আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

৭ খুনের মামলা হাসিনার জন্য ‘গুড রেফারেন্স’!

সাব্বির খান  

গত ২৪ মে মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের টেকনাফে এক বন্দুকযুদ্ধে সেখানকার পৌর কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হকের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সারাদেশে বেশ তোলপাড় শুরু হয়। বিশেষ করে অনলাইনে এই ঝড়ের মাত্রা ছিল অত্যন্ত প্রকট। একরামুলের নিহত হওয়ার পর একটি অডিও রেকর্ড অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্কের ছড়িয়ে পড়লে জনগণের মধ্যে তা ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং র‍্যাবের যে সব সদস্যরা এই কাজের জড়িত ছিল, তাদের বিচার দাবি করা ছাড়াও এ ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি দায়ী করা হয়।

নিহত একরামুলের পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী একরামুলকে তাঁর বাসা থেকে র‍্যাব এবং ডিজিএফআই-এর স্থানীয় দু’জন কর্মকর্তা ডেকে নেওয়ার পর তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। অডিওটি প্রকাশ হওয়ার পর ‘র‍্যাব সদর দপ্তর’ থেকে বলা হয় যে, অডিওটি তারা খতিয়ে দেখছেন। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে অন্যান্য ঘটনার মত এই ঘটনাও তদন্ত করে দেখা হবে। (সূত্র: বিবিসি, ১ জুন)

উত্তর আমেরিকার দেশগুলো, বিশেষ করে মেক্সিকো এবং কলম্বিয়া মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য স্বর্গরাজ্য বললে অত্যুক্তি করা হবে না। দেশগুলোর যেকোনো সরকার ক্ষমতায় আসুক না কেন, মাদক-ডনদের বিরুদ্ধে এক ধরণের অঘোষিত যুদ্ধের ম্যান্ডেট হাতে নিয়েই তাঁরা ক্ষমতায় আসেন। যুগের পর যুগ দেশগুলোর পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধ এতোটা নৈমিত্তিক এবং স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে যে, তা এখন আর সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশ হওয়ার মত গুরুত্ব হারিয়েছে। দেশগুলোর মাদক চোরাচালানীদের দৌরাত্ম্যে এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও সয়লাব হচ্ছে মাদকের বাজার। এর হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছে না খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত মহা পরাক্রমশালী দেশও। প্রতিদিন গড়ে ৫১ জন মানুষ মেক্সিকোর সামরিক বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারে মারা যাচ্ছে। তারপরেও সেদেশের মাদকবিরোধী অভিযানের কোন ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পেরেছে বলে দেখা যায়নি।

মাদক ব্যবসায়ীদের শক্তিমত্ততার কথা বিবেচনায় নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর সরকার ব্যবহার করছে পেশাদার সামরিক বাহিনীকে এবং অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র। বন্দুকযুদ্ধের ভয়াবহতার দিকগুলো বিবেচনা করলে বিশ্বের মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লঙ্ঘনগুলোকেও হার মানায় বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। অথচ মাদকের বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত সমাজ ও সাধারণ জনগণের সর্বাত্মক সমর্থনের কারণে মাদক গ্যাংদের সাথে সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ এবং অপরাধগুলোকে মোটাদাগে কখনোই মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়নি সে সব দেশে, যদিও বিশ্বের তাবৎ মানবধিকারবিষয়ক সংগঠনগুলোর বাৎসরিক রিপোর্টে সেগুলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিবাদ ও চিহ্নিত হয়ে আসছে।

বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা এবং প্রতিবেদনে দেখা যায়, যে সব দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো যথেষ্ট শক্তিশালি এবং দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা সন্তুষ্টিজনক হারে বৃদ্ধি পায়, শুধু সেসব দেশেই মূলত মাদকব্যবসা জমজমাট হয়। স্বভাবত কারণেই সে দেশগুলোতে অপরাধের মাত্রাও বাড়ে গাণিতিক হারে। একাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে মাদকসেবীদের উপস্থিতি থাকলেও তা যে সংখ্যায় খুব বেশি ছিল, তা বলা যাবে না। তাদের সংখ্যাও ছিল একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীভুক্ত এবং সংখ্যায় সীমিত। তাদের ব্যবহৃত মাদকের প্রকারভেদও ছিল নগণ্য, যার বেশিরভাগকেই দেশীয় ভেষজ প্রডাক্ট বললে ভুল বলা হবে না। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে সম্ভবত তখনো বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারেনি মাদকব্যবসা এবং মাদকসেবীদের স্বর্গরাজ্যের চারণভূমি।

বর্তমান সরকারের বিগত এবং বর্তমান শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এবং স্বভাবত কারণেই অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের অর্থনৈতিক শণৈঃ শণৈঃ উন্নতি সারাবিশ্বের সরকারগুলোর জন্য ঈর্ষার কারণ হলেও অন্ধকারের মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য তা হয়ে উঠেছিল সম্ভাবনা এবং আনন্দের বিষয়। এর সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাই আধুনিক বাংলাদেশের বর্তমান সমাজচিত্রে। বিশ্বের সবদেশের মাদকব্যবসা অন্ধকারের অপরাধ হলেও এর সাথে গোপনে যোগ দিতে দেখা যায় দেশের প্রশাসন এবং সরকারের ক্ষমতাশীলদের। যার কারণে মাদকব্যবসা এবং এর ব্যবহার থেকে একটা দেশকে সহজে বা একেবারে নির্মূল করা সম্ভব হয় না ভুক্তভোগী কোন দেশের সরকারেরই। বাংলাদেশেও সম্ভবত একই কারণে মাদকনির্মূল সহজে সম্ভব হচ্ছে না, যদিও সরকারের সদিচ্ছার কোন অভাব পরিলক্ষিত হয়নি।

২০১৪ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত অপরাধ ছিল নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনাটি। সরকারের এলিটফোর্স র‍্যাবের কিছু সদস্য সরাসরি এই খুনের সাথে জড়িত ছিল বলে প্রমাণও হয়েছিল। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের একজন শক্তিশালী মন্ত্রীর জামাতাও ছিলেন সাত খুনের আসামী। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছ থেকে পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার সহ মোট সাত জনকে র‍্যাব-১১ এর কিছু সদস্য তুলে নিয়ে যায়। এর তিনদিন পর সাত জনের মৃতদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সারাদেশ স্তম্ভিত হয়েছিল সেদিন। ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের অপর এক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামী করে দু’টি মামলা করা হয়েছিল।
অভিযোগ করা হয়েছিল, নূর হোসেনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে তার প্রতিপক্ষকে খুন করেছিল র‍্যাবের সদস্যরা। এঘটনার পরে রাগে-ক্ষোভে সেদিনও ফেটে পড়েছিল সারাদেশ, ঠিক একইভাবে যখন টেকনাফে এক বন্দুকযুদ্ধে সেখানকার পৌর কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হক নিহত হন। একরামুল নিহতের ঘটনার আদলে নারায়ণগঞ্জে সাত খুন হওয়ার পরেও বিভিন্ন মিডিয়ার কল্যাণে সে খুনের দায়ও চাপানো হয়েছিল প্রথমত নারায়ণগঞ্জ-৪ এর সংসদ সদস্য শামিম ওসমানের উপরে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনের উপরে।

একরামুল নিহতের ঘটনাটি র‍্যাবের ক্রসফায়ারে হওয়ার কারণে অনলাইনের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেল এক ভিন্ন এবং সূক্ষ্ম সরকারবিরোধী চক্রান্তের আলামত। বিভিন্ন বিরোধী দলের প্রথম সারির কিছু নেতাকে দেখা গেল ভিন্নমাত্রার প্রোপাগান্ডা এবং উসকানিমূলক কথাবার্তা লিখে দাহ সৃষ্টির প্রয়াসে লিপ্ত হতে। তাঁরা উঠে পড়ে লাগলেন প্রমাণ করতে যে, নির্বাচনের পূর্বে সরকার দেশে এক ধরণের ত্রাসের রাজ্য কায়েম করতে র‍্যাব সহ অন্যান্য বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করছেন নির্বিচারে। একরামুল নিহতের কিছুদিন পর রাজধানী ঢাকায় দিনেদুপুরে একজন বিরোধীদলীয় নেতা আক্রান্ত হন কিছু সন্ত্রাসীদের দ্বারা। সন্ত্রাসীদের হাতে ছিল চাপাতি এবং পিস্তল। আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল তাঁকে হত্যা করা, বলে তিনি দাবি করে ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছিলেন তা অনেকটা আধুনিক হিন্দি অথবা বাংলা সিনেমার মারপিটের যেকোনো দৃশ্যের সাথে মিলে যায় বললে অত্যুক্তি করা হবে না। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের যে ভাষায় বর্ণনা করেছিলেন তা এমন যে, ‘আক্রমণ যারা করেছিল, তারা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা এবং দাঁড়ি টুপিও ছিল’। এ বর্ণনায় তিনি যা বোঝাতে চাইলেন, তা খুবই স্পষ্ট। তিনি ঘটনাটিকে জঙ্গিবাদের সাথে সংযুক্ত করতে চাইলেন। তবে আরও এগিয়ে তিনি যা বললেন, তা সত্যিই অবাক করার মত। তিনি দাবি করলেন, দাড়ি-টুপিওয়ালারা নাকি সরকারের পোষ্য এবং ডিজিএফআই এর তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত জঙ্গিবাহিনী। পরোক্ষভাবে তিনি বলতে চাইলেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে যে জঙ্গি হামলাগুলো হয়েছিল, তা ছিল মূলত সরকারের ইশারায় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর পরিচালনায় এবং তত্ত্বাবধানে। একই সাথে তাঁর লেখায় পরোক্ষভাবে একরামুলের নিহতের ঘটনার পেছনে তিনি সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইকে দায়ী করলেন। তিনি প্রমাণ করতে চাইলেন, দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সরকার একনায়কতন্ত্র জারি করে আগামীতেও ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছে! জঙ্গি এবং মৌলবাদের সন্ত্রাস শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বেই একটা ভয়াবহ সংকট। শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্য একটা মারাত্মক সংকটকে এতো বালখিল্যভাবে উপস্থাপন করাটা অপরাধই শুধু নয়, একটা জাতিকে সমূহ বিপদের দিকে ঠেলে দেয়ার সামিল।

২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার আসামীদের মধ্যে র‍্যাবের একজন ছিলেন লেফটেনেন্ট কর্নেল তারিক সাঈদ যিনি সরকারের অত্যন্ত ক্ষমতাধর একজন মন্ত্রীর জামাতা। র‍্যাব, সরকারের এলিট- এবং অত্যন্ত চৌকস বাহিনী। সরকার চাইলেই তখন নিজ বাহিনীর পক্ষ নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পারতেন। কিন্তু বাস্তবে দেখেছি ভিন্নচিত্র। র‍্যাবের যারা সাত খুনের সাথে জড়িত ছিল বলে প্রমাণ হয়েছিল, তাঁদের তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছিল সরকার। সাত খুনের ঘটনার কয়েকদিন পরেই মামলার মূল আসামী কাউন্সিলর নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে গেলে বাংলাদেশ তৎক্ষণাৎ ভারতের সরকারের সাথে কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ করেন এবং দুই দেশের বন্দি বিনিময় চুক্তির অধীনে নূর হোসেনকে ফেরত চায়।

র‍্যাবের সংশ্লিষ্টতা থাকা সত্বেও নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছিল র‍্যাবই। তদানিন্তন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান ভারত থেকে নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনার ঘটনাকে র‍্যাবের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন বলে তাঁর ফেইসবুকে মন্তব্য করেছিলেন। সেক্ষেত্রেও সরকারের অবদান এবং সদিচ্ছাকে খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নেই।

নারায়ণগঞ্জ সাত খুনের মামলায় লে. কর্নেল তারেক সাঈদ সহ মোট পনের জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া ছাড়াও আরও এগারো জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলার রায় সরকারের নিরপেক্ষতা, বিচারের প্রতি সদিচ্ছা ছাড়াও আইনের শাসনের প্রতি সগৌরব দৃষ্টান্ত হিসেবেই সারাবিশ্বে বিবেচিত হয়েছে। স্বভাবত কারণেই টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল নিহতের ঘটনার পরে র‍্যাবের ব্যাপারে সন্দেহ এবং সংশ্লিষ্টতার যে অভিযোগ উঠেছে, আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। আমি আরও বিশ্বাস করি, একরামুলের নিহতের ঘটনায় যদি র‍্যাব বা সরকারের কোন প্রশাসন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবেও জড়িত থাকেন, তাহলে শেখ হাসিনা সরকার তার বিচার করতে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলাকে রেফারেন্স হিসেবে বিবেচনা করতে দ্বিধা করবেন না এবং দায়ীদের বিচারের সম্মুখীন করে সাজা নিশ্চিত করতে সব ধরণের পদক্ষেপই গ্রহণ করবেন। একই সাথে সেনাবাহিনী ও সরকারকে নিয়ে বিরোধী দলের প্রোপাগান্ডারও সমুচিত জবাব দেবেন বলে আশা করি!

সাব্বির খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলাম লেখক ও সাংবাদিক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ