটা ব্রিটিশ জনগণের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার'। তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাক- এটাই ক্রেমলিন চাইছিল কিনা, এ নিয়ে তিনি অবশ্য কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ব্রিটিশ গণভোটে উঠে আসা জনগণের মতামতকে তিনি শ্রদ্ধা করেন এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমেরিকার যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে তা ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।
অন্যদিকে ইইউ থেকে ব্রিটেনের এই চলে যাবার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপ। ইইউ-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইইউ-এর প্রতিষ্ঠাকালীন ছয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবার এক জরুরী সভায় বসেছেন। তবে এই বৈঠকে ব্রিটেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমেইয়ার অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যেন ব্রিটেনের প্রতি কোন রিরূপ মনোভাব না রাখেন। ব্রিটেনের জনগণের সিদ্ধান্তকে আমাদের শ্রদ্ধা জানতে হবে। ব্রিটেন চলে যাওয়ায় আমরা দুঃখিত, কিন্তু এটা হতাশার সময় নয়, কারণ এখন সবাই মিলে ইউরোপকে একত্রিত রাখতে হবে।
২৩ জুনের গণভোটের রেজাল্টের পর যে কয়েকটি ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রভাব পড়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ব্রিটেনের মুদ্রা। একদিকে পাউন্ডের দাম কমেছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের সরকারি বন্ডগুলোও এখন সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাবার ফলাফল আসার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
২৩ জুন ব্রিটেনের গণভোটে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাবার পক্ষে রায় ইইউ'র নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের জন্যও এক বড় আঘাত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটাকে ব্রেক্সিট ভূমিকম্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তারা বলছেন, এখন শুধু ব্রিটেনের কি হবে তাই নয়, গোটা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভবিষ্যতের ওপরও এর কি প্রভাব পড়বে, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা। অন্যদিকে ইউরোপের ঐক্যের ধারণার যারা সমর্থক, তাদের জন্য এই ব্রেক্সিট হচ্ছে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আঘাত এবং এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।
ইউরোপের অন্যান্য সদস্য দেশ ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড এবং ডেনমার্ক-এর দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক নেতারা, যারা অভিবাসন এবং আরো নানা কারণে ইইউ'র বিরোধী, তারা এখন বলছেন যে, তারাও ব্রিটেনের মতো ইইউ ত্যাগ করার প্রশ্নে গণভোট চান। ফ্রান্সের উগ্র দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্ট নেতা মেরিন লা পেন বলেছেন, ফ্রান্সে এবং ইউরোপের অন্যত্র এখন গণভোট করার সময় হয়েছে। উদ্বেগ রয়েছে ইতালি, গ্রিসের মতো দেশগুলোকে নিয়েও। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতারা ব্রিটেনের ভোটারদের এই সিদ্ধান্তে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গণভোটের ফলাফলের পর ব্রাসেলসে এক জরুরী আলোচনা করেছেন ইউরোপের কাউন্সিল, ইউনিয়ন ও পার্লামেন্ট নেতারা ।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান জঁ ক্লদ ইউংকার বলেছেন, ব্রিটেন ইইউ'র ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে থাকবে। তবে ব্রিটেন যেন ইইউ ছেড়ে যাবার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করে, কারণ এতে যত দেরি করা হবে অনিশ্চয়তা ততই বাড়বে। জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, ইইউ'র এই সমস্যা সমাধান করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। তবে লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা অনুযায়ী ব্রিটেনের ইইউ ছেড়ে যাবার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়তো আরো দু'বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
মূলত মধ্যপ্রাচ্যে লিবিয়া ও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে বিপুল সংখ্যক আরববাসীর ইউরোপে গমন এবং জার্মানির এসব আরব অধিবাসীকে আশ্রয় দেবার কারণে গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়নে শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার প্রশ্নে বৃটেন ছিল বরাবর কট্টরপন্থী। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থ বিবেচনা করে বৃটেন বরাবরই শরণার্থী নেবার বিরোধী ছিলেন। কিন্তু ইইউ সদস্য হবার কারণে বৃটেনকে কিছু শরণার্থী নেবার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে। যা বৃটিশ জনগণ ভালোভাবে নেয়নি। অভিবাসী প্রশ্নে তাই বৃটেন কট্টরপন্থীদের মতামতকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। শুক্রবারের গণভোটের রায়ে অভিবাসী প্রশ্নে মূলত ব্রিটিশ জনগণের রায় আরো সুস্পষ্ট হলো।
'ইইউ লিভ ক্যাম্পেইন'-এর সবচেয়ে বড় স্লোগান ছিল ইইউ ছাড়লে সপ্তাহে ৩৫০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ বাঁচবে। এই পরিমাণ অর্থ এখন ইইউকে দিতে হচ্ছে বৃটেনের। যদি বৃটেন ইইউ থেকে বেড়িয়ে আসে তাহলে এই অর্থ স্বাস্থ্য-সেবা খাতে বরাদ্দ করা যাবে। বয়স্ক ভোটাররা এটাকে বিশ্বাস করেছেন। অন্যদিকে তরুণ ভোটাররা ইইউতে থাকার পক্ষে বেশি ভোট দিয়েছে। কিন্তু কট্টরপন্থী বয়স্ক ভোটারদের কাছে হেরে গেছে তরুণ ভোটাররা। এমনিতেই বয়স্ক মানুষের মধ্যে ভোট দেবার প্রবণতা সবসময় বেশি দেখা যায়। কিন্তু শুক্রবারের এই গণভোটে দেখা গেছে ৫৫ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যেই ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার সমর্থকের সংখ্যা বেশি। ৬৫ ঊর্ধ্ব ভোটারদের অন্তত প্রতি ৫ জনের ৩ জনই বলেছেন তারা ইইউ-তে থাকার বিপক্ষে।
শুক্রবারের বৃটেনের গণভোটের পর এখন যে আশংকাটি আরো তীব্র হচ্ছে সেটি হলো, এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্রমশ ভেঙ্গে যাবার দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। আর যদি তাই হয়, তাহলে ইউরোপে জার্মানি আবার একক পরাশক্তি হিসাবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। আর জার্মানি একক পরাশক্তি হবার অর্থ হলো আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ! মধ্যপ্রাচ্যের বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার পেছনে জার্মানির একটা গোপন মিশন অবশ্যই আছে। এখন ফ্রান্স ইইউ ত্যাগ করলে সেই খেলার ষোলকলা পূর্ণ হবে!
অন্যদিকে আগামী নভেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ডেমোক্র্যাটদের ৮ বছরের শাসনের অবসান হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে এবার। তার মানে ক্ষমতায় আসবে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি চরম ডানপন্থী। এর আগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আফগানিস্তান ও ইরাক আগ্রাসনের ইতিহাস সবার জানা। আর অক্টোবরে বৃটেনে নতুন প্রধানমন্ত্রী যিনি হবেন তিনিও হবেন মার্কিন মদদপুষ্ট আরেক চরম ডানপন্থী। লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনের নাম এখন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উচ্চারিত হচ্ছে, যিনি একজন চরম ডানপন্থী। ওদিকে ফ্রান্সে ক্রমশ চরম ডানপন্থীদের উত্থান দেখা যাচ্ছে। যদি ফ্রান্সও গণভোটের মাধ্যমে ইইউ থেকে বেরিয়ে আসে, তাহলে ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন উগ্র দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্ট নেতা মেরিন লা পেন।
এবার সমীকরণ হলো, একদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে চরম ডানপন্থী গ্রুপ। অপরদিকে জার্মানির নেতৃত্বে তুলনামূলক উদারপন্থী গ্রুপ। মাঝখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই খেলাটাকে বেশ উপভোগ করছেন। কারণ দীর্ঘদিনের মার্কিন আধিপত্যকে সিরিয়া যুদ্ধে পুতিন অনেকটা ব্যাল্যান্স করতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যদি সত্যি সত্যিই লেগে যায়, তাহলে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কিন্তু আবারো জার্মানি। আর সেই যুদ্ধটা শুরুও হবে ইউরোপ থেকে।
আগের দুটো বিশ্বযুদ্ধও ইউরোপ থেকেই শুরু হয়েছিল। যে কারণে শুক্রবারের বৃটেনের রেফারেন্ডাম হতে যাচ্ছে এই শতাব্দীর ব্ল্যাক ফ্রাইডে। চলতি বছরের শেষের দিকে এই সম্ভাবনা ক্রমশ আরো তীব্র হবে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য