আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

রাজনীতি বনাম রাষ্ট্রনীতি

প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ  

অনেক লিখেছি। কিন্তু মনে হয়, কোন কাজ হচ্ছে না। তাই, আজ আবার নির্দিষ্টভাবে লিখতে বসলাম। কারণ, আমার অটল বিশ্বাস, একদিন কাজ হবে, যেহেতু অসির চাইতে মসি শক্তিশালী।

ইংরেজি ‘প্রফেসর’ শব্দের এক অর্থ হচ্ছে: ‘পাবলিক টিচার’। যেহেতু দেশে-বিদেশে সরকারিভাবে স্বয়ং আমি আজ ৪৫ বছরের একজন প্রফেসর, মানে, পাবলিক টিচার, তাই না লিখলে আমি মাতৃভূমির কাছে দায়বদ্ধ থেকে যাব। আমার দাবিগুলো প্রয়োজনে সংসদে পাশ করিয়ে নিয়ে দেশে কার্যকর করতে হবে।

দাবিগুলো নিম্নরূপ:
১. ইংরেজি ‘পলিটিক্স’ শব্দটির অর্থ আমাদের দেশে হবে ‘দেশনীতি’ বা ‘রাষ্ট্রনীতি’। কারণ, আমাদের, ‘দেশ’ বললেও আছে এবং ‘রাষ্ট্র’ বললেও আছে। তাই,‘ রাজনীতি’ শব্দটি যেহেতু একটি ঔপনিবেশিক শব্দ; সেহেতু এটি আমাদের দেশে আজ অচল; কারণ, আমাদের কোন রাজা নেই; আর, আমরা কারো প্রজাও নই। এই গণতান্ত্রিক স্বাধীন দেশে আমরা দেশপ্রেমিক নাগরিক, যেটি স্বাধীন হয়েছে ঔপনিবেশিক-শোষক ব্রিটিশদেরকে তাড়িয়ে এবং পাকিস্তানি হায়েনাদেরকে চরম লজ্জাকরভাবে সারেন্ডার করিয়ে ও বন্দি করে এবং যমুনা নদীতে লক্ষকোটি জনতার রক্ত বইয়ে দিয়ে, দেশকে বধ্যভূমি বানিয়ে, নির্বিচারে বুদ্ধিজীবী হারিয়ে, দেশকে বিরান বানিয়ে ও লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে।

২. আমাদের কোন রাজদরবারও নেই, আছে দু’টি ভবন: একটি বঙ্গভবন আর অপরটি গণভবন। ‘রাজনীতি’ কথাটির স্থলে আমাদের দেশে হবে ‘দেশনীতি’ এবং ‘রাষ্ট্রনীতি’। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা ‘রাজনীতিবিজ্ঞান’ পড়াই না; পড়াই ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান’। আমাদের নেতৃবর্গের নাম হবে ‘দেশনায়ক’ বা ‘রাষ্ট্রনায়ক’, আমাদের রাজনীতিবিদদের নাম হবে ‘রাষ্ট্রনীতিবিদ’ বা ‘দেশনীতিবিদ’। রাজপথের নাম হবে: গণপথ বা জনপথ। কূটনীতির নাম হবে ‘বিদেশনীতি’, কারণ, ‘কূট’ শব্দটির অর্থ নেতিবাচক, যেমন: ‘কূটকৌশল’, ‘কূটবুদ্ধি’ ইত্যাদি; পররাষ্ট্রনীতি হবে ‘বিদেশনীতি’, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জায়গায় হবে ‘বিদেশমন্ত্রী; কারণ, আমরা আগেভাগেই কোন দেশকে আমাদের ‘পর’ বানাতে পারি না; সকল দেশই আমাদের বন্ধু-রাষ্ট্র, শুধু ব্যতিক্রম ছাড়া। আমাদের শ্রমিক ভাইগণ কোন পররাষ্ট্রে যায় না, তাঁরা যায় বিদেশে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় হবে ‘বিদেশমন্ত্রণালয়’, আমরা কখনো বলি না, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী ‘পররাষ্ট্রে’ গেছেন”; বলি “বিদেশ গেছেন”; উন্নততর চিকিৎসার জন্য কখনো বলি না “পররাষ্ট্রে” পাঠাও; বলি, “বিদেশে পাঠাও”। আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি স্বাস্থ্য-পরীক্ষার জন্য কখনো কোন পররাষ্ট্রে যান নাই, গেছেন বিদেশে। আমি নিজে কোন পররাষ্ট্রে শিক্ষকতা করি নাই, করেছি বিদেশে।

৩. আজকের আমাদের স্বাধীন দেশে কোন ঔপনিবেশিক চিহ্ন থাকবে না। বিদেশে আমি তাদের ঔপনিবেশিক অনেক চিহ্ন দেখেছি। তবে কোন দেশ কী করল, তাতে আমদের কিছু যায় আসে না। নিজস্ব ঐতিহ্য-কৃষ্টি ধরে রাখা খুবই জরুরি, তবে নিষ্ঠুর শোষক-শাসক গোষ্ঠীর কোন ঐতিহ্য চিরদিন থাকবে, এটা কোন স্বাধীন দেশে শোভনীয় বা কাম্য হতে পারে না। তাই, দেশের সকল পোস্ট-অফিসে চিঠি ফেলার লালবাক্স বদলাতে হবে, কিন ব্রিজ-হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নাম বদলিয়ে দেশীয় নাম দিতে হবে, রেল স্টেশনের লাল রং সবুজ করতে হবে, ভিক্টোরিয়া কলেজ-জাতীয় নামগুলোও পরিবর্তন প্রয়োজন; কারণ, এ রাণীকে উদ্দেশ্য করেই ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত কবিতার মিসাইল ছুড়েছিলেন: “তুমি মা কল্প-তরু/আমরা সব পোষা গরু/ভুষি পেলে খুশি হই মা/ঘুষি খেলে বাঁচব না”! জাতীয় কবি লিখেছিলেন: “লাতি মার, ভাংরে তালা/আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা”। এ সমস্ত কবিরাও হয়তো নোবেল প্রাইজ পেতেন, যদি না এ রকম লিখতেন। রবীন্দ্রনাথও পরবর্তীতে ‘নাইট’ উপাধি বর্জন করেছেন। আমি এ ক্ষুদ্র শিক্ষক আর কী বলব?

৪. স্বাধীনতা-যুদ্ধের ২৬৬ দিন (৯ মাসই ধরলাম) এবং তারও অধিক দিন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাক-রেজিমের অন্ধকার কারাগারে বন্দি অবস্থায় দেশে অনুপস্থিত ছিলেন। আমি আবিষ্কার করেছি: “উপস্থিত মুজিবের চাইতে অনুপস্থিত এ মহা-মুজিব বাংলাদেশে ছিলেন কোটিগুণ বেশি শক্তিশালী”। এ মহান নেতাকে সকল শ্রদ্ধা-মহব্বত উজাড় করে দিয়ে “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি“ বলা যাবে না। তা হলে আমার প্রশ্ন থাকবে ৩টি: ক) এক হাজার বছর আগে কে ছিল শ্রেষ্ঠ বাঙালি? খ) আগামী এক হাজার বছর পরে কে হবে শ্রেষ্ঠ বাঙালি? গ) আর, আগামী তিন হাজার বছর পরে কথাটি বলা হবে কীভাবে, কোন ফ্র্যোজ লাগিয়ে?

আমার প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধুর মত বিশ্ব-নেতার বড়ত্ব, বিরাটত্ব, এবং বিশালত্বকে খাটো করে দেখার বা তাঁর বিশাল অবদানকে মাত্র এক হাজার বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ করার, বন্দি করার, অধিকার কে কাকে কখন দিল? আমার সাফ কথা: বঙ্গবন্ধুর অপরিমেয় মহত্ব, বড়ত্ব ও বিশালত্বকে কোন বিশেষণ লাগিয়ে যদি বলতেই হয়, তা হলে, ব্যক্তিগত ও জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বলতে হবে: “ইতিহাসের সর্বযুগের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি”। প্রয়োজনে এ লক্ষ্যে নতুন আইন পাশ করতে হবে। কন্সটিটিউশনে এর স্বীকৃতি স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। তা না করতে পারলে “বাংলাদেশ বন্যা পার্টি” (ছদ্ম-নাম) যদি ৯০০ বছর পরও ক্ষমতায় আসে, তা হলে তারা ঐ সম্মানের উপাধিটি বদলেও ফেলতে পারে।

আজকের আওয়ামী লীগ সরকার যদি এই কাজ সিল-মোহর করতে না পারে, তা হলে আমিও বলব: যত উন্নয়নের দোহাই-ই দেন না কেন, আপনারা চরম একটি ব্যর্থ সরকার। বঙ্গবন্ধু জীবনে কিছুই পাননি, নেননি। উল্টো পেয়েছেন আকাশ-চুম্বী বেইমানি ও বিশ্বাসঘাতকতা, যেগুলোর অংশীদার হয়েছে তাঁর নির্দোষ গোটা পরিবারও। তবে মন খারাপ আমি করব না আমার ইংরেজি সাহিত্য পড়ার কারণে; এক কবি তাঁর এক কবিতায় লিখেছেন: দুনিয়াতে যে কোন মানুষ কোন ভাল/বড় কাজ করার পর তার প্রতিদান আবার দুনিয়াতেই যদি সে পেয়ে যায়, তাহলে আখেরাতে সে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হইল। কবির ভাষায়: “পেইড বাই দ্য ওয়ার্ল্ড? হোয়াট ডাস্ট দাউ ও…মী? গ…ড মাইট কুয়েশ্চন, আই এম সেফার সো”। বাংলায় অনুবাদ করলে হবে এরকম (আল্লাহ বলবেন) = “তুমি দুনিয়াতে যা যা ভাল কাজ করেছিলে, দুনিয়াতেই তো তার প্রতিদান পেয়ে গেছ, এখন আখেরাতে আমার কাছে তোমার আর কোন পাওনা বাকি নেই, (না পাওয়ায় কবি বলছেন), অতএব আমি নিরাপদ”। হিন্দুদের গীতায়ও তা-ই বলা হয়েছে। আর মুসলমানদের আল-কোরআনে তো আছে-ই। সুতরাং, আল্লাহ যেমন বড়, বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর পুরষ্কারও হবে তত-ই বড়, যা আমরা কল্পনাও করতে পারব না। আওয়ামী লীগ সরকার যদি এটা করতে না পারে, তবে বাধ্য হয়ে আমি আবার স্মরণ করব আমাদের জাতীয় কবি নজরুলকে: “বন্ধু গো, বড় বিষজ্বালা এই বুকে/দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি/তাই যাহা আসে কই মুখে”।

৫. আমার কথা: “হায় রে ভাই, দুঃখ বলার মানুষ কোথায় পাই”? একটি ছোট্ট কথা: পদের নাম: ‘জেলা প্রশাসক’। যেন, “যাঁর টাকায় বেতন খাই, তাঁকে আবার আমিই শাসাই”। আমি ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক, তা-ও আবার দেশে-বিদেশে সাড়ে চার দশকের। ‘প্রশাসক’ শব্দটি একটি ঔপনিবেশিক শব্দ। হেঁ, একজন প্রশাসক তাঁর অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে শাসন করতে পরেন, নইলে তাঁর অফিসই চলবে না। কোন ব্রিটিশ আমলে কে দিয়েছে নাম ‘জেলা প্রশাসক’? কোন প্রেক্ষিতে এ নাম দিয়েছে? কোন ইংরেজি শব্দের অনুবাদই বা করেছে? ভাষা-জ্ঞান তার কতটুকই বা ছিল?

সুপ্রিয় পাঠক/পাঠিকাবৃন্দ, কারো জানা থাকলে দয়া করে আমাকে জানাবার অনুরোধ করছি। আমি আপনাদের নিকট কৃতজ্ঞ থাকব। বানের পানিতে ভেসে আজও আমরা চলছি। চলুন না, সবাই মিলে একটু চিন্তা করি, কী নাম দিলে সুন্দর হয়। আমার মাথায় কয়েকটি নাম এ মুহূর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে, প্রস্তাব হিসেবে বলি: ক) জেলা ম্যানেজার (ডিএম), খ) জেলা সমন্বয়কারী (ডিসি), গ) জেলা সমন্বয়ক (ডিসি), ঘ) জেলা তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস), ঙ) জেলা পরিচালক (ডিডি), আর বোধ হয়, সবচেয়ে ভাল হয়, চ) জেলা নির্বাহী অফিসার (ডিএনও)। অর্থাৎ ‘প্রশাসক’ শব্দটি বাদ পড়বে। অধিকন্তু, দেশের সরকারের ক্ষেত্রে ‘প্রশাসক’ শব্দটি এমনিতে নীরবেই ঢুকে যায়, যদিও তারা গণতন্ত্রের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করেন। সরকারের নিচেই আবার অন্য আরও এক প্রশাসক, এটা সরকারের জন্যই লজ্জাকর, বেমানান এবং সরকারের দুর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ। এ ব্যাপারেও আইন পাশ করতে হবে।

৬. পরিশেষে সরকারকে বলতে চাই, মাঠ-পর্যায়ের নেতাদের হাতে ক্ষমতা একটু কম দিয়ে এ স্তরের সরকারি অফিসারদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দিলে উত্তম হয়। ইউএনওগণ কত যে ভুক্তভোগী, ইউএনও মাত্রই জানেন। আমার অনেক ছাত্র ছিল এবং আজ আছে ইউএনও, তাই আমি সব জানি। তারা না পারে কইতে, আর, না পারে সইতে। আমি কিন্তু এ মুহূর্তে আমার পল্লিতে বসে ল্যাপটপে লিখছি। ছোটবেলায়ও মুরব্বিদের নিকট থেকে শুনেছি: “বাঘে ছুঁইলে এক ঘা, চেয়ারম্যানে ছুঁইলে দুই ঘা, আর চেয়ারম্যানের চেলায় ছুঁইলে ১০০ ঘা”। আর এ জন্যেই পত্র-পত্রিকায় নজরে পড়ে– পাড়াগাঁয়ে শুধু মারামারি আর খুনোখুনি আর কেইস-মোকদ্দমা-মামলা-বিচার। চেয়ারম্যান আগে তার লাঠিয়াল বাহিনী পালে, পরে খায় সে নিজে, প্রথমেই তার বিগত ভোটের টাকা উঠায়, তার পরেই যোগাড়ে লাগে আগামী ভোটের টাকা, আর গরীবরা পোড়া কপাল নিয়েই মারা যায়।

এমনও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশে আছেন, যাদের অনুমতি না পেলে অনেক অপকর্মের সত্যিকারের অপরাধীকেও ধরার জন্য পুলিশ পাঠাতে সংশ্লিষ্ট ওসি ভয় পান। এমনকি, পুলিশের উপর চলে উল্টো আক্রমণ, কত পুলিশ সদস্য প্রাণও হারান। তাই, একজন পুলিশ সদস্যের অসহায় মন্তব্য: “আমাদেরকে সবাই শুধু ইউজই করে”। ৪/৫ বছর আগের কথা। জনৈক ওসি সাহেব মন্তব্য করেছিলেন, “আমাদেরকে কোন মিটিং-এ কেউ দাওয়াতও দেয় না, পুলিশি ভাল কোন কাজের কোন ম্যাসেজও সাধারণ মানুষের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারি না”। আবার আমার নিজের কথা: হেঁ, উন্নয়ন যা কিছু হয়, তার ৮০% ভাগই হয়, আবার ৮০% এমপিদের মাধ্যমে। এর নিচে নামলেই লুটতরাজ। এমপিগণ তো সবাইকে ভাল করেই চেনেন। তবে ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছে। নিচ লেভেলের কত কিচ্ছাই না শুনেছি বিগত লক-ডাউনগুলোর সময়ের ত্রাণ-ভাণ্ডার ও ত্রাণ-হাহাকার নিয়ে। এর উপর সে সময় আমি কয়েকটি কলামও লিখেছিলাম।

মাসখানেক আগে আরেক উপজেলা-ইঞ্জিনিয়ার সাহেব বড় দুঃখ করে বলছিলেন: “স্যার, এভাবে টাকার বিনিময়ে আর সন্ত্রাস চালিয়ে (আচানক-ভণ্ড, ছদ্মনাম) যদি চেয়ারম্যান হয়ে যায়, তাহলে আমরা চাকুরি করব কী করে, বলুন”? উনি অভিজ্ঞ একজন বুয়েট-ইঞ্জিনিয়ার; সিএনজি করে একা যাচ্ছিলেন উনার আপিসে (অফিসে); চেয়ে দেখি, উনার পায়ের নিচে অনেকগুলো ভাঙা ভাঙা ইট; জিজ্ঞেস করে জানলাম; শহর থেকে ফেরার পথে পথে কয়েকটি ইট-ভাটায় নেমে নেমে ওগুলো স্যাম্পল হিসেবে নিয়ে এসেছেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। মনে মনে ভাবলাম, জার্নির মাঝপথেও উনার আপিস চলছিল।

এই চেয়ারম্যানদের কাছে আমার ইউএনওগণের বা অন্যান্য অফিসারগণের “বিসিএস” কেন, আমার নিজ “ডক্টরেট ডিগ্রিও” ফেল, যদিও আমার বিসিএস অনে…ক আগেকার।

প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও ২৪ বছরের বিভাগীয় প্রধান, বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, ও দেশে-বিদেশে ৪৫ বছরের ইংরেজি ভাষা ও ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ