আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

রাষ্ট্রীয় অর্জনগুলোর দিকে তাকাতে হবে

ফকির ইলিয়াস  

আমরা পারিনি অনেক কিছুই। কিন্তু যা পেরেছি, সেগুলোর দিকে কি তাকাচ্ছি উদার দৃষ্টি নিয়ে? বাংলাদেশে আরো অনেক ভালো কিছুই হতে পারত। পারেনি- কারণ একটি শক্তি দেশের মূল চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে খাটো করতে সচেষ্ট ছিল। এরা এখনো আছে। তারা চায়, একাত্তরের পরাজয়ের বদলা নিতে। তারা চায়, বাংলাদেশে অবস্থান করে সেই পাক তমদ্দুন বাঁচিয়ে রাখতে। 



ব্যক্তিগত সফরে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন। সেখানে একটি চক্র প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। এরা কারা? কি তাদের পূর্ব পরিচয়? আমার মনে পড়ে যখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যখন গোলাম আযমের বিচার চেয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গণআদালত করেন- তখন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও বিদেশে জোরালো বিক্ষোভ হয়েছিল। সেদিন এই পাক তমদ্দুনপন্থীদের আমরা মাঠে দেখিনি। কেন দেখিনি? তারা ওই ঘাতক-দালাল-রাজাকারদের দোসর বলেই এদের বিচার চায়নি। আচ্ছা, একজন খুনি-বুদ্ধিজীবী হত্যার পালের গোদার বিচার তারা চাইবে না কেন? কোন মুখে এরাই আবার ‘উন্নত বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখে?

আমরা আবারো দেখেছি, সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০১৪’ প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমনে অঙ্গীকার রক্ষা করেছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও হয়নি। এছাড়াও বলা হয়েছে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে পুরোপুরি সক্রিয় রয়েছে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস প্রতিরোধে বৈশ্বিক জোটের অংশীদার না হলেও এদের মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার দরকারি সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়াও অর্থ পাচারসহ সন্ত্রাসীদের আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণ এবং স্থল, সমুদ্র ও আকাশসীমা দিয়ে সন্ত্রাসীদের প্রবেশ করতে না দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ এ সময়ে বিশ্বে একটি বড় ইস্যু। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় ভূমিকা অবশ্যই দেখার মতো। মনে রাখতে হবে, দেশকে অস্থির করে তোলার জন্য একটি চক্র সবসময়ই সক্রিয় রয়েছে। এদের মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হচ্ছে সরকারকে।



অতিসম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক একটি সভায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন। বাংলাদেশে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া এবং জাতীয় পতাকা ওঠানো হয় না, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও সবার প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর ও জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করতে হবে। কেবল মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকার কথা বললেই পূর্ণ সত্য বলা হয় না, এতে অর্ধসত্য বলা হয়। আমাদের পূর্ণ সত্যের কথা বলতে হবে।’

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু একদিনে এত মানুষ আর কখনো নিহত হয়নি। এদিন প্রায় ৫ লাখ মানুষকে খুন করা হয়েছে। এসব বিষয়গুলো বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত।

দেশ এগিয়ে যেতে হলে মানুষকে বড় মন নিয়ে এগোতে হবে। তাই সত্য জানতে হবে। চর্চা করতে হবে সত্য ইতিহাসের। বাংলাদেশে যে কাজটি একাত্তরের পরাজিতরা করতে চাইছে, তা হলো মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়ানো। এই বিভ্রান্তবাদীদের প্রচেষ্টা বাংলাদেশে নতুন নয়। এরা বারবার হীন চেষ্টা করেছে। এখনো করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মহান মুক্তি সংগ্রামকে নিয়ে তাদের যত গা-জ্বালা। কারণ তারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল। বাংলার মানুষ তাদের হারিয়ে দিয়েছিল। সেই বেদনা তারা এখনো ভোলেনি। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা এলেই তারা নানা মিথ্যার বেসাতি ছড়ায়। নানাভাবে বলতে চায়, পাকিস্তানের অখণ্ডতাই ছিল শান্তির আবাসস্থল। কী সাংঘাতিক কথাবার্তা!

এরা ইতিহাস বিকৃত করার জন্য নানা মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক, বানোয়াট তথ্য ও অনুমান হাজির করে। বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে চায়। শহীদদের পবিত্র রক্তের সঙ্গে বেইমানি করার ধৃষ্টতা দেখায়। খুব কৌশলে নানা কথা বলে। এসব রাজাকারের সৌভাগ্য, তারা এখনো বাংলার মাটিতে অবস্থান করে মিথ্যা অপপ্রচার করতে পারছে। এ দেশে কোনো রাজাকার নেই বলে বলে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে!

বাংলাদেশে মধ্যপন্থীদের প্রধান এবং শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে ডানপন্থী মৌলবাদীরা। কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, যারা ‘মানবতা’, ‘আধ্যাত্মিকতা’ এবং ‘বিবর্তন’-এর লেবাস পরে মূলত ডানপন্থী মৌলবাদীর পক্ষে কাজ করে যান। তারা ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মপালন না করলেও আড়ালে-আবডালে ধর্মের ধ্বজা ধরে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াসী হন। এসব ‘আধুনিক চিন্তার’ ঝাণ্ডাধারীরা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে রাজাকার-আলবদরদের ইচ্ছাকেই বাঁচিয়ে রাখতে নানাভাবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। যারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল তারা এখন প্রতিশোধ নিতে চাইছে অন্যভাবে। তারা এখন মাঠে নেমেছে বুদ্ধির বলিহারি নিয়ে। তারা বলছে, আমরাও স্বাধীনতা মানি। বিজয় মানি। কিন্তু একাত্তরে অমুকের ভূমিকা কি ছিল। তমুক কোথায় ছিলেন। অমুকের বাবা কি ছিলেন। ইত্যাদি অনেক কথা।

বাংলাদেশে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। এই কবির গান কেন জাতীয় সঙ্গীত হবে- তা নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছে বলছে। রবীন্দ্রনাথ হিন্দু ছিলেন। বাংলাদেশ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। কথা দুটোই সত্য। কিন্তু সংস্কৃতির সঙ্গে, সাহিত্যের সঙ্গে, শিল্পের সঙ্গে ধর্মের যোগসাজশ কি? এর উত্তর খুব ঘুরিয়ে দেয় ঐ বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বৃত্তরা। সন্দেহ নেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রজন্ম অগ্রসর হবে, তা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অরাজনৈতিক এবং ভ্রান্ত রাজনীতিকদের পাল্লায় পড়ে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ সমাজের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেবে তা তো হতে পারে না। তা সমাজের জন্য শুভও নয়। আমাদের চারদিকে এই যে অশুভের প্রভাব, সেটাই সমাজের জন্য তীব্র শঙ্কার কারণ হচ্ছে। ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ নিরুপায় হয়ে নিজেরাই নিজেদের দিচ্ছে পাহারা।

আমরা যদি বাংলাদেশে মিডিয়ার উৎকর্ষতার কথা বলি, তাহলে দেখব, যেখানে একসময় একটি মাত্র টিভি চ্যানেল ‘বিটিভি’ ছিল, সেখানে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা এখন প্রায় দেড়ডজন কিংবা তারও বেশি। বেড়েছে ভারী পৃষ্ঠা সংখ্যা নিয়ে জাতীয় দৈনিকের আয়োজন। তারপরে ব্লুগ, ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, অনলাইন দৈনিক, অনলাইন মুক্ত ফোরাম ইত্যাদি আপডেট হচ্ছে তাৎক্ষণিক। প্রতি ঘণ্টার নিউজ, ব্রেকিং নিউজ দেশবাসী, বিশ্ববাসী বাঙালিকে জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের তাৎক্ষণিক সংবাদ। এ প্রসঙ্গে একটি কথা না বললেই নয়। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বিষয়ভিত্তিক অনুসন্ধানী ধারাবাহিক যে রিপোর্টগুলো প্রচারিত হয়, তা রাষ্ট্রপক্ষের শাসকদের কতটা নজরে পড়ে? আর নজরে পড়লে এর বিহিত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় কিনা! কেন নেয়া হয় না?

অন্যদিকে দেশে যে ভালো কাজগুলো হচ্ছে, এর কতটা উঠে আসছে আজকের মিডিয়ায়? সম্ভাবনার বাংলাদেশের যে ছবি- তা কতটা লিপিবদ্ধ করে রাখছেন আমাদের সংবাদকর্মীরা? আমরা জানি, দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে একটি শ্রেণি। সরকারদলীয় একজন এমপির পুত্র ফাঁকা গুলি করে দুজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। আর আমাদের অর্জনগুলো ম্লান করতে এরকম ঘটনাই কাজ করছে প্রতিদিন। এ দেশে দখলবাজি কারা করছে? গাছ কেটে বন উজাড় কারা করছে? নদী ভরাট করে পরিবেশ দূষিত কারা করছে? নদীর পানিতে বর্জ্য ফেলে পানি দূষণের মারাত্মক সংবাদ আমরা কাগজে দেখছি। এসব কাজ যারা করছে, তাদের হাত অনেক লম্বা। তারা রাষ্ট্রের উচ্চ শ্রেণির একটি শক্তির মদদপুষ্ট, তা না হলে এত সাহস এরা পায় কোথা থেকে? শান্তিপ্রিয় মানুষ আগ্রাসন আর দেখতে চায় না। বাংলাদেশে এখন একটি শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। যা গণতন্ত্রের ভিতকে নড়বড়ে তো করছেই। এর মধ্য দিয়েই চলছে ঘাতক-দালালদের বিচার।

আবারো বলি, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এর জন্য সবাইকে শান্তির পক্ষে থাকতে হবে। আমাদের মনে আছে, স্বাধীনতার পর উত্তরাধিকার সূত্রে বাংলাদেশকে একটি দারিদ্র্যপীড়িত ও ভঙ্গুর অর্থনীতির হাল ধরতে হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ শুধু দরিদ্রই ছিল না, দারিদ্র্য দূর করার যে হাতিয়ারগুলো দরকার তাও ছিল না। ছিল না অর্থ, অবকাঠামো বা দক্ষ জনশক্তি। তখন বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ, অর্ধাহার-অনাহার কবলিত, বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক কাঠামোর একটি দেশ হিসেবে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ভঙ্গুর ও নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে এর স্থায়িত্ব সম্পর্কে সন্দিহান ছিল অনেকেই। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বিদেশি সাহায্য নির্ভর ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। নরওয়ের অর্থনীতিবিদ ফাল্যান্ড ও ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ পারকিন্সন বাংলাদেশকে বলেছিলেন ‘উন্নয়নের পরীক্ষাগার’। ১৯৭৬ সালে তাদের বই ‘বাংলাদেশ : স্টেট কেস ফর ডেভেলপমেন্ট’- এ উল্লেখ করেন, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব হলে পৃথিবীর যে কোনো দেশের পক্ষেই উন্নয়ন সম্ভব। ২০০৭ সালে এরা তাদের মত থেকে সরে আসেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ‘তিন দশকের সীমিত ও বর্ণাঢ্য অগ্রগতির ভিত্তিতে মনে হয় বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।’ এখন বাংলাদেশকে উন্নয়ন পরীক্ষাগারের পরিবর্তে উন্নয়ন মডেল বলছেন।

সম্প্রতি গোল্ডম্যান স্যাক্স সম্ভাবনাময় ১১টি দেশের তালিকা তৈরি করেছে। এ দেশগুলোর অর্থনীতি এগিয়ে আসছে বলে এদের নাম দেয়া হয়েছে ‘নেক্সট ইলেভেন’। এই উদীয়মান ১১টি দেশের একটি বাংলাদেশ। সংস্থাটি বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছে, দেশটির বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার বেশির ভাগই তরুণ। এদের মাধ্যমে দেশটির ভবিষ্যৎ বদলে দেয়া সম্ভব।

জেপি মরগান ৫টি ফ্রন্টিয়ার অর্থনীতির নাম উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার সব ধরনের সুযোগ বাংলাদেশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ নেক্সট ইলেভেন সম্মিলিতভাবে ইউরোপিয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশকে ছাড়িয়ে যাবে। লন্ডনের জাতীয় দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, ২০৫০ সালে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির বিচারে পশ্চিমা দেশগুলোকেও ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া মুডি’স ও স্ট্যান্ডার্ড এন্ড পুওর’স গত কয়েক বছর ধরে ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশের সন্তোষজনক অর্থনৈতিক রেটিং দিচ্ছে। তাদের প্রক্ষেপণও সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের ইঙ্গিত করে। এসব পূর্বাভাস প্রমাণ করে, বাংলাদেশের সামনে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। আমাদের এই সম্ভাবনার দিকে তাকাতে হবে। প্রজন্মকে সেই আলোকেই গড়ে তুলতে হবে। দেশে মানুষজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, মানুষ হিসেবে বেঁচে-বর্তে থাকার পথও খুঁজতে হবে আন্তর্জাতিকতার নিরিখে।



ফকির ইলিয়াস, কবি ও কলাম লেখক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ