আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

পথে পথে গণহত্যা: জীবনের নিরাপত্তায় জাতীয় সংলাপ

রণেশ মৈত্র  

গত ১২ নভেম্বর শেষ রাতের দিকে, মানুষ যখন গভীরভাবে নিদ্রামগ্ন, তখন, রাত প্রায় পৌনে তিনটার দিকে, সাম্প্রতিককালের ভয়াবহতম রেল দুর্ঘটনা ঘটে গেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়। বিকট শব্দে যখন দুর্ঘটনাটি ঘটে, নিদ্রিত, অধঃ-নিদ্রিত বা ঢুলু ঢুলু চোখে যাত্রীরা আতংকে কেঁপে উঠলেন আর সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা বোমার শব্দ মনে করে ঘুম ভেঙ্গে নানা দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েন।

দুর্ঘটনাটি ঘটে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা-নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির মধ্যে। এর ফলে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে সকল প্রকার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির সীমা ছিল না।

অপরপক্ষে এই নিবন্ধে লেখা পর্যন্ত ১৬ জন যাত্রী নিহত এবং শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন বলে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে। গুরুতর আহতদেরকে ইতোমধ্যেই সি এম এইচে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা সহ নানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিহত ১৬ জন হলে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাজারগাঁও এর আবদুল জলিলের ছেলে মজিবর রহমান (৫৫), একই জেলার মইনুদ্দিনের স্ত্রী কাকলী বেগম (৩২), হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বুল্লা গ্রামের ইয়ছির আরাফাত (১২), হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার তীরের গাঁও এর মৃত আবদুল হাশেমের ছেলে সুজন আহমেদ (২৪), হবিগঞ্জ জেলাপর গোয়াইন ঘাটের রিপন মিয়া (২২), অজ্ঞাত নামা মহিলা (৪০), মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুরের মুসলিম মিয়ার স্ত্রী জাহেদা খাতুন (৩০), চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাজার গাঁওয়ের মুজিবুর রহমানের স্ত্রী কুলসুম বেগম (৩০), হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মদন মোড়ক গ্রামের আইউব হোসেনের ছেলে মো. আল আমিন (৩০), হবিগঞ্জ জেলার পৌর এলাকার আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২), চাঁদপুর জেলার বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী ফারজানা বেগম (৪১), বানিয়াচং উপজেলার সোহেল মিয়ার কন্যা আদিবা (২), হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট এলাকার আবদুস সালামের স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৪৮), নোয়াখালী জেলার মাইজদির শংকর হরিজনের ছেলে রনি হরিজন (৩৫), হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজার এলাকার সোহেল মিয়ার শিশুকন্যা সোহা মনি (৪) ও চাঁদপুর জেলার জাহাঙ্গীরের কন্যা মরিয়ম বেগম (৪)।

দেখা যাচ্ছে, যারা নিহত হলেন, তাঁদের বেশীর ভাগের বয়স ২০ থেকে ৩২ এর মধ্যে এবং তার নীচে কয়েকটি শিশুর। এদের সারাটি জীবন সামনেই পড়ে ছিল নতুন নতুন সম্ভাবনার। শিশুদের ছিল ভবিষ্যতের উজ্জ্বল স্বপ্নময় অগুনতি দিন। সবই হারিয়ে গেল অজানা মরণপথে- যেন ভয়ংকর এক দুর্যোগ মুহূর্তেই নেমে এসেছিল ট্রেন দুটির যাত্রী সাধারণের জীবনে। থেমে গেল অনেকের গতি, জীবনের ছন্দ, ভবিষ্যতের কর্তব্য পালন এবং আরও কত কি!
আহত হয়ে যারা দেহের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারাবেন, দুঃখময়, কষ্টময়, যন্ত্রণাময় জীবন তাঁদের সকলকেই বয়ে বেড়াতে হবে পরিবার-পরিজনের বোঝা হয়ে, সমাজে অনাদৃত-উপেক্ষিত হয়ে। আর যারা সুস্থ হয়ে উঠবেন কর্মক্ষম জীবন ফিরে পাবেন-ব্রতী হবেন তাঁরা জীবন-সংগ্রামে-সংসার রক্ষায় বা সংসার গঠনে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং ট্রেন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সতর্ক থাকার জন্য রেল কর্মকর্তা ও কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চিতই বলতে পারি, অনুরূপ নির্দেশ রেল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীরা অতীতেরও বহুবার পেয়েছেন কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় নি। আগামীতে যে তেমন কিছু ঘটবে তেমন আশাবাদীও হওয়া যাচ্ছে অবস্থা গতিকে। তবু চাইবো ফল ফলুক। যথেষ্ট অবহেলা ঘটেছে আর না।

দৈনিক জনকণ্ঠে গত ১৩ নভেম্বর তার প্রথম পৃষ্ঠায় দুই কলাম ব্যাপী খবরের এক ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করে। “১০ বছরে ৩ শতাধিক রেল দুর্ঘটনা-মৃত্যু ২২২২” শিরোনামে প্রকাশিত ঐ খবরে বলা হয়েছে “সময়ের আগে পাল্লা দিয়ে বদলেছে সব কিছু। বেড়েছে প্রযুক্তিগত উন্নততর সুবিধা। তবুও সবচেয়ে নিরাপদ যাত্রা হিসেবে পরিচিত রেলপথেও দুর্ঘটনা কমছে না। ৩০ বছর আগেও রেল দুর্ঘটনা যে সব কারণে ঘটেছে, এতদিন পরও এর পরিবর্তন হয় নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেল দুর্ঘটনা এড়াতে তিনটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডাবল লাই নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিংগুলিতে লোকবল নিয়োগ দেওয়া ও ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে যুক্তদের সচেতন হয়ে কাজ করা। যদিও বিভিন্ন গবেষণা বলছে, ছয় কারণে রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু সংস্কার বা পুন:নির্মাণেরও তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা।

সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে একটি বেসরকারি সংগঠনের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নয় বছরে মারা গেছে ২,২২২ জন। ছোট-বড় মিলিয়ে মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৯৭ টি। তাই নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সামান্য ত্রটি বিচ্যুতিও এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

গত ১২ নভেম্বরের শেষ রাতের দুর্ঘটনা সম্পর্কে পাঁচ পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এমন হাজার হাজার তদন্ত কমিটি অতীতেও গঠিত হয়েছে। তারাও নিশ্চয় তদন্ত রিপোর্টগুলি তাঁদের সুপারিশ সমূহ সহ কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করেছেন-কিন্তু সেই তদন্ত রিপোর্টগুলি ও সুপারিশ মালা কদাপি প্রকাশ না করে জনগণের কাছে আড়াল করে রাকা হয়েছে। এবারেও কি তারই পুনরাবৃত্তি ঘটবে? দাবি জানাবো অতীতের তদন্ত কমিটিগুলি দুর্ঘটনা কি কি কারণ খুঁজে পেয়েছিল এবং কি কি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছিল-সংক্ষেপে হলেও অবিলম্বে সেগুলি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। ঐ সুপারিশগুলির মধ্যে কোন কোনটি কার্যকর করা হয়েছে-কোন কোনটি করা হয় নি এবং কেন করা হয় নি-কার দোষে করা হয় নি-তারা বা তাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে অথবা কোন ব্যবস্থা গৃহীত না হয়ে থাকলে কেন হয় নি তাও সবিস্তারে জনগণকে জানান হোক। জনগণের টাকায় ট্রেন চলে জনগণের স্বার্থে ঐ ট্রেন চলতে হবে-মুহূর্তের জন্যও এ কথা ভুললে চলবে না।

এবারে ফিরে আসি ১২ নভেম্বরের দুর্ঘটনার দিকে পুনর্বার। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী তূর্ণা-নিশীথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জন্য আপাতত: দুটি কারণকে দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা মনে করছেন, দুর্ঘটনার পিছনে বড় যে দুটি কারণ থাকতে পারে তার একটি হচ্ছে তূর্ণা-নিশীথা এক্সপ্রেসকে সিগন্যাল দেওয়া হয় নি বা পরে দেওয়া হয়েছে। অন্য কারণটি হতে পারে তূর্ণা-নিশীথা এক্সপ্রেসের চালক হয়তো ঘুমিয়ে ছিলেন তাই সিগন্যাল দেখেন নি।

তবে মন্দবাগ রেলস্টেশনের ষ্টেশন মাষ্টার জাকির হোসেন চৌধুরী জানা যে আউটার ও হোম সিগন্যালে লাল বাতি (ডেঞ্জার সিগন্যাল বা বিপদ সংকেত) দেওয়া ছিল। কিন্তু তূর্ণা-নিশীথার চালক তা অমান্য করে ঢুকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা। অপরপক্ষে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, “তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকামোটিভ মাষ্টার সিগন্যাল ভঙ্গ করেছেন। এ কারণেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।

যা হোক, অনুমান ভিত্তিক এ মন্তব্যগুলি সত্য হতেও পারে-নাও পারে। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে তদন্ত কমিটিগুলির প্রতিবেদনগুলি আসা পর্যন্ত। তবে এমন প্রত্যাশা কি অন্যায় হবে যে ঐ তদন্ত রিপোর্টগুলির প্রতিবেদন ও তাদের সুপারিশগুলি জনসমক্ষে প্রকাশিত হোক এবং সেগুলি অবিলম্বে কার্যকর করার ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হোক।

যদি ১০ বছরে ২২২২ জনের মৃত্যু সরকারিভাবে স্বীকৃত হয়, অভিজ্ঞতায় বলে, প্রকৃত প্রস্তাবে মৃত্যু ঘটেছে আরও অনেক বেশী। কিন্তু বছরে প্রায় ২০০ নিরীহ মানুষের প্রাণহানি তো স্বীকৃতই হোলো। ঐ নিহতদের পরিবারগুলি কেমন আছেন তাও জানার কোন সুযোগ নেই।

নিহতরা ছাড়াও আহত তো কমপক্ষে নিহতের তিনগুণ। সেই আহতের আনুমানিক সংখ্যা তা হলে দাঁড়ায় ৬৬৬৬ জন। কেমনই বা অবস্থা ঐ বিপুল সংখ্যক আহতের পরিবারবর্গের?

দেশের শুধু রেলপথ নয়। মানুষও পণ্য চলাচলের আরও তিনটি মাধ্যম আছে। সড়ক, নদী ও আকাশ পথ। এর কোনটাই দুর্ঘটনা মুক্ত নয়। বাংলাদেশে সর্বাধিক ব্যস্ত হলো সড়ক পরিবহন দেশের সর্বত্র বিস্তৃত হয়েছে তার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। প্রতিদিন হাজার হাজার বাস-ট্রাক-মিনিবাস ও অন্যান্য যানবাহন সড়ক পথে লক্ষ লক্ষ যাত্রী পরিবহন করছে। ঐগুলির দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও অনেক বেশী মাসে গড়ে প্রায় ৩০০। সেই হিসেবে বছরে ৩৬০০ জনের জীবনাবসান ঘটেছে এবং সেই হিসেবে ১০ বছরে অন্তত: ৩৫,০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন-আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

এই সড়কপথে মানুষের নিরাপত্তা বিধানের দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন বিধানের দাবিতে দফায় আন্দোলন যেমন হয়েছে তেমনই আবার সরকারিভাবে এ সংক্রান্ত আইনেও দিন দিন কঠোর করা হয়েছে-যদিও প্রয়োজনের সেগুলি যথেষ্ট নয়। কিন্তু সেই আইনগুলি কার্যকর করতে আজতক সরকার উপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ না করায় জনগণ হতাশ-মানুষ ক্ষুব্ধ। আর আইনগুলি যথাযথভাবে কার্যকর না করাতে (চালক-হেলপার-মালিক) সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষই বেপরোয়া হয়ে পড়ছেন দিন দিন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের ভাব নানা এই, “কাঁহা রবি জ্বলে রে, কে বা আঁখি মেলে রে।”

এর পরে আসে নদীপথের কথা। এই পথ মৃত। একে নতুন জীবন দিলে, নদ-নদীগুলিকে দখলমুক্ত করে, দিবস খতিয়ান অনুযায়ী তার দৈর্ঘ্য পুনরুদ্ধার করে ব্যাপক খনন কাজ চালিয়ে তার গভীরতা বহু পরিমাণে বৃদ্ধি করে যদি নদীগুলিকে স্রোতস্বিনী করা যায়, তবে বাংলাদেশের চেহারা বহুলাংশে পাল্টে যেতে পারে। এর ফলে নৌ-পরিবহনের যে প্রাণবন্ত চেহারা দাঁড়াতে পারে তাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র ও সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষেরাও সেগুলি যাত্রী বহন করে। পণ্য পরিবহন প্রভৃতির মাধ্যমে, মৎস্য চাষের ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটিয়ে দেশের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ এবং মাছ রফতানি ও নদী তীর বর্তী আবাদি জমিগুলিতে সহজে, সুলভ-মূল্যে সেচের সুবিধা যে ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে তাতে বাস্তবেই দেশের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী বিশালতা ও ব্যাপ্তি পেতে এবং অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটাতে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু খনন না হওয়াতে যে অল্প কিছু জলপান অনিয়মিতভাবে চলছে তাতেও দুর্ঘটনা কিছু একটা কম নয়। তবে এর পরিসংখ্যান আমার হাতে না থাকায় তার উল্লেখ ও পর্যালোচনা সম্ভব হলো না।

এবারে বাকি আকাশ পথ। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আকাশ যানের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বিমান স্বল্পতা ও যাত্রী নিরাপত্তাহীনতা প্রভৃতি কারণে এ যাত চাহিদার বহু নীচে রয়েছে আজও। বিমানে অব্যবস্থাপনা জনিত কারণে এ পথেও দুর্ঘটনা অনুল্লেখ্য নয়। একত্রে মেলালে বাড়ির বাইরে চলাচল নির্বিঘ্ন নয়-নিরাপদ নয় এবং ফলে নিরুদ্বেগও নয়। যেন গণহত্যাই ঘটে চলেছে অবাধে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে।

এর অবসান গটাতে হলে সরকারের তৎপরতার সাথে সকল বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ, আইনের পুনর্বিন্যাস তার বাস্তবায়ন যেমন প্রয়োজন তেমনই সবার সাথে পরামর্শ করে উন্নততর ব্যবস্থা কি হতে পারে, তা নির্ধারণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে অর্থবহ ও আন্তরিক জাতীয় সংলাপও প্রয়োজন। এটি মানুষ বাঁচানোর পথ সন্ধানে কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ