আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

মাশরাফির হাসপাতাল অভিযান প্রসঙ্গ

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

মাশরাফি একজন তরুণ সংসদ সদস্য। তাকে যদি নসিহতই করতে চান, নসিহতটা ঠিকমতো দেন। ধুমধাম হাসপাতালে ঢুকে ডাক্তার-নার্স ওদেরকে এইভাবে হেনস্তা করেছে বলে কেবল তার একার সমালোচনা করাটা একটু কঠোর কাজ হয়ে যায়।

নিজের সংসদীয় এলাকার লোকজনের স্বাস্থ্যসেবার সমস্যা নিয়ে এমপি সাহেব বিচলিত হয়েছেন সে তো ভাল কথা। কিন্তু সমস্যার সমাধান তিনি কিভাবে করবেন? তার নিজের তো নির্বাহী ক্ষমতা নাই। তিনি কোন সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করতে পারেন না, সরকারি কর্মকর্তাদেরকে ধমকাতে পারেন না। আবার চিকিৎসার জন্যে যে সরকারি অর্থ ব্যয় করা, সেটাও একজন এমপি করতে পারবেন না। এইগুলি কাজ করবে নির্বাহী বিভাগ। নির্বাহী বিভাগ মানে? নির্বাহী বিভাগ মানে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিটা মন্ত্রণালয়ে তাঁর মন্ত্রীরা, এরা হচ্ছেন উপরে আর পিওন ইত্যাদি যারা তারা সবার নিচে। সাথে আছে সচিব থেকে শুরু করে সবাই- এরা হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ।

তাহলে এমপি সাহেব কী করবেন? হাসপাতালে অনিয়ম হচ্ছে। রোগীরা গেলে ডাক্তার পাচ্ছে না। নার্সরা থাকে না। এইসব অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি কিছুই করবেন না? করবেন। অবশ্যই করবেন। কিন্তু সেটা হাসপাতালে গিয়ে হম্বিতম্বি নয়। হম্বিতম্বিতে তাৎক্ষণিক আলোড়ন হয় বটে, কিন্তু সমাধান হয় না। তাছাড়া এটা করার এখতিয়ারও এমপি সাহেবের নাই। তাইলে কী করবেন এমপি সাহেব?

এমপি সাহেব সংসদে যাবেন। সংসদে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করবেন। লিখিত নোটিশ দিয়ে প্রশ্ন করাটাই উত্তম, সেই ক্ষেত্রে মন্ত্রী সাহেব একটু সময় পান, খোঁজখবর নিয়ে এসে জবাবদিহি করতে পারেন। তবে জরুরী কোন কোন বিষয়ে ঐরকম নোটিশ না দিয়ে সরাসরিও প্রশ্ন করতে পারেন। মাশরাফির এই ক্ষেত্রে যেটা করা উচিৎ ছিল, এখনো তিনি এটা করতে পারেন, সেটা হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করবেন তার এলাকায় যে হাসপাতালে এই-এই-এইসব অনিয়ম হচ্ছে সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেখছে কিনা আর দেখলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।


মন্ত্রী এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য। মন্ত্রী তখন ঐ হাসপাতালে কী হচ্ছে সেটার খবর নেবেন। প্রয়োজনে কাগজপত্র দেখবেন। দেখে ব্যবস্থা নেবেন, নিয়ে সংসদে এসে সবাইকে জানাবেন তিনি কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন। এটা নিয়ে সংসদে অন্য সদস্যরাও সম্পূরক প্রশ্ন করতে পারবেন, আলোচনা করতে পারবেন। আর যদি এইসব আলোচনা ও প্রশ্নোত্তরে দেখা যায় যে হাসপাতালের অনিয়ম একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার অথচ মন্ত্রণালয় সেগুলি খবরই রাখে না তাহলে সংসদের সামনে এই অনিয়মের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে মন্ত্রী মহোদয় পদত্যাগ করবেন।

না, আমি এতো বোকা নই যে মন্ত্রীদের কাছে এতো দায়িত্বশীল আচরণ করবো। আমাদের দেশের গণতন্ত্রের হাল সম্পর্কে আমি সম্যক অবহিত আছি। প্রধানমন্ত্রী বের না করলে কোন মন্ত্রী এখানে পদত্যাগ করবেন সেই প্রত্যাশা আমি করিনা। কিন্তু সংসদে সমস্যাটার আলোচনা হলে কিছু কাজ হওয়ার কথা। অন্তত ঐরকম হম্বিতম্বির করলে যতটুকু কাজ হবে তার চেয়ে ভাল কাজ হবে। আর সংসদ সদস্যের জন্যে এইটাই বিধিসম্মত পন্থা। এইটাই সংসদ সদস্যের কাজ।

আপনারা যারা সংবিধান ও আইনকানুন ইত্যাদি জানেন, আপনারা তো জানেন যে মন্ত্রীরা সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এই দায়বদ্ধ থাকবে কথাটা মানে কী? এর মানেই হচ্ছে সংসদের কাছে জবাবদিহি করা। জবাবদিহি করতে হয়, কেবল তথ্য দিলে হয় না। এই জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয় সংসদে সংসদ সদস্যদের আলোচনা সমালোচনা ও প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে। মনে রাখবেন, সরকারের প্রতিটা কাজের জন্যে তার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এককভাবে ও মন্ত্রিপরিষদ যৌথভাবে দায়বদ্ধ থাকে।

অকাজটা যেই করুক, হোক সে নির্বাহের বিভাগের একজন চাই ধরনের কর্মকর্তা বা একজন নিতান্ত নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা, দায় দায়িত্ব কিন্তু মন্ত্রীর। এমনকি মন্ত্রীর যদি কোন ব্যক্তিগত অবহেলা বা সংশ্লিষ্টতা নাও থাকে তবুও তার মন্ত্রণালয়ের প্রতিটা কাজের জন্যে মন্ত্রী দায়ী থাকবেন সংসদের কাছে। আর এইজন্যেই রেল দুর্ঘটনায় জন্যে রেলমন্ত্রীকে বিভিন্ন দেশে পদত্যাগ করতে দেখেন আর পুলিশের গাফিলতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চাকরী যেতে দেখেন।


আর এই যে সংসদে জবাবদিহি, এই প্র্যাকটিসটা না করে মাশরাফির মতো এমপি সাহেবরা যদি ডাইরেক্ট একশন করতে থাকেন, তাইলে কী সমস্যা?

এইরকম ডাইরেক্ট একশনের একাধিক সমস্যা রয়েছে। দুইটা বলি। প্রথমত এইসবে ফলে কার্যত কোন সমস্যার সমাধান হয় না। শুধু হম্বিতম্বিই হয়, এমপি সাহেব একটু ভাব নিতে পারেন আর সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের একটু সাময়িক হেনস্তা হয়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। দ্বিতীয় সমস্যা যেটা, এইরকম ডাইরেক্ট একশনটা যেহেতু কর্মকর্তাদের উপর দিয়েই যায় প্রকারান্তরে এমপি সাহেবদের এইসব কাজের ফলে মন্ত্রীরা ওদের দায় থেকে বেঁচে যায়।

কাজের কাজ কিছু হয় না কেন? মাশরাফির এই ঘটনাটাই ধরেন। একজন বা দুইজন ডাক্তার ধরেন হাসপাতালে উপস্থিত নাই। ধরে নিন ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত। নানা কারণে এটা হতে পারে। নিতান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা তো একটা কারণ হতেই পারে। কিন্তু কিছু বাস্তব যুক্তিসঙ্গত কারণও থাকতে পারে ডাক্তারের অনুপস্থিতির জন্যে। বহু কারণ থাকতে পারে। যুক্তিসঙ্গত কারণে অনুপস্থিত থাকলে পরে এসে দরখাস্ত করেও ছুটি নেওয়া যায়। এখন এমপি সাহেব আসলেন, ধমকা-ধমকি করলেন, চলে গেলেন। তারপর?

এমপি সাহেব ধমকা-ধমকি করে চলে যাওয়ার পর হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা বেড়ে যাবে? নার্সের সংখ্যা বেড়ে যাবে? বা ঐ যে ডাক্তারটি অনুপস্থিত ছিলেন, তিনি যদি কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন সেটার জন্যে কোন ব্যবস্থা গৃহীত হবে? কিছুই হবে না। তাৎক্ষণিকভাবে কিছুদিন একটু সাফসুতরা চলবে, তারপর যেই কে সেই- যা ছিল তাই- যেভাবে চলছিল সেভাবেই চলবে।

কিন্তু এমপি সাহেব যদি পুরা সংসদে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত অধিবেশনে মন্ত্রী সাহেবকে বলেন যে, হাসপাতালে ডাক্তাররা অনুপস্থিত থাকে, ইচ্ছা মতো যায় ইচ্ছামতো আসে, আপনি কী ছিঁড়েছেন জবাব দেন, তখন কী হবে? এক এমপি সাহেবের সাথে সাথে আরও সাইত্রিশজন এমপি হাত তুলবেন, আমারও কথা আছে, আমার এলাকায়ও এই ঘটনা ঘটে। মন্ত্রী সাহেব তখন বাধ্য হয়ে বলবেন যে আমি স্বাস্থ্য সচিবকে আদেশ দিয়েছি আগামী তিরিশ দিনের মধ্যে ডাক্তারদের এইরকম অনুপস্থিতি পরীক্ষা করে দোষী ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

না, সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হয়তো তাতেও হবে না। কিন্তু ডাইরেক্ট একশনের চেয়ে তো ভাল ফলাফল হবে। আর দেশজুড়ে একশনটা হবে। নাইলে তো ঐ যে এমপি সাহেবরা দল বেঁধে চিৎকার করেছেন একজনে সাথে সবাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধরবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজের স্বার্থের কিছু না কিছু করবেন- দায় তো উনার।

আর আপনি যদি ডাইরেক্ট একশনে চলে যান, তাইলে মন্ত্রীর কাঁধ থেকে দায়টা সরিয়ে দিলেন। আপনার ঘটনাটাকে একটা বিচ্ছিন্ন ব্যাপার ধরে নিয়ে একটু ইয়ে টিয়ে করে তিনদিন পর আবার যেই কে সেই।


কিন্তু এতক্ষণ যেগুলি বললাম সেই প্র্যাকটিসটা আমাদের এখানে এখন হবে না। মাশরাফির কথা বাদই দেন, সে তো নয়া মানুষ। এই আমাদের এই পার্লামেন্টে বাঘা-বাঘা সব লোক আছে, যারা বিভিন্ন সময় পার্লামেন্টে মন্ত্রীদেরকে একরকম বেকায়দায় ফেলে দিতো নানান প্রসঙ্গে। ওরাও বিলাইয়ের মতো বসে থাকেন। ম্যাও ম্যাও করেন আর প্রভুর তালু চাটেন, বিনিময়ে যদি শিকেটা ছিঁড়ে। কোনদিন কোন একসময়ের বাঘা এমপিকে পার্লামেন্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে শুনেছেন এই যে এতো লোক বিনাবিচারে গুলিতে মারা যাচ্ছে- কেউ এটা নিয়ে সংসদে কোন প্রশ্ন করেছেন? করেননি। কেন?

কারণ আপনারা, মানে এই যে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার উকিল মাস্টার সিঙ্গার ডান্সার আপনারা সব দল বেঁধে জিগির করতে থাকেন বিকল্প নাই বিকল্প নাই ইত্যাদি। কিছু হলেই বলেন শেখের বেটি হেন করেগা, বুবু আমার তেন করেগা। তাইলে কি দাঁড়ায়? ডাক্তার সাহেবদের কথাই বলি। আপনারা সমিতি করে আনুগত্য বন্ধক রেখেছেন। উকিলদের মধ্যে তবু দুই চারজন ঘাড় ত্যাড়া পাওয়া যায়- ঠিক হোক বেঠিক হোক সমালোচনা করেন নিন্দা করেন। মাস্টার সাহেবরা? বড় বড় লেখকরা? আপনারাই তো এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাশরাফি কীভাবে গণতান্ত্রিক আচরণ করবে?

এই যে পেশাজীবীরা, আপানদেরকে বলা হয় সোশ্যাল ইন্টেলেকচুয়াল। মানে কী? মানে হচ্ছে আপনারা রাজনীতি দর্শন গণতন্ত্র এইসব হতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েননি, কিন্তু নিজেদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতায় আপনারা পেকে ঝুনা হয়েছেন। রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্তিযুক্ত ও ফলপ্রসূ আলোচনা করার দক্ষতা আপনাদের হয়ে যাওয়ার কথা। এবং এই জিনিসটা আপনারা প্রয়োজনে ব্যক্ত করবেন এটাই প্রত্যাশিত। এই কারণে আপানদেরকে বলা হয় সোশ্যাল ইন্টেলেকচুয়াল। গণতন্ত্র পাহারা দেওয়া তো আপনাদের দায়িত্ব ছিল। আর আপনারা উল্টা করেছেন। ফল কী হয়েছে?

ফল হয়েছে এইটা। ঐ বেচারা মাশরাফি এমপি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এমপি হিসাবে কাজ করার প্রবণতা ওর মধ্যে হবে কী করে? সে তো জনগণের প্রতিনিধি নয়, অন্তরের গহীন ভিতরে মগজে ও শরীরে সে হচ্ছে জননেত্রীর প্রতিনিধি। সে তো গণতন্ত্রের ধার ধারবে না। সেই কাজ করবে তার এলাকার মনসবদারের মতো।

নিজেরা যা বুনেছেন, তাই ফলবে। অন্যের সমালোচনা করে কী হবে!

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ