আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

সাংবাদিক সুবর্না নদী ও কলেজ ছাত্রী মুক্তি হত্যা

রণেশ মৈত্র  

দুটি মেয়ের অস্বাভাবিক হত্যাজনিত মৃত্যুর সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বোধ করছি। তার একটি সুবর্না-অপরটি মুক্তি। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে পাবনা জেলাতে, পাবনা শহরসহ, কোন মহিলা সাংবাদিক নেই। কোন মেয়েই এগিয়ে আসেন নি সাংবাদিকতার জগতে। এমনটিই দেখে এসেছি, ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত।

অবশ্য পাবনা জেলা মহিলা পরিষদের সদস্য মিসেস করুণা নাসরিন তার নিজ সংগঠনের প্রেসে রিলিজ লিখে স্থানীয় পত্রিকাগুলিতে দিতেন। এটা কয়েক বছর আগের কথা। তাঁর কিছুটা প্রবণতাও ছিল সাংবাদিকতা করার খণ্ডকালীন ভিত্তিতে। তবে মহিলা পরিষদ যখন থেকে একজন অফিস সহকারী নিয়োগ দিলো সবেতনে, তখন থেকেই আর তাঁর সাথে বা তাঁর লেখালেখির সাথে দেখা বা সাক্ষাতের কোন সুযোগ ঘটছে না। বস্তুত কোন পত্রিকায় নিয়োগ না পাওয়াতে এবং সাংসারিক কাজের চাপেই সম্ভবত তিনি সাংবাদিকতার জগতে তিনি ঢুকতেই পারেন নি আনুষ্ঠানিকভাবে।

যা হোক, সাংবাদিকতায় পুরুষদেরই একাধিপত্য এবং নারীর পরিপূর্ণ অনুপস্থিতি এটাই চলছিল সম্ভবত প্রায় এক শতাব্দীব্যাপী পাবনাতে। এমনই পরিস্থিতি ছিলো ২০১৮ সালের জানুয়ারির মধ্যভাগ পর্যন্ত সেখানে। এই অবস্থা দেখেই আমি চলে আসি সিডনিতে মধ্য জানুয়ারিতে।

ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের শেষদিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে একুশ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০১৮ সালের একুশে পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐ একুশ জনের মধ্যে আমার নামও ছিল সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য। আমি অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় আমার পক্ষ থেকে পদকটি গ্রহণ করে ঢাকাবাসী আমার ছোট ছেলে প্রলয় মৈত্র।

এই ঘটনা স্বভাবতই আমার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী মহলগুলিতে দেশ-বিদেশে তখন প্রচণ্ড আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। প্রায় দু’হাজার অভিনন্দন বার্তা নানা চ্যানেলে এসে পৌঁছেছিল।

জানি না, এই বিষয়টা সুবর্না নদীর সাংবাদিকতায় আমার ক্ষেত্রে কোন অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল কিনা। তবে দু’তিন মাস পরে ফেইসবুকে হঠাৎ দেখি সুবর্না নদী নামে একজন অপরিচিত মহিলা আমাকে ফ্রেন্ডশিপ অফার বা রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। ঈষৎ ইতস্তত বোধ করলেও খোঁজ নিয়ে দেখি মহিলাটির বাড়ি পাবনায় এবং পেশা সাংবাদিকতা হিসেবে তাঁর টাইমলাইনে লেখা আছে।

আমি স্তম্ভিত, হতবাক। কী ব্যাপার পাবনার কোন সাংবাদিক তো আমার অপরিচিত থাকার কোন কারণ নেই। কিন্তু একে তো চিনি না- কদাপি এঁর নামও তো শুনিনি। সীমাহীন কৌতূহল নিয়েই তাঁর ফ্রেন্ড-রিকোয়েস্ট একসেপ্ট বা গ্রহণ করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালাম।

খুশি হয়ে দিন কয়েক পরে সুবর্না দাদু বলে সম্বোধন করে বললেন, “দাদু, পাবনাতে সাংবাদিকতা শেখাতে কোন সিনিয়র রাজি হন না। কেউ কেউ আবার নিরুৎসাহিত করেন। এমন হলে শিখবো কেমন করে।

বললাম, “তুমি কোন পত্রিকায় কাজ করো? সেখানকার কাউকে বলো শিখিয়ে দিতে। সপ্তাহ খানেক ঢাকাতে পত্রিকাটির অফিসে গিয়ে অনুরোধ করে কোন সিনিয়র সাংবাদিকের কাছে বসে পত্রিকা অফিসেই শিখবে পারবে মোটামুটি। তার পরে কাজ করতে করতে নিষ্ঠা আর আন্তরিকতা ও মানবদরদী মন ও অনুসন্ধিৎসু চোখ থাকলে দেখবে একদিন ভাল সাংবাদিক হয়ে গেছ। তখন তুমিই বরং নতুনদেরকে শেখাতে পারবে।”

জবাবে সুবর্না জানালো সে কোন পত্রিকায় নিয়োগপত্র তখনও পায় নি। তবে “আনন্দ টিভি” তাকে কথা দিয়েছে শিগগিরই নিয়োগপত্র পেয়ে যাবে বলে সে আশা করছে। বললাম, ফিল্ডে নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে ক্যামেরায় ছবি নিয়ে রিপোর্টিং/লাইভ রিপোর্টিং করতে পারবে?” “ক্যামেরা দিলে আর কিছুটা শিখিয়ে দিলে নিশ্চয় পারবো দাদু। এরপর আবার সুবর্না বললো আমি একটা অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলেছি “জাগ্রত বাংলা” নামে। ওটার জন্য তোমাকে খুব দরকার। কবে ফিরবে দেশে? তবে মালিক কে? তুমি কি সম্পাদক? সুবর্না বললো-“সবই তো আমি। পাবনা প্রেসক্লাবের কাছে একটা অফিস নিয়েছি আর নিজের ছেলের মত একটা ছেলে (সম্ভবত ওর বোনের ছেলে) বাড়িতে থাকে তাকে নিয়ে দু’জন মিলে বের করি। আমি বললাম, প্রকাশক-সম্পাদক তো তুমি নিজেই তাহলে আমাকে তাহলে কি পদ দেবে?” “যে পদ চাও তাই দেবো-সম্পাদক পদে রাজি?” বললো সে। আমি বললাম না, অত ঝামেলা এ বয়সে আর নিতে পারবো না। তুমি অমনি চালাও তো। তাড়াহুড়া করে সুবর্না বললো, “না, এড়িয়ে গেলে চলবে না। দুটি কথা দাও। প্রথমত; তুমি হবে উপদেষ্টা সম্পাদক আর দ্বিতীয়ত: তুমি নিয়মিত লেখা পাঠাবে এই ঠিকানায়।” বলে তার ব্যক্তিগত ও জাগ্রত বাংলার ই-মেইল আই.ডি পাঠালো।

আসলে আমার যেটা মনে হলো, চট করেই যে কোন মানুষকে আপন করে নেওয়ার একটা গুণ ছিলা সুবর্নার মধ্যে। নইলে একেবারেই অচেনা এবং যথেষ্ট পরিমাণে বয়োজ্যেষ্ঠ আমার মত একজন মানুষকে প্রথমেই “দাদু” এবং “তুমি” বলে সম্বোধন করা, জাগ্রত বাংলার দায়িত্ব গ্রহণ ও লেখা নিয়মিত পাঠাতে বলা সহজ ছিল না। আর এই যে চট করে কাউকে আপন করে নেওয়ার গুণটিই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল কিনা জানি না-অন্তত: ও সংসার জীবন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে। সংসার জীবনের প্রকৃত মাধুর্য যেন ধরা ছোঁয়ার ঊর্ধ্বেই রয়ে গিয়েছিল সুবর্নার জীবনে।

ওর এই স্বল্প পরিসর জীবনে দু’দুটি বিয়ে হয়েছিল তা আমার জানা ছিল না। একদিন শুধু বলেছিল, এবং তাও আমার প্রশ্নের উত্তরে, যে তার স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। সন্তানের কথা জিজ্ঞেস করায় বলেছিল একটি ছোট্ট মেয়ে থাকার কথা। আর বলেছিল ঐ স্বামীটা এত খারাপ লোক তা ঘুর্ণাক্ষরেও জানতাম না ছাড়াছাড়ির আগে। ছাড়াছাড়ি নিয়ে বিরোধ এবং মামলা চলছে- এ কথাও বলেছিল একদিন বলেছিল, দাদু তুমি তো বহু মানুষকে চেন। ভাল একটি ছেলে আছে তোমার সন্ধানে? জিজ্ঞেস করলাম কেন? বললো বিয়ে করবো- এই একাকিত্ব ভাল লাগে না। উত্তরে বলেছিলাম, খোঁজ করবো দেশে ফিরে আসি-তারপর। আর সে খোঁজ করতে হলো না।

সুবর্না তো চলেই গেল। শূন্যতা সৃষ্টি হলো পাবনার সাংবাদিকতায় নারীর। মেয়েরা যদি এগিয়ে আসে স্বাগত জানাব। আর সুবর্নার মত সাহসী এবং কর্তব্যনিষ্ঠ ও পরিশ্রমী এবং অনুসন্ধিৎসু হতে হবে সেই মেয়েদেরকে যদি প্রকৃতই ভাল সাংবাদিক হওয়ার আগ্রহ থাকে।

সুবর্নার জনপ্রিয়তা যে দেশ জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছিল তা জানা গেল তার হত্যালীলার পর। সাংবাদিক অসাংবাদিক নির্বিশেষে সারা দেশেই তার মৃত্যুতে (এবং বিদেশেও) শোকের ছায়া নেমে এসেছিল-দেশে-বিদেশে অসংখ্য স্থানে তার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তি দাবি করে অনুষ্ঠিত হয়েছে মানববন্ধন, সমাবেশ ও মিছিল।

তার সাবেক শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিন্তু বাদবাকিরা আজও অধরাই রয়ে গেছে। সন্দেহ হয়, আন্দোলনের চাপ কমলেই মামলাটা ঝিমিয়ে পড়বে কিনা-সচরাচর যেমনটি ঘটে থাকে। দাবি রাখবো মুল আসামির দ্রুত গ্রেপ্তারের, নিখুঁত চার্জসিটের উপযুক্ত বিচার এবং কঠোরতম শাস্তির।

তাই, চাপ অব্যাহত রাখা এবং ক্রমশ জোরদার করার দায়িত্ব পাবনার সাংবাদিকেরা, পাবনা প্রেসক্লাব ও আপর সকল সাংবাদিক ও নারী সংগঠন, পাবনার সুশীল সমাজ সম্মিলিতভাবে পালন করবেন-সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে এমনই প্রত্যাশা আমার। আর পুলিশ কর্তৃপক্ষ? বর্তমানে পাবনায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকের কাছেই আমি তেমন একটা পরিচিত নই ব্যক্তিগতভাবে। তাই একজন সাধারণ নাগরিক ও পাবনার প্রবীণ একজন সাংবাদিক হিসেবে তাঁদের উপর ভরসা রাখতে চাই তাঁরা যেন মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আদৌ সামান্যতম অবহেলা না দেখান। পাবনার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি কার্যকর ও দৃশ্যমানভাবে প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন।

মুক্তিযোদ্ধা কন্যা মুক্তি
খুব ক্রোধান্বিত ও মর্মাহত হয়েছিলাম সাঁথিয়া থানার নাগডেমরা ইউনিয়নের নাগডেমরা গ্রামের বীর, দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের কলেজ পড়ুয়া সম্ভাবনাময়ী কন্যা মুক্তি খাতুনকে তার পিত্রালয়ে নিজের ঘর থেকে দুর্বৃত্তরা টেনে হিঁচড়ে বের করে তার দেহে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আরও জানলাম যে ঐ গ্রামের একটি উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই বিবদমান দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় এবং তারই পরিণতিতে একটি গ্রুপই ঐ মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি আক্রমণ করে। অবস্থা মারাত্মক হতে পারে ভেবে মোজাম্মেল হক ও প্রতিবেশী বাড়িসমূহের পুরুষেরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে না পেয়ে ঐ মেয়েটাকে এভাবে নির্যাতন করে।

মুক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে তাকে ভর্তি ও চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়। বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে দশদিন পর সেখানেই মুক্তির মৃত্যু ঘটে।

মুক্তিকে কদাপি চিনতাম না আজও চিনি না তার বাবাকেও তবু মুক্তিযোদ্ধা কন্যা হিসেবে তাকে আদরের চোখে দেখি। মুক্তি এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রী ছিল- তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা মোজাম্মেল হক দর্জির কাজ করেন। একটি পরিবার অসহায়ত্বের শিকার হলো।

ঘটনাটি যেভাবে ঘটেছে তাতে বুঝা যায় দুর্বৃত্তদের টার্গেট ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক। কিন্তু বাড়িতে তাঁকে না পেয়ে তাঁর মেয়েকে এসিড দগ্ধ করা হয়- যা একটি বিভীষিকাকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। আইনের এটি একটি গুরুতর অপরাধ। দুর্বৃত্তরা নিশ্চিত ভাবেই এসেছিল তাই পুলিশের পক্ষে তাদেরকে সনাক্ত করা আদৌ দুঃসাধ্য নয়। দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার না করলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের উপরও যখন তখন আঘাত হতে পারে-তাঁকে খুন করে ফেলতে পারে ঐ দুর্বৃত্ত দল।

তাই বিন্দু মাত্র কালবিলম্ব না করে মুক্তির হত্যার আসামিদের আশু গ্রেপ্তার এবং মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ