প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
কবির য়াহমদ | ২১ মে, ২০১৫
মুহম্মদ জাফর ইকবাল নামটা লিখলে তার আগেপিছে আর কোন অভিধা দেওয়ার দরকার পড়ে না। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, লেখক- সব অভিধা তাঁর নামের কাছে ম্লান হয়ে যায় যদিও এগুলো দিয়েই তিনি জাফর ইকবাল হয়ে উঠেছিলেন। এটাই সম্ভবত সাফল্যের পরিমাপক কিংবা বলা যায় অভিধা যার নামের কাছে ম্লান তিনিই জাফর ইকবাল।
দেশে তাঁর বন্ধু যত তারচাইতে শত্রুর সংখ্যা হয়ত বেশিই। এর মধ্যে চেনা শত্রু যত তার কয়েক হাজার গুন অচেনা শত্রু, বলা যায় বন্ধুবেশী শত্রু। সফল মানুষদের ক্ষেত্রে এমনই হয়ে থাকে। বর্ণচোরা শত্রুরা এমন যে তারা তাঁর কাছ থেকে সবকিছু আদায় করে নিয়ে সুযোগ বুঝে আঘাত হানতে পারঙ্গম।
এই সময়ে কিংবা সব সময়ে জাফর ইকবালের সবচাইতে বড় পরিচয় তিনি তারুণ্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বীজটি খুব ভালভাবে প্রোথিত করতে পেরেছেন। এই সময়ের তারুণ্য যখন যে কোন বিষয়ে পরষ্পরবিরোধী তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে তখনই তিনি সর্বশেষ আশ্রয় হিসেবে তাঁর নিজস্ব চিন্তাগুলো সবার উদ্দেশে লিখেন এবং অনেকেই সে চিন্তার মাঝে নিজের চিন্তা খুঁজে পায় অথবা পথের দিশে খুঁজে পায়।
যুদ্ধাপরাধীবিরোধী আন্দোলন কিংবা প্রশ্নপত্র ফাঁস ইস্যুতে তিনি সহজ ভাষায় যে কথাগুলো বলেছিলেন, বলছেন তা সত্যিকার অর্থেই এক প্রকার আশার আলো ছড়িয়ে দেয়।
অতীতে জাফর ইকবালকে নাস্তিক, মুরতাদ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তবু তিনি থেকে থাকেননি, লিখেছেন, লিখে চলেছেন এবং লিখে যাওয়ার প্রত্যয়ে এখনও অনঢ় আছেন। তাঁর সাথে যতবার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে ততবারই নতুনকে আরও শাণিতভাবে এবং পুরনো অনেক কিছুই নতুনভাবে ভেবে দেখার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।
দেশবরেণ্য একজন শিক্ষাবিদ হওয়ার পরও তিনি সিলেটে আছেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন। অতীতে অনেকবারই তাঁকে সেখান থেকে সরাবার, সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল কিন্তু প্রতিবারই সে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে, তিনি থেকেছেন শাবিতে।
নিকট অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ যখন তিনি নিয়েছিলেন তখনই দৃশ্যপটে চলে আসে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিপক্ষ। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দাবিদার স্থানীয় আওয়ামিলীগসহ যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের সঙ্গে। সিলেটজুড়ে এ নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলে তারা। মিছিল-মিটিং হয়, শাবি’র অনেক শিক্ষকও সে চক্রে যোগ দেন। এক সময়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান ও অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত দৃশ্যপটে চলে এসে বন্ধ করে দেন ভাস্কর্য নির্মাণ প্রকল্পের কাজ অথচ এ ভাস্কর্যের অনেক কাজ সম্পাদন হয়ে গিয়েছিল। সে সময় আমরা সিলেটের প্রগতিশীল ভাবধারার মানুষজনদের নিয়ে জাফর ইকবাল ও শাবি ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম এবং জানিয়েছিলাম আমরা ভাস্কর্য নির্মাণের পক্ষে। জাফর ইকবাল আমাদের দেখে আশ্বস্ত হয়ে বলেছিলেন- তোমাদের এই উদ্যোগ আমাকে আশাবাদি করছে, বাংলাদেশ আশাবাদি হচ্ছে। কিন্তু তবু সে ভাস্কর্য হয় নি কারণ মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামিলীগের আপস কৌশল।
শাবিতে ভাস্কর্যবিরোধী ছিল যারা তারা তখনই জাফর ইকবালের সিলেট ত্যাগের দাবি জানায়। তাদের সে দাবি পুরণ হয়নি কারণ শাবি’র সাধারণ শিক্ষার্থিরা যারা তাঁকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করে এবং তারাই তাঁর সব সময়ের জন্যে বর্ম।
ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনে সফল হওয়ার পর সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আবারও সিলেট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ‘সচেতন সিলেটবাসী’ নামের একটি সংগঠন এই পদ্ধতির বিরোধীতা করে তারা এ পদ্ধতিকে গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতির নামে অপপ্রচার চালায়। এই আন্দোলনের নেপথ্যে কলকাটি নাড়েন সদ্য বহিস্কৃত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মিডিয়ায় তাদের পক্ষে অপপ্রচারের মুল কাজটি করে স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাক ও জালালাবাদ পত্রিকা। জালালাবাদ পত্রিকা জামায়াত মালিকানাধীন এবং সিলেটের ডাক রাগীব আলীর মালিকানাধীন। বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়, এই পত্রিকাটি মূলত ডানপন্থীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে থাকে। স্থানীয়ভাবে অনেকেই রাগীব আলীর একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে থাকেন কিন্তু এ বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছু জানা নাই বলে রাগীব আলীর একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে কোন মন্তব্য করব না।
‘সচেতন সিলেটবাসী’ নামক সংগঠনকে অনেকেই ভুঁইফোড় সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। তাদের প্রাথমিক দাবি সমন্বিত শিক্ষা পদ্ধতির বাতিল এবং পরে এক সময় তা ‘জাফর ইকবাল খেদাও’ কর্মসুচিতে রূপ নিয়েছিল। মিছিল-সমাবেশ, লংমার্চ, হরতাল তারা সব করেছিল এবং সফলও হয়েছিল শাবিপ্রবি-যবিপ্রবি’র মধ্যকার সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলে। এই আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিএনপি জামায়াত যেমন ছিল ঠিক একইভাবে ছিল আওয়ামিলীগ-সিপিবি-জাসদও। এদের কেউ কেউ মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিয়ে আবার কেউ কেউ স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করে অথবা পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে। অনেকেই আছেন এমন যারা এক সময় স্বীকার করেছেন স্মারকলিপি কিংবা বিবৃতিতে কী লেখা ছিল তারা পড়েননি, এমন।
২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সারাদেশে গণজাগরণ আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন হেফাজতে ইসলাম ঠিকই তাদের আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে জাফর ইকবালকে বেছে নিয়েছিল কারণ তারা জানত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবচেয়ে শক্তিশালী লেখককে আক্রমণ না করলে তাদের আন্দোলনের কোন অর্জনই নেই! সারাদেশে হেফাজতের চালানো তাণ্ডবের সময়ে সিলেটের রাজপথেও জাফর ইকবালের বিপক্ষে স্লোগান ওঠেছিল। কোর্ট পয়েন্টসহ সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় তারা জাফর ইকবালের ফাঁসির দাবিতে দেওয়াল লিখন এবং রাস্তা লিখন সম্পাদন করেছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে চালানো হেফাজতি তাণ্ডবের সময়ে সিলেট শহীদ মিনার আক্রান্ত হয়। এছাড়াও সিলেট শহরের যেখানে জাফর ইকবালের ছবি সম্বলিত ভূমিকম্প সতর্কীকরণ বার্তার বিলবোর্ড ছিল সেগুলোই ধ্বংস করে তারা। এ আক্রোশের কারণ কী হতে পারে- এখান থেকেই অনুমিত।
জাফর ইকবাল কেবল জামায়াত-হেফাজত কিংবা উগ্র ধর্মান্ধদের টার্গেট এটা বললে হয়ত সরলীকরণ হয়ে যায়। তিনি মৌলবাদী এবং প্রগতিশীল নামধারী সবারই টার্গেট; আওয়ামিলীগ-সিপিবি-জাসদ কৌশলে বিরোধিতা করত আর বাকিরা সরাসরি এখানেই মুল পার্থক্য। শাবি-যবি'র মধ্যকার সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল ইস্যুতে শুরু হওয়া যে আন্দোলন ছিল তার শেষটা ছিল জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে এবং আন্দোলনে সব দল এক মোহনায় এসে মিশেছিল।
অতি সম্প্রতি, আওয়ামিলীগ তাদের কৌশলী জাফর ইকবাল বিদ্বেষ থেকে সরে এসে সরাসরি তাদের আক্রমণের তীর তাক করেছে। শুরুটা করেছেন জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ আসনের আওয়ামিলীগ দলীয় ভোটে ও বিনাভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী কয়েস। জামায়াতি পরিবার থেকে ওঠে আসা আওয়ামিলীগ দলীয় এই সংসদ সদস্য ফেঞ্চুগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে (৯ মে) জাফর ইকবালকে সিলেটবিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে হুমকি দিয়ে বলেন- তাঁর ক্ষমতা থাকলে তিনি জাফর ইকবালকে কোর্ট পয়েন্টে নিয়ে এসে চাবুক মারতেন।
এমপি কয়েসের এই ন্যাক্কারজনক উক্তি ও হুমকির পর সারাদেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থিরা তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে, শিক্ষক সমিতি, শাবি প্রেসক্লাব নিন্দা জানায়। মিডিয়ায় এ বক্তব্য আসার পরেও মিডিয়াকর্মীদের যোগাযোগের পরেও তাদের সাথে কোন ধরণের কথা বলেননি এ সাংসদ।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ পর রীতিমতো সাইক্লোন বইয়ে দিলো আওয়ামিলীগ। ১৬ মে শনিবার ‘সিলেটবাসী’ ব্যানারে আওয়ামিলীগের জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে জাফর ইকবালকে আবারও সিলেটবিদ্বেষী অভিহিত করে তাঁকে ‘ব্লগার’ আখ্যা দেওয়া হয়। এবং মিছিলে স্লোগান ওঠে ‘জাফর ইকবালের আস্তানা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘জাফর ইকবালের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ সহ বিবিধ অপমানজনক স্লোগান। স্থানীয় আওয়ামিলীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতারা এভাবে জাফর ইকবালের প্রতি আক্রমণাত্মক ও বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য ও স্লোগান দেন।
খেয়াল করলে দেখা যায়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর জাফর ইকবালের লেখাগুলো অধিকাংশক্ষেত্রেই আওয়ামিলীগের পক্ষে যায় এবং এটা স্বাভাবিক কারণ মুক্তিযুদ্ধকে ও’ন করার মতো আর কোন দল প্রকাশ্যে আগ্রহী না। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে তাদের গৃহিত অনেক সিদ্ধান্ত ও কর্মসুচি বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী জোটের পক্ষে থাকে বলে তারা আদতে জাফর ইকবালের লেখাগুলোর ফল ঘরে তুলতে আগ্রহী না অথবা উপযোগি না। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামিলীগ কেন জাফর ইকবালকে আক্রমণ করতে গেলো এটা একটা প্রশ্ন হয়ে অনেকের মাঝেই ঘুরছে।
আওয়ামিলীগের নেতৃত্ব এ রকম জাফর ইকবাল বিদ্বেষ পোষণ করে না হয়ত যতটা সিলেটের স্থানীয় আওয়ামিলীগ করে থাকে। এর মূল কারণ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটে অবস্থিত হলেও সিলেটের কেউই অন্যায়ভাবে সেখানে প্রভাব বিস্তার করতে গেলে একটাই নাম সামনে চলে আসে- সে জাফর ইকবাল। স্থানীয়ভাবে কেউ জাফর ইকবালের কাছে যাক অথবা না যাক যাওয়ার আগে প্রভাব বিস্তার পরিকল্পনাকারী পিছু হটে চলে আসে শাবিতে তিনি আছেন বলে। তাঁকে কারও সামনে দাঁড়ানো লাগে না এক অদৃশ্য বাধা হয়ে আছেন তিনি। ফলে স্থানীয় লুটেরা রাজনৈতিক নেতাদের কাছে এক অদৃশ্য বিভীষিকার নাম তিনি।
মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী কয়েস এমপি মধ্যযুগীয় কায়দায় জাফর ইকবালকে কোর্ট পয়েন্টে নিয়ে এসে চাবুক মারতে চান আর ঠিক এক সপ্তাহ পর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামিলীগকে জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিলেন। আমার ধারণা, এমপি কয়েসের সে অর্থশক্তি, পেশিশক্তি ও ক্ষমতা সব আছে কিন্তু জাফর ইকবালের কলমের যে শক্তি তা তাঁর মধ্যে নাই।
আমি জানি না জাফর ইকবালকে হুমকি দিয়ে মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী কয়েস কী পেয়েছেন, আমি জানি না আওয়ামিলীগ প্রধান শেখ হাসিনা এমপি কয়েসের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের পরেও তাকে আগলে রেখে কী প্রাপ্তিযোগ করেছেন, আমি জানি না সিলেট আওয়ামিলীগ জাফর ইকবালকে অপমান করে, ন্যাক্কারজনক ভাষায় স্লোগান দিয়ে কী পেয়েছে; তবে আমি জানি এখান থেকে তাদের প্রাপ্তিযোগ হচ্ছে অনিঃশেষ ঘৃণা আর মানুষের বিশ্বাসভঙ্গের অহর্নিশ বেদনা। এই বেদনা, এই ঘৃণা থেকে কিছু মানুষ হয়ত ঘুরে দাঁড়িয়ে বলবে- ছি!
আমি জানি না মুহম্মদ জাফর ইকবাল জীবনে কী চেয়েছিলেন বেশি; বন্ধু, না শত্রু? তবে জানি তিনি অনেক শত্রু পেয়েছেন, এই শত্রুরা তাঁর প্রাণ হরণও করতে পারে এমন! এত এত শত্রু পাওয়ার পর তিনি ঋজু হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এখনও, এটাই আশাবাদের জায়গা।
মাঝে মাঝে মনে হয় এ শত্রুদেরও ধন্যবাদ দিই, কারণ তাদের কারণেই হয়ত জাফর ইকবাল; আজকের এই জাফর ইকবাল!
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য