আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বিএনপির ৩৯ বছরের ‘শ্রেষ্ঠ ইনোভেশন’, নেতা নির্বাচনে মূত্র পরীক্ষা!

চিররঞ্জন সরকার  

গত ১ সেপ্টেম্বর ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৮ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই দলটির অনেক সাফল্য-ব্যর্থতা আছে। ভালো-মন্দ আছে।

আমরা সে আলোচনায় যাব না। আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করবো সম্প্রতি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ছাত্রদলের নেতা বাছাই করতে মূত্র পরীক্ষার ঘটনাটির উপর। কারণ অনেকের বিবেচনায় বিএনপির ৩৯ বছরের রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় নেতা নির্বাচনে এটা একটা শ্রেষ্ঠ ইনোভেশন!

পেশাব, পেচ্ছাব, প্রসাব, প্রস্রাব, মূত্র, মুত, হিসু, পিসু। জিনিস একই, হরেক রকম নাম! আমাদের জীবনের অনিবার্য এক অনুষঙ্গ। মেয়েদের ঋতুমতি হওয়া বা যৌনতা সম্পর্কে আমাদের সমাজে যেমন একটা রাখ-ঢাক ব্যাপার আছে, হাগু-মুতুর ব্যাপারেও এক ধরনের ট্যাবু বা সংস্কার কাজ করে। আমরা মুত বা হিসু নিয়ে কথা বলতে কেমন যেন একটু শরম পাই। স্কুলে যখন পড়তাম তখন ক্লাস চলাকালে ‘চাপ’ এলে বলতাম, স্যার একটু বাইরে যাব। স্যার বুঝে নিতেন, এই ‘বাইরে’ মানে কি! অথবা বলতাম বাথরুমে যাব বা ‘বাথরুম পেয়েছে‘!

ছোটকালে আমরা গোসলখানা, শৌচাগার সব কিছুকেই বাথরুম বলতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখলাম, ‘বাথরুমগুলো’ সব কেমন করে যেন ‘টয়লেট’ হয়ে গেছে! যাহোক, আমাদের ‘বাথরুম পাওয়া’, বা ‘টয়লেট পাওয়া’ও ভারী আজব ব্যাপার।

একটা মানুষের হিসু পেতে পারে। ‘বড় চাপ’ও আসতে পারে, তাই বলে একটা ‘বাথরুম‘ বা ‘টয়লেট’ কীভাবে ‘পায়’, সেটা ভাবলে হাসি আসে! আমরা ‘ভদ্রলোকেরা’ ভাষার ওপরও কতটা জবরদস্তি করি! চাষা-ভুষোরা কিন্তু দিব্যি বলে, একটু ‘মুতে আসি’, কিংবা ‘হাগবো’। তাতে তাদের সম্মান যায় না। কিন্তু সমাজে তথাকথিত ভদ্রলোকদের অনেক কিছুতেই সম্মান যায়। এই সম্মান বাঁচাতে তারা ‘টয়লেট পাওয়া’র মতো অদ্ভুত শব্দ ব্যবহার করেন। অথবা এসব কথা ইংরেজিতে বলেন! যেন ইংরেজিতে বললেই ওটার মর্যাদা রক্ষা পায়!

যা কিছু প্রাকৃতিক, অনিবার্য সেগুলো ঢেকে রাখা কিংবা আকার-ইঙ্গিতে অথবা ইংরেজিতে বলার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য আছে ঈশ্বর জানেন! আর জানেন সেই সব ‘ভদ্রলোকেরা’!

যাহোক, আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় বা ইসু হচ্ছে হিসু। মানুষের যেমন কান্না পায়, হাসি পায়, ক্ষুধা পায়, ঘুম পায়, ঠিক তেমনি হিসুও পায়। আমরা যে পরিমাণ পানি পান করি, তার মধ্য থেকে যেটুকু বর্জ্য, তা হিসু হয়ে বের হয়ে যায়। হিসু যদি না পায়, আমাদের শরীরের ভেতরের দূষিত পানি যদি বের হয়ে না যায়, তাহলে আমরা বাঁচতে পারব না। নিয়মিত হিসু না হলে আমাদের মৃত্যু অবধারিত। হিসু সেই দিক থেকে খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। অথচ এই জিনিসটিকে নিয়েই আমাদের কত নাটক। কত অভিনয়!

ছোটকালে আমাদের হিসু আসে ক্ষণে। শ্রাবণের বৃষ্টির মতো। আনলিমিটেড। কোনও আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই যখন-তখন বের হয়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হুঁশ-জ্ঞান বাড়ে। আমরা নির্দিষ্ট স্থানে হিসু করতে শিখি। কিন্তু অনেকে অনেক বড় বয়স পর্যন্ত বিছানায় হিসু করে চরম লজ্জা ও অপমানের ভাগীদার হন। এটা অবশ্য একটা রোগ।

হিসু সবাই করেন। এর কোনও উচ্চ-নিচ ধনী-দরিদ্র নারী-পুরুষ আস্তিক-নাস্তিক ভাগ নেই। প্রাচীন মানুষরা যেমন করেছেন, বর্তমান মানুষরা করছেন, নিশ্চয়ই অনন্ত আগামীর মানুষরাও তা করবেন। এর থেকে পরিত্রাণের কোনও উপায় আবিষ্কৃত হবে বলে মনে হয় না। হয়তো `ডায়েপার’ জাতীয় জিনিসের আরও উন্নত সংস্করণ আবিষ্কৃত হবে, কিন্তু হিসু নিঃসরণ বন্ধ হবে বলে মনে হয় না!

তবে আমরা সব সময় স্বেচ্ছায় নিজ গরজে হিসু করি না। অনেকে আছেন ভয়ে হিসু করে দেন। অনেকে মারের চোটেও হিসু করেন। অনেকে দীর্ঘক্ষণ চেপে রাখতে না পেরে কাপড়ে-চোপড়ে হিসু করেন। হিসু নিয়ে প্রত্যেকের জীবনেই কোনও না কোনও ‘গোপন’ অভিজ্ঞতা আছে। ছোটরা যেমন যেখানে-সেখানে-কাপড়ে-চোপড়ে, বিছানায় হিসু করে দেন, বড়রাও অধিক বার্ধক্যে পৌঁছলে এই কাজটি করেন। ছোটরা কাজটি করে লজ্জিত হয় না, কিন্তু বড়রা হন। এবং এটা ঢেকে রাখতে অনেক ব্যর্থ চেষ্টা করেন।

হিসু বা মূত্র নিয়ে এত কথা বলার কারণ সম্প্রতি ফরিদপুরের বোয়ালমারীর একটা ঘটনা। গত ৪ আগস্ট ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ছাত্রদল নেতা বাছাই করতে মূত্র পরীক্ষা করিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ শাহ মো. আবু জাফর। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও মাদকমুক্ত ছাত্রনেতা বাছাই করতে তিনি এ উদ্যোগ নিলেও এর সমালোচনা করেছেন জেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা।

প্রকাশিত খবর মতে, বোয়ালমারী উপজেলায় ছাত্রদলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রত্যাশী আটজন। তাঁদের মধ্য থেকে মাদকমুক্ত ছাত্রনেতা বাছাই করতে নিজের খামারবাড়িতে উপস্থিত থেকে আবু জাফর আট তরুণের মূত্র সংগ্রহের কাজ করান।

এ ব্যাপারে শাহ মো. আবু জাফর বলেন, ‘দল করতে হলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে এবং অবশ্যই মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। নেতা সমাজের আদর্শ, সমাজের উদাহরণ। এ জন্যই আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি। তরুণদের মূত্রের তিনটি করে টেস্ট করা হয়। এগুলো ছিল তিনি গাঁজা, ইয়াবা ও ফেনসিডিলে আসক্ত কি না।’

এই মূত্র পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে, আট তরুণের মধ্যে ছয়জন মাদকমুক্ত। আর দুজন মাদকাসক্ত।

এ উদ্যোগকে একটি ‘হাস্যকর ও উদ্ভট’ প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেছেন জেলা বিএনপির নেতারা। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী বলেছেন, ‘এ ঘটনায় তরুণেরা নৈতিকভাবে আহত হবেন এবং এটি নেতা নির্বাচনের জন্য কোনও প্রক্রিয়া হতে পারে না। আমি জানি না এ জাতীয় একটি আজব পরিকল্পনা কীভাবে ওই কেন্দ্রীয় নেতার মাথায় এল।’

‘এটি একটি নিন্দনীয় কাজ’ মন্তব্য করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ বলেন, এ জাতীয় উদ্যোগ সমর্থনযোগ্য নয়। এতে মানুষের ব্যক্তিত্ব ক্ষুণ্ণ হয়, ওই নেতা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।’

ছাত্রদলের নেতা নির্বাচনে মূত্র পরীক্ষার এই ব্যবস্থাটি খুবই ইনোভেটিভ একটি আইডিয়া হিসেবে অনেকের কাছে বিবেচিত হচ্ছে। তাদের মতে, ভালো, ভদ্র, রুচিবান, এবং টেন্ডারবাজ, চালবাজ, চাঁদাবাজ, `তুফান‘বাজ ও নেশাগ্রস্ত নয়, এমন টগবগে তরুণসমাজকে আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসার সুযোগ করে দেয়ার জন্য এই উদ্যোগ অত্যন্ত চমকপ্রদ ও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। শুধু রাজনীতিতেই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিসিএস, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি-বেসরকারি যে কোনও ক্ষেত্রেই মাদকমুক্ত যুব সমাজকে নেতৃত্বের আসনে বসাবার জন্য এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

আরেক পক্ষের মন্তব্য: সুস্বাস্থ্য, মাদকমুক্ত, নীতি-আদর্শবান নেতাকর্মী যদি বিএনপিতে থাকে, তাহলে দল চলবে কি করে? কারণ আগুন সন্ত্রাস, অবরোধ, ভাঙচুর ইত্যাদির জন্যে তো নীতিনৈতিকতা বিবর্জিত নেতাকর্মীর দরকার! আর সমাজে এখন তো তুফানদের যুগ। মূত্রপরীক্ষা, রক্তপরীক্ষা করে যদি দূষিত রক্ত ও মূত্রের লোকজনকে বাদ দেয়া হয় তাহলে রাজনীতিতে রাতারাতি গান্ধী-রবীন্দ্রনাথের আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে! আমাদের সমাজ এই পরিস্থিতির জন্য আদৌ তৈরি নয়!

আরেকটি কথা, ছাত্ররাজনীতিতে যদি এই ধারা সত্যি সত্যি প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে মানুষের মধ্যে মূত্র-আতঙ্কও তৈরি হতে পারে!

আমাদের জীবনে অনেক বিষয় আছে যা আপাতদৃষ্টিতে উদ্ভট কোনও কোনও ক্ষেত্রে অশ্লীল মনে হলেও তা বেঁচে থকার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। মূত্র জিনিসটাও ঠিক তেমন। এ নিয়ে আলোচনা আর না বাড়িয়ে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতায় ফিরে যাই। আমরা অনেকেই এই আদি এবং অকৃত্রিম লেখাটা পড়েছি- ‘এখানে প্রস্রাব করিবেন, না করিলে একশত টাকা জরিমানা’। ভাবখানা এমন যে প্রস্রাব না করিলেই আপনাকে একশত টাকা জরিমানা দিতে হবে। এটা আসলে কিশোর কিংবা কোনও সৃজনশীল যুবকের অবসরের বিনোদন। এই কাজটা আমরা অনেকেই করেছি ছেলেবেলায়। যেমন ‘পড়াইতে চাই’য়ের আগে আমরা একটা ‘থা’ লাগিয়ে দিতাম। তাতে লেখাটা দাঁড়াতো `থাপড়াইতে চাই’ এভাবে লেখাকে পালটে দেওয়ার মাঝেও কিছুটা রঙ্গ-রস কিংবা মজা করার ব্যাপার আছে। আর জীবনটা মজা বা কৌতুক ছাড়া আর কি?

পরিশেষে মূত্র বিষয়ে একটা বহুল প্রচলিত কৌতুক।

ডাক্তার: আগামীকাল সকালে আসবেন, আপনার ইউরিন টেস্ট করা হবে।

রোগী আবার তেমন একটা লেখাপড়া জানেন না। তাই জিজ্ঞেস করলেন: ইউরিন কি স্যার?

ডাক্তার: প্রস্রাব! একটা বোতলে করে প্রস্রাব নিয়ে আসবেন। টেস্ট করে দেবো।

রোগী : তো, টেস্ট কি আপনি করবেন না আপনার সহকারী করবেন?

ডাক্তার : আমি নিজেই টেস্ট করবো।

পর দিন সকালবেলা রোগী বোতল ভরা প্রস্রাব এবং এক প্যাকেট চানাচুর এনে ডাক্তারকে দিলেন।

ডাক্তার : প্রস্রাবের বোতল ঠিক আছে, কিন্তু চানাচুরের প্যাকেট কেন আনলেন?

রোগী : না, ভাবলাম খালি মুখে টেস্ট করবেন... ব্যাপারটা কেমন দেখায় তাই চানাচুর আনলাম। চানাচুরের সঙ্গে ওটা টেস্ট করে মজা পাবেন আশা করি!

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ