আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধকরণ

রণেশ মৈত্র  

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, এবং তার সাথে ২০১৯ সাল নামক বছরটিও সমাপ্ত হয়েছে। বহু ঘটন-অঘটন পটীয়সী এই বছরটির শেষে অধুনা নিষ্ক্রিয় বলে অনুমিত, দেখলাম আগের মতই তাদের ঔদ্ধত্য। এই ঔদ্ধত্যের প্রকাশ ঘটলো সম্প্রতি তাদের দলীয় মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সচিত্র এক প্রতিবেদনে যুদ্ধাপরাধী এবং বহু আগেই ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কাদের মোল্লাকে “শহীদ” বলে আখ্যায়িত করা হয়। এই খবরটি, অর্থাৎ খবরে প্রকাশিত কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ বলে উল্লেখ করার খবর পত্রিকাটিতে দেখামাত্র জনমনে তীব্র অসন্তোষে সৃষ্টি হয় এবং ক্রোধান্বিত মানুষ ঐ অফিসটি আক্রমণ করে বসে এবং সংগ্রামের সম্পাদককে পুলিশে হস্তান্তর করে আইন মোতাবেক শাস্তি প্রদানের দাবিতে।

সাময়িকভাবে হলেও বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল কিন্তু সরকারকে দেখা গেল নির্বিকার। কোন প্রতিক্রিয়া নেই। আর জামায়াতে ইসলামী যথারীতি তাদের দলীয় মুখপত্র ‘সংগ্রাম’ নিয়মিত প্রকাশ করে চলেছে। আর তা করবেই বা না কেন জামায়াতে ইসলামী তো আমাদের সরকারের কল্যাণে একটি বৈধ রাজনৈতিক দল। যদিও প্রথমে বঙ্গবন্ধু দলটিকে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট জেনারেল জিয়া কর্তৃক সন্নিবেশিত সংশোধনী মারফত সাংবিধানিক বৈধতাদানের আদেশকে বে-আইনি ঘোষণা করে দলটি নিষিদ্ধ করার আদেশ দেন। ঐ আদেশকে নস্যাৎ করে দিয়ে সংসদে মেজরিটির কল্যাণে পঞ্চদশ সংশোধনী এনে তার মারফত জিয়ার পঞ্চম সংশোধনী মারফত সন্নিবেশিত ধর্মাশ্রয়ী দলগুলিকে (স্বাধীনতা-বিরোধী জামায়াতে ইসলামী সহ) বৈধতা দানের মতই নতুন করে জামায়াতে ইসলামী সহ সকল ধর্মাশ্রয়ী দলকে ও ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকে বৈধতা দেওয়া হয় ২০১২ সালে। একই সংশোধনী মারফত জিয়া সন্নিবেশিত সংবিধানের মুখবন্ধে “বিসমিল্লাহ্‌” এবং এরশাদের অষ্টম সংশোধনীর মারফত ঘোষিত “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম”কেও সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান করা হয়-বাহাত্তরের সংবিধানের মৌলিক চরিত্রই পঞ্চদশ সংশোধনী মারফত পাল্টে দেওয়া হলো।

সাংবিধানিক ঐ পরিবর্তন যা শতভাগ জামায়াতে ইসলামীর অনুকূলে গেল জামায়াতে ইসলামী, অপরাপর ধর্মাশ্রয়ী দল ও তাদের উগ্র পন্থী রাজনীতি সকল দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে নবজীবন দান করে। সেই থেকে তারা নবোদ্যমে তাদের উদ্দেশ্য পূরণে নানামুখী তৎপরতা চালাতে শুরু করে তবে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যাতে জনারণ্যে তাদের তৎপরতা মানুষের চোখে ধরা না পড়ে।

তাদের বহুমুখী লক্ষ্যে মধ্যে প্রধান একটি হলো নানামুখী প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে তাদের মূল নেতাদেরকে প্রকৃত আলেম বলে প্রচার করে তাদেরকে যেন নতুন করে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়। সেই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবেই তাদের দলীয় মুখপত্র “দৈনিক সংগ্রাম” পত্রিকায় কাদের মোল্লাকে “শহীদ” বলে উল্লেখ করে বড় আকারের খবরটি প্রকাশ করেছিল।

একটি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক সম্প্রতি তার প্রথম পৃষ্ঠায় “জামায়াত নিষিদ্ধ কতদূর?” নামক প্রশ্নবোধক আকারে বিশাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দলটিকে নিষিদ্ধকরণে সরকারের দ্বিধান্বিত চিত্তের বিষয়টি পাঠক-পাকিদের স্মরণে এনেছে। সরকারের দীর্ঘদিনের হাবে ভাবে মনে হয় তারা বিষয়টি সম্পর্কে তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি পূরণ করায় আর আগ্রহী নয় এবং মানুষ বিষয়টি ভুলে গেলেই মঙ্গল।

আমাদের মনে আছে, আনিসুল হক প্রথম দফায় আইন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় প্রতি মাসেই একবার করে সংসদের বাইরে সাংবাদিকদেরকে বলছিলেন যে শীঘ্রই দলটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। বর্তমান আইনে ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া যায় কিন্তু কোন দলকে নয়। ব্যক্তিকে যে সাজা দেওয়া যায় তা-ও হলো জেল বা জরিমানা বা উভয়ই। কিন্তু কোন দলকে তো জেল খাটানো যায় না-মৃত্যুদণ্ডও না। তাই নতুন আইন প্রয়োজন যার দ্বারা আদালতে জামায়াতের বিচার করে তাকে নিষিদ্ধ করা যায়।

যথেষ্ট অপেক্ষা করার পর পুনরায় সাংবাদিকেরা জান তে চাইলে তার জবাবে আনিসুল হকবলেছিলেন আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবিত ঐ আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে শীঘ্রই তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।

এর কিছুকাল পর তিনি অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ঘটনাচক্রে আমি তখন অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ঘটনা চক্রে আমি তখন অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে সাময়িকভাবে বড় ছেলে প্রবীর মৈত্রের বাড়ীতে সস্ত্রীক অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ করে সেখানকার আওয়ামী লীগের এক নেতা টেলিফোনে প্রবীরকে জানালেন, প্রবীর যেন আমাকে নিয়ে আইন মন্ত্রীর সম্বর্ধনার দলীয় আয়োজনে অতিথি হিসেবে নিয়ে যায়। আমন্ত্রণ আমরা উভয়েই গ্রহণ করলাম।

যথাসময়ে সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছানোর পর মঞ্চে যখন প্রতান অতিথি আইনমন্ত্রী ও অন্যান্য দেরকে আসন গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলো তখন আয়োজকেরা হঠাৎ আমার নামও ঘোষণা করলেন। সৌজন্যের খাতিরে গিয়ে বসতে হলো এবং এক পর্যায়ে সেখানকার নেতাদের বক্তব্যের শেষে (প্রধান অতিথি আইন মন্ত্রীর ভাষণের আগে) আমাকে কিছু কথা বলার জন্য বলা হলে বক্তৃতা প্রসঙ্গে যা বলেছিলা তা হলো- ‘আপনি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে যে আইনের কথা বার বার উল্লেখ করেছেন তা এখন কোন পর্যায়? পত্রিকায় দেখেছি আইনটি মন্ত্রী সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার পর প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত। এতদিনেরও কি ওটা মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায় নি? মন্ত্রিসভার বৈঠক তো প্রতি বারেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এতদিনেও যদি আপনার খসড়াটি মন্ত্রী সভার অনুমোদন না পেয়ে থাকে তবে কি ধরে নেওয়া যায় না যে মন্ত্রিসভা জামায়াতের বিচার বা তাকে নিষিদ্ধ করতে অনিচ্ছুক?

আরও বলেছিলাম কেন আইন লাগিয়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে? কেউই বা আদালতে মোকদ্দমা করতে হবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আবেদন জানিয়ে। এসবই মানুষকে ভুল বুঝানোর লক্ষ্যে বলা হচ্ছে না কি?

মামলা যদি করাই হয় তা শেষ হতে কত বছর সময় লাগবে তা কি কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারে? আবার আদালত কি রায় দেবেন তা তো আদালতই জানবে। সরকার কিভাবে বলবে যে আদালত জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবেই? আবার তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া যায় যে দ্রুত বিচার করে আদালত রায় দেবে এবং সে রায়ে জামায়াত নিষিদ্ধ বলেও ঘোষণা করা হবে তখন তো জামায়াত উচ্চ আদালতে অবশ্যই যাবে আপিলের আবেদন নিয়ে এবং সেখানে আপিলের শুনানি শেষ করে রায় প্রদান করতে তো আরও দু’তিন বছর। তার পরেও অনিশ্চিত রায়টি কি হবে?

যদি আদালত নিষিদ্ধ না করেন তবে তো দলটি সর্বোচ্চ বৈধতা পেয়ে যাবে সরকারের তখন তো আর কিছু করার থাকবে না। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে জামায়াতের দেশজোড়া বিজয় মিছিল-আনন্দ উল্লাস।

অর্থাৎ সরকার প্রকৃতই যদি জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চাইতো তবে নতুন আইন এবং আদলতে আমলা দায়ের এসব কোন কিছুই প্রয়োজন ছিল না বা আদৌ নেই।

মন্ত্রী মহোদয়কে বললাম, আমি একটি পরামর্শ দিতে পারি কারণ আমিও জেলা জজ আদালতে প্রায় ৩০ বছর প্র্যাকটিস করেছি। সুতরাং আইন, সংবিধান সম্পর্কে কমবেশি ধারণা আছে। তদুপরি প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জীবনে বহু অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেছি। সেই সূত্রে বলতে পারি, যদি সত্যিই জামায়াতকে নিষিদ্ধ কতে বাংলাদেশ সরকার ও বর্তমান মন্ত্রিসভা আগ্রহী হয় তবে কোন আইন প্রণয়ন বা কোন মোকদ্দমা দায়ের করার আদৌ প্রয়োজন নেই। বড় জোর তিন মাসের মধ্যেই স্থায়ীভাবে জামায়াত ও ধর্মাশ্রয়ী দলগুলিকে নিষিদ্ধ করা স্ব স্ব সংবিধানে নতুন একটি সংশোধনী এনে। স্মরণে আনা প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু কোন মামলা না করেই তো জামায়াত ও ধর্মাশ্রয়ী সকল দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন বাহাত্তরের সংবিধানে। এখন আবার সেই পথে যেতে বাধা কোথায়? সংসদে ঐ সংশোধনী পাশ করতে যে সংখ্যক সদস্য থাকা প্রয়োজন (দুই তৃতীয়াংশ) আওয়ামী লীগের তার চাইতে অনেক বেশী সংখ্যক সদস্য সংসদে আছেন।

অত:পর প্রধান অতিথি হিসেবে আইনমন্ত্রী তাঁর দীর্ঘ ভাষণে এই বিষয়টি আদৌ উল্লেখ করলেন না। তার বদলে সরকারের উন্নয়ন সাফল্যের খতিয়ান বর্ণনা করেই তিনি ক্লান্ত হলেন।

দর্শকেরা আওয়ামী লীগ দলীয় এবং তাদের সমর্থক। তাই তাঁরা আইন মন্ত্রীর বক্তব্যকে বিপুল করতালি দিয়ে সমর্থন জানালেন। অবশ্য প্রায় অর্ধেক সংখ্যক শ্রোতা-দলকে আমার বক্তৃতা শেষেও অনুরূপ করতালি দিয়েছিলেন।

সভা শেষে ডিনারের পালা। সবাই নেমে এসে চেয়ার টেবিলে আসন নিলেন আমরাও নিলাম। হঠাৎ দেখি আইন মন্ত্রী স্বয়ং ঐ টেবিলে এসে এক চেয়ার নিয়ে বসে পড়লেন তাঁর জন্য পৃথক চেয়ার টেবিলে না বসে। খেতে খেতে বললেন, “আমরা কিন্তু সত্যিই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করবো।” তৎক্ষণাৎ জবাব দিয়ে বলেছিলাম, পারবেন না কারণ আওয়ামী লীগ তা চায় না।” মন্ত্রী বললেন, “আর এ বিষয়ে কিছু বলব না। দেশে দেখা হবে কথা হবে”।

দেখা-সাক্ষাত অবশ্য হয় নি। টেলিফোনেও কথা হয় নি। কিন্তু তারপর অন্তত: আরও দু’তিনটি বছর পেরিয়ে গেছে। সরকার বা আইন মন্ত্রী এ বিষয়ে যেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। কি সংবাদ সম্মেলন করে কি সংসদে এ বিষয়টি মন্ত্রীরাও কিছু বলছেন না-সংসদ সদস্যরাও প্রশ্ন উত্থাপন করে কোন কিছু জানতেও চাইছেন না। বিষয়টি একটি ডেড ইস্যুতে যেন পরিণত হয়েছে।

এর আগে একটি ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েক বছর আগে জামায়াতে ইসলামী দলটি মেনিফেষ্টো নির্বাচন কমিশনে আইন মোতাবেক দাখিল করার পর কমিশন তা পর্যালোচনা করে দলের কতিপয় নীতি বাংলাদেশের প্রচলিত সংবিধানের কয়েকটি ধারার বিরোধী হওয়ায় দলটির নিবন্ধন বাতিল করে এবং তখন থেকে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে তাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারছে না।

জামায়াত নির্বাচন কমিশনের ঐ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেছে। তার পরেও কয়েক বছর অতিক্রান্ত কিন্তু অবিলম্বের শুনানি হচ্ছে না রায় তো দূরের কথা।

এভাবে আবারও বিভ্রান্তিকর উক্তি করা হলো। জামায়াত তো নির্বাচন কমিশন যে নিবন্ধন বাতিল করেছে তাকে বে-আইনি ঘোষণার দাবিতে আপিল করেছে এর সাথে দলকে বে-আইনি বা আইনি ঘোষণার কোন সুযোগ নেই। যদি আদালত নির্বাচন কমিশনের রায়কে বহাল রাখেন তাতে কিন্তু জামায়াতের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্তই শুধু বহাল থাকবে কিন্তু দলের বৈধতা অব্যাহত থাকবে। সুতরাং যথা পূর্বম তথা পরং। মাভৈ: জামায়াতে ইসলামী এবং তারা তা খুবভাল বোঝে তাই তাদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামে কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ আখ্যায়িত করার ধৃষ্টতা তারা দেখাতে পারলো।

তাদের বহুমুখী পদক্ষেপের মধ্যে আরও রয়েছে নানা দলে যোগদান বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। বহু জেলায় ঐ দলের স্থানীয় নেতাদের আহ্বানে বহু সংখ্যক জামায়াত নেতা কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নানা পদে অলংকৃত হয়েছেন আবার মনোনয়ন পেয়ে নানা পদে নির্বাচিতও হয়ে দিব্যি জন প্রতিনিধিরা মর্যাদাও ভোগ করছেন। ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রো-জামায়াত একটা অংশও গড়ে উঠছে এবং সব কিছু মিলিয়ে জামায়াত নিষিদ্ধ করণ ধামাচাপায় পড়ে যাচ্ছে।

আরও মনে রাখার বিষয় হলো আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী বিচার ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের প্রথম সারির নেতাদের বিচারের রায় দান প্রসঙ্গে একাধিক মোকদ্দমার রায় দান প্রসঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেছেন, “জামায়াতে ইসলামী একটি সন্ত্রাসী দল।” এই রায়গুলিকে সামনে নিয়েও জামায়াতকে বে-আইনি ঘোষণা করা সম্ভব। কিন্তু কা কস্য পরিবেদনা।

জনগণের দাবি আরও ছিল যে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সাথে সাথে তাদের অর্থর বিপুল দেশী বিদেশী উৎসগুলিকে বন্ধ করা হোক এবং তাদের স্থাবর-অবস্থার সম্পত্তি বাজেয়াফত হোক। তা যদি হতো তবে দৈনিক সংগ্রাম ও বন্ধ হয়ে যেত। কাদের মোল্লাকে শহীদ বলে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক খবরও প্রকাশ হতো না। কিন্তু সকল বিষয়েই সরকার নির্বিকার। জামায়াত তার কাজ অবাধে করে যাচ্ছে।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ