আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Advertise

মানবতা মানুষের ধর্ম, ক্ষুধার্তের চাওয়া খাবার

দেব দুলাল গুহ  

মানুষের ধর্ম মানবতা, মনুষ্যত্ব। এর চেয়ে বড় কোনো ধর্ম নেই। ধর্মীয় পরিচয় পরে, আগে আমরা সবাই মানুষ। মানুষের বিপদে মানুষই পাশে থাকবে, থাকতে হয়।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিপদে মানুষ হিসেবেই তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, ধর্মীয় কারণে নয়। এবং সেটা অবশ্যই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী।

শিখ ধর্মের অনুসারীদের ত্রাণসামগ্রী প্রক্রিয়াজনিত কারণে ৩ দিন বন্দরে আটকে থাকার পর গতকাল খালাস হয়েছে। প্রতিদিন ৩৫ হাজার শরণার্থীকে খাবার খাওয়ানোর টার্গেট নিয়ে কাজ করছেন শিখ স্বেচ্ছাসেবকেরা।

এটা নি:সন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তারা যদি ধর্মের দিকে তাকিয়ে ওদেরকে পর ভাবতো, তাহলে এমন মানবিক আচরণ করতো না। কার ধর্ম সেরা, কারটা ছোট, এই বিতর্কে না নেমে তারা অসহায় মানুষের সেবায় নেমেছে। এটাই মানুষের কর্তব্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর শিখদের যে গুরুদুয়ারি নানকশাহী আছে, সেখানেও প্রতি শুক্রবার প্রার্থনার পর যে যায়, তাকেই বিনামূল্যে পেটভরে খাওয়ায়, জানতে চায় না কার ধর্ম কী।

দেরীতে হলেও হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভারত মুসলিম-আধিক্যের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির সংকট সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে, বাংলাদেশের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে, ত্রাণ পাঠিয়েছে। মিয়ানমারেরও উচিত জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর এমন আচরণ বন্ধ করা এবং শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়া।

ধর্মের কথা বলে যারা সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে, তারা ধার্মিক হতে পারে, কিন্তু কোনোদিনই প্রকৃত মানুষ হতে পারবে না। অন্য ধর্মের বন্ধুর বাড়িতে খেলে ধর্ম থাকবে না, এই কথা যারা বলে তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।

একাত্তরে বাংলাদেশের ১ কোটি শরণার্থীকে (হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে) আশ্রয় দিয়েছে, খাইয়েছে ভারত। তখন যেহেতু বিপদের দিনে এসব ভেদাভেদ আমরা মানিনি, এখনও মানব না।

আমি নিশ্চিত ঐ রোহিঙ্গা শিশুটিকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার ধর্ম কী, ও উত্তর দেবে 'আমি ক্ষুধার্ত, আমাকে খাবার দাও'।

দেব দুলাল গুহ, প্রভাষক, লেখক ও কলামিস্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ