আজ সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Advertise

জবাবদিহির ব্যবস্থা না থাকায় সাংবাদিক নির্যাতন

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

কুড়িগ্রামের আরিফুল ইসলাম রিগানের সাথে যেটা হয়েছে সেটা অন্যায়। আর এই কাজটা যে বেআইনি হয়েছে সে তো বলাই বাহুল্য। এইখানে ঐ ম্যাজিস্ট্রেট আর ডেপুটি কমিশনার এবং অন্য যরা সংশ্লিষ্ট আছে সকলেই একটা অপরাধমূলক কাজ করেছেন। দেশে আইনের শাসন থাকলে এই ম্যাজিস্ট্রেট আর এই ডেপুটি কমিশনার এদের দুইজনকেই ফৌজদারি মামলায় কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আরিফ সাংবাদিক কি না সেই কথা বাদ দিলেও, কোন নাগরিকের সাথেই কোন ম্যাজিস্ট্রেট এইরকম আচরণ করতে পারেন না। এমনকি ওদের কথা যদি সত্যিও ধরে নিই, যে আরিফের কাছে একটু মদ আর কিছু গাঁজা পাওয়া গেছে সেটা যদি সত্যিও হয়, তবুও এই ম্যাজিস্ট্রেট আর ডেপুটি কমিশনার মিলে একটা বেআইনি কাজ করেছেন, অন্যায় করেছেন।

বেআইনি কেন বলছি সেটা আগে বলে নিই। এমনিতে বিস্তারিত ঘটনাবলী না জেনে, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র না দেখে আইনগত মতামত দেওয়া ঠিক না। সেই অর্থে এটাও অফিশিয়াল আইনগত মতামত ধরে নেবেন না। এখানে আমি কেবল সংবাদপত্রের কথাগুলি যদি সত্যি হয় তাইলে আইনগত অবস্থাটা কী হবে সেটা সম্পর্কে একটা আংশিক আলোচনা করছি মাত্র।

খবরের কাগজে যেটা এসেছে, কুড়িগ্রামের বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ও পরে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব (ঘটনাস্থলে কি দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন?) আরিফকে ওর ঘর থেকে আটক করে নিয়ে যায় জেলা প্রশাসকের অফিসে (বা অন্যত্র কোথাও) আর সেখানেই তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড আর জরিমানার শাস্তি দেয়। এইটুকু ঘটনাই যদি সত্যি ধরে নেন, তাইলেই এটা বেআইনি হয়েছে। কেননা ভ্রাম্যমাণ আদালত কখনো 'তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে'র বাইরে অন্য কোথাও সাজা দিতে পারে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত অপরাধ আমলে নিয়ে দণ্ড আরোপ করতে পারেন শুধুমাত্র, কেবলমাত্র 'তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে'।

একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সরকার (বা ক্ষেত্রমতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) 'আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে লিখিত আদেশ দ্বারা 'মোবাইল কোর্ট' পরিচালনা করিবার ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।' মোবাইল কোর্ট মানে কী? মোবাইল কোর্ট হচ্ছে, 'আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে দক্ষতার সহিত সম্পাদন করিবার স্বার্থে আবশ্যক ক্ষেত্রে কতিপয় অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আমলে গ্রহণ করিয়া দণ্ড আরোপের সীমিত ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে সমগ্র দেশে কিংবা যে কোন জেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রম পরিচালিত হইবে যাহা "মোবাইল কোর্ট" নামে অভিহিত হইবে।'


লক্ষ্য করবেন, মোবাইল কোর্ট গঠনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে 'তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে' বিচার ও দণ্ড নিশ্চিত করা। পুলিস গ্রেপ্তার করে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিয়ে গেল আর ম্যাজিস্ট্রেট নিজেকে 'মোবাইল কোর্ট' বলে সাজা দিয়ে দিল এটা হয়না। বা ম্যাজিস্ট্রেট নিজেও একজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে তার অফিসে বসে বিচার করে সাজা দিয়ে দিবে সেটাও হবে না।

একটা মৌলিক জিনিস মনে রাখবেন। এই যে আমরা নানারকম অধিকার ইত্যাদির কথা বলি, আইন কানুন সংবিধান গণতন্ত্র এইসব নানারকম কথা বলি- এই সবকিছুর মধ্যে বিচার পাওয়ার ব্যাপারটা হচ্ছে পুরো আধুনিক সভ্যতার মেরুদণ্ডের মতো। যতরকম আইন আছে বিধিবিধান আছে সংবিধান আছে ফান্ডামেন্টাল রাইট আছে সব ব্যর্থ হয়ে যায় যদি বিচার ঠিকমত না হয়। একজন এসে আমাকে বলবে, এই ব্যাটা তুই অপরাধ করেছিস, চল জেলে- এটা হবে না। অভিযোগ যে কেউ করতে পারে, কিন্তু সেটার বিচার না হলে অভিযোগের কোন দাম নাই। বিচার করবে কে? কোর্ট। যিনি অভিযোগ করছেন তিনি বিচারক হতে পারবেন না, আর যিনি অভিযুক্ত তার কথা না শুনে তাকে সাজা দেওয়া যাবে না।

মোবাইল কোর্ট ব্যাপারটা আসলে সভ্য বিচার ব্যবস্থার সাথে মানায় না। তারপরেও এই বিধানটা আছে। বৈধভাবেই আছে- এর প্রয়োজনীয়তা বৈধতা ইত্যাদি নিয়ে নানান কথা আছে। সেগুলি বাদ দিলাম। মোবাইল কোর্টের বিধান আছে। কিন্তু মোবাইল কোর্টের অধিক্ষেত্র খুবই সীমিত করে দেওয়া আছে, মোবাইল কোর্টে শুধুমাত্র কিছু ছোটখাটো অপরাধের বিচার করতে পারে এই কোর্ট। এর পেছনের কারণ হচ্ছে যে, যেহেতু এই মোবাইল কোর্ট ব্যাপারটা ঠিক ন্যায়বিচারের সাথে মেলে না; সেইজন্যে এর ক্ষমতা ও প্রয়োগ যতটুকু সম্ভব সীমিত রাখতে হয়। এইজন্যেই এই কথাটা, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে।

ধরেন ম্যাজিস্ট্রেট একজনকে ধরেছে, তাৎক্ষণিকভাবে ও ঘটনাস্থলে যদি তিনি তার বিচার করতে না পারেন তাইলে অবশ্যই লোকটাকে হয় ছেড়ে দিবেন, অথবা অভিযোগসহ তাকে পুলিশের কাছে দেবেন যাতে করে লোকটাকে একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়া যায়। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিনের সিদ্ধান্ত নেবেন, বিচারের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে শাস্তি দিতে পারেন না- তিনি ম্যাজিস্ট্রেট হোক আর ডিসি হোক বা জজ হোক যেই হোক, মোবাইল বা স্থির যে প্রকারেরই হোক।


কুড়িগ্রামের এই ঘটনার সমালোচনা তো আপনারা সকলেই করছেন। ভালো কথা। প্রতিবাদটা আরও তীব্র হবে বলে প্রত্যাশা করেছিলাম। সে তো হচ্ছে না। তারপরও যতটুকু হচ্ছে সেটাও নেহায়েত কম নয়। কিন্তু আপনারা কি কখনো ভেবেছেন এরকম কেন হচ্ছে? কোন ম্যাজিস্ট্রেট ছেলেমেয়েদের চুল কেটে দিচ্ছেন, এখানে একজন সাংবাদিককে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্যে নিগৃহীত হতে হচ্ছে, কোথাও গান গাওয়ার জন্যে বয়াতিকে জেলে যেতে হচ্ছে। এই যে ম্যাজিস্ট্রেট আর ডেপুটি কমিশনার মিলে কুড়িগ্রামে ছেলেটাকে জেলে পাঠিয়ে দিল, ওরা তো দুইজনই আইনকানুন জানা লোক। যিনি ডেপুটি কমিশনার হয়েছেন তিনিও কিছু না কিছু বিচারিক কাজ নিশ্চয়ই করেছেন!

এরা তো নাগরিকদের অধিকার ফ্রিডম অব স্পিচ এইসব কথা উত্তমরূপে জানার কথা। এই যে আমি আপানদেরকে বলে দিলাম যে তাৎক্ষণিকভাবে ও ঘটনাস্থলে না হলে মোবাইল কোর্ট বিচার করতে পারে না, এই কথাটা কি এরা জানতেন না? নিশ্চয়ই জানতেন। তাহলে? ওরা কি জানতেন না যে এই কাণ্ডটা অন্যায় হচ্ছে? তারপরেও এইধরনের কাণ্ড কেন হচ্ছে?

একবাক্যে বলে দিতে পারেন যে দেশে গণতন্ত্র বিকশিত না হলে এরকম হয়। এই কথাটা সত্যি। কিন্তু একজন ম্যাজিস্ট্রেট বা একজন ডেপুটি কমিশনারের এইরকম উৎপটাং কাণ্ডের সাথে গণতন্ত্রের সম্পর্ক কী?

একটা তো হচ্ছে যে গণতন্ত্র থাকলে জবাবদিহি থাকে- কার্যকর গণতন্ত্র থাকলে আজ সংসদে হই হট্টগোল শুরু হয়ে যেতো, মন্ত্রীরা জবাব দিতে দিতে-দিতে হয়রান হয়ে যেত। মন্ত্রী এমপি তাদেরও মাথায় থাকতো যে এইসব ইস্যুর কারণে তাদের ভোট কমতে পারে, মানুষ ওদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারে। ঐরকম জবাবদিহি থাকলে তখন দেখা যায় যে সরকারের আমলারা একটা অবস্থার মধ্যে থাকে- যে না, উল্টাপাল্টা কিছু করলে খবর আছে। জবাবদিহির আরেকটা দিক আছে। বিচার হওয়া। গণতন্ত্র থাকলে যেটা হয়, সরকারবিচার বিভাগের উপর চট করে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ফলে এইসব কাণ্ডকারখানা করলে অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ডেপুটি কমিশনার, এমনকি মন্ত্রী এমপিদেরও, আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়।

জবাবদিহি না থাকলে এরকমই হয়। জবাবদিহির আরেকটা দিক আছে, সরাসরি জনগণের প্রতিরোধ। সেটাও তো আমাদের নেই।


পুলিশ যখন ইচ্ছা তখন যাকে ইচ্ছা তাকে তুলে নিয়ে যায়, আপনারা প্রতিবাদ করেন না। সন্দেহজনক ক্রসফায়ার হতে থাকে, প্রায় প্রতিদিন বিনাবিচারে মানুষ মারা যায়। আপনারা প্রতিবাদ তো করেনই না, উল্টা আবার সেগুলিকে হাততালি দিয়ে উৎসাহ দেন। তাইলে নির্বাহী বিভাগের মনোভাবটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? নির্বাহী বিভাগের মনোভাব যেটা হয় সেটা হচ্ছে যে- আমরা যা করি সেটাই ঠিক সেটাই দেশের জন্যে উত্তম, এইসব উকিল-জজ আর ঐসব-বিচার বিচার খেলা সেগুলি হচ্ছে ফালতু কাজ, আমরাই ঠিক করবো কে দোষী, আমরাই ঠিক করবো কার কী শাস্তি আর আমরাই সেই শাস্তি কার্যকর করবো। নির্বাহী বিভাগের লোকজন তখন নিতান্ত নিয়ম রক্ষার জন্যে একটা অজুহাতের মতো দেয় আর যা ইচ্ছা তাই করে।

আপনিই বলেন, বিনা বিচারে মানুষ হত্যার প্রতিবাদ করায় আপনি কি কখনো কাউকে তিরস্কার করেননি? কাউকে সুশীল বলে টিটকারি মারেননি? এইটা না করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি মুক্তকণ্ঠে প্রতিবাদ করতেন তাইলে নির্বাহী বিভাগের লোকজনের মাথায় এইটা ঢুকত যে না, যা ইচ্ছা তাই করা যাবে না। আপনারা যদি প্রতিবাদ করতেন তাইলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক গোষ্ঠীকেও ভাবতে হতো, যে না, যা ইচ্ছা তাইলে করতে দেওয়া যাবে না, রাশ টানতে হবে, সেটা তো আপনারা করেননি। ফল তাইলে কি হবে?

এই যে কুড়িগ্রামে আরিফের উপর অত্যাচারটা হয়েছে, সে তো একজন সাংবাদিক। দায়িত্ব পালনের কারণেই তাকে এইরকম হেনস্তা হতে হচ্ছে। তাইলে সাংবাদিকদের ইউনিয়নগুলি এইটার প্রতিবাদ করার কথা না? করেছে প্রতিবাদ ওরা? একটা ইউনিয়ন নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে আরেকটা ইউনিয়নের দুইদিন লেগেছে একটা বিবৃতি দিতে। সাংবাদিকদের এতো সংগঠন, এতো বড় বড় সব নেতা, এতো তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি। কোথায় গেল? সরকার সমর্থক সংগঠনগুলি চট করে নিন্দা মন্দ করে না। পেঁচিয়ে-পুঁছিয়ে অজুহাত তুলতে থাকে।

না, বলতে পারেন যে প্রকৃত ঘটনা না জেনে প্রতিবাদ করা ঠিক হবে কিনা। দেখেন, ওই সাংবাদিক অপরাধী হলে ওর বিচার হোক, প্রপার বিচার হোক। এইভাবে মধ্যরাতে কেন তাকে ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে তুলে নিয়ে আসবে, এইভাবে কেন তাকে বেআইনি বিচারে শাস্তি দিবে? এইটুকু তো বলতে পারতেন সরকার সমর্থক সাংবাদিক নেতারা। প্রথম ধাক্কায়ই এইটুকু বললে কি বিশাল ভুল হয়ে যেত?

জবাবদিহি কি এমনিই আসে? জনগণ যদি সওয়াল না করে তাইলে কিসের জবাব কিসের কী!

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অধ্যাপক ডা. শেখ মো. নাজমুল হাসান ২৭ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৫ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৪ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৮ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১১০ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪৫ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩২ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪৩ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯৪ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ২৫ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ শাখাওয়াত লিটন শাবলু শাহাবউদ্দিন