আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

এ অপরাধের ক্ষমা নেই

রণেশ মৈত্র  

সর্বাধিক গৌরবের দিন সর্বাধিক আনন্দের দিন নিমিষেই পরিণত হলো গভীর বেদনার , গভীর ক্ষোভের এবং জোরালো প্রতিবাদের একটি দিনে । বিস্ময়ে, বিক্ষোভে, ক্রোধে, অশ্রুজলে, বেদনাহত চিত্তে লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তাদের পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সহযোদ্ধা-সমর্থকেরা বিজয় স্তম্ভে ভোরে, ২০১৯ এর ১৬ ডিসেম্বর তারিখে, বহু জেলায় বেরিয়ে পড়লেন প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে। জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ-সজীব হয়ে উঠলো প্রতিবাদ মিছিলগুলো।

না, এমন প্রতিবাদ-মিছিল, এমন প্রতিবাদী মানববন্ধন, এমন সমাবেশ জাতির কোন অংশের বা দেশপ্রেমিক মানুষদের পক্ষ থেকে সংগঠিত করার আদৌ কোন কথা ছিলনা। কারও কল্পনাতেও ছিলনা এমন কোন কর্মসূচির-পরিকল্পনা তো দূরের কথা। কিন্তু আমরা যেন ভুলেই গেলাম, ভুলে যেতে বাধ্য হলাম দিনটি আমাদের মহান বিজয় দিবস; এ দিনটি অভিবাদন জানানোর দিন, স্বাগত জানানোর দিন, ঘরে ঘরে, প্রাণে প্রাণে আপন করে নেওয়ার দিন।

কিন্তু এই দিনের সংবাদপত্রগুলি, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনা গর্বিত বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলি বয়ে আনলো একটি খবর। তোলপাড় করা খবর, সকল বিবেচনায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত একটি খবর এবং তা হলো মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী স্বয়ং আনুষ্ঠানিকভাবে আহুত ১৫ ডিসেম্বর সংবাদপত্রে রাজাকারের তালিকা প্রকাশের খবর । ১০,৭০০ জন রাজাকারের নামের তালিকা দেশবাসীকে উপহার দেওয়ার খবর।

ঠিক যখন আমরা জাতির মহান বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে অন্তরের সকল আবেগ-অনুভূতি-অনুভবের আনন্দ জাগানিয়া গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে স্মরণ করতে স্বীয় পদক্ষেপে অগ্রসর হচ্ছি- ঠিক তখনই, হ্যাঁ ঠিক সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তেই জাতি বিস্ময়, ক্ষোভ ও বেদনার সাথে দেখলো একটি বড় শিরোনাম “মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার”। একটি সংবাদপত্র বিশাল হরফে প্রথম পৃষ্ঠায় ঐ শিরোনামে ছাপলেও ঐ খবরটি সকল পত্রিকাতেই নিজ নিজ শিরোনামে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের খবরটি ছেপেছেন গভীর মমতায়।

পাঠক-পাঠিকারা দেখলেন পড়লেন, জানলেন, স্তম্ভিত হলেন, বেদনার্ত হলেম ক্ষোভে-দুঃখে-অপমানে জর্জরিত হলেন। আনন্দহীন একটি বিজয় দিবস, জীবনে প্রথম, এবার তারা উদযাপন করলেন-অথবা উদযাপনে শরীক হলেন। এমন কি, অতীতের নানা রং-বেরং এর সরকারের আমলেও তো এমনটি ঘটাতে দেখা যায় নি। এমন মিছিল করতে শুনা যায় নি। এ এক সম্পূর্ণ নতুন এবং হাড়ে মজ্জায় অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতা-করুণ অনুভূতি এবং সর্বগ্রাসী।

পত্রিকাগুলিতে দেখা গেল, রাজশাহীর স্বনাম খ্যাত ব্যক্তিত্ব, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ভাষা সৈনিক, প্রখ্যাত আইনজীবী এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য নিযুক্ত প্রধান কৌঁসুলি, সততা-নিষ্ঠায় অন্য গোলাম আরিফ টিপু, রাজশাহীর অপর খ্যাতনামা রাজনৈতিক নেতা জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, মহসিন আলীদের মত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আবদুল লতিফ মীর্জা, বরিশালের বাসদ নেতা ডা: মনীষার বাবা ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে (যাঁদের অনেকেই প্রয়াত বা বয়সের ভাবে, ন্যুব্জ) রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার বলে খ্যাত বর্তমান সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.কা.ম মোজাম্মেল হক স্বয়ং পূর্বোল্লিখিত সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ ও প্রকাশ করেছেন।

প্রবল বিরোধিতার মুখে ঐ মন্ত্রী বললেন এ তালিকা আজকের না, ৭২ বা তার পরবর্তীতে প্রণীত না। তালিকাটি পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রণীত এবং শুধুমাত্র যারা পাকিস্তান সরকার কর্তৃক রাজাকার ও বেতনভুক্ত বলে উল্লেখিত রাজাকারদের তালিকায় তাদের নামই ঠাঁই পেয়েছে। অর্থ দাঁড়ায়, “পাকিস্তান সরকার যখন তাদেরকে বেতনভুক্ত রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করেছে তখন তো তাদের নাম রাজাকারের তালিকায় থাকবেই। ঠিক! শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী। এই কথা শুনবার জন্য, এই মহামূল্যবান খেতাব পাওয়ার জন্যই তো তারা লাখে লাখে জীবন বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে ছিলেন! যথার্থ স্বীকৃতি যথার্থ মর্যাদাই রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে দেওয়া হলো বটে।

আরও চমক দেখা গেল প্রকাশিত ঐ রাজাকারের তালিকায়। সেখানে গোলাম আযমের, নূরুল আমিন, ফজলুল কাদের চৌধুরী মাওলানা নিজামীর বা আরও যাঁদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তাদের কারও নামই ঐ তালিকায় স্থান পায় নি। তবে কি তাদের নাম আগামীতে প্রকাশিতব্য মুক্তিযোদ্ধাদের নির্ভুল তালিকায় স্থান পেতে দেখা যাবে? হয়তো বা তাই এবং তা হলেও হয়তো আমরা বিস্মিত হব না।

মর্মান্তিক ব্যাপারটি হলো, সমালোচনার তীব্রতার মুখে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বললেন, তার মন্ত্রণালয় নয়, এ তালিকা তাকে সরবরাহ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে বসলেন, প্রকাশিত তালিকাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরবরাহকৃত তালিকা নয়। আরও বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজাকারের তালিকা নেই আছে দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকা।

ওদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁস্তুলি অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু এবং অন্যতম কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মামুন রাজাকারের তালিকা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজাকারেরা বা পাকিস্তান-পন্থীরা ঘাপটি মেরে আছে। এটা তাদেরই প্রণীত তালিকা। জেয়াদ আল মামুন স্পষ্টভাবে অভিযোগ এনে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে বেশ কয়েকবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে রাজাকারদের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা পাঠান নি। প্রশ্ন তাই জাগে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি তবে রাজাকারদেরকে নিরাপদে রাখার উদ্দেশ্যেই ঐ তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে দেন নি? এই অভিযোগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্বীকারও করেন নি।

স্তম্ভিত হয়ে যেতে হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী যখন বলেন, কিছু সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার নাম ভুলবশত: রাজাকারদের তালিকায় স্থান পেয়েছে বলে তিনি দুঃখিত। সাথে সাথে একথাও বললেন, ভুলটি যদি অল্প কয়েক জনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে তবে তারা তালিকাটি ভুল বলে দাবি করে তা থেকে নিজেদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানালে মন্ত্রণালয় তা যাচাই-বাছাই করে দেখে ভুল প্রমাণিত হলে তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেবেন। আর যদি বেশি সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার নাম ঐ তালিকায় স্থান পেয়ে থাকে তবে তালিকাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। পরিহাসই বটে!

ভুল অল্প সংখ্যক বা বেশি-সংখ্যক যাই হোক না কেন-ভুল তো মন্ত্রণালয় করেছে। সুতরাং মন্ত্রীকেই ক্ষমা চেয়ে নিজ থেকেই তা সংশোধন করা উচিত। তা না করে ঐ অপমানিত, ক্ষুব্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আবেদন করতে হবে আর মন্ত্রণালয়ের আমলারা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনই নি বা জনগণের টাকায় জনগণ বা মুক্তিযোদ্ধাদের সেবক মাত্র-তারা প্রভু সেজে যাচাই-বাছাই করে যে মূল্যবান অভিমত দেবেন তার দ্বারাই নির্ধারিত হবে ঐ অপমানিত মুক্তিযোদ্ধারা আসল মুক্তিযোদ্ধা এবং তারা রাজাকার নন। চমৎকারই বটে।

সর্বশেষ জানা গেল, গত ১৮ ডিসেম্বর তারিখে (দু'তিন দিন ব্যাপী দুঃখজনক বাক-বিতণ্ডা ও মিছিল-সমাবেশ, প্রতিবাদ ও লেখালেখির পর) আওয়ামী লীগের বিদায়ী কার্য নির্বাহী কমিটির শেষে বৈঠকে সভাপতির ভাষণ দান কালে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন:

“মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া রাজাকারের তালিকায় কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেল তা রহস্যজনক। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনভাবেই রাজাকারের খেতাব দেওয়া যায় না। যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা আমাদের কাছে সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তালিকাটি সময় নিয়ে প্রকাশ করা উচিত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন আসলে আমিও ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। সবদিক সময়মত খেয়াল রাখতে পারি নি, সরকার প্রধান হিসাবে আমারও দায় আছে। আরও শক্তভাবে দেখা দরকার ছিল। যে সব মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় এসেছে আমি বলব, একটু শান্ত হোন। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের যারা কষ্ট পেয়েছেন তারা কষ্ট পাবেন না। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে নতুন করে তালিকা ঠিক করার জন্য। ভুলকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি দেখুন।

কিন্তু তারা যদি ভুল করে প্রকাশ করে থাকেন, ঠিকমত যাচাই-বাছাই না করে তালিকাটিকে গুরুত্বহীন মনে না করে প্রকাশ করে থাকেন তবে সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রীসহ জড়িত সকল আমলাই যে অযোগ্য তা তো তারা নিজেরাই প্রমাণ করে দিলেন নিজেদের কাজের দ্বারা। তাই এত বড় দায়িত্ব হীনদের, অযোগ্যদেরকে ক্ষমা নয়-তাদেরকে স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করুন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে।

দ্বিতীয়ত: মন্ত্রীরা নিজেরাই বলছেন, এ তালিকাটি পাকিস্তানের তৈরি তাদের নয়। তাহলে পাকিস্তানের তৈরি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি যে বাঙালিদের প্রতি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অশ্রদ্ধামূলক, অবমাননাকর ও সকলের মর্যাদা হানিকর তথ্যে ভরা থাকবে তা একটি বালকও বুঝতে সক্ষম কিন্তু সক্ষম হলেন না দুইজন দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে আসীন মন্ত্রী। তারপরও কি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল দৃষ্টি প্রদর্শনের যোগ্যতা তারা রাখেন?

একটি-দুটি, বা বড় জোর তিনটি ভুল থাকলে না হয় “ভুল” বলে মেনে নেওয়া যেত কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় কমপক্ষে সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও বেশ কিছু ভাষ-সৈনিকের নাম ঐ তালিকায় তালিকাভুক্ত রয়েছে। তা হলে কোন বিবেচনায় এই গর্হিত কাজকে প্রকৃতই ‘ভুল’ বলে মেনে নেওয়া যাবে?

আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা সৈনিকও। ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত সময়কালে তাবৎ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে স্থানীয় নেতৃত্বের ভূমিকায় ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে গিয়ে বিনা বিচারে ১৪/১৫ বছর কারাবাস করতে হয়েছে পরিবারের সকলকে কঠিন দারিদ্র্যের মুখে নিক্ষেপ করে। পরিবারের সকলেও জীবনের ঐ কষ্টকে হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন দেশের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে সকল নেতা-কর্মী (ও আমার) সম্মান ও ভাবমূর্তির দিকে তাকিয়ে। বঙ্গবন্ধু, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও আরও অনেকে তারা সাক্ষী মওলানা ভাসানী, কমরেড মনি সিং অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদও।

জীবনের মূল্যবান অংশটুকু শুধুমাত্র কারাগারে কাটাতে হয়েছে তাই নয়-পাকিস্তান সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করে তিনবার তিনটি বেসরকারি জীবনকে পরোয়া না করে জীবনকে দেশের স্বার্থে সঁপে দিয়েছি। আজ বয়স ৮৭ বছর।

এই পর্যায়ে এসে সহকর্মী-সহযোদ্ধা ভাষা সংগ্রামী, গণতান্ত্রিক শত-সহস্র আন্দোলনের পরীক্ষিত সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ভুলবশত: নয় চরম অবহেলা বশত: যে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হলো, যেভাবে অপমানিত করা হলো তা সহ্য করার মত বলে মনে করতে পারছি না বলে দুঃখিত।

মনে করার সঙ্গত কারণ আছে গোলাম আযম, নিজামী, ফজলুল কাদের চৌধুরীদের মত স্বীকৃত হাজার হাজার জামায়াতী, আলবদর, রাজাকার, আল শামসদেরকে আড়াল করার জন্যই ও তাদের অপরাধকে হালকা করে দেখানোর উদ্দেশ্যেই সচেতনভাবে দুই মন্ত্রী ও তাদের মন্ত্রণালয় এই তালিকা প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও তাদের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যেও নয় তো? সর্বশেষ খবর হলো বিতর্কিত সমালোচিত ঐ রাজাকার তালিকাটি স্থগিত করে ওয়েব সাইট থেকেও সরানো হয়েছে কিন্তু বাতিল করা হয় নি। মন্ত্রণালয় এখনও ঐ তালিকার প্রতি মোহগ্রস্ত বলে মনে হয়।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ