আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি

ইনাম আহমদ চৌধুরী  

দেশাভ্যন্তরে এত জরুরি চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সমধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতি ও বহির্বাণিজ্যে ছিল তারই অনুসৃত বাস্তবধর্মী নীতির প্রতিফলন। 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়', কার্যক্ষেত্রেও এটা ছিল প্রদর্শিত। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল তো শুরুতে ছিল শূন্যের কোঠায়। বঙ্গবন্ধু তখন বার্টার অ্যাগ্রিমেন্ট করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমোদন দিলেন। স্বাধীনতার পর প্রথম দু'তিন বছর আমরা পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে বেশ ক'টা পণ্য বিনিময় চুক্তি করি। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত (কলকাতা) এবং ১-৪ মার্চ সোভিয়েত ইউনিয়নে অত্যন্ত সফল রাষ্ট্রীয় সফর করেন। ওই দুই দেশের সঙ্গে আমাদের সাধারণ বাণিজ্য চুক্তিও হয়। সব চুক্তি ও সমঝোতাতে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ নির্দেশ ছিল, শুধু বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ নয়, বরং প্রাপ্তি এবং সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার যেন তাতে নিশ্চয়তা বিধান করা হয়। এটা ঐতিহাসিক সত্য যে, যমুনা সেতু নির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই ভাবনা শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে তিনি যখন জাপানে সরকারি সফর করেন, তখন প্রস্তাবিত যমুনা সেতু নির্মাণে জাপানের সহযোগিতা বিশেষভাবে কামনা করেন। জাপান একটি ফ্যাসিবিলিটি স্টাডি করতে সম্মত হয়, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে। পরবর্তী সময়ে ইআরডি সচিব হিসেবে যখন সেতুর অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নির্মাণের অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করি, তৎপূর্ববর্তী আলোচনায় এই সমীক্ষা বিশেষ সহায়ক হয়।

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সূচনাতেই বঙ্গবন্ধু গঙ্গা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক নদীর সুষম পানি বণ্টন ও ছিটমহল হস্তান্তরের প্রশ্ন উত্থাপন করেন। এ সমস্যাগুলোর যথাযথ সমাধান যে বাংলাদেশের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়, বঙ্গবন্ধু তা প্রথমেই অনুধাবন করেন। ভারতের একজন প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব জেএন দীক্ষিত, যিনি স্বাধীনতার শুরুতেই ঢাকায় তিন বছর ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন, তার প্রকাশিত বই 'লিবারেশন অ্যান্ড বিওন্ড'-এ লিখেছেন- 'শেখ মুজিব ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাইতেন; তবে তিনি এও চাইতেন যে, বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সম্পর্ক গড়ে উঠুক, যাতে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল না হতে হয়।' বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বতন্ত্র সত্তা এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থ তার বিবেচনায় সর্বাগ্রে স্থান পেত।

১৯৭২ সালের মে মাসে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা। আঙ্কটাডের তৃতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ তখনও জাতিসংঘের সদস্য হয়নি এবং চিলি তখনও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানায়নি। তবে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিকরণের জন্য সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের আঙ্কটাড এবং গ্যাটের সদস্য পদ লাভের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। তা বিবেচনা করে অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু তদানীন্তন বাণিজ্যমন্ত্রী এম আর সিদ্দিকী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আমি এবং টিসিবির উপপ্রধান মোহসিন (পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র সচিব) সমন্বয়ে একটি ডেলিগেশন চিলিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। শেষ মুহূর্তেও চিলির স্বীকৃতি না আসায় বাণিজ্যমন্ত্রী আর চিলিতে গেলেন না। তাই আমার নেতৃত্বেই ছোট ডেলিগেশনটি সান্তিয়াগো গেল। বয়ে নিয়ে গেলাম চিলির প্রেসিডেন্ট আয়েন্দেকে লেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের চিঠি। প্রেসিডেন্ট আয়েন্দে অত্যন্ত সম্মান সহকারে বঙ্গবন্ধুর চিঠি পড়ে তার মহান নেতৃত্বের প্রশংসা করে বললেন, 'আমরা স্বীকৃতি জানাবার চেষ্টা করছি, সব প্রতিবন্ধকতা উৎরে অদূর ভবিষ্যতেই তা করব বলে আশা করছি।' সদস্য লাভের ব্যাপারে চীনকে 'অ্যাপ্রোচ' করার পরামর্শ তিনি দিলেন। সান্তিয়াগো, চিলি থেকে নিউইয়র্কে অবস্থানরত তদানীন্তন বাণিজ্যমন্ত্রী এমআর সিদ্দিকীর মাধ্যমে সদস্যপদ লাভ বিষয়ে উদ্ভূত সমস্যা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ কামনা করেছিলাম। তার বলিষ্ঠ নির্দেশ ছিল- 'দেশের স্বার্থ ও মঙ্গলের জন্য যা প্রয়োজন, তা-ই নির্ভয়ে করবে। আমাদের নীতি হচ্ছে সমতার ভিত্তিতে সবার সঙ্গে সখ্য ও সহযোগিতা। বৈরিতা নয়।' বঙ্গবন্ধুর এই মৈত্রী মনোভাবাপন্ন নির্দেশের কথা জানাতেই বিরুদ্ধচারীরা সহযোগিতামূলক আচরণের আশ্বস্ত দিয়েছিলেন।

পাকিস্তান ডেলিগেশনে আমার একজন প্রাক্তন সিএসপি সহকর্মীর সহায়তায় চীনা ডেলিগেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছুটা নাটকীয়ভাবেই সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার আগেই সর্বপ্রথমে ইউএন সংস্থা 'আঙ্কটাড'-এর সদস্য পদ লাভ করলাম, যা আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের চেষ্টাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেল (বিস্তারিত বিবরণ অ্যাডর্ন পাবলিকেশন প্রকাশিত আমার বই 'ধায় গাড়ী ধূম ছাড়ি'র (চিলি তীর্থে দ্রষ্টব্য) বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা, একাগ্রতা এবং আন্তর্জাতিক সম্মানের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছিল। আঙ্কটাডই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার সদস্যপদ বাংলাদেশ লাভ করে। তারপরই হু এবং গ্যাট।

এ প্রসঙ্গে অনেক উদাহরণের মধ্যে আরও দু-একটি ঘটনা উল্লেখ করছি। চীন যদিও তখন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি, বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত নিলেন যে, রাষ্ট্রীয় স্বার্থে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করা যেতে পারে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের মে মাসে একটি ডেলিগেশনকে চীন প্রেরণ করেন। তার সব ধরনের ব্যবস্থা চীনে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত, তখন বার্মায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কেএম কায়সারের উদ্যোগে সম্ভব হয়েছিল। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন তিনজন বেসরকারি সদস্য (পাট ব্যবসায়ী মরহুম লুৎফুর রহমান এবং অবসরপ্রাপ্ত সিএসপি এ কে এম মুসাসহ আরেকজন) এবং একমাত্র সরকারি সদস্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রধান, আমি। আমার ওপর বঙ্গবন্ধুর সরাসরি নির্দেশ ছিল- চীনের বা চীনের কোনো সংস্থার (সবই সরকারি ছিল) সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির চুক্তি করা এবং তা সম্পাদনের পূর্ণক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নির্দেশে আমাকে দেওয়া হয়েছিল। তখনও চীন বাংলাদেশকে সরকারি স্বীকৃতি দেয়নি। ওই অবস্থায় এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ সফর ছিল। কিন্তু দূরদর্শী বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ চিন্তাধারায় ভেবেছিলেন আমাদের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ যথাসাধ্য বাড়াতে হবে। যথাযথ আলোচনার পর তাদের দুটি করপোরেশনের সঙ্গে একটি রপ্তানি এবং একটি আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর করি। ফিরে এলে এতে বঙ্গবন্ধু সপ্রশংস সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। চুক্তিটির এবং এ সম্পর্কিত আরও কিছু কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একেএম মোমেন মাসিক 'উত্তরণ'-এর ২০২০ সালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যায় একটি নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন। প্রায় প্রত্যেক বাণিজ্যিক চুক্তি আলোচনায় বা ডেলিগেশনে যাওয়ার প্রাক্কালে যথাসম্ভব বঙ্গবন্ধু প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতেন, যা আমাদের যথাযথভাবে পরিচালিত করত।

নিজের দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে একক সিদ্ধান্তেই বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের স্বীকৃতির পর লাহোরে ও আইসি সম্মেলনে এবং ও আইসিতে যোগদান করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিরাট সম্প্রসারণ সম্ভবপর করে তোলেন। পরে ইআরডির সচিব এবং তৎপরবর্তীতে জেদ্দার আইডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আমি দেখেছি, আইডিবির অর্থনৈতিক সহযোগিতা আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উল্লেখযোগ্য সহায়ক হয়ে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা সমস্যায় মিয়ানমারের আগ্রাসী আচরণ এবং গণহত্যার প্রতিবাদে ওআইসি সদস্য ক্ষুদ্ররাষ্ট্র গাম্বিয়াই আসে পুরোভাগে।

বঙ্গবন্ধুর সদিচ্ছার জন্যই সম্ভব হয়েছিল ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সৌদি আরবে প্রথম বিদেশ সফরের সময় তাকে সর্বদলীয় নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া। তখন (সম্ভবত এখনও) সৌদি সরকার কোনো সফররত বিদেশি রাজনীতিবিদ, সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানকে গণসংবর্ধনা জানানোর অনুমোদন দিত না। কিন্তু শেখ হাসিনার ব্যাপারে এর সম্মানজনক ব্যতিক্রম ঘটেছিল। আইডিবির নির্বাহী বোর্ডের এবং সৌদি সরকারের প্রার্থিত অনুমোদনক্রমে আমি (তখন আইডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট), ওই সভার আহ্বায়ক এবং সভাপতি হই। কষ্টসাধ্য ওই সভার আয়োজন ও অনুষ্ঠান করতে পেরে আমি কৃতার্থ বোধ করি। মনে পড়ে সর্বদলীয় ব্যতিক্রমী ওই বিরাট সভায় প্রয়াত বঙ্গবন্ধু এবং সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুসঙ্গীদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও ব্যবসায়ী শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে সালমান এফ রহমান, কাজী জাফরুল্লাহ প্রমুখ অনেকেই ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত বক্তব্য পরবর্তী সময়ে সৌদি-বাংলা সম্পর্ক দৃঢ়তর করতে বিশেষ সহায়ক হয়।

ইনাম আহমদ চৌধুরী, সাবেক সচিব; আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ