আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

শেষ সময়ে এসে দিশেহারা আওয়ামী লীগ

জুয়েল রাজ  

সদ্য সমাপ্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সিলেটে আওয়ামী লীগের পরাজয়, দলটির জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি আগাম বার্তা দিয়ে গেল। রাজশাহী, বরিশালে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করলে, সিলেটে পরাজয় কেন? যদিও এখনো পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষিত হয়নি। সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী চার হাজারের অধিক ভোটে এগিয়ে আছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।

অন্যদিকে আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনের দিনই ফলাফল বর্জন করেছেন, সেই ক্ষেত্রে বিজয়ী ঘোষণা করার পরও নৈতিকভাবে তিনি নিজেকে মেয়র দাবী করতে পারেন কী না সেই প্রশ্নটা থেকে যায়।

সরকার ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায়, বড় বড় সব অর্জন, মধ্যম আয়ের দেশে যাত্রা, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হাজার রকমের ভাতা, চাকরিজীবীদের বেতন দ্বিগুণ-তিনগুণ করে দেয়ার পরও বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের প্রতিটি স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। লন্ডন সফরকালে হবিগঞ্জের এক এমপি একবার বিষয়টি আমলেই নিতে চাননি। তিনি বারবার নিজে লক্ষাধিক ভোটে নির্বাচিত হওয়ার গল্পই প্রাধান্য দিচ্ছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল আমি নিজে গিয়ে তো আর ভোট দিয়ে পাশ করাতে পারব না! অথচ হবিগঞ্জের উপনির্বাচন সহ প্রতিটি স্থানীয় নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের পরাজয়ের ঘটনা ঘটেছে। শুধু হবিগঞ্জ নয় বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বাস্তব চিত্রই এই।

সিলেটের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শেষে, লন্ডনের সাপ্তাহিক জনমত পত্রিকার অফিসে এক আড্ডায় বিএনপির কট্টর সমর্থক এবং দলীয় পদধারী একজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম বাংলাদেশের নির্বাচন কেমন হলো? ভদ্রলোকের উত্তরটা খুব চমকপ্রদ ছিল। সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরী, পাস করেছেন আওয়ামী লীগের আশীর্বাদ ছিল বলে। এবং ভোটের হিসাবে এটাই সত্য। যে চার হাজার ভোটের ব্যবধানে আরিফুল হক এগিয়ে আছেন। সেটি ভোটের দিনের চিত্র দেখলেই বুঝা যায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন ছবি তোলা আর আড্ডাবাজিতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুড়ে বিএনপি-জামায়াত ভোট ডাকাতির প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে, ভোটারদের মধ্যে এক ধরণের ক্ষোভ তৈরি করেছে। শেষ বিকালে এসে তাই হয়তো ভোটের হিসাব বদলে গেছে। আবার নৌকা স্লোগান দিয় ধানের শীষে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। যারা নৌকার ব্যাজ ধারণ করেছিল, তাদের সেই ব্যাজ কারা দিয়েছিল? কেন দিয়েছিল? সেটি ভাবার বিষয়। যেখানে আরিফুল হক নিজেই জানতেন তিনি জিতবেন না সেখানে এই ফলাফলের কারণ কী?

সিলেটে অনেকেই আওয়ামী লীগের কোন্দল বা নেতৃত্বের শূন্যতাকে দায়ী করেছেন পরাজয়ের জন্য। একই অবস্থা বিএনপির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নির্বাচনের কয়েক দিন আগে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন। আওয়ামী লীগেতো অন্তত বিদ্রোহী কোন প্রার্থী ছিল না। তাহলে সিলেটের উন্নয়নে আরিফের যে জয়গান চলছে সেটা কি আওয়ামী লীগ সরকারের বরাদ্দ ছিল, নাকি তাঁর ব্যক্তিগত বরাদ্দকৃত ছিল? নির্বাচনের দিন দুই প্রধান প্রার্থী নিয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য যে ভোটারদের প্রভাবিত করে নাই, তার নিশ্চয়তা কে দিবে। তিনি যখন দুই প্রার্থীকেই যোগ্য হিসাবে মত প্রদান করেন তখন বুঝা যায় বিরোধী পক্ষ কতোটা যোগ্য হলে অন্যপক্ষ যোগ্য বলে মত দেন!

সহজ হিসাবে গেলে আওয়ামী লীগের মনোনীত বা সমর্থিত সব কাউন্সিলরের ভোটের হিসাবের যোগফল করলেই কামরান বিজয়ী হওয়ার কথা। তবে কাউন্সিলর নির্বাচনে পারিবারিক ঐতিহ্য, ব্যক্তি ইমেজ, ব্যক্তি সম্পর্কের উপর নির্ভর করে বলে সাফাই গাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটার, সাধারণ ভোটারদের থেকে রাজনৈতিকভাবে অনেকে বেশী সচেতন। রাজনৈতিক বিবেচনায়ই তাঁরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা।

ভোটের হিসাবনিকাশ যাই থাকুক, জামায়াতকে নিয়ে ধ্বংসাত্মক খেলার কোন মানে ছিল না। আরিফ হয়তো ৪ হাজারের জায়গায় ১৪ হাজার ভোট বেশী পেয়ে বিজয়ী হতেন।

যে খোঁড়া যুক্তির উপর জামায়াতে ইসলামির নির্বাচনে অংশগ্রহণকে সহজ সমীকরণ করছেন। সিলেটে জামায়াতের ভোট ব্যাংক নিয়ে, ঘাঁটি নিয়ে এতদিন যে প্রোপাগান্ডা ছিল, এই ভোটের মাধ্যমে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু সমীকরণ এতো সহজ নয়। নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, সেটা জেনে বুঝেই জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদেরকে রাজনীতির মাঠে হালাল করার করেছে মাত্র। জামায়াতের কর্মী ভোট আর জামায়াত সমর্থিত ভোট আলাদা বিষয়।

এই হালাল হওয়ার মধ্য দিয়ে জামায়াতকে রাজনীতিতে পূনঃপ্রতিষ্ঠার একটা রাস্তা তৈরি করে দেয়া হয়েছে। যা অদূর ইতিহাসে এক কলঙ্ক হয়ে থাকবে।

অনেকেই বলছেন বরিশালে সেরনিয়াবাতের পরিবারের সদস্য, আব্দুল্লাহ সেরনিয়াবাত, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য, রাজশাহীতে জাতীয় চার নেতার একজন এইচএম কামরুজ্জামানের সন্তান খায়রুজ্জামান লিটন প্রার্থী হিসাবে বিপুল ভোটে পাস করেছেন। সেই তুলনায় গেলে বদর উদ্দিন কামরান গণমানুষের নেতা। শাব্দিক অর্থে যাকে জননেতা বলা হয়। একদম তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতা। সামান্য কমিশনার থেকে বারবার পৌরসভা চেয়ারম্যান। প্রথম সিলেট সিটির মেয়র, ১/১-র কঠিন সময়ে জেলে থেকে লক্ষাধিক ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। দেওয়ান ফরিদ গাজী, আব্দুস সামাদ আজাদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পরে সিলেট অঞ্চলে আর কোন জননেতা জন্ম হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে হবে সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ। সুলতান মনসুর রাজনৈতিকভাবে প্রতিবন্ধি হয়ে গেছেন বলা যায়। বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের সেই সম্ভাবনা ছিল। আর সেই সম্ভাবনাই হয়তো কাল হয়েছে কামরানের জন্য।

সাংবাদিক দিদারুল আলম চৌধুরী নবেল সুন্দর একটা ভোটের হিসাব দিয়েছেন তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে- “আগের রাতে জিন্নে মুমিনের দেয়া ভোট ৫০,০০০; ভোটের দিনের উৎসবের ভোট ৩০,০০০, মোট = ৮০,০০০ ভোট। কামরান পেয়েছেন ৮৫,০০০ ভোট। এই হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় ও সাধারণ মানুষের দেয়া ভোটের পরিমাণ ৫,০০০। অবস্থা যদি এই হয় তাহলে সিলেটে আওয়ামী লীগকে দেউলিয়া ঘোষণা করা উচিত। অথবা ছদ্মবেশী খন্দকার মোস্তাক লীগের নেতাদের পরিচয় সনাক্ত করে জাতির কাছে তা প্রকাশ করা হোক। যারা নিজের কেন্দ্রে নৌকাকে জেতাতে পারে না, তাদের রাজনীতি করার দরকার কী? এবারও প্রমাণ হলো দলের দু:সময়ে শফিক, আসাদ, আজাদ, রণজিৎ ও বিধানদের কোন বিকল্প নেই। জিন্নে মুমিনের দায়িত্ব নেয়া নেতা আর উৎসব ভোটে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীদের হিসেব না নিলে শুধু সিটি নির্বাচন নয়, আগামী সংসদ নির্বাচনেও হাঁটু পানিতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটবে।"

শেষ করছি ভিন্ন একটা ঘটনা দিয়ে, নিজেদের দুই সহপাঠী মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছে স্কুল কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রী। গাড়ি ভাঙচুর করছে, বাংলাদেশের বাস্তবতায় এইটা কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু আর গাড়ির অবস্থা একরকম প্রায়। কিছু ঘটলেই ভাঙচুর সব এদের উপর দিয়ে যায়।

স্কুলগামী শিশুরা গাড়ি ভাঙচুর করেছে, রাস্তাঘাট অবরোধ করেছে সব ঠিক আছে। তাই বলে কি এই শিশুগুলোকে রক্তাক্ত করতে হবে!! এই নির্দেশ কে দিয়েছে?

কোটা বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে বিরোধিতা করে আসছি। কোটা বিরোধী আন্দোলন একটি পরিকল্পিত আন্দোলন, এতে কোন সন্দেহ নেই। এবং লন্ডনের ফোনে সেটি আরও পরিষ্কার হয়ে গেছে। কিন্তু যৌক্তিক দাবী মানতে সমস্যা কোথায়? স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি রাষ্ট্রের কাছে সরকারের কাছে চাইবে নাতো কি আমেরিকান হাইকমিশন কিংবা ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে চাইবে? শুধুমাত্র ঢাকা শহর না, সারা দেশে পরিবহন সেক্টরে যে দুর্বৃত্তায়ন আর নৈরাজ্য চলছে আর কোন সেক্টরেই তা নেই। সেটি একেবারে বিআরটিসি ভবন থেকে শুরু করে রাস্তার সিএনজি ড্রাইভার পর্যন্ত। সাধারণ মানুষ তাদের কাছ জিম্মি। রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়ে পরিবহন শ্রমিক, মালিকরা উলটা সরকারকেই হুমকি দেয় বারবার। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী একবার কি এদের পাশে দাঁড়াতে পারতেন না। সড়ক ও সেতুমন্ত্রী পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি ও দায়িত্ব নিয়ে কোন বক্তব্য দেন নি। নৌপরিবহন মন্ত্রীর হাসিতে আগুনে ঘি দেয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। সাথে আবার যুবলীগ-ছাত্রলীগকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন। এই মানুষগুলো কারা। যারা এই নির্দেশনা দেয়।

শেখ হাসিনা ছাড়া কি একটা মানুষও নাই আওয়ামী লীগে? সবাই অপেক্ষা করে বসে আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী বলেন। সবই যদি প্রধানমন্ত্রী করতে হয় তাহলে কলের পুতুল এই মন্ত্রীসভার কাজটা কি? মঞ্চের পোশাকি সং সেজে বসে থাকার কী দরকার?

টানা দুইবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা দলটির যখন সোনার ফসল ঘরে তোলার পালা, ঠিক তখনই কেমন যেন দিশেহারা, লাগামহীন লাগছে আওয়ামী লীগকে!

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ