আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

জাতীয় পার্টি- জামায়াত: ভাগ্যবান দুটি দল

রণেশ মৈত্র  

বাংলাদেশের রাজনীতি কোনদিন স্বচ্ছ, নীতি ও আদর্শভিত্তিক হবে তা বুঝে ওঠা অত্যন্ত দুরূহ। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবত অর্জিত অভিজ্ঞতায় দেশের রাজনৈতিক ভাবভঙ্গী এবং তার নানাবিধ পরিবর্তন মুক্তিযুদ্ধের ও গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শে বিশ্বাসীদের কাছে হতাশারই সৃষ্টি করে চলেছে আশাবাদেও সৃষ্টি করত পারছে না।

ফ্যাসিবাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক দল এবং ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহকর্মীরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ১৯৭২ এর সংবিধানের মাধ্যমে। দলটির নাম আমাদের সবাই জানা আন্তর্জাতিক মহলেও কুখ্যাত জঙ্গি উৎপাদনকারী ধর্মান্ধ, উগ্র সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতা-বিরোধী রাজাকার-আলবদর জনক জামায়াত ইসলামী পরাজিত শত্রু হয়েও বাংলাদেশের রাজনীতিতে বৈধ দল হিসেবে সক্রিয় থাকতে পারছে এবং সক্রিয় রয়েছে।

কে না জানে এই দলটি পাকিস্তান আমলেও এক অ-জনসমর্থিত ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দলটি হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধকালে বিশাল দলে পরিণত পাকিস্তানর সামরিক সরকারের সক্রিয়, নৈতিক ও বৈষয়িক সহযোগিতায় এবং এভাবে প্রাণিত হয়ে তারা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে ও পৈশাচিক বর্বরতায় হত্যা করে দেশটাকে বুদ্ধিজীবী শূন্য করে ফেলেছিল।

কে না জানে মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস ধরে তারা হাজার হাজার দেশ প্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা নিরীহ মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক আনিত মানুষকে পালীর মত গুলি করে মেরেছে, পাক-বাহিনীকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে গ্রামকে গ্রাম আগুন দিয়ে পুড়িয়ে জ্বালিয়ে ছারখার করে দিয়েছে, গ্রাম ও শহরের বাসিন্দাদের অজস্র সম্পত্তি লুটপাট করেছে,বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে এক কোটি মানুষকে গৃহহীন ও দেশছাড়া করেছে, তিন লক্ষাধিক নারীর উপর অমানুষিক দৈহিক ও যৌন নির্যাতন জ্বালিয়ে পৃথিবীতে বর্বরতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। পাক-বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে অবরুদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ-লক্ষ বিবাহিত-অবিবাহিত সুন্দরী যুবতীকে তাদের যৌন লালসা মেটানোর জন্যে।

তাদের এহেন কার্যকলাপের দৃঢ় সমর্থক ছিল বাদ-বাকী তৎকালীন সবগুলি ইসলামপন্থী ধর্মাশ্রয়ী দল।

বাংলাদেশের ঐ ক্রান্তিলগ্নে জামায়াতে ইসলামীর ও ধর্মাশ্রয়ী অপরাপর দলগুলির এহেন বর্বরোচিত, সভ্যতা-বিবর্জিত ক্রিয়াকলাপ, বাঙালির স্বার্থ বিরোধীই শুধু নয়, পাক-বাহিনীর ভাষায়“আদম নেহি, মাট্টি মাংতা” জাতীয় ভয়াবহ উক্তিকে কার্যকর করণে সক্রিয় সহায়তা প্রদানের কাহিনী অবগত হয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ এর সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে জামায়াতে ইসলামী সহ সকল ধর্মাশ্রয়ী দলগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং ধর্মের নামে কোন নতুন দল গড়াকেও অবৈধ ঘোষণা করেন।
অত:পর ৭৫ এর ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যালীলা এবং সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে তথাকথিত সামরিক আইনে জোরে সংবিধানের শুরুতেই “বিসমিল্লাহ্‌ সংযোজন এবং জামায়াতে ইসলামীসহ সকল ধর্মাশ্রয়ী দলকে বৈধতা প্রদান করেন-জামায়াতের আমীর কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানের নাগরিককে পাকিস্তানী পাসপোর্টে বাংলাদেশের ভিসার সিল লাগিয়ে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী অধ্যাপক গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে অত:পর এ দেশের নাগরিকত্ব অর্জনের সুযোগ করে দেন অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে লাখো শহীদের অবমাননা করে।

ঘটনার শেষ এখানেও হলো না। পরবর্তীতে ক্ষমতা বেআইনিভাবে দখল করলেন দ্বিতীয় সামরিক এক নায়ক জেনারেল হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। কোটি কোটি মুসলিমকে ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করণের লক্ষ্যে তিনি “রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম” কথাগুলি সংবিধানে তথাকথিত সংশোধনী মারফত সংযুক্ত করে সংবিধান ও রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িকীকরণের সকল আয়োজন করলেন বাদ বাকী সকল ধর্মাবলম্বীকে বানিয়ে ফেললেন দুই নম্বর। রাজনীতিতে পাকিস্তানী ঘা আবারও দগদগে হয়ে উঠলো।
এগুলির বিরুদ্ধে এবং বাহাত্তরের সংবিধান অবিকল পুনরুজ্জীবনের দাবীতে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ১৫ দল রাজপথে দীর্ঘ আন্দোলন করেন। আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, ড. কামাল হোসেন, মতিয়ার চৌধুরী সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে এরশাদ কামার হোসেনের বাসভবনে ১৫ দরের গোপন বৈঠক চলাকালে অতর্কিতে পুলিশ ঢুকে চোখ বেঁধে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে নানাবিধ নির্যাতন চালান। আন্দোলন তাতে থেমে থাকে নি বরং সে আন্দোলন আরও শক্তিশালী এবং দীর্ঘ স্থায়ী হয়েছে এবং দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটিয়েছে।

অত:পর শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার সম্মতিতে তদানীন্তন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন দুর্নীতি ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের দায়ে বহু সংখ্যক মামলা দায়ের করে এরশাদকে কারারুদ্ধ করলে ব্যাপক জনতা ও আন্দোলনের সকল শক্তি, কর্মী-নেতা সাধারণ মানুষ সকলেই এই পদক্ষেপকে সমর্থ জানান। সর্বান্তকরণে স্বাগত জানিয়েছিলেন উৎফুল্ল-চিত্তে অভিনন্দিত করেছিলেন।

এই সামরিক শাসন তিনটি ব্যাপারে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলে বিশ্ববাসী বিরুদ্ধে করেন দুনীতি, নির্যাতন, নারী সম্ভোগ। এগুলোর অবিসংবাদিত নায়ক বলে পরিচিত এই শাসকটির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি দুর্নীতির মামলায় তার কয়েক বছরের জেল হয়। তা তাঁকে ঘাটতেই হয়। তখন ছিলেন খালেদা জিয়া ক্ষমতায়। তিনি আবার জামায়াতের ২/৩ জন এম.পির সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো।

পরবর্তীতে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে স্বৈরতন্ত্রী এরশাদ কারামুক্ত হন এবং একে একে নীরবে তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এবং বিচারাধীন ৬জন খানেক দুনীতির মোকদ্দমা দিব্যি প্রত্যাহার করেও নেওয়া হয়। কেন এমনটি করা হলো তা আজতক কাউকে জানান হয় নি।

অত:পর দেখা যায় এরশাদ ও তার দল জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট গঠন করা হলো নির্বাচনে বিএনপিকে হারানোর লক্ষ্যে যদিও সবাই জানতো আওয়ামী লীগ তার একক শক্তিতেই দিব্যি আরামে বি.এন.পি’কে পরাজিত করতে পারতো। এরশাদও একঘরে হয়ে হয়ে যেত। রাজনীতির ধারাটাও স্বচ্ছ থাকতে পারতো।

বাংলাদেশের ধাতে তা সইলো না। তিনি দিব্যি আজ গণতন্ত্রের সিপাহ্ সালার এবং সরকারী দলের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। আবার এবারে তো সরকারী সমর্থনে ভোটে জিতে সরকারী হুমুক বিরোধী দলীয় নেতাও বটেন যা পৃথিবীর বুকে নজির বিহীন। বিগত সংসদে তো আরও মজার ব্যাপার ঘটেছিল। এরশাদ পত্নী রওশন এরশাদকে বানানো হলো বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির ৪/৫ জনকে দেওয়া হলো মন্ত্রিত্ব আর এরশাদ হলেন মন্ত্রীর পদমর্যাদার একজন উপদেষ্টা। এরশাদের গোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত হলো। আমর দিব্যি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে তা দেখছি আর মুখে বেদনার হাসি হাসছি।

যুবলীগের নেতা “স্বৈরাচার নিপাত থাক-গণতন্ত্র মুক্তি পাক” বুকে পিঠে লিখে মিছিলে গিয়ে সামনের সারিতে শ্লোগান দিতে গেলে রাজপথে ট্রাক চাপা দিয়ে ঐ যুবলীগ নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। জানি না তার পরিবারবর্গ এরশাদের এহেন সম্মানিত পদে দেখে কেমন ভাবনা ভাবছেন। অথচ আইনত: ন্যায়ত: এরশাদের স্থান নির্দিষ্ট ছিল জেলখানায়। ভাগ্যবলে কি যেমন তেমন?

এবারে জামায়াতের কথায় আসি। বঙ্গবন্ধুর জামায়াতে ইসলামী সহ সকল ধর্মাশ্রয়ী দলের অস্তিত্ব নিষিদ্ধ করলেও জিয়া সেই যে তুলে দিলেন আজও তা দিব্যি আমাদের সংশোধিত সংবিধানে শোভা পাচ্ছে এবং তার ব্যত্যয় ঘটার বা বে-আইনি করার লক্ষণ আজও সুস্পষ্ট নয়।

জামায়াতে ইসলামী যে অপরাধ করেছিল তার জার্মানির নাৎসি হিটলারের সাথেই কিছুটা মিল দেখা যায়। হিটলারের দল নিষিদ্ধই হলো না শুধু তবে ফ্যাসিবাদী দলটির একটি সদস্যকেও জীবিত থাকতে দেওয়া হয় নি। এখনও অনুসন্ধান করা হয় এবং কোন একজনকেও যদি হিটলারের দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে প্রমাণিত হয় তবে নির্ঘাত সাজা মৃত্যুদণ্ড।

এখানে মৃতুদণ্ড দেওয়া হয় নি তা নয়। মাত্র গুটি কয়েক নেতা যাদেরকে একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধ চলাকালীন নয় মাস ধরে নরহত্যা, লুণ্ঠন,ম ধর্ষণ, লুট পাটের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল তাঁদেরকে ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু একাত্তরের ঐ নৃশংস ঘটনাগুলি কি শুধুমাত্র ঐ কয়জন মিলে করা সম্ভব ছিল? সেদিনকার হত্যা-ধ্বংসলীলা, লুটপাট ও ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আরও হাজার হাজার জামায়াতী অপরাধী তাদের দলের বৈধতার সুবাদে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, সমাজে ইমামতি ও মাদ্রাসায় শিক্ষকতা সহ সমাজজীবনে বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত থাকার সুযোগ পাচ্ছে।

আবার কেউই ব্যক্তিগতভাবেই শুধু উপরোক্ত অপরাধ সমূহ সংঘটিত করেছিল তা নয় বরং তারা সম্মিলিতভাবে গোটা জামায়াতে ইসলামী নামক দলকে সম্পৃক্ত করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সকলে মিলেই অপরাধগুলি সংঘটিত করেছিল। তাই দলটি এবং সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসায় তার অতীত ও বর্তমান সকল সদস্যই যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে, রাষ্ট্র দ্রোহিতার দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন না। তাঁদের অপরাধ যেমন ব্যক্তিগত, তেমনই সমষ্টিগত ও দলগত সাম্প্রদায়িক অর্থে।

অপরপক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষে রায় দান কালে একাধিক মামলায় জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ রয়েছে।

সর্বোপরি একটি রিটের রায় দান কালে হাইকোর্ট “বিসমিল্লাহ”, “জামায়াত” সহ সকল ধর্মাশ্রয়ী দলের বৈধতা, রাষ্ট্রধর্ম প্রভৃতি স্পষ্টাক্ষরে বে-আইনি ঘোষণাই করেন নি-তাঁরা বলেছিলেন জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে যে অপরাধ করেছেন তা সুস্পষ্টভাবেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে এনে উপযুক্ত আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। জিয়াউর রহমান জীবিত না থাকায় মামলা তাঁর বিরুদ্ধে না করলেও এরশাদ রেহাই পেতে পারেন না।

এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপীল করা হলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে মাননীয় বিচারকবৃন্দ হাই কোর্টের রায় পুরোপুরি বহাল রাখেন। সমগ্র দেশবাসী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল দল, নেতা, কর্মী, ৭১ এর ভুক্তভোগীদের পরিবার পরিজন, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী সকলেই এক বাদ্যে ঐ রায়কে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

ভীত সন্ত্রস্ত জামায়াতে ইসলামী সারা দেশে তাদের অফিসে তালা লাগালো গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মীরা আত্মগোপনে গেল। সকল প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আতংকিত হলো।

তখন প্রয়োজন ছিল সরকারের পক্ষ থেকে একটি গেজেট প্রকাশের ঐ রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত প্রকাশ কল্পে। কিন্তু সরকার সে পথে না হেঁটে সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে কুখ্যাত পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করিয়ে ঐ সব পশ্চাৎমুখী বিষয়গুলিকে স্থান দিয়ে সবগুলিকে বৈধতা দিলেন।

এ কারণে খুনি, ধর্ষক, স্বাধীনতা-বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীকে অতিশয় ভাগ্যবান দল বলতেই। এদেশে মন্ত্রিত্বের স্বাদ তো তারা দিব্যি পেয়েছে। ভাগ্য কাহাকে বলে?

আর এরশাদের কথা ভাবলে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। তৎকালীন দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলিতে চোখ বুলাই মহান এই ব্যক্তিটির চারিত্রিক এবং সকল তথ্য পাওয়া যাবে। দুনীতির যে মামলাগুলি তুলে নেওয়া হলো তা কেন, দেশবাসীর তা জানার অধিকার আছে।

তদুপরি সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী এরশাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অভিযোগে কেন মামলা দায়ের না করে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, তার বংশকে মন্ত্রীর স্বাদ গ্রহণের সুযোগ দান সবই বিস্ময়কর এবং এরশাদের স্বর্ণালী ভাগ্যের ইংগিতই দেয়। কিন্তু গণতন্ত্রবিরোধীদের, রাষ্ট্রবিরোধীদের, স্বাধীনতার বিরোধী সাম্প্রদায়িক দলগুলিকে এভাবে মহিমান্বিত করে চলছি কেন তা অজানাই রয়ে গেল।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ