আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

দানব তৈরির কারিগরদের চিহ্নিত করুন

জুয়েল রাজ  

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। আওয়ামী লীগের চেয়েও প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠনটির বর্ণাঢ্য সোনালী ইতিহাস দেশ, জাতিকে আলো দেখিয়েছে বারবার। ছাত্রলীগের মতো বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠনের নেতৃত্ব কিংবা সভাপতি-সেক্রেটারি হওয়ার মতো ভাগ্য সব নেতার হয়না। এই সংগঠনের প্রতি আলাদা একটা প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে। ছাত্রলীগের পতাকাতলেই 'জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগানের হাতেখড়ি আমার। আমাদের সৌভাগ্য হয়নি কোন পদপদবিতে আসার, তার আগেই, ছাত্রজীবন শেষ করে জীবনযুদ্ধে নামতে হয়েছে। কারণ আমাদের সময়ের কমিটিতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন সভাপতি-সেক্রেটারি হয়েছেন তাদের কমিটিতে সদস্য হওয়ার সুযোগ হয়নি আমাদের, কারণ তাঁদের সাথে আমাদের বয়স এবং রাজনৈতিক ত্যাগ তিতিক্ষার ব্যবধান ছিল প্রায় দুইযুগ!

ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে অছাত্রদের বিদায় করতে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল এর ফলে একটা প্রজন্মের আর নেতা হয়ে উঠা হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে অদক্ষ, অপরীক্ষিত সদ্য কৈশোর পেরুনো একদল কিশোর নেতা হয়ে উঠে। আদর্শিক জায়গা চাইতে তাদের কাছে নিজেকে জাহির করার প্রবণতা বেশি থাকে। সেটা তাদের দোষ নয়। সেটা সময় এবং বয়সের দোষ। কারণ ঐ বয়সে আমাদের নিজেদের মধ্যেও এই জাহির করার প্রবণতা ছিল।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পর্যায় নয় শুধু, জেলা উপজেলা পর্যায়ে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে কেউ কেউ ছিটকে পড়লেও বেশিরভাগ নেতাই রাজনীতিতে আলো ছড়াচ্ছেন। অনেকে হয়তো দলবদল করেছেন কিন্তু রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান রয়েছে। ছাত্রলীগের ইতিহাসকে প্রথম কলঙ্কিত করেছিল শফিউল আলম প্রধান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেভেন মার্ডার খ্যাত ছাত্রলীগের সাত নেতাকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ফাঁসির আদেশ হয়েছিল এই নেতার। যদিও পরে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান বিএনপিতে যোগদানের শর্তে তার ফাঁসি মওকুফ করে দিয়ে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছিল শফিউল আলম প্রধানকে।

বাংলাদেশে একমাত্র নয়, তবে প্রধানতম সমস্যা এখন দুর্নীতি। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া নিজে দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে ছিলেন বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে অন্তত সেই অভিযোগ নেই। কিন্তু তাঁর নাম ভাঙিয়ে কিংবা দলীয় প্রভাব কাটিয়ে দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। দল হিসাবে আওয়ামী লীগ এবং সরকার হিসাবে প্রধানমন্ত্রী এই দুর্নীতি লুটপাটের দায় এড়িয়ে যাবেন কিভাবে?

শোভন-রাব্বানীর নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় ছাত্রলীগের দায়িত্ব থেকে প্রধানমন্ত্রী তাদের সরিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু সরাসরি তাদের সাথে অর্থের লেনদেন হয়নি, আইনি ভাবে হয়তো শোভন-রাব্বানী নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ পাবেন। কিন্তু ছাত্রলীগের ললাটে ঐতিহাসিক যে কলঙ্ক লেখা রেখে গেলেন সেটি মুছবে কী করে? এই ঘটনার পর ভাটি বাংলার নেতা খ্যাত সুরঞ্জিত সেনের 'রেলের কালোবিড়াল কেলেঙ্কারি'র কথা মনে পড়েছিল। মাত্র ৮০ লাখ টাকার কেলেঙ্কারিতে সারা জীবনের রাজনৈতিক অর্জন, মন্ত্রিত্ব সবই হারিয়েছিলেন। রহস্যময় সেই ৮০ লাখ টাকার কোন কূল কিনারা হয়েছিল বলে আমার জানা নেই। বলা হয়ে থাকা সেনবাবু সেদিন রাজনৈতিক বলি হয়েছিলেন।

দুর্নীতির এই মহারণে শোভন-রাব্বানীর দুর্নীতি হয়তো কিছুই না। রাজনৈতিক খেলায় বলির পাঁঠা হয়েছে হয়তো শোভন-রাব্বানী; সব রাজনৈতিক দলের ছাত্রনেতারাই রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। আমার এখনো আফসোস হয় সিদ্দিকী নাজমুল আলমের জন্য। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে ছেলেটা বিশাল ভূমিকা রাখতে পারতো। তার মধ্যে সেই সম্ভাবনা ছিল। কতো শত গল্পের যাদুকর হয়ে নির্বাসিত জীবন তার! ঝড় আসলে, শক্তিশালী গাছগুলো টিকে যায়, কারণ তাদের শিকড়সমেত উপড়ে ফেলা যায় না। কিন্তু ডালপালা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, গাছগুলো একসময় ডালপালা জন্মদিয়ে পত্রপল্লবে সবুজ হয়ে উঠে। ভেঙেপড়া ডালপালারই শুধু চিহ্ন থাকেনা। শোভন-রাব্বানী সেই ডালপালা। এদের চিহ্ন থাকবে না। শিকড়শুদ্ধ না উপড়ে ফেলতে না পারলে দুর্নীতি কখনো বন্ধ হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভের সাথে বলেছেন এরা মনস্টার (দৈত্য) হয়ে উঠেছে। হুম কথা সত্য। কিন্তু এই দৈত্য তো এদেরকে বানানো হয়েছে। এরা জন্মগত দৈত্য নয়।

খোদ রাজধানীতে ক্যাসিনো, নাইট ক্লাব বসিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হচ্ছে। প্রশাসন কি ঢাকা শহরে ঘোড়ার ঘাস কাটে? একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছাত্রদের ডেকে নিয়ে কোটি টাকা উপহার দেয়, দুদকের পরিচালক ঘুষ খায়, পুলিশের ডিআইজি দুদককে ঘুষ দেয়। এক জাহাজ দুইবার বিক্রি হয়। বালিশ, পর্দা এইসব না হয় নাই লিখি, মহাকাব্য হয়ে যাবে। এগুলো প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে কোন না কোন ভাবে পিছনে রাজনৈতিক আঁতাত থাকে। পিয়ন থেকে সচিব সবই যখন দুর্নীতিতে ডুবে আছে সেখানে নিজেদের সরকার ক্ষমতায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ চুপ করে বসে থাকবে না, সেটাই স্বাভাবিক। এক সময় শুধু টেন্ডারবাজির কথা শুনতাম আমরা। টেন্ডারবাজি এখন আর শোনা যায় না। বাংলাদেশের দুর্নীতির সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র এখন তদবির বাণিজ্য। আর সেই তদবিরগুলো বাস্তবায়ন করেন কারা? আমাদের দায়িত্বশীল এবং দায়িত্ব প্রাপ্তগণ।

'সহমত ভাই' আর 'ভাই লীগের' রাজনীতির চাপে আদর্শিক রাজনীতি বিদায় নিয়েছে। নিবেদিত প্রাণ নেতা কর্মীরা রাজনীতি থেকে প্রায় নির্বাসিত বলা যায়। কেউ কেউ কোনভাবে টিকে আছেন। যখনই কোন কমিটি হয় নেতৃত্বে চলে আসে জামায়াত-শিবিরের পরিবারের লোকজন। কারা নিয়ে আসে এদের। বারবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকার পরও এরা সুযোগ পায়।

নিরাপত্তাজনিত কারণে সর্বশেষ যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর শোকসভা স্থলে অনেক সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। যা যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও সাংবাদিকদের জন্য খুবই বিব্রতকর একটা ঘটনা ছিল। কিন্তু সরাসরি যুবদল করা, বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর ড্রাইভার, শুধু লন্ডন নয় ইউরোপে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সাথে দেখা করে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে এর কোন প্রতিকার হয়নি। দুর্নীতিবাজ, সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারী ব্যক্তি, ব্যক্তিগতভাবে যিনি শিল্প সাহিত্য কোন কিছুর সাথেই জড়িত নন, বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে সেই সংগঠন ভেঙে নিজে আরেকটি কোম্পানি গঠন করেন। আর লুটপাট করেন। সেই ব্যক্তি ব্রিটেনের শিল্পীদের নানা টোপ দিয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।

ব্রিটিশ লেখক শেলীর বিখ্যাত উপন্যাস ফ্রাঙ্কেনস্টাইন অর দ্যা মডার্ন প্রমিথিউস এর মূল চরিত্র, এক জার্মান গবেষক ফ্রাঙ্কেনস্টাইন নিরলস গবেষণার মাধ্যমে একটি বিশেষ ধরনের বিজ্ঞান আয়ত্ত করতে সমর্থ হয়। যার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির মধ্যে প্রাণসঞ্চার করা সম্ভব। সে তার এই পরীক্ষাটি এক মৃত ব্যক্তির উপর করলে মৃত ব্যক্তি ঠিকই বেঁচে উঠে, কিন্তু পরিণত হয় এক ভয়ঙ্কর দানবে। প্রচণ্ড শক্তিশালী এই দানবটি দেখতে কুৎসিত। ফ্রাঙ্কেনস্টাইন ভয় পেয়ে এই দানবের প্রতি অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করলে দানবটি হিংস্র হয়ে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের প্রতি প্রতিশোধ গ্রহণের সংকল্প করে। সে বনে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তার প্রতিশোধ সে শুরু করে ফ্রাংকেনস্টাইন এর সহকারী ড. নীল ও একজন আয়া হত্যার মাধ্যমে। অতপর সে হত্যা করে তার সৃষ্টিকর্তার ভাইকে। তখন সে বনে আশ্রয় নেয় এবং শত শত সাধারণ লোক হত্যা করে। সে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের বিয়ের রাতে হত্যা করে তার স্ত্রীসহ তার পরিবারের বাকি সদস্যদের। ফ্রাঙ্কেনস্টাইন তাকে হত্যার জন্য ধাওয়া করত থাকে। এক পর্যায়ে সে ক্লান্ত হয়ে মারা যায়। ফ্রাঙ্কেনস্টাইন মারা যাবার পর সে আত্মহত্যার চিন্তা করে হারিয়ে যায়। পরে আর তাকে কখনও দেখা যায়নি।

টাকা দেখলে নাকি মাটিও হা করে, আর বাঙালি মাগনা পাইলে আলকাতরাও খায় এই দুইটাই প্রাচীন প্রবাদ। একজন শেখ হাসিনা আপনি না হয় নির্দেশ দিলেন, কিন্তু সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে কারা? দলের নেতা যদি ব্যাংকের মতো বাসায় টাকা গুনবার মেশিন বসিয়ে রাখেন সেখানে শোভন-রাব্বানী যদি ঈদের উপহার হিসাবে কয়েক কোটি টাকা চেয়ে থাকে খুব বেশি চেয়েছে বলে মনে হয়না!

দুর্নীতির শুদ্ধি অভিযান, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ দিয়েই শুরু হউক। তবে দানবের কারিগরদের যেন চিহ্নিত করা হয়। অন্যথায় বারবার এই সব 'মনস্টার' তৈরি হতেই থাকবে। আপনি বারবার বলেন আপনার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তা বিশ্বাস করে। তাই এই দানবদের একমাত্র আপনিই পারেন ধ্বংস করে দিতে।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ