আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

রাজনীতিতে জাতীয় ঐক্য, ভোটের জোট, জোটের ভোট

জুয়েল রাজ  

বাংলাদেশের রাজনীতিতে শত দল শত মত, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৩ টি যারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এর বাইরে নাম শোনা এক দলের এক নেতা সম্বলিত দলের সংখ্যা অগুনিত। যা গণতন্ত্রের জন্য সুন্দর বার্তা। আর বহুদল বাঙালির জন্য চিরন্তন সত্য!

শুভ পরিবর্তন অবশ্যই কাম্য, তবে আওয়ামী লীগকে এই প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে কোনভাবেই বাংলাদেশে শুভ পরিবর্তন সম্ভব নয়। সরকারে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা আছে, অস্বীকার করার উপায় নেই, তবে সফলতার পাল্লা তারচেয়ে ভারি। বাংলাদেশের ১৭ কোটির অধিক জনগণকে নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। যারা নেতৃত্ব দিবেন তারা নিশ্চয় আলাদীনের চেরাগ হাতে নিয়ে আসবেন না। রাতারাতি ১৭ কোটি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিষয় গুলো বদলে দিবেন। মোট ভোটের হিসাব নিয়ে নিশ্চয় নির্বাচনী জোট করেছেন। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিএনপি ৭০ শতাংশ ভোট নিয়ন্ত্রণ করে। জাতীয় পার্টি এবং জামায়াত নিয়ন্ত্রণ করে ১০ শতাংশ ভোট। বাকি ২০ শতাংশ ভাসমান ভোট যারা নির্ধারণ করে দেয় সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত। যুক্তফ্রন্ট বা জাতীয় ঐক্য আসলে কাদের নিয়ে, কি জন্য। তাঁদের যে দাবি দাওয়াগুলো আছে, বিএনপি জামায়াতও প্রায় সেই একই দাবি করছে। তাহলে নতুন জোটের প্রয়োজনীয়তা কী?

যে যাই বলুক বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি ধারা বিদ্যমান। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী বিরোধী পক্ষ। নানাভাবে নানা নামে একই মদ, মোড়ক বদলে আবির্ভাব হয়। এবারের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এর বাইরে কিছু নয়। যদিও জাতীয় ঐক্য থেকে বলা হয়েছে জামায়াতকে বাদ দিয়ে আসলে বিএনপিকে ও তারা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সাথে রাখতে আপত্তি নাই। জামায়াতকে বিএনপির রাখা না রাখার প্রশ্ন থাকার কথা নয়। কারণ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আদালতের রায়ে যেহেতু দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত এখন ইতিহাস। কিন্তু অনিবন্ধিত দল হিসাবে তাদের কার্যক্রম থেমে নেই। বিএনপি ঘোষণা দিল জামায়াতকে ছাড়া তারা ঐক্যপ্রক্রিয়া বা জোটে যোগ দিবে পাশাপাশি জামায়াতের নেতাদের বিএনপি থেকে মনোনয়ন দিয়ে দিল। সেই ক্ষেত্রে ঐক্য প্রক্রিয়ার ভূমিকা কী থাকবে সেই বিষয়টি পরিষ্কার না। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী ছিলেন, আর ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মতো তরুণ নেতা। যিনি দলের জন্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছিলেন। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন রাখার মতোই যুক্তফ্রন্ট আর জাতীয় ঐক্য নামক নাম ধার করা। যারা নেতৃত্ব দিবেন জাতির তাদের সেই সক্ষমতা কি আদৌ আছে?

নতুন ফ্রন্টের যে নেতাদের আমরা মঞ্চে দেখলাম, মান্না সাহেবের দল নাগরিক ঐক্য নিবন্ধই পায়নি, সুলতান মনসুর নির্দলীয় একক নেতা, ডা. জাফরুল্লাহ একক নেতা। গণফোরাম ভোটের রাজনীতিতে পরীক্ষার বেঞ্চেই বসে নাই, বিকল্পধারা পিতা-পুত্র। আ স ম আব্দুর রব শেখ হাসিনার কৃপায় মন্ত্রী হয়েছিলেন। খুব সহজভাবে, সাদা চোখে যা বুঝি, ড. কামাল হোসেন তথা যারা এই ফ্রন্টে এগিয়ে এসেছেন, একমাত্র আ স ম আব্দুর রব ছাড়া। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়েই যদিও সেই জায়গা থেকে সরে গিয়েছিলেন রব সাহেব। জাতির কোন ক্রান্তিকালেই জাতিকে সেবা সেবা দেয়ার কোন নজির এদের নাই।

একটি প্রবাদ আছে, যার হয়না সাত এ তার হয়না ২৭-এ । এয়ারকন্ডিশন রুমে বসে নানা ফর্মুলা বাতলে দেয়া আর মাঠে চষে মানুষের সাথী হওয়ার ব্যবধান অনেক। ড. কামাল হোসেন জীবনে একবার মাত্র বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপরে ৮০ বছরের পৌঢ়ত্বে এসে ও আর সংসদ ভবনমুখি হতে পারেন নাই। এর ভিতর বহু রাম শ্যাম যদু মধু ও এমনকি কুখ্যাত রাজাকার যুদ্ধাপরাধীরা এই ভবন ঘুরে এসেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যখন আওয়ামী লীগের মতো দলের বিরুদ্ধে দলছুট কিছু মানুষ একাট্টা হয়, তখন সেখানে ভিন্ন আলামতের সন্দেহ থাকে।

বাংলাদেশ খুব ভাল আছে, সেটা হয়তো বলা যাবেনা। মানুষ অবশ্যই আধুনিক সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদেরকে, দেশকে, সমাজকে দেখতে চায়। সেই পরিবর্তনের পালে যদি হাওয়া লাগে তা সাধারণ মানুষ অবশ্যই সাধুবাদ জানাবে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া গণতান্ত্রিক দেশে সে পরিবর্তন ও কোনভাবেই সম্ভব নয়। জাতীয় ঐক্যকে স্বাগত জানাতাম, যদি আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্বের দাবি নিয়ে কেউ এগিয়ে আসতেন। আওয়ামী লীগের মতো একটি বৃহৎ দল যারা নেতৃত্ব দিয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামে। যখন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব সারা বিশ্বে অনুকরণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তখনই এই ভোটের জোট জাতির সামনে অবতীর্ণ হয়েছে। মুক্তির বার্তা নিয়ে! কি সেই বার্তা? ‘কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রছাত্রীসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে। এখন থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। যেই লাউ সেই কদু, সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কারা? বেগম খালেদা জিয়া! বিভিন্ন মামালায় আটক জামায়াত শিবির’!

মান্না সাহেব, গণফোরাম কিংবা জাফরুল্লাহ সাহেবের কোন রাজনৈতিক নেতাকর্মী কি জেলে বন্দি আছেন? আমার জানা নাই।

আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর তারিখে কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খেলাফত পার্টির সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিল। সাথে ছিলেন মৌলানা আতাহার আলীর নেজামে ইসলাম পার্টি বামপন্থী গণতন্ত্রী দলের নেতা ছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ এবং মাহমুদ আলি সিলেটি। লক্ষ্য ছিল ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা। যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। এই যুক্তফ্রন্ট ২১ দফার একটি নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। ঐ ইশতেহারের মধ্যে প্রধান দাবি ছিল লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া, ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা, ভাষা শহীদদের স্মৃতিরক্ষার্থে শহীদ মিনার নির্মাণ করা ইত্যাদি।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন অর্জন করেছিল । তন্মধ্যে ১৪৩টি পেয়েছিল মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ, ৪৮টি পেয়েছিল শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামী ইসলাম পার্টি লাভ করেছিল ২২, গণতন্ত্রী দল লাভ করেছির ১৩টি এবং খেলাফত-ই-রাব্বানী নামক দলটি ২টি আসন। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ সম্পূর্ণরূপে এ নির্বাচনে পরাভূত হয়, তারা কেবল ৯টি আসন লাভ করতে সমর্থ হয়। এ নির্বাচনে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য ৭২টি আসন সংরক্ষিত ছিল। এগুলোর মধ্যে কংগ্রেস লাভ করেছিল ২৪টি আসন, কমিউনিস্ট পার্টি ৪টি, শিডিউল্ড কাস্ট ফাউন্ডেশন ২৭টি, গণতন্ত্রী দল ৩টি এবং ইউনাইটেড পগ্রেসিভ পার্টি ১৩টি আসন লাভ করেছিল। একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী একটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন।

এবার আসুন আওয়ামী বিরোধী যুক্তফ্রন্টের বা ঐক্যের নেতা যারা আছেন, তারা নিজেরাই নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসবেন নাকি জামানত বাজেয়াপ্ত হবে সেটাই সন্দেহ থেকে যায়। এমনও যদি হয় সব প্রার্থী মিলে এক সংসদ সদস্যের ভোট পেয়েছেন তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। জোটের ভোটের হিসাব জাতির জানা আছে। অতএব লক্ষ্য অন্য জায়গায়। সেটা পরিষ্কার। মূলত বিএনপিকে বিকল্পভাবে ক্ষমতায় আনার একটা ষড়যন্ত্র ছাড়া এই জাতীয় ঐক্য বা ফ্রন্ট আর ভিন্ন কিছু নয়।

দ্বাপর যুগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ মহাবীর কর্ণকে বলেছিলেন-- একটি সত্য জেনে রাখুন কর্ণ। যে ব্যক্তি সমাজের জন্য বেঁচে থাকে, তার স্বয়ং নিজের লাভ হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি কেবল নিজের জন্য বেঁচে থাকে, সে স্বয়ং ও সমাজ দুই জনেরই হানি করে থাকে।

কুরুক্ষেত্রে আজ যে বিধ্বংস ঘটছে তার কারণ না দুর্যোধন, না মামা শ্রী শকুনি; এই পাপ তিন মহারথি করেছে মহামহিম ভীষ্ম, গুরু দ্রোণ, আর আপনি কর্ণ। আপনারা তিন জন যদি নিজেদের পালন করা ধর্ম পরিত্যাগ করে সমাজ কল্যাণের বিচার করতেন দুর্যোধনকে সহায়তা না করতেন তবে এই যুদ্ধ হত না। মহারথি কর্ণ বলেন: "আপনি যথার্থ বলেছেন বাসুদেব; এই সমাজের যত হানি অধর্মীদের দ্বারা হয়ে থাকে; তার অধিক হানি ধর্ম জ্ঞানী ব্যক্তিদের নিষ্ক্রিয়তার দ্বারা হয়ে থাকে’’। ড. কামাল হোসেন সহ এসব তথাকথিত সুশীলদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

বাংলাদেশের উন্নয়ন চাইলে মাঠে নামুন, মানুষের মননে চিন্তায় পরিবর্তন আনুন। আপনারা কি গ্যারান্টি দিতে পারবেন, বা মুচলেকা দিতে পারবেন ৫ বছরের জন্য ক্ষমতায় গিয়ে বাংলাদেশকে আমূল পরিবর্তন করে দিবেন! পরিবর্তন করতে পারবেন না সেই গ্যারান্টি দেয়া বরং সহজ। বাংলাদেশের অবুঝ শিশুও সেই গ্যারান্টি দিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু যুক্তফ্রন্ট বা জাতীয় ঐক্য সেই নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ