আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Advertise

মানসিক স্বাস্থ্য: সংকোচ নয়, সচেতনতা জরুরি

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ  

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৪৫ কোটি জনগণ মানসিক রোগে আক্রান্ত। কিন্তু এর বাইরে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী দৈনন্দিন বিভিন্ন ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় জর্জরিত যেবিষয়টি ঠিক রোগের পর্যায়ে পড়েনা। আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম নয়।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, ঢাকা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর শতকরা ১৬ ভাগ ও শিশু-কিশোরদের শতকরা ১৮ ভাগ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। বিপুল এ জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশ অনেক সময় প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা, কুসংস্কার ও চিকিৎসা প্রাপ্তির তথ্যের অভাবে সময়মত চিকিৎসা সেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এতে জনগণের কর্মক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে বড় বাধা।

প্রতিবছরের মত এবারও ১০ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনায় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্য’। এ বছর এ দিবসের প্রতিপাদ্যে মানসিক স্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মর্যাদাবোধ সমুন্নত করা এবং মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সকল ক্ষেত্রে মর্যাদা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য, মানসিক রোগ ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার দূর করা ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব মেন্টাল হেলথ কর্তৃক ১৯৯২ সাল থেকে ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের সূচনা হয়।

মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার। এর অন্যতম কারণ মানসিক স্বাস্থ্য, রোগ ও এর চিকিৎসার প্রতি জনগণের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। মানসিক রোগ ও এর চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমাজে মর্যাদাবোধের অভাব লক্ষ্য করা যায়। এজন্য অনেকে মানসিক রোগের চিকিৎসা নেয়াকে সামাজিকভাবে লজ্জাকর মনে করেন যেটি শারীরিক রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। কিন্তু সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও অনেকসময় রোগী ও পরিবারের সদস্যগণ খারাপ আচরণের শিকার হন। এজন্য পারষ্পরিক শ্রদ্বাবোধ বজায় রাখা জরুরি।

মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ  বিষয়টি  শুধুমাত্র রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও নিরাময় প্রক্রিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর অর্থ ব্যাপক। মানসিক রোগীর ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও বিশেষক্ষেত্রে ব্যতীত জোরপূর্বক আটকে রাখা মর্যাদাহানিকর। নিম্নমানের সেবা, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়া এসব বিষয় মর্যাদার সাথে জড়িত। এ বিষয়টি খেয়াল করে মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্রুত রোগ নির্ণয় করে তাকে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। কারণ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির মতো আমাদের দেশেও দুই-তৃতীয়াংশ মানসিক রোগী চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত।

পরিহাসের বিষয়, উন্নত দেশের অবস্থা এর চেয়ে বেশি ভাল নয়। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ৫০-৬০ ভাগ সিজোফ্রেনিয়া রোগী চিকিৎসা সেবা পায়না। এর প্রধান কারণ মানসিক রোগ চিকিৎসায় জনগণের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের জন্য সহজে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে  মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, মনোবিদ ও অন্যান্য সহায়ক পেশাজীবী ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর ব্যক্তিগত চাহিদা ও তার ইচ্ছা অনিচ্ছাকে সম্মান প্রদান ও ব্যক্তিমর্যাদাকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে।

বর্তমানে মানসিক রোগ চিকিৎসায়  Person Centred Care- এর উপর বেশী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যেখানে চিকিৎসা সেবা ব্যক্তির প্রয়োজন অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। রোগের নিরাময় ধারণাটিও নতুনভাবে এসেছে যেখানে রোগের উপশম হওয়ার পর ব্যক্তি আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদার সাথে জীবনযাপন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারবে। মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ও তার পরিবারের মানবাধিকার সুরক্ষার আইনগত ভিত্তি মানসিক স্বাস্থ্য আইন প্রণয়ন (যা প্রক্রিয়াধীন) ও বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।

মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চাকুরী, শিক্ষাসহ সকল অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক আইনের (Convention on the Rights of the Persons with Disability) সাথে মিল রেখে হতে হবে। কারণ অনেকসময় মানসিক রোগের কারণে সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদী প্রতিবন্ধিতা হতে পারে। সহজে ও দ্রুত চিকিৎসাযোগ্য মানসিক রোগে  (যেমন বিষণ্ণতা) আক্রান্ত হওয়ার পর চাকুরী হারানোর খবর প্রায়ই শোনা যায়। মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ তৈরি মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ ও জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য জনসচেতনতা বিশেষত স্কুল, কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক  সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন ও এ বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন।

মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ নির্ণয় করে দ্রুত চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে আসতে পারলে তাদেরকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা সম্ভব।  মানসিক স্বাস্থ্যকে বাদ দিয়ে ও মানসিক রোগকে অবহেলা করে জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়ন অসম্ভব। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, কুসংস্কার ও অসচেতনতা। সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা ও সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা। আর মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ সমুন্নত করা ছাড়া সবই অর্থহীন।

মানসিক রোগ বা এর চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে এ দেশের সাধারণ মানুষের ধারণা এখনো সুস্পষ্ট নয়। প্রকৃত অর্থে মানসিক রোগ অন্যান্য শারীরিক রোগের মতো-ই এক ধরনের অসুস্থতা। প্রাচীন কালে মানসিক সমস্যা সমূহে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ‘পাগল’ বলা হলেও বর্তমানে বিজ্ঞানের আশীর্বাদে যে কোন মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা করা সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যতো বেশি সম্ভব প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করার জন্য জাতিসংঘের সনদের আওতায় বিশেষজ্ঞ সংস্থা হিসেবে অবিরাম কাজ করছে। মানুষের স্বাস্থ্যের সকল দিকের সাথে সম্পর্কিত যেমন পুষ্টি, মা, ও শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা, পরিবেশগত নিরাপত্তা, মানসিক রোগ সমূহের নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ব্যবস্থা, দুর্ঘটনা রোধ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ক্ষেত্রের গবেষণা এবং উন্নয়নে সমন্বয় ও সহায়তা করছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপ অনুযায়ী, যে কোন দেশে গুরুতর মানসিক রোগীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশ এবং লঘু মানসিক রোগীর সংখ্যা শতকরা প্রায় ১০ শতাংশ। এই সংক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ও স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকা তাদের অধিকার। আধুনিক বিশ্বে সাইক্রিয়াট্রির বিভিন্ন ধরণের নিত্য নতুন শাখা বা ক্ষেত্র আবিষ্কার হচ্ছে। অপরদিকে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সমান্তরালে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেয়ার প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদকাসক্তি, নারী ও শিশু নির্যাতন, দারিদ্র, বেকারত্ব, প্রভৃতি কারণে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ চাপের সঞ্চার হয়। বিভিন্ন অর্থ-সামাজিক ও শারীরিক কারণে প্রবীণদের মাঝে মানসিক অসুস্থতার প্রবণতা অন্য বয়সের তুলনায় বেশি বলে এক জরিপে দেখা গেছে। এসব সমস্যা উন্নত বিশ্বের চাইতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ সমূহে প্রকট। এর প্রধান কারণ হলো ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং পাশ্চাত্য অপ-সংস্কৃতির প্রভাব। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে এর বিস্তৃতি আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

এমতাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা ও মানসিক রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন যাপনে এগিয়ে নিয়ে আসা বিশ্ব সমাজের কর্তব্য আর এই প্রতিশ্রুতির আলোকেই গণসচেতনতা সৃষ্টি করছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও মানসিক রোগীর স্বাস্থ্য সংরক্ষণে সদা সচেষ্ট। বাংলাদেশও মনে করে মানসিক স্বাস্থ্য সঠিক স্বাস্থ্যরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব না দিয়ে দেশের মূল স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক তথা সঠিক উন্নয়ন আদৌ সম্ভব নয়। কারণ মানসিক ভাবে  অসুস্থ ব্যক্তির কর্মক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। পারিবারিক দায়িত্ববোধ ও সন্তান লালন পালনে তারা অনেক ক্ষেত্রেই অসুবিধার সম্মুখীন হন। মানসিক রোগীরা সাধারণত পরিবার, বন্ধু বা রাষ্ট্রের উপর বিভিন্ন ভাবে নির্ভরশীল।

বিশ্বব্যাংকের ১৯৯৩ সালের এক রিপোর্টের আলোকে জানা যায়, মানসিক, স্নায়ুবিক ও আচরণগত সমস্যার কারণে মানুষের কর্মক্ষম জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট হয়। দক্ষিণ ও  দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য সুবিধা অনেক সীমিত। বাংলাদেশের মানসিক বিশেষজ্ঞের সংখ্যাও অপ্রতুল।

২০০০ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিলো তৎকালীন প্রেক্ষাপটে প্রতি ১৯ লাখ মানুষের জন্য বাংলাদেশে রয়েছেন মাত্র ১ জন সাইক্রিয়াট্রিস্ট বা মানসিক রোগীর ডাক্তার। জনগণের সামাজিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শেরেবাংলা নগরে গড়ে তোলা হয়েছে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। তাছাড়াও ঢাকার তেজগাঁয়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাস্তবিক রূপে এগুলোর কার্যক্রম কতোটা ফলপ্রসূ?

সরকারি পরিচালনায় এসকল প্রতিষ্ঠানের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা এমন অনেকের অভিযোগ এসব কেন্দ্রের প্রতি রয়েছে। তাদের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে যারা এসব কেন্দ্রে সুচিকিৎসা পাওয়ার আশায় আসেন তাদের অধিকাংশই বিবিধ বিড়ম্বনার শিকার হন। এসব কেন্দ্রে সুচিকিৎসার কোন লক্ষণ তো নেই-ই বরং এসব জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দালালদের এক ধরণের সিন্ডিকেট, যারা অসহায় রোগী বা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে যে ভাবেই হোক টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। এই বিষয়গুলো বারংবার পত্রিকার মাধ্যমে আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের নিতান্ত-ই দুর্ভাগ্য কতো সরকার আসে-যায়, কতো কিছুর পরিবর্তন বা পরিবর্ধন হয়, কিন্তু এসব বিষয়গুলো সব সরকারের কাছেই দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আরেকটি বিষয় হলো প্রাইভেট ক্লিনিক।

যেহেতু আমাদের দেশে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ডাক্তারের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল সেহেতু নিজস্ব ক্লিনিক খুলে এসব ডাক্তারদের অনেকেই অবতারণা করেছেন সেবার নামে প্রতারণার জাল। এর সাথে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু ওষুধ কোম্পানি। মানসিক রোগের চিকিৎসায় এখন এমন কিছু ওষুধ রোগীদের সেবন করানো হয়, যেগুলো পরবর্তীতে রোগীকে নেশাগ্রস্ত করে তুলতে পারে। ওষুধ কোম্পানিগুলোর নানাবিধ প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে ডাক্তাররা এই ধরণের ওষুধ সেবনে রোগীদের বাধ্য করেন।

অন্যদিকে, বেসরকারি প্রাইভেট ক্লিনিক সমূহের ব্যয়-ভার এ দেশের নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত লোকদের নাগালের বাইরে। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে-ই পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাওয়া থেকে নানা ভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই বিষয়গুলোর প্রতি সরকার যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে মানসিক রোগ কোন ভয়ঙ্কর রূপ লাভ করতে পারবে না। মানসিক রোগীকে দূরে ঠেলে না দিয়ে, তার বা তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়াটা-ই এখন সময়ের দাবি। আর এ লক্ষ্যে প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস।

আমাদের অঙ্গীকার বদ্ধ হতে হবে, মানবাধিকার সমুন্নত রেখে, সৃজনশীল সমাজ গঠনের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর ও নির্মল পৃথিবী উপহার দেয়া। আর এই ব্রত পালনের মাধ্যমেই উপলব্ধি করা যাবে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালনের মূল উপাত্ত!

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ