আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

আদিবাসীকে কেন আদিবাসী বলা যাবে না?

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

বুধবার (৯ আগস্ট) বিশ্ব আদিবাসী দিবস। আদিবাসীকে আদিবাসী বললে আপনারা অনেকে গোস্বা করেন। গোস্বা জমতে জমতে বারুদের মতো হয়ে যায়। সেই বারুদে স্ফুলিঙ্গ লাগে যখন সেটেলারদেরকে সেটেলার বলি। বারুদে স্ফুলিঙ্গ লাগলে কি হয়? মামলা হয়। যে সে মামলা না। বেশ কঠিন মামলা। আমি তো ইতোমধ্যে একটা সেরকম মামলা খেয়ে বসে আছি। আপাতত মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের সদয় হয়ে দেওয়া জামিনে মুক্ত আছি। পরে কি হয় সেটা পরে দেখা যাবে। মামলা হয়েছে, হোক। এ লেখায় আমি সেটেলারদের নিয়ে কিছু বলব না।

কথা হচ্ছিল বিশ্ব আদিবাসী দিবস নিয়ে। আদিবাসী কথাটা আমাদের এখানে বলা হয় ইংরেজি indegenous people শব্দগুলিকে বাংলা করে। আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা আবার আদিবাসী কথাটা পছন্দ করে না। আমাদের সরকারও পছন্দ করে না। সরকার বলেছে আদিবাসী বলা যাবে না, বলতে হবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। এই ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টি একমত। কেন? না, সরকারের নাকি ভয় আছে। ভয় কি? আমাদের পাহাড়ে আর সমতলে কিছু যে লোক আছে, যারা এই স্বাধীন দেশের বাসিন্দা এবং নাগরিক বটে, কিন্তু সংস্কৃতিতে ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরনে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত না, এদেরকে আদিবাসী বললে নাকি এদেরকে বিশেষ অধিকার দিতে হবে। সুতরাং এদেরকে আদিবাসী বলা যাবেনা।

আর আমাদের পাহাড়ের পরিস্থিতি তো একটু ভিন্ন। সেখানে যাদেরকে জিয়াউর রহমান আর হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের সরকার সমতল থেকে নিয়ে গিয়ে পাহাড়ে পুনর্বাসন করেছে (সেটেলার বলবো না? তাইলে কি নামে ডাকবেন?) এদের আবার আরেকটা বক্তব্য আছে। এদের কথা হচ্ছে চাকমারা (এবং মারমারা) নাকি মাত্র কয়েকশ বছর আগে বার্মা থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করেছে। তাইলে চাকমারা কি করে আদিবাসী হবে। না, চাকমা মারমা ত্রিপুরা এরা কেউই এখানকার আদিবাসী নয়। এই কথা আমি বহুবার বহু জায়গায় শুনেছি, বেশ বয়স্ক দায়িত্বশীল লোকজনকেও বলতে শুনেছি। কয়েকজনকে দেখেছি যে ঐতিহাসিক তারিখ দলিল এইসব সূত্র দেখিয়ে এই কথাটা প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করেন।

এসব দেখে মায়াও লাগে, আবার বিরক্তও লাগে। মায়া লাগে কারণ এই লোকগুলি কী? এরা কি এই সাধারণ কথাটাও জানেন না যে indegenous people কথাটা জাতিসংঘের ঘোষণা এবং অন্যান্য দলিলে একটি বিশেষ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেই অর্থে আমাদের পাহাড়ে এবং সমতলের গারো সাঁওতাল চাকমা মারমা ত্রিপুরা এরা সকলেই indegenous people? আর এই indegenous people কথাটাই আমাদের এখানে বাংলায় আদিবাসী বলা হয়।


সচেতনতার কমতি আমাদের সমতলের মানুষদের মধ্যেও আছে। আমাদের বুড়োরাও ঠিক খুলে সহজ করে তরুণদেরকে কথাগুলো বলেন না। খালি বক্তৃতা দেয় আর কঠিন কঠিন কথা বলে। আরে ভাই, সোজা কথায় তরুণদেরকে একবার একটা কথার সূত্র ধরিয়ে দেবেন, দেখবেন ওদের মধ্যে কয়েকজন বইপত্র ঘেঁটে ইন্টারনেট ঘেঁটে পরে জেনে তিনদিনের মধ্যে আপনাকেও পড়ানোর মতো পাকা হয়ে যাবে।

চলেন তাইলে সোজাসাপটা দেখি এই indegenous people কথাটার মানে কি, আর কেন এটা ব্যবহার করা হয়, আর কেনই বা আমরা এই কথাটা ব্যবহারের জন্যে এতো ঝোলাঝুলি করি!

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখবেন পশ্চিমা সাদা চামড়ার লোকেরা গিয়ে সেখানে যারা স্থানীয় ছিল ওদেরকে কোণঠাসা করে ওদেরই দেশ, ওদেরই জমি দখল করে নিজেরা সংখ্যাগুরু হয়ে বসে আছে। এখন ওরাই সেখানকার মালিক ওরাই সেখানকার সর্বেসর্বা। আমেরিকাতে আদি ইন্ডিয়ানদের এই কি হাল হয়েছে সেটা আপনারা জানেন। অস্ট্রেলিয়াতে এবরেজেনিয়ানদের অবস্থা জানেন। নিউ জিল্যান্ডের মাউরিসহ অন্যদের কথাও জানেন। এইসব জনগোষ্ঠীর বর্তমান হাল কী? এরা একেকটা স্বাধীন দেশেই বাস করে বটে, কিন্তু এরা ঠিক সেইসব মূলধারার সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকদের মতো না। ওদের সংস্কৃতি ভিন্ন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরন ভিন্ন, ভূমি ও সম্পত্তির মালিকানার ধরন ভিন্ন, জীবনযাপনের স্টাইল ভিন্ন।

এদের মধ্যে সবাই যে আদিকাল থেকে বা প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে একই জায়গায় বসবাস করছে এমন না। অনেক জনগোষ্ঠী আছে যারা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গিয়ে বসবাস করছে। একই জনগোষ্ঠীর এক অংশ এক দেশে তো আরেক অংশ আরেক দেশে। যেমন উত্তর আমেরিকার আফ্রিকান বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠী, আফ্রিকার মাসাই জনগোষ্ঠী এরকম বেশ কিছু জনগোষ্ঠী। এরা ঠিক আক্ষরিক অর্থে আদি বাসিন্দা নয়, কিন্তু এদের সমস্যা আর ঐ বলেছি আদি বাসিন্দা ওদের সমস্যাও একই ধরনের।

তিরিশ বছরের চেয়ে বেশী সময় ধরে জাতিসংঘ এইসব জনগোষ্ঠীর সমস্যা নিয়ে নানারকম কাজ করেছে, আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছে তার চেয়েও বেশী সময় ধরে। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আইএলও বলছে indegenous people হচ্ছে-
“a) tribal peoples in independent countries whose social, cultural and economic conditions distinguish them from other sections of the national community and whose status is regulated wholly or partially by their own customs or traditions or by special laws or regulations;

b) peoples in independent countries who are regarded as indigenous on account of their descent from the populations which inhabited the country, or a geographical region to which the country belongs, at the time of conquest or colonization or the establishment of present state boundaries and who irrespective of their legal status, retain some or all of their own social,
economic, cultural and political institutions.” (ILO Convention No. 169)


তার মানে দাঁড়াচ্ছে, indigenous people বলতে কেবল যে আদিকাল থেকে বসবাস করা লোকজনকে বুঝাবে আইএলও সেটা বলছে না। যাদের অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য দেশের অন্যদের থেকে আলাদা এবং ওদের নিজেদের প্রথা, বিশেষ আইন বা বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, ওদেরকেও indigenous people বলতে হবে। ঐটাকেই আমাদের এখানে আদিবাসী হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে।

এই সংজ্ঞায় আমাদের পাহাড়ের ও সমতলের কারা কারা আদিবাসী কাতারে পড়ে সেটা আপনি নিজেও ঠিক করতে পারবেন। তার জন্যে বিশাল আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ হতে হবে না।

এখন আসেন আদিবাসী বা indegenous people হলেই আমাদের কি লাভ বা কি ক্ষতি হবে সে এই সংজ্ঞা নিয়ে এতো মাতামাতি গুঁতোগুঁতি করতে হবে?

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এর মধ্যে আজ থেকে দশ বছর আগে একটা ঘোষণা প্রদান করেছে। এটার নাম The United Nations Declaration on the Rights of Indigenous Peoples, বাংলায় বলতে পারেন আদিবাসী অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র। এই ঘোষণাপত্রের প্রস্তুতিতে আইএলও'র সংজ্ঞা অনুযায়ীই indegenous people কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে।

কী আছে সেই ঘোষণাপত্রে? জাতিসংঘের ওয়েবসাইট থেকে ঘোষণাপত্রটি আপনি পড়ে নিতে পারেন। মোটা দাগে আমি বলে দিচ্ছি, সেই ঘোষণাপত্রে খুব বড় কিছু নাই। সেখানে বলা হচ্ছে যে এই যে আদিবাসী মানুষগুলো আছে, ওদের নিজস্ব পরিচয় নিয়ে ওদেরকে বাঁচার অধিকার ওদের আছে, আদিবাসীরা যাতে নিজেদের প্রথা অনুযায়ী ভূমির অধিকার রক্ষা করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে, ওদের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য যেন ওরা বজায় রাখতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে, সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আদিবাসীদের স্বাতন্ত্র্য বিঘ্নিত হচ্ছে কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হবে আর নিজেদের খানিকটা আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার থাকতে হবে।

এইটা তো অভিনব কিছু না। এই ঘোষণাটি গৃহীত হয়েছে দশ বছর আগে মাত্র। কিন্তু এর অনেক আগে থেকেই আমরা বলে আসছি যে, ভাই এই যে রাঙামাটিতে চাকমারা আছে, ত্রিপুরা ও মারমারা আছে, অন্যান্য জনগোষ্ঠী আছে, এরা সংখ্যায় কম বটে, কিন্তু এদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য আছে। ভূমি ব্যবহার ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলার নিজস্ব প্রথা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি আছে। ভাষা আছে। এইসব রক্ষা করেই ওদের জীবনযাপন ওরা ওদের নিজেদের মতো করতে যাতে পারে তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।

এইসব ঘোষণার আওতায় আমাদের আদিবাসীরা পড়বে কি পড়বে না সেই প্রশ্নেই এইসব কথাবার্তা। আমাদের সরকার ও বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো আদিবাসীদেরকে ওদের অধিকারের স্বীকৃতি দেবে না- এইজন্যেই ওরা আদিবাসীদেরকে আদিবাসী বলবে না। কিন্তু আইনত বার্মা থেকেই আসুক বা চন্দ্র থেকে বা মঙ্গলগ্রহ থেকেই আসুক, চাকমারা আমাদের আদিবাসী, মারমারা আমাদের আদিবাসী, ম্রোরা আমাদের আদিবাসী, গারো আর সাঁওতালরা তো বটেই।


আদিবাসীদের আদিবাসী বললে কি আমাদের মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? ওদেরকে আদিবাসী বললেই কি রাঙামাটি থেকে আমাদের হাত গুটিয়ে নিতে হবে? আদিবাসী বললেই কি ফারের সকল মানুষকে জংলি বানিয়ে রাখতে হবে? সকল উন্নয়ন বন্ধ করে দিতে হবে?

না, কেউ কখনো চায়নি যে পাহাড়ে কোন উন্নয়ন হবে না। অবশ্যই হবে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে আপনি সেখানকার আদিবাসীদের অবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। পাহাড়ে অন্য কেউ বসবাস করতে পারবে না সেকথা কেউ বলছে না। কিন্তু ওদেরকে আপনি ওদের নিজেদের ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবেন না। আপনার ভূমির মালিকানা যেভাবে রেকর্ড হয়েছে চাকমাদের ভূমির মালিকানা সেই নিয়মে রেকর্ড হয়নি। ম্রোদের জমির মালিকানার কোন কাগজপত্র নাই। তাই বলে আপনি ওদেরকে ওদের ভূমি থেকে ইচ্ছেমত তাড়িয়ে দেবেন, উৎখাত করবেন সেটা হবেনা। জোর করে সেখানে অন্যদেরকে ঢুকিয়ে দেবেন সেটা হবে না।

এটা কি খুব অন্যায় কোন আবদার? না। ওরা আদিবাসীদের এই অধিকার স্বীকারই করবে না। আমাদের এখানে তো আপনারা আদিবাসীকে আদিবাসীই বলবেন না। কিরকম আচরণ দেখেন, জাতিসংঘে এই ঘোষণাটি গৃহীত হবার আগে একসময় আমাদের দুই নেত্রীর দুইজনই আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আদিবাসী বলে বাণী ইত্যাদি দিয়েছেন। এখন উনারা কেউই আদিবাসী শব্দটিই ব্যবহার করবেন না। কেন? উনাদেরকেই জিজ্ঞাসা করেন।

এই যে বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন হবে আমাদের এখানে বুধবার, আপনারাও অনেকে এটা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেবেন। আপনারা কি জানেন ২০০৭ সনে এই ঘোষণাটি যখন সাধারণ পরিষদে পাশ হয় তখন কারা কারা এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে আর আমাদের দেশের কি ভূমিকা ছিল? চারটি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে- আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড আর কানাডা। আর বাংলাদেশ? বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

আদিবাসী অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের ঘোষণার দশ বছর হচ্ছে এবছর। আমরা কি এখনো বুঝতে পারবো না যে আদিবাসীদের অধিকার পূরণ করা আমাদের নিজেদের আত্মমর্যাদার জন্যে নিজেদের ভালোর জন্যেই জরুরী। কেননা আদিবাসীরা একটু ভিন্নরকম বটে, ওরা আমাদের রাষ্ট্রে বৈচিত্র্য যোগ করে বটে, কিন্তু এই রাষ্ট্রের মালিকানা আমাদের চেয়ে ওদের অংশ একবিন্দু বা এক তিলও কম না।

আপনারা- দেশের সংখ্যাগুরু ও-আদিবাসী মানুষেরা, বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর সকল আদিবাসীর শুভেচ্ছা ও সালাম গ্রহণ করুন।

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ