আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

অবিন্যস্ত জিজ্ঞাসা

নাজমুল হাসান  

সরকারের কোনও বিভাগ স্বাধীন হলে সেটা যদি জনগণের জন্য মঙ্গলময়ই হয়, তবে কেন শুধুমাত্র বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা দেবার প্রশ্নটি ঘুরেফিরে আসে? প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার, স্বাস্থ্য, কৃষি, ট্যাক্স, ভ্যাট, কাস্টমস ইত্যাদি ইত্যাদি দেশের অন্যান্য যে সেক্টর ও বিভাগগুলো আছে সেগুলোর স্বাধীনতার কথা কেন বলা হয় না? নাকি এগুলো নাগরিকদের চাওয়া-পাওয়া প্রত্যাশিত মাত্রার চূড়ান্ত ছাড়িয়ে একেবারে উপচে পড়া অবস্থায় আছে?

মানুষ পাঁচ বছরে একবার ভোট দিতে যায়, সারা জীবনেও হয়তো কেউ বিচারবিভাগের দ্বারস্থই হয় না। তাহলে এই দুটো নিয়ে কেন এত টানাটানি? যেগুলো নিয়ে নিত্য লাথিগুঁতো খেয়ে মহাযন্ত্রণার মধ্যে মুমূর্ষু হয়ে মানুষ বেঁচে থাকে সেগুলোর স্বাধীনতা নিয়ে কেন কেউ কোন কথা বলে না? এগুলো নিয়ে কেউ কেন রাস্তায় নামে না? ফেসবুক গরম হয় না? কোনো রাজনৈতিক দলও এসব নিয়ে কেন কোন কর্মসূচি দেয় না? সব বাদ দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কেন শুধু এই দুটো বিভাগ নিয়েই পাবলিকের মাথা গরম করে? তাও যখন ক্ষমতার বাইরে থাকে শুধু তখন?

কাদের উপরে আস্থা রেখে বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের অবাধ স্বাধীনতা দেবার প্রসঙ্গটি তোলা হয়? এই দুই বিভাগে যারা চাকুরী করে, যারা দেখভাল করে তারা কি ফেরেশতা? নাকি অন্য কোন ধাতু দিয়ে তৈরি ভিনগ্রহের সুপারম্যান বা এলিয়েন? ওখানে যারা কাজ করে তারা কি এ সমাজে বড় হয়নি? তারা কি ভর্তাভাত খায় না? মন-মানসিকতা ও কর্মে অন্যদের সাথে তাদের কী ভিন্নতা আছে! এরা কি সুবিধা-সন্ধানী নয়? অনায়াসে প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখলে এরা কি নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়? লজ্জাবতী পাতার মতো লজ্জায় মিইয়ে যায়? সমাজের অন্যায়-অবিচার দেখলে তা নিরসনের জন্য এরা কি নাওয়া-খাওয়া, মল-মূত্র ত্যাগ ভুলে গিয়ে মরুচুম্বকের মতো তা সমাধানের পিছে লেগে থাকে? জনকল্যাণের কী এমন মহাদৃষ্টান্ত এরা স্থাপন করে ফেলেছে যে এদের উপরে অন্যদের থেকে বেশি আস্থা রাখার প্রশ্ন আসে?

একজন মানুষ বা প্রতিষ্ঠান কখনওই অবাধ, স্বাধীন হতে পারে না। তাকে সব সময়েই কোনও না কোনও নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতার মধ্যেই থাকতে হয়। জনগণের কাছে সে নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতা বিষয়টি কি নিশ্চিত করা হয়েছে? এটা নিশ্চিত করার পরেই স্বাধীনতা দেবার প্রশ্ন, তার আগে নয়। সেরকম কোনো ফর্মুলা কী বাতলানো আছে?

কী মনে হয়, অবাধ স্বাধীনতা দিয়ে দিলে এরা জনগণের দুঃখ-কষ্টে কেঁদেকেটে নাকের সর্দি, চোখের জল এক করে ঘোড়ার মতো দাড়িয়ে সদা-সতর্ক থাকবে? আজ পর্যন্ত তেমন কোন নজির কি তৈরি হয়েছে? জনগণের ধনে, জনগণের উপরেই সবার পোদ্দারি। এরা ব্যতিক্রম কিসে? স্বাধীনতা দিলে সেটা যে বর্তমানের চেয়েও বেশি স্বেচ্ছাচারিতায় রূপ নেবে না তার কী নিশ্চয়তা আছে? তিল পরিমাণ আস্থাও রাখা যায় না এমন মানুষ যে এই দুই বিভাগের দায়িত্বে নেই বা এই বিভাগে চাকুরী করে না তারইবা কি নিশ্চয়তা আছে?

ডিপার্টমেন্ট আলাদা হলেও মানুষগুলো তো সব একই ডাইসে তৈরি। সবার জিনও একই ধাঁচের, একই জলহাওয়ায় সৃষ্ট। অবাধ স্বাধীনতা দেবার পরে তারা যে সিন্দবাদের ভূত হয়ে ঘাড়ে চেপে বসবে না সে নিশ্চয়তা কে দিতে পারে? যদি এমনটা হয়েই যায় তবে সে ভূত ছাড়াবে কে? কীভাবে ছাড়াবে? তখন তো তারা স্বাধীন, কিছু করার থাকবে কী? এই স্বাধীনতা যে বিড়ি ছেড়ে গাঁজা ধরা বা চুরি ছেড়ে ডাকাতি করার সাথে তুলনীয় হবে না তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? যারা এটা চাচ্ছে তারাই বা মানুষের কাছে কতটুকু আস্থার?

মূল বিষয় হলো, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এটা যেমন রাজনীতির কথা, এরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে সেটাও তেমনি রাজনীতিরই কথা। একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে হলেও অবস্থা ও অবস্থানভেদে একেক সময় একেক দল এ স্বাধীনতার কথা আওড়ায়। এমন স্বাধীনতার মুলো কেন আওড়ায় তা কী আমরা বুঝি? ক্ষমতায় থেকে আওড়ানো আর ক্ষমতার বাইরে থেকে আওড়ানোর মধ্যে কেন এমন পার্থক্য হয়, তা কী আমরা বিশ্লেষণ করি? ক্ষমতায় সবাইই ছিল বা আছে, এই কাজটি কেন কেউ করেনি? ক্ষমতার স্বার্থে এদের কাঁধের উপরে অস্ত্র রেখে বা মিলেমিশে যৌথভাবে জনগণের উপরে কে বুলেট ছোঁড়েনি?

কোনও বিভাগ স্বাধীন কী পরাধীন এটা নিয়ে কী আমজনতার মাথাব্যথা থাকার কথা? তারপরেও কেন মাথাব্যথা আছে? আছে, কারণ নানান ধরনের অপ্রাপ্তি ও ভোগান্তি মানুষের মনে এই ভয়াবহ অতৃপ্তির জন্ম দিয়েছে। এ অতৃপ্তিকে তৃপ্তিতে নিয়ে যাবার পথ তাদের জানা নাই। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থেই সত্যিকার অর্থে তাদেরকে সেখানে নিয়ে যায় না। একারণে রাজনৈতিক দলগুলো আমজনতার সামনে এ ধরনের মুলো ঝুলায় রাখে, আমজনতা সেই মুলোর পিছনে ছুটে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ধান্দাবাজ, এগুলো নিয়ে তারা ধান্দাবাজি করে। এর স্বপক্ষে নানান প্রলোভন তুলে ধরে, যার মূলে রয়েছে তাদের ক্ষমতায় যাবার ধান্দা। একবার ক্ষমতায় গেলে আমরা আপনাদের মুখে তুলে দুধভাত খাওয়াবো এটা হচ্ছে তাদের প্রলোভন। স্বাধীনতা কিছু না, সবই ক্ষমতায় যাবার এবং গিয়ে সুবিধা নেবার চতুরতা।

আমজনতা শুধু খেয়ে-পরে স্বস্তিতে বাঁচতে চায়। দেশের প্রচলিত সকল নিয়ম-কানুন মেনে পূর্ণ অধিকার নিয়ে সমাজে শ্রদ্ধাপূর্ণ সহাবস্থান চায়। কোনো সেক্টরে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয় মানুষ শুধু তার নিশ্চয়তাটুকু চায়। মানুষ হয়রানির শিকার হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে যেন তার সমাধান হয়, সেই নিশ্চয়তাটুকু চায়। এই কাজগুলো যদি যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়, মানুষ যদি তার প্রত্যাশিত স্বস্তিটুকু পায় তবে মৎস্যবিভাগের দ্বারা বিচারবিভাগ বা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দ্বারা নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হলেও মানুষ তা নিয়ে মাথা ঘামাবে না। নিশ্চিত থাকতে পারেন। বিশ্বাস না হয় সুশাসন এনেই দেখুন।

কেয়ারটেকার সরকার কোনও ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল না। তারা ক্ষমতায় আসার পরে মানুষ একটা আপাত সুশাসনের আবহ দেখতে পেয়েছিল। সে কারণে মানুষ চেয়েছিল এরা আজীবন ক্ষমতায় থাকুক। মানুষ তখন গণতন্ত্রের কথা একবারও ভাবেনি, ভোটের কথা একবারও ভাবেনি। জনে জনে মানুষ তখন বলেছে- জীবনে কোনোদিনও ভোট দিতে যাবো না, এরা আজীবন ক্ষমতায় থাকুক। সুতরাং ভোট দিতে না পেরে মানুষের মনে কোনোপ্রকার অস্বস্তি আছে সেটা মোটেও ঠিক নয়। মানুষের মনে অস্বস্তি ঠিকই আছে তবে তা ভোট না দিতে পারার দুঃখ থেকে নয়, অন্য নির্যাতনের কারণে। মানুষের সেই কষ্টকে রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্র ও ভোট না দেবার কষ্ট বলে প্রচার করে নিজেদের ক্ষমতায় যাবার রাস্তা সুগম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মানুষ যেটুকু চায় সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করুন। দেশে গণতন্ত্র থাকল না গেল, সুষ্ঠু নির্বাচন হলো না ভোট চুরির মহৎসব হলো তা নিয়ে আমজনতার কোনই মাথাব্যথা থাকবে না। মানুষ অনেক আশা নিয়ে ভোট দেয়, তাদের কোনও আশাই মূলত পূর্ণ হয় না, যে বৃত্তের মধ্যে তারা ছিল সেই বৃত্তের মধ্যেই তারা থেকে যায়। একারণে তারা পরিবর্তনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ভালমন্দ বিবেচনায় নেয় না, যে ক্ষমতায় থাকে তার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এইই ধারা।

স্বস্তিদায়কভাবে বসবাসের জন্য মানুষ আসলে অনেক বড় কিছু চায় বলে মনে হয় না। বড় বড় ব্রিজ, সেতু, কালভার্ট রাস্তা এগুলির থেকেও মানুষের বেশি চাওয়া সুশাসন। মানুষ অফিস-আদালত, হাট-বাজার, পানশালা-ধর্মশালা যেখানেই যাবে সেখানেই সুন্দরভাবে প্রত্যাশিত কাজ সময়মত অনায়াসে শেষ করতে পারবে সেটাই হচ্ছে মানুষের মূল চাওয়া। ঘুষ, দুর্নীতি, প্রশাসনিক জটিলতা, হয়রানি, ভোগান্তি, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য এসব থেকে মানুষ মুক্ত থাকতে চায়। বাস্তবতা হচ্ছে, মানুষ যেখানেই যায় সেখানেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে চরম বাঁধা ও বিরক্তিকর অসুবিধার সম্মুখীন হয় এবং মাসুল না দেওয়া পর্যন্ত পরিত্রাণ পায় না। সবকিছুই লালফিতেয় বাঁধা। যত অসুবিধা সব মানুষের। এ থেকে মানুষ মুক্তি চায়। এগুলো কেউ করছে না, করার বিষয়ে গলাবাজি করছে। যত গর্জাচ্ছে তত বর্ষণ হচ্ছে না। উন্নয়নের পরিসংখ্যানের সাথে মানুষের সন্তুষ্টি মিলছে না। দিনশেষে তো মানুষই সব।

মানুষ যখন চলার পথে নানাভাবে নানারকম অনাকাঙ্ক্ষিত বাঁধার সম্মুখীন হয়, তখন ব্রিজ-কালভার্ট-রাস্তার উন্নয়নের কথা ভুলে যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ন তাদের মাথায় আসে না, আসার কথাও নয়। ফলে তারা ঝেড়ে সরকারকে গালি দেয়। অন্য দল ক্ষমতায় থেকে কী করেছিল বা আবার এসে কী করবে এটা আর বিবেচনায় নেবার অবকাশ পায় না। এটাই বাস্তবতা। এ বাস্তবতাগুলির কী খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে? নাকি অদূরভবিষ্যতে পরিবর্তন হবে এমন কোন সম্ভাবনার আলোকরেখা মানুষ দেখতে পাচ্ছে যার উপরে ভরসা করতে পারে? সন্তুষ্টির নিজের ঢোল নিজে পিটলে তো হবে না। মানুষের দৃষ্টি দিয়ে সেটা দেখতে হবে এবং মানুষের মুখ দিয়ে, মানুষের অন্তর থেকে সেটা প্রকাশিত হতে হবে। মানুষ মানে চাটুকার বৃত্তের বাইরের বিশাল মানবসমাজ। আমি তারই একজন।

নাজমুল হাসান, লেখক, গবেষক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ