আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

রাষ্ট্রীয় পুরস্কার : অন্য চোখে দেখা

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

বেশিরভাগ দেশেই সরকার নাগরিকদের নানারকম পুরস্কার-পদবি-সম্মাননা ইত্যাদি দিয়ে সম্মানিত করে থাকে। সামরিক সামরিক বাহিনীর লোকদের জন্যে নানারকম গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড তো থাকেই। সেগুলির কথা বলছি না। যেসব বেসামরিক পুরস্কার আছে সেগুলির কথা বলছি। আমাদের দেশে এরকম পুরস্কার আছে দুইটা- স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক। এই দুইটার মধ্যে স্বাধীনতা পুরস্কারটাকে ধরা হয় দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। আর তারপরে আছে একুশে পদক। এই দুইটা পুরস্কার ছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার আছে। এটা সরকারি বা রাষ্ট্রীয় পুরস্কার না হলেও লোকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়।

কাউকে যখন সরকার স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় বা একুশে পদক দেয় তখন আমি কোন প্রতিক্রিয়া দেখাই না। ওয়েল, মনের ভুলে বা চক্ষুলজ্জায় পড়ে বা সামাজিক ভদ্রতার কারণে কাউকে অভিনন্দন জানিয়ে থাকতে পারি। কিন্তু সেরকম কোন ঘটনা মনে পড়ছে না। এরকম ঘটনা ঘটলেও খুব বেশিবার ঘটেনি। আমার স্মৃতিতে এরকম কোন ঘটনা নাই। কেন অভিনন্দন জানাই না? নীতিগত কারণে। কারণ এই দুইটা পুরস্কার জিয়াউর রহমানের নানারকম শয়তানি কার্যক্রমের দুইটা অংশমাত্র।

এখন তো জিয়াউর রহমান নাই, সেই সত্তরের দশকের রাজনৈতিক পরিবেশও নাই। বলতে পারেন যে এখন এইসব হার্মলেস হয়ে গেছে। সরকার চাইলে এখন এইসব পুরস্কার ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু আপনারা যেভাবেই দেখেন, এইগুলি পুরস্কার ও পদক যেভাবে সৃষ্টি হয়েছে আর যেভাবে ব্যবহার হয়েছে, এইগুলির আমার কাছে কখনোই খুব স্বস্তিকর বা প্রশংসনীয় বা অভিনন্দনযোগ্য কোন ব্যাপার মনে হয় না, বা অদূর ভবিষ্যতে হবে বলেও মনে হয় না।


বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সনের ২৬ মার্চ থেকে। সেবছর এপ্রিল মাস থেকেই আমাদের স্বাধীন সরকার মোটামুটিভাবে কার্যকর আছে। ৭১-এর শেষ দিক থেকেই অন্যান্য দেশ বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করে। তখনো আমরা পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে ছিলাম। যুদ্ধে বিজয় হয় ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে। তার কয়েকদিন পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ঢাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। ১৯৭২ সনের নভেম্বর সংবিধান গৃহীত হয় আর সেটাকে কার্যকারিতা দেওয়া হয় ১৯৭২ সনের ১৬ ডিসেম্বর তারিখ থেকে। এরপর ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এক ফরমান দিয়ে সংবিধান স্থগিত করেন। সংবিধান পুনরুজ্জীবিত হয় ১৯৭৯ সনে।

সেই ১৯৭১ সনের ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত আমাদের দেশে নাগরিকদের জন্য কোনপ্রকার বেসামরিক খেতাব পদক বা পুরস্কারের বিধান ছিল না। কেন ছিল না? এই সময়ের মধ্যে আমাদের নেতারা বা সরকার কি কখনো ভেবেছিল এইসব পুরস্কারের কথা? কোনপ্রকার পুরস্কার-খেতাব-পদক এইসব না দেওয়াটা কি আমাদের সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল? নাকি এমনিই শুরু করা হয়নি? এইসব প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর আমার জানা নাই। কিন্তু যেটা আমি অনুমান করি, বঙ্গবন্ধু সচেতনভাবেই এইসব পদক-খেতাব ইত্যাদি দেওয়ার বিধান করা থেকে বিরত ছিলেন।

এইরকম অনুমানের কারণ হচ্ছে কী? বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ সেসময় ছিল সদ্য বিকাশমান বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির দল। বঙ্গবন্ধুর টিকেটে যারা ৭০ সনে প্রাদেশিক পরিষদে ও কেন্দ্রীয় পরিষদে নির্বাচন করেছিলেন তাদের তালিকাটা দেখেন। দেখবেন যে মোটামুটি তিরিশের ঘরের মফস্বলি সব উকিল সাহেব, মাস্টার সাহেব বা এই ধরনের লোকজন। বয়স্ক লোকজন ছিল খুবই কম। অতি বিত্তবান বা তিন চার প্রজন্ম ধরে সচ্ছল বা শিক্ষিত এইরকম 'অভিজাত' টাইপের লোকজনও ছিল খুবই কম। আর এই যে তিরিশের ঘরের উকিল মাস্টার টাইপ লোকজন, এরাও বেশিরভাগই ছিল প্রথম প্রজন্মের উচ্চ শিক্ষিত বা পেশাজীবী- হাইল্যার পোলা বা জাইল্যার পোলা উকিল হয়েছে সেই টাইপ।

এই যে নয়া বাঙালি মধ্যবিত্ত, যারা এরা নিজেদেরকে বাঙালি হিসাবেই চিহ্নিত করেছিল আর একারণেই বঙ্গবন্ধুর সাথে ওদের ঐক্য আর একারণেই নয়া জাতীয়তাবাদ আর একারণেই স্বাধীনতা। এই নয়া বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে একটা প্রগতিশীল চেতনা ছিল। সেসময় সারা দুনিয়া জুড়েই 'পুরনো সব প্রথা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলতে হবে' এইরকম একটা চিন্তার জোয়ার বয়ে যাচ্ছিল। এমনকি ঐ যে হিপ্পিরা বা বিটলসদের দল, এদের মধ্যেও একধরনের 'সব কিছু ভেঙেচুড়ে ফেলবো' এইরকম চিন্তাই অন্তর্নিহিত ছিল। এখন যে প্রজন্ম আইকন ভাঙতে চায় ওরা যে এইসব খেলাত খেতাব পুরস্কারের গুরুত্ব দেবে না এটাই স্বাভাবিক মনে হয় আমার কাছে।


জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় নিজের অবস্থান সংহত করে এ দুইটা পুরস্কার চালু করলেন। কেন করলেন? আমার মতামত হচ্ছে যে এটা হচ্ছে পাকিস্তানি ধারায় দেশকে ফেরানোর লক্ষ্যে জিয়াউর রহমানের যে বৃহৎ স্কিম, তারই টুইটা ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। প্রশ্ন করেন, পদকের নাম একুশে পদক আর স্বাধীনতা পদক, এগুলি আবার দেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার স্কিমের অংশ হয় কী করে? এইটাই জিয়াউর রহমানের কায়দা।

এই পদককে ব্যবহার করা হয়েছে দুইভাবে। প্রথমত সেসময় নব-বিকশিত বাঙালি মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে পুরনো আইকন ভেঙে ফেলার যে ক্ষীণ চেতনাটা ছিল সেটাকে বিভ্রান্ত করা। কীভাবে? রাষ্ট্রীয়ভাবে কিছুসংখ্যক লোককে বিভিন্ন শাখায় স্বীকৃতি দিয়ে ওদেরকে একটা আভিজাত্য প্রদান করা। ফলে কি হচ্ছে, স্বাধীনতা উত্তর শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী এদের মধ্যে পুরনো সব কিছু ঝেড়ে ফেলে নয়া পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরির চেতনা ছিল সেটা খানিকটা স্তিমিত হয়ে যাবে। কবি সাহিত্যিক শিল্পী বুদ্ধিজীবীরা আবার কলোনিয়াল সময়ের মতো বা পাকিস্তানি আমলের মতো সরকার তথা প্রতিষ্ঠানের সাথে জুটে যাবে।

দ্বিতীয় যে কায়দাটা জিয়াউর রহমান করেছিল, পুরনো যেসব কবি শিল্পী সাহিত্যিক রাজনীতিবিদ স্বাধীনতার পরবর্তী বাংলাদেশ থেকে বাতিলের খাতায় চলে যাওয়ার পথে ছিল, এইসব পুরস্কার দিয়ে ওদেরকে আবার মুল ধারায় ফিরিয়ে এনেছিল। আপনারা যদি সেসময়ের একুশে পদক আর স্বাধীনতা পদক যাদেরকে দেওয়া হয়েছিল ওদের তালিকা দেখেন তাইলে খানিকটা বুঝতে পারবেন। এইসব তালিকা উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য অনলাইন উৎসে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। দেখবেন যে প্রথম স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া রাজনীতিবিদ হচ্ছেন মওলানা ভাসানী। ১৯৮০ সনে শিক্ষায় স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয় শর্ষিনার পীর সাহেবকে।

জিয়াউর রহমান চালাকি যেটা করতেন, এইসব পুরস্কারের তালিকায় প্রতি বছরই একজন দুইজন করে এমন ধরনের লোককে রাখতেন যাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন বা সেক্যুলার লিবারেলরা বা প্রোগ্রেসিভরা পছন্দ করে। এখন, তালিকায় যদি আপনার প্রিয় একজন কবি থাকেন বা শিক্ষাবিদ থাকেন বা শিল্পী থাকেন তাইলে তো আপনি গোটা পুরস্কারটার বিরোধ করবেন না। এই কায়দায় আপনার প্রিয় লোকজনের সাথে জিয়াউর রহমানে লোকগুলি স্বীকৃতি পেয়ে যায়।


প্রথমেই তো বলেছি, নানারকম রাষ্ট্রীয় পদক পুরস্কার ইত্যাদি মোটামুটি সব দেশেই আছে। কেননা রাষ্ট্র তো একটি প্রতিক্রিয়াশীল প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র নিজে তো আর প্রথা বিরোধী হতে পারবে না। রাষ্ট্র তার নিজের স্বার্থে নিজের কর্তৃত্ব প্রদর্শনের জন্যেই এইসব খেতাব পদক ইত্যাদি দেয়। যারা পুরস্কার পায় ওরা নিজেদেরকে 'স্বীকৃতি প্রাপ্ত' ভাবতে থাকে। আপনি যদি স্বীকৃতি মানেন তাইলেই তো আপনাকে স্বীকৃতি দাতার কর্তৃত্বও মানতে হবে। একজন একুশে পদক পাওয়া কবি যদি মনে করেন যে রাষ্ট্র তাকে এই সম্মাননা দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে তাইলে তো তিনি মেনেই নিচ্ছেন যে রাষ্ট্রের সেই যোগ্যতা ও ক্ষমতা আছে যে সে একজন কবিকে স্বীকৃতি দেবে। তাইলে তার দায়িত্ব দাঁড়ায় কী? তার দায়িত্ব দাঁড়ায় যে এই প্রতিষ্ঠানটিকে ধরে রাখা, তার মর্যাদার কাছে মাথা নত করা।

এজন্যে সব দেশেই রাষ্ট্রীয় পুরস্কার থাকে। কিন্তু সভ্য দেশগুলি কী করে, ওরা পুরস্কার দেয় প্রকৃত গুণীদেরকে। কারণ প্রকৃত গুণীদেরকে যদি আপনি পুরস্কার দেন, তাইলে রাষ্ট্র প্রকৃত গুণীদের কাছ থেকে আনুগত্য পায়। ফালতু লোকের আনুগত্য নিয়ে রাষ্ট্রের কী লাভ? সুতরাং দিমু যখন তখন ভালো মানুষকেই দিই। রাষ্ট্র হিসাবে কিনা আমাদের বুদ্ধিমত্তা একটু কম, চরিত্রের দিক দিয়েও লুটেরা তস্কর। সেটার প্রতিফলন হয় আমরা এইসব পুরস্কার কাকে দিচ্ছি, কী বিবেচনায় দিচ্ছি তার মধ্যে।

আমরা তো এখন রাজনৈতিক আনুগত্য ক্রয়ের মুদ্রা হিসাবে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধাকে ব্যবহার করা শুরু করেছি। সেই সাথে আছে টাকা পয়সার বিনিময়ে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত ইত্যাদি বিক্রি করা- রাষ্ট্রের যে তিনটি অঙ্গ তার কোনটাই সম্ভবত আর এখন এর থেকে মুক্ত নাই। এখন আমাদের এইসব পুরস্কারও রাজনীতির এই নয়া চালচলন থেকে বাইরে থাকবে কেন? এইসব পুরস্কারও এখন দৃশ্যত এই প্রক্রিয়ারই সিদ্ধান্ত মনে হয়। তবে ঐ কায়দাটা এখনো আছে, পুরস্কারের তালিকায় আপনার প্রিয় একজন কি দুইজনকে ঢুকিয়ে দিবে ঐসব উদ্দিনদের সাথে। ফলে গোটা পুরস্কারটাকে আর আপনি নিন্দাও করতে পারবেন না।


এই কারণে এইসব পুরস্কার পদক যখন কেউ পায়- এমন কি আমার খুব প্রিয় কেউও যখন হয় (যেমন এবার মিতা হক একটা পুরস্কার পেয়েছেন। মিতা হক যে আমার কত প্রিয় একজন শিল্পী সে কি বলে দিতে হবে!)- আমি সেইভাবে প্রাণ থেকে অভিনন্দন জানাতে পারি না।

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ