আজ মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

পরিবহন বাণিজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাণিজ্যের তফাৎ

আজমিনা আফরিন তোড়া  

সিলেট; বাংলাদেশে বৃষ্টির রাজধানী শহর। সকাল নেই, বিকেল নেই, বলা-কওয়া নেই, কারো অনুমতি নেয়ার বালাই নেই, মন চাইলো অমনি ঝুপ করে নেমে পড়ল। যতক্ষণ খুশি একশা করে ভিজিয়ে দিয়ে আবার রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ। হয়তো আপনি দেশের কোন প্রান্ত থেকে গিয়ে মাত্র সিলেটে পা রেখেছেন, বিন্দুমাত্র টের পাবেন না ১৫ মিনিট আগে ঝুম বৃষ্টি হয়ে গেছে।

রহস্য ধরে রাখার জন্য এই ক্ষণিক বৃষ্টিই আবার হঠাৎ হঠাৎ নিয়ম বদলে ফেলে। সারাদিন অঝোর ধারায় পড়া যাকে বলে। ঘরে যারা থাকে তাদের তো ইলিশ খিচুড়িতে সোনায় সোহাগা, কিন্তু ঘর থেকে বাইরে যাদের না গেলেই নয় বিপত্তিটা তাদের ব্যক্তিগত!

ঘরে বসে এই বিরতিহীন ধারা দেখতে ভালই লাগে। কিন্তু নতুন একটা শহর, যেখানকার আপনি কিছুই চেনেন না, সেখানে যদি আপনাকে বৃষ্টিতে একলা ছেড়ে দেয় হয় নির্ঘাত বিপদে পড়ে যাবেন। গাড়ি-ঘোড়া কিছুই পাবেন না, তার উপর কোনো এক অদ্ভুত কারণে দেখবেন যানজট ছাড়ছে না সামনে। রাস্তায় প্রয়োজনীয় গাড়ি নেই, অথচ এই যানজটটা আসে কোথা থেকে, কে জানে!

সম্প্রতি শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হল। কড়া নিরাপত্তার কমতি হয়নি বৈরি আবহাওয়াতেও। আমি নিজে ভর্তি পরীক্ষার দিন সিলেটে উপস্থিত ছিলাম না। কিন্তু সিলেটের সাথে দীর্ঘ ৬ বছরের আত্মার সম্পর্কের অধিকারে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সেখানে যা ঘটে গেল, তা নিয়ে দুই-তিনটা কথা না বললেই নয়!

১.
শুরুটা করি ২০১৮ সালের ভর্তি পরীক্ষার দিনের কথা বলে। সকাল সাড়ে নয়টায় পরীক্ষা শুরু। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দেখলাম আম্বরখানা থেকে ভার্সিটির পেছনে তেমুখি পর্যন্ত সিএনজির লম্বা লাইন। এই লাইনের ভেতরে বা পাশে হাঁটার জায়গাটাও নেই। এবং কোন গাড়ি নড়াচড়া করছে না। সব মূর্তি হয়ে বসে আছে। আকাশ অন্ধকার, বৃষ্টি থামার নামগন্ধ নেই। সময় গড়াচ্ছে, পরীক্ষার সময় এগুচ্ছে। তখনও প্রচণ্ড জ্যাম রাস্তায়। কিন্তু গাড়ি একটু একটু করে নড়তে শুরু করেছে। তখন অবাক হয়ে খেলায় করলাম পরীক্ষার্থীরা রাস্তায় ভিড় করে আছে কিন্তু যাতায়াতের জন্য কোন গাড়ি পাচ্ছে না। তারা দিকভ্রান্তের মত ছোটাছুটি করছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। ঘটনা বোঝার জন্য এগিয়ে যেতেই বুঝি কোন সিএনজি ড্রাইভার রিজার্ভ ছাড়া যেতে চাইছে না। রিজার্ভ তো রিজার্ভ, তাও আবার চাইছে আকাশচুম্বী ভাড়া। তিনগুণ, চারগুণ বেশি। যেন হুশ হারিয়ে নেশায় মাতাল হয়ে একেকজন ভাড়া হাঁকাচ্ছে! ৫ টাকা ১০ টাকার লোকাল ভাড়াই হাঁকাচ্ছে ৫০০ টাকা রিজার্ভ। ভাবা যায়? কিন্তু পরীক্ষার্থীরা জিম্মি। তাদের কিছু করার নেই, নতুন শহরে তারা অনেকে একাই এসেছে। তারা সঠিক জানেও না কতটা দূরত্ব যেতে হবে এই সিএনজি বা রিকশায় চেপে। কিছু পরীক্ষার্থী কান্নাকাটি শুরু করল রাস্তায়। ৯.৩০ বেজে যাচ্ছে প্রায়, এত দূরে এসেও পরীক্ষাটা বুঝি আর দেয়া হল না!

দেখলাম শাবির কিছু সাধারণ ছাত্র এগিয়ে এল। সিএনজি ড্রাইভারদের এক রকম বাধ্য করে রিজার্ভড সিএনজিতেই অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে লাগল। এ ছিল শাবিপ্রবির মূল ফটক আর তার কাছাকাছি এলাকাগুলোর দৃশ্য। কিন্তু শাবিপ্রবি থেকে দূরে যেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো ছিল, সেগুলোতেও পরিবহন শ্রমিকদের একই চিত্র থাকলেও সেখানে শাবিপ্রবির ছাত্ররা উপস্থিত ছিল না। ফলে ওই সকল এলাকায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধা করে দিতে পারেনি কেউ। পরবর্তীতে অনেক গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে ওই সকল এলাকার কেন্দ্রগুলোতে নির্ধারিত সময়ের পরে পৌঁছানোর কারণে অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করতে পারেনি। সম্ভাবনাময় অনেক মেধাকে শাবিপ্রবি সেইবার মূল্যায়ন করার সুযোগই পায় নি।

প্রবাদে বলে, বাঙালির নাকি চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। মানে চোর ঘর সাফ করে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পরে গেরস্থের মাথায় আসে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করলে এই চুরির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেত!

গত বছরের শিক্ষা শাবিপ্রবি প্রশাসন খুব গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছে। বিচার বিশ্লেষণ করে কিছু ভাল উদ্যোগও তাই নেয়া হয়েছিল এবার।

এর মধ্যে সবথেকে সময়োপযোগী উদ্যোগটি ছিল, যে কোন পরীক্ষার্থী যদি সময়ের মধ্যে নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারে তাহলে নিকটস্থ যে কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সে নিজের পরীক্ষাটি দিতে পারবে। তার জন্য আলাদা সংরক্ষিত আসন, প্রশ্ন ও উত্তরপত্র বরাদ্দ থাকবে। আশা করি এবছর নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে না পারার জন্য কোনো মেধাবীকে শাবি হারাচ্ছে না। অন্তত সবার মেধাকে মূল্যায়ন করার একটা সুযোগ নিশ্চিত করা গেছে।

দ্বিতীয় উদ্যোগটি ছিল পরিবহন শ্রমিকদের হেনস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের সহযোগিতায় বাস, মোটর সাইকেল সার্ভিস। এই মোটর সাইকেলে শাবিপ্রবির ছাত্ররা (সঠিক জানা নেই সবাই শাবিপ্রবির ছাত্র কিনা) রাস্তা পাহারা দেয় যাতে গণপরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীদের রিজার্ভ-এ নিয়ে যেতে না পারে। ভালো উদ্যোগ। এরা অনেক ছাত্রছাত্রীদের দূর দূরান্তে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেও দেয়। মহৎ হৃদয় না থাকলে বৃষ্টিতে ভিজে এই কাজ মানুষ করে?

২.
এবার আসি এবারের সব থেকে আলোচিত বিষয় নিয়ে। শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার পরেরদিনই ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। এই সুযোগে শাবিপ্রবির কিছু 'তরুণ উদ্যোক্তা' ভবিষ্যতে সফল ব্যবসা করে বহুজাতিক কোম্পানির মালিক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পরিবহন ব্যবসায় নিজেদের নাম লেখায়। যেই ছাত্রকে ১০টা সিএনজি একসাথে নিয়ে আসতে বললেই গণ্ডগোল বাঁধিয়ে ফেলবে সেই কিনা একাই ২০/২৫টা বাস রিজার্ভ করে নিয়ে আসার দায়িত্ব নেয়। এভাবে তারা ভাই-ব্রাদার-বন্ধু মিলে ৮/৯ জন নাকি প্রায় ১০০ বাস ভাড়া করে এবং মোটে এই ৮/৯ জনই এই বাসগুলো এবং বাসের সকল যাত্রী তদারকির ব্যবস্থা করে। সিলেটে শহরের মধ্যেই পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের অব্যবস্থাপনার শেষ নেই, তার মধ্যে ৮/৯ জনের তদারকিতে এই ১০০ বাস নাকি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যাবে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম!

গোদের উপর বিষ ফোঁড়া বুঝি একেই বলে। মানুষ রোবট না যে একাই ২৫ বাসের প্রায় হাজারের কাছাকাছি যাত্রী সামলাবে। এই দুর্ভাবনার থেকেও বেশি ক্ষতি করে ফেলে ঐ ৮/৯ জন অতি উৎসাহী শাবি ছাত্র। হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়া অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়। কোনো কোনো বাস রাস্তার মাঝখানে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে, কোন কোন বাসের চালক মাঝরাস্তায় গোসসা, মানে অভিমান করে বলে বসে, বাস আর যাবে না। অথচ যাত্রীরা তখন কেবল ফেনীতে। ফলাফল- প্রশাসনসহ হাজার-হাজার অভিভাবক এমনকি শাবিপ্রবির ছাত্র, (যারা কিনা ওই 'উদ্যোক্তা'দেরই বন্ধু বা ভাই) তাদের হন্যে হয়ে খুঁজছে। পেলে হয়তো হাড়মাংশ এক করে দেবে!

মোদ্দাকথা :
আমার ১ম কথা, এইসব কিশোর-কিশোরী, যারা হয়তোবা প্রথমবারের মত বাড়ির বাইরে এসেছে, তাও আবার একা, এরা কী করে বুঝবে যে কিছু সংখ্যক মিনিবাস তাদেরই সহায়তা করার জন্য শহরের রাস্তায় নামানো হয়েছে? শাবিপ্রবির নিজস্ব যেই বাসগুলো আছে সেগুলো অনেক আগে থেকেই ভর্তি পরীক্ষার দিন এই একই সেবা দিয়ে আসছে শহরের বিভিন্ন রুটে। এমনকি আমি যেদিন ৭ বছর আগে শাবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু হয়ে সিলেট এসেছিলাম সেদিনও ঐ বাসগুলো শহরে চলছিল। কিন্তু ভীত কিশোরী আমি ভেবেই বসেছিলাম যে ঐ বাসগুলো আর যাদের জন্যই হোক, ওতে অন্তত আমার ওঠার অনুমতি নেই! এই সেবার যতই প্রচার করা হোক না কেন, আমি ধরেই নিচ্ছি সদ্য এইচএসসি পাশ করা, শহরতলি থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এই বাসে ওঠার আগে দশবার ভাববে। অবশ্য বিজ্ঞজনেরা আমার সাথে দ্বিমত করতে পারেন এই বলে যে ৭ বছর আগের আমার সাথে ৭ বছরের পরের এই প্রজন্মের ঘোর তফাৎ আছে!

২য় কথা হল, মোটরসাইকেল বাহিনী আর ট্রাফিক পুলিশ মিলে যে অসাধারণ কাজটি নিষ্ঠার সাথে সফল করল, সেই কাজটা তো প্রশাসন অনায়াসেই স্বল্প শ্রমেই সাধন করতে পারত। হেলমেট বাহিনীর (দয়া করে অন্য মানে করবেন না, বিজ্ঞজন জেনে থাকবেন হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো দণ্ডনীয় অপরাধ) যে কাজটা পরিবহন শ্রমিকদের ধমক দিয়ে করিয়ে নিতে হল, সেই কাজটাই কি মোটর শ্রমিক মালিক সমিতির সাথে পরীক্ষার আগেই একটা চুক্তির মাধ্যমে করে ফেলা যেত না, যাতে তারা বেশি ভাড়া আদায় না করে। বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আসলে তাদের লাইসেন্স বাতিল বা গাড়ি জব্দ করে রেখে দেয়ার মত সাধারণ শাস্তি কি ঘোষণা করা যেত না?

অস্বীকার করছি না, যে ছাত্ররা ট্রাফিক পুলিশের সাথে মিলে বাহবা দেয়ার মত একটা কাজ করেছে। কিন্তু দায়িত্বটা তো ছিল প্রশাসনের। যেহেতু তারা আগেও একই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে এই ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে। আমাদের জাতিগত স্বভাব হল, যার দায়িত্ব, সে পালন না করে যদি অন্য কেউ পালন করে, তাহলে আমরা বাহবা দেই। কিন্তু যার মূলত দায়িত্বটা ছিল তার থেকে জবাবদিহি নিতে ভুলে যাই। এই ধরুন না বন্যার কথা। প্রতিবছর দেশে বন্যা আসে। ত্রাণের জন্য প্রশাসন স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবু ত্রাণ কম পড়ে। দুর্নীতি হয় বলে ত্রাণ সংকট হয়। এদিকে সাধারণ লোকে নিজের পয়সা খরচ করে ত্রাণ দিয়ে বাহবা নেয়, তা নিক। কিন্তু বরাদ্দ ত্রাণটা কোথায় গেল সেই খবর নিতে ভুলে যায়। সব থেকে ভয়ের ব্যাপার হলো কিছু ছাত্র গতকালের পর থেকে গর্ব করে বলছে তারা রাস্তায় গুণ্ডামি করেছে। মানছি তাদের জন্য অসংখ্য ছাত্রছাত্রী উপকৃত হয়েছে। কিন্তু সত্যিই যদি তারা বৃহত্তর স্বার্থে 'গুণ্ডামি' করে থাকে, তবে তো গুণ্ডামিকেই বৈধতা দেয়া হয়ে গেল। যেভাবে এই দেশে আইন বহির্ভূত অনেক বিষয়ই বৈধতা পেয়ে গেছে।

৩য় কথা, শাবিপ্রবির পরীক্ষার পরের দিনই পরীক্ষা ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রছাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ ছিল সিলেট-চট্টগ্রাম রুটের বাসের উপর। কোথাও কেউ টিকেট পাচ্ছিলো না। এমতাবস্থায় যেই ছেলেগুলোর ভুল উদ্যোগের ফলে এতগুলো নিরপরাধ পরীক্ষার্থী জিম্মি হল, এই ছাত্ররাই যদি আরও অধিক সংখ্যক ছাত্র বা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোক কাজে লাগাত, এটা একটা দারুণ উদ্যোগ হতে পারত। ৮/৯ জনের জায়গায় যদি ১০০ বাসের পেছনে অন্তত ১০০ জন লোক রাখা যেত তদারকিতে, একদিনে ব্যবসা করে যদি দুইহাত ভরা টাকা কামানো তাদের উদ্দেশ্য না হতো, তবে আজ হয়তো শাবিপ্রবি প্রশাসন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা শাস্তির কথা না বলে তাদের ভূয়সী প্রশংসা করত!

সবাই শাস্তির কথা বলছে। কিন্তু কেউ একবারের জন্য আওয়াজ তুলছে না, এত অব্যবস্থাপনা সব ঘুরেঘুরে ভিন্নভিন্ন জেলায় পরীক্ষা দেয়ার কারণে। অসম্ভব হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজগুলো একই দিনে জেলায় জেলায় পরীক্ষা নিতে পারতো না, পিএসসি বিভাগে-বিভাগে একই প্রশ্নে বিসিএস পরীক্ষা নিতে পারতো না। এইসমস্ত জায়গায় তো প্রশ্নফাঁস কিংবা ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ প্রায় বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষালয় যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, সেগুলো কেনো এখনও সমন্বিত পরীক্ষা নেয়ার সাহস পাচ্ছে না?

সব খোঁড়া যুক্তির পেছনের আসল যুক্তিটা হল ভর্তি বাণিজ্য। মানে টাকা-পয়সার ভাগ বাটোয়ারা।

ওই ৭/৮ জন শাবি শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে পরিবহন বাণিজ্য করার দায়ে শাস্তি দেয়ার আগে শাবিকে এবং বাকি সকলকেই ভাবতে হবে, জিম্মি করে পরিবহন বাণিজ্য আর জিম্মি করে ভর্তি বাণিজ্যের তফাৎ ঠিক কতখানি!

আমার মতে তফাৎটুকু হল, জিম্মি করে পরিবহন বাণিজ্য মোটরশ্রমিক মালিকপক্ষ করলে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, শিক্ষার্থীরা করলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা যায়। কিন্তু জিম্মি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাণিজ্য কিছুতেই বন্ধ করা যায় না। সম্ভবত স্বয়ং রাষ্ট্রপতি, আচার্য মহোদয়ও পারেন না।

দ্রষ্টব্য: সাধারণ পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বাণিজ্য করা ছাত্রদের পক্ষে সাফাই গেয়ে এই লেখা নয়। ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে বলার জন্য এই লেখা।

আজমিনা আফরিন তোড়া, সাবেক শিক্ষার্থী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ