প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
রেজা ঘটক | ০৪ জুন, ২০১৫
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা পানিবন্টন চুক্তি সাক্ষর করেন। গঙ্গা পানি চুক্তি'র ১৮ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের পদ্মায় কতটুকু পানি এসেছে এই ১৮ বছরে? ভারত কি গঙ্গা চুক্তির শর্তগুলো এই ১৮ বছর পুরোপুরি অনুসরণ করেছে? গঙ্গা পানি চুক্তি'র মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র ১২ বছর বাকি। এখন প্রথম যে প্রশ্নটি আওয়ামী লীগ সরকারকে করতে ইচ্ছে করে সেটি হল, দয়া করে আমাকে কি একটু বুঝিয়ে বলবেন, গঙ্গা পানি চুক্তি কী কারণে ঐতিহাসিক চুক্তি? গঙ্গা থেকে যদি পদ্মায় পানি এসেই থাকে, তাহলে পদ্মার উপর নির্ভরশীল অন্য ৫১টি নদী এই ১৮ বছরে মরল কেন? আমি জানি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই প্রশ্নের কোনো যৌক্তিক জবাব নেই। এমন কি তাঁর লক্ষাধিক টাকার বেতনভুক্ত কোনো উপদেষ্টাও এই প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়ে অন্তত আমাকে বোঝাতে সক্ষম হবেন না। যে কারণে গঙ্গা পানি চুক্তিকে আমি আর ঐতিহাসিক বলতে রাজী নই।
চলুন এবার গঙ্গা পানি চুক্তির প্রধান প্রধান বিষয়গুলো কি ছিল একটু চোখ বুলিয়ে আসি। গঙ্গা পানি চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর হলেও প্রতিবছর কেবল শুষ্ক মৌসুমে এর কার্যকাল মাত্র ৫ মাস, ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ মে পর্যন্ত। বছরের বাকি ৭ মাস গঙ্গা চুক্তি বলে কোনো নিয়মকানুন মানতে রাজি নয় ভারত। অর্থ্যাৎ খোলা চোখে প্রতি বছরের ৫ মাসের পানির হিসাব নিকাশের ব্যাপার। তাহলে কি ছিল সেই হিসাবনিকাশে? সেই হিসাব বোঝার আগে একটু ভারতীয় নদী বিশেষজ্ঞদের তৈরি করা সেই জটিল সমীকরণটি একটু বোঝার চেষ্টা করুন। প্রতি মাসের ৩০ দিনকে তিন ভাগ করে ১০ দিন ভিত্তিক মেয়াদ হলো একটি পর্যায়। মাসে তিনটি পর্যায়। ৫ মাসে মোট ১৫ টি পর্যায়ে। অর্থ্যাৎ বছরের ওই ৫ মাসকে মোট ১৫টি পর্যায়ে ভাগ করে ভারত কিছু পানি বাংলাদেশকে দেবার অঙ্গীকার করেছিল।
এবার আসা যাক, কী পরিমাণ পানি দেবার কথা ছিল? সেখানে আবার তিনটি প্রধান অনুশর্ত ছিল। সেগুলো হলো:
ক. প্রবাহ যদি ৭৫ হাজার কিউসেকের বেশি হয়, তাহলে ভারত পাবে ৪০ হাজার কিউসেক পানি এবং বাদবাকী ৩৫ হাজার কিউসেক বা তার বেশি পানি পাবে বাংলাদেশ।
খ. প্রবাহ যদি ৭০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার কিউসেকের মধ্যে হয় তাহলে বাংলাদেশ পাবে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি এবং আর বাদবাকী ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার কিউসেক পানি পাবে ভারত।
গ. প্রবাহ যদি ৭০ হাজার কিউসেকের কম হয় সেক্ষেত্রে দুই দেশ (বাংলাদেশ ও ভারত) সমানভাবে পানি ভাগ করে নিবে।
এরপর আরো কিছু টুকরো অনুশর্ত ছিল। সেগুলো হলো:
১. প্রবাহ ৭০ হাজার কিউসেকের চেয়ে কমে গেলেও ১১-২০ মার্চ, ১-১০ এপ্রিল, ও ২১-৩০ এপ্রিল এই তিনটি সময়ে বাংলাদেশ ৩৫ হাজার কিউসেক পানি গ্যারান্টি সহকারে পাবে।
২. প্রবাহ ৭০ হাজার কিউসেকের চেয়ে কমে গেলেও ২১-৩০ মার্চ, ১১-২০ এপ্রিল ও ১-১০ মে এই তিনটি সময়ে ভারত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি গ্যারান্টি সহকারে পাবে।
৩. একটি দেশ যখন গ্যারান্টিড পানি পাবে অন্যদেশ তখন মোট প্রবাহ থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে তাই পাবে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, ভারতীয় নদী বিশেষজ্ঞগণ কিভাবে এই সমীকরণ আবিস্কার করলেন? আর সেই সমীকরণ না বুঝেই কেন বাংলাদেশ তা মেনে নিল? গঙ্গা চুক্তির এই পানিবন্টন সমীকরণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ফারাক্কায় গঙ্গার হিস্টোরিকাল প্রবাহের উপর ভিত্তি করে। এই ৪০ বছরের উপাত্তের ১০ দিনভিত্তিক গড় আসলে গঙ্গা চুক্তির সমীকরণ প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ গঙ্গা চুক্তির এই সমীকরণে প্রথমেই যে অংশটি নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে সেটি হল, এই ৪০ বছরের মধ্যে ফারাক্কা ব্যারাজ-পূর্ব (১৯৪৯-১৯৭৫) এবং ফারাক্কা ব্যারাজ-পরবর্তী (১৯৭৫-১৯৮৮) পানি প্রবাহের হিসাবে ভারত একটি কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল। যেটি বাংলাদেশ আদৌ বোঝারই চেষ্টা করেনি।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফারাক্কা ব্যারেজের ফলে খোদ ফারাক্কাতেই পানির প্রবাহ কমেছে। অথচ চুক্তি করার সময় এই দুই পর্যায়ের গড় পানির প্রবাহ নিয়ে সমীকরণ তৈরি করা হয়েছে। যা কোনো মতেই গঙ্গায় পানি প্রবাহের বাস্তব চিত্র নয়। ভারত এই সমীকরণ তৈরি করতে অনেক কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। যা বাংলাদেশ বুঝে হোক না বুঝে হোক মেনে নিয়েছে। ভারত নিজ দেশে জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাস শুষ্ক মৌসুম গণনা করে। এই ছয় মাসে ভারত ফারাক্কা ব্যারাজ দিয়ে অন্তত গড়ে ৪০ হাজার কিউসেক পানি হুগলী নদীতে প্রবাহিত করে। যা ২৫ মাইল লম্বা ফিডার ক্যানেল দিয়ে ভাগিরথী নদীতে গিয়ে পড়ে। অথচ গঙ্গা চুক্তিতে শুষ্ক মৌসুম গণনা ধরা হয়েছে পাঁচ মাস।
এখন প্রশ্ন হলো, ভারত কি গঙ্গা চুক্তিতে বর্ণিত সেই ৫ মাসের ১৫টি পর্যায় অনুযায়ী বাংলাদেশকে পানি দিয়েছে? এর সরাসরি জবাব হলো ভারত চুক্তির পর থেকে এই ১৮ বছরের কোনো বছরই ১৫ টি পর্যায়ে বাংলাদেশকে প্রাপ্য পানি দেয় নি। প্রতি বছরই ভারত এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। প্রতি বছরের ১৫টি পর্যায়ের মধ্যে অন্তত ৭ থেকে ১০টি পর্যায়ে তা লঙ্ঘন করেছে। অর্থ্যাৎ গড়ে বছরে ভারত গঙ্গা চুক্তি ৭ থেকে ১০ বার লঙ্ঘন করে থাকে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশন এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার কথা থাকলেও বাংলাদেশ নদী কমিশন আশ্চর্য রহস্যময় কারণে কোনো বছরই গঙ্গায় প্রাপ্ত পানির সঠিক হিসাব সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করে না। কেবল কোনো বছর এটা নিয়ে পত্রিকায় বেশিমাত্রায় খবর প্রকাশ পেলে কিছু তথ্য পাওয়া যায়।
তাহলে এবার প্রশ্নের পিঠে আরেকটি প্রশ্ন আসে, এই গঙ্গা চুক্তি কি বাংলাদেশকে ভারতের এক ধরনের স্বান্তনা দেওয়ার মত ব্যাপার নয় কি? সত্যি সত্যি কি বাংলাদেশ গঙ্গা থেকে পানি পাচ্ছে? প্রতি বছর কি বাংলাদেশ এই পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিচ্ছে? বাংলাদেশের পক্ষে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে না নেবার অজুহাত কি? এর একটাই অজুহাত বা জবাব, ভারত চুক্তি করেছে এই তো ঢের। পানি কতটুকু আসল, তা আর ক’জনে দেখছে। সেই সুযোগে পদ্মার ভাটিতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫১টি নদী মরতে বসেছে। এই অঞ্চলের জলবায়ুতে মরুভূমির মত পূর্বাভাষ দেখা যাচ্ছে। দিনের বেলায় প্রচণ্ড গরম, রাতের বেলায় তাপাত্রার বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে।
এবার তাহলে বলুন গঙ্গা পানি চুক্তি করে কি পেল বাংলাদেশ? আর কোন যুক্তিতে এটাকে ঐতিহাসিক চুক্তি বলব? আরেকটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, প্রতিবছরই বারবার ভারত গঙ্গা চুক্তির নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এক ধরণের নিরব থাকার কৌশল বা কখনো দায়সারা গোছের আওয়াজ দেবার যে প্রচলন শুরু হয়েছে, এটা কিন্তু একটা স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বকীয়তাকে মারাত্মক প্রশ্নের সামনে ফেলে দেয়। তাহলে গঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের এমন ইচ্ছাকৃত বলির পাঁঠা সাজার পেছনে আর কী যুক্তি থাকতে পারে?
একটা যুক্তি হতে পারে, বাংলাদেশের যে দলের সরকারই গঙ্গা চুক্তিতে ভারতের এমন খামখেয়ালী সহ্য করার সামর্থ দেখাবে, সেই দল ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত তুলনামূলক বাংলাদেশকে একটু স্বস্তিতে রাখার চেষ্টা করবে। যদি কোনো দল বাংলাদেশে ক্ষমতায় গিয়ে গঙ্গা ইস্যুতে কড়ায় গণ্ডায় ন্যায্য হিসাব দাবি করবে তো, সেই সরকারকে ভারত শান্তিতে থাকতে দিবে না। সোজাসাপটা কথা। আপনি মানেন আর না মানেন, বোঝেন আর না বোঝেন, এটাই ভারত করে যাচ্ছে। তাই গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যতই এটাকে ঐতিহাসিক মাইলফলক, বিশাল অর্জন, ইত্যাদি প্রপাগাণ্ডা চালাক না কেন, বাংলাদেশ গঙ্গা চুক্তিতে এক ধরণের নাকখপতা দিয়েছে। চুক্তির ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশে নদী মারা যাবার ক্রান্তিকাল ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ক্রমবর্ধমান হারে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটেছে। এই অঞ্চলের জীব বৈচিত্রে মারাত্মক পরিবর্তন ঘটেছে। অনেক প্রাণীসম্পদ এই দীর্ঘ সময়ে ধ্বংস হয়েছে।
এবার বলুন তো, এই যে ভারত বাংলাদেশের নদীগুলো এভাবে মেরে ফেলছে, এটাতে সরকার বাহাদুর চুপচাপ কেন? ১৯৯৭ সালে ঘোষিত জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশনে বাংলাদেশ কেন এখনো সাক্ষর করলো না? এই প্রশ্নের জবাব লিখলে তা উপন্যাস হয়ে যাবে। দুই কথায় বলি। এক নাম্বার- বাংলাদেশে নদী যত মরবে, তত সরকার দলীয় চ্যালাচামুণ্ডাদের সেই খাস জমি দখল করার অবাধ সুযোগ। যত নদী মরবে তত বেশি জায়গা দখলের সুযোগ। দুই নাম্বার- আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশনে বাংলাদেশ সাক্ষর করেনি, কারণ বাংলাদেশ সাক্ষর করলে ভারতের বিরুদ্ধে সেখানে নালিশ করার একটা প্লাটফরম তৈরি হয়। যা ভারতের জন্য মোটেও সুখকর নয়। ভারতকে খুশি রাখতেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশনে সাক্ষর করেনি।
এবার কি পাঠক আপনি বুঝতে পারছেন, কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরকালে তিস্তা পানি চুক্তি হবে না? কারণ তিস্তার উজানে টিপাইমুখী বাঁধ এবং সিকিম রাজ্য সরকার একাধিক বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতের সেসব প্রকল্পের মাঝপথে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা পানি চুক্তি করলে তো ভারতের এসব প্রকল্প ভেস্তে যাবে। বাংলাদেশের সরকার বাহাদুর চায় না বড় ভাই বন্ধু প্রতিবেশী ভারত রাষ্ট্রের এমন সাজানো বাড়া ভাতে ছাই দিতে। বরং আগে তিস্তার উজানে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হোক। ফারাক্কা বাঁধ দিতে ভারতের লেগেছিল ১৯৬১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ১৪ বছর। তিস্তার উজানে একাধিক বাঁধ দিতে তো ভারতের আরো একটু বেশি সময় লাগতে পারে। তো বাপুরা, ততদিন না হয় সবুর করো। তারপর তিস্তার উজানে এসব বাঁধ থেকে ভারত যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, সেই বিদ্যুৎ না হয় বাংলাদেশ কিনবে। কারণ, বাংলাদেশের তো ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো লাগবে।
ফেনী নদী নিয়ে বাংলাদেশ কোনো কথা তুলছে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় মোদ্দাকথা বাংলাদেশ পানি নিয়ে কোনো কথা তুলে ভারতকে লজ্বা দিতে চায় না। মাঝখান থেকে ভারত বিস্তৃত আকারে ট্রানজিট বাগিয়ে নিচ্ছে। আমাদের পররাষ্ট্র নীতির এককথায় এখন স্বর্ণযুগ চলছে। এক ডজন চুক্তি হবে এই তো অনেক বড়। সীমান্ত জটিলতার নিরসন হতে যাচ্ছে। এটাই তো ডাবল ঐতিহাসিক ঘটনা। বরং এবার নরওয়ের নোবেল শান্তি কমিটির কাছে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবার জন্য এখন থেকেই দুতিয়ালি শুরু করা হোক। বলা তো যায় না, ভাগ্যে থাকলে তা ঠেকায় কে!!!
৩ জুন ২০১৫, ঢাকা
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য