আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

আই লাভ পলিটিকস!

আবু সাঈদ আহমেদ  

মাঘ মাস। তীব্র শীত। কুয়াশায় ঝাপসা ভোর। সেলাইকলের শ্রমিকেরা লাইন বেধে ছুটছে। সময়মত কারখানায় পৌঁছাবে। নিজ দায়িত্বে কাজগুলো নির্ভুলভাবে করবে। বিনিময়ে মাসশেষে মিলবে বেতন। তাদের কাজে ফাঁকিবাজি নাই। ফাঁকি দিলে বেতন কাটা থেকে বরখাস্ত হবার মত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আছে। শুধু শীত নয়, বছরের বারো মাসেই এই শ্রমিকদের কাছে কাজটা আগে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আর ওভারটাইম থাকলে রাত পর্যন্ত তারা নিমগ্ন চিত্তে কাজ করে।



কয়েক মাস বেতন আটকে থাকলে কিছু সময়ের জন্য প্রতিবাদী হয়। তাদের নিয়ে রাজনীতি করে তথাকথিত শ্রমিক নেতার দল। এই নেতারা মালিকপক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে সটকে পরে। তাই রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী চড়াও হলে সাধারণ শ্রমিকেরা মার খায়, মামলা খায়। সবশেষে আবার সুড়সুড় করে সেলাইকলে ঢুকে, ঢুকতে বাধ্য হয়। তাদের শ্রমে অর্থনীতির চাকা না থেমে চলতে থাকে। রাষ্ট্রের কাছে সস্তা শ্রম মূল্যবান, শ্রমিক নয়।



২.


বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি অর্থনীতির অন্যতম বৃহৎ খাত। দেশের কৃষক, প্রান্তিক চাষী আর কৃষি শ্রমিক নিজের বিনিয়োগ ও শ্রম দিয়ে ফসল ফলায়। বাম্পার উৎপাদন হলে সস্তায় পণ্য বিক্রি করে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আবার উৎপাদন কম হলে বিনয়োগের টাকা ঊঠে আসেনা। দেশের কৃষক কখনো উৎপাদিত ফসলের কাঙ্ক্ষিত, উচিত মূল্য পায় না। কৃষকের লাভ খেয়ে যায় মধ্যসত্বভোগীরা।



প্রাকৃতিক দূর্যোগে কৃষক সর্বস্ব হারালে এনজিও বা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ায়। যে রাষ্ট্র মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ঋণখেলাপির জন্য কৃষকের কোমরে পুলিশের দড়ি পরায় সেই রাষ্ট্রই কৃষকের কৃতিত্ব ছিনতাই করে খাদ্যে স্বংসম্পূর্ণতা আর খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের গল্প শোনায়।



স্বাধীনতা অর্জনের চার দশক পরেও অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালক কৃষক যথাযথ সম্মান না পেয়ে চাষাভূষাই রয়ে গেছেন। এতে কৃষকের কিছু যায় আসেনা বটে তবে রাষ্ট্রের চরিত্রটা স্পষ্ট বুঝা যায়।



৩.


বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান তিন খাতের অন্যতম প্রবাসী আয় বা ফরেন রেমিটেন্‌স। দেশের লোকেরা ধার দেনা করে সহায় সম্বল বেচে পরিবার পরিজন ছেড়ে বিদেশে শ্রম বিক্রি করতে যান। তারা বিদেশে প্রধানত মধ্যপ্রাচ্যে যাবার সময়ে বিমানবন্দরে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। দেশে ফিরে বিমান বন্দরে আরেক দফা হয়রানীর মুখোমুখি হন।



মধ্যপ্রাচ্যের দূতাবাসগুলি শ্রমিকবান্ধব নয়। শ্রমিকেরা বিভিন্ন কাজে দূতাবাসের দ্বারস্থ হলে তাদের শ্রমিক হিসাবেই বিবেচনা করা হয়। কপালে জুটে দূর্ব্যবহার। দূতাবাসে কর্মরতরা বাঙালকে নানা কিসিমের হাইকোর্ট দেখান। এছাড়া দ্রুত সমাধানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দুতাবাসগুলোতে ঘুষ বা বর্তমান অর্থমন্ত্রীর ভাষায় ‘স্পীড মানি’ প্রদানের ঘটনা গোপন বিষয় নয়।



অর্থনীতিতে অবদান অনুযায়ী দেশের বিমানবন্দরে প্রবাসী শ্রমিকেরা ভিআইপি মর্যাদা পাওয়ার দাবিদার। কিন্তু তারা তাচ্ছিল্য ছাড়া কিছু পান না। রাষ্ট্র শ্রমিকের শ্রমের আয়ের ভাগীদার হলেও শ্রম বা শ্রমিকের মর্যাদা দিতে রাজী নয়।



৪.


স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে গত চুয়াল্লিশ বছরে রাজনৈতিক নেতাদের সব থেকে বড় অবদান কি কি? উত্তর খুব কঠিন নয়। গত চুয়াল্লিশ বছরে রাজনীতিকেরা সাফল্যের সাথে রাজনীতিকে ঘৃণার বস্তুতে পরিণত করতে সমর্থ হয়েছেন। রাজনীতি থেকে সাধারণ মানুষকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করেছেন। নিজেদের লোভ লাললসা আর অসীম ক্ষুধা মিটাতে রাজনীতিকে গণবিচ্ছিন্ন করে পারিবারিক ব্যবসায় সীমাবদ্ধ করে ফেলেছেন। সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন রাজনীতি করা ভদ্রোলোকের বা পরিচ্ছন্ন মানুষের কাজ নয়। জনগণ নয় ক্যাডারই সকল ক্ষমতার উৎস।



মানুষের মগজে গেঁথে দেওয়া হয়েছে রাজনীতিকেরা নিজেদের স্বার্থে যা খুশি করবেন; খুন করবেন, সংঘাত সৃষ্টি করবেন, সরকারী জায়গা দখল করবেন, অস্ত্র আর মাদকের ব্যবসা করবেন, সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাস করার লাইসেন্‌স দিবেন, অবাধে লূটপাট করবেন। কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারবেনা। কারণ এটা রাজনীতিকদের রাজনৈতিক অধিকার।



চার দশকে রাজনীতিকেরা রাজনীতিকে নিজেদের কুক্ষিগত করে রাখার স্বার্থে কৃতিত্বের সাথে একটা 'আই হেট পলিটিক্স' প্রজন্ম সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছেন। ফলে মেধাশূন্য জোরজবরদস্তি আর পেশীশক্তির রাজনীতির অন্ধকার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ।



৫.
বাংলাদেশে রাজনীতি এখন একটা ইন্ড্রাস্টি বা শিল্প। লাভজনক কর্পোরেট ব্যবসা। দু’টি পরিবারসহ কয়েকটা পরিবারের হাতে এই ব্যবসাবন্দী। এই পরিবারগুলো রাজনীতি ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করে। গণমানুষকে সম্পৃক্ত করে রাজনীতির নতুন কোনো উদ্যোগ এলে এই কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে।



রাজনীতি শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিনিয়োগকারীর অভাব নাই। এই বিনিয়োগকারীরা সুদে-আসলে বিনিয়োগ তুলে নিয়ে যায়। যে কোনো নির্বাচনের আগে নমিনেশন ব্যবসা ওপেন সিক্রেট ব্যাপার। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই দলের যে কোনোটি থেকে নমিনেশন কিনতে কমপক্ষে ১০কোটি টাকা লাগে। যারা নমিনেশন কিনেন তারা একে বলেন ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ। নির্বাচিত হলে এই দশ কোটিকে হাজারগুণ বানিয়ে ফেরত আনার মিশনে আত্ননিয়োগ করেন।



সামগ্রীক বিচারে রাজনীতি কালো টাকা বিনিয়োগ ও অবৈধ আয়ের সর্ববৃহৎ খাত। দলের সর্বোচ্চ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মী পর্যন্ত এই খাতের শিকড় বিস্তৃত।



৬.


জাতীয় রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ এখন শুধু ভোট দেওয়া আর আশাহীন দীর্ঘশ্বাসে। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পরের দুই নির্বাচনে (৯৬-এর বিতর্কিত নির্বাচন বাদে) সাধারণ মানুষ প্রার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো জনকে বেছে নিয়েছিলো। এই বেছে নেয়াদের আচার আচরণে মানুষ অনেক কিছু শিখেছে। তাই পরবর্তী দুই নির্বাচনে বেছে নিয়েছে অপেক্ষাকৃত কম খারাপ/কম বদ প্রার্থীকে। সর্বশেষ ২০১৪-০এর ৫ জানুয়ারীর সংবিধান রক্ষার হাস্যকর নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতা আর ভোটে নির্বাচিত লেবেল লাগানোর নির্বাচন নিয়ে যত কম কথা বলা যায় তত ভালো।



বর্তমান সংসদ যে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেনা সে বিষয়ে সাধারণ মানুষের দ্বিমত নাই। অবশ্য জাতীয় সংসদ সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে এই আশা সাধারণ মানুষ স্বৈরাচার এরশাদ পতনের এক দশকের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছে।



৭.


গত দুই যুগে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলি ছিলো পরিচ্ছন্ন। তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ দুই নির্বাচনে কম খারাপ/কম বদ প্রার্থীরা জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় থাকার পাঁচ বছরে এমন কি করেন যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে ভয় পান? কেনো যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থেকে যাওয়াটা জরুরী হয়ে পড়ে? উত্তর খোঁজার জন্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নাই।



৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের বেশকিছু সংখ্যক এমপি'র দাখিলকৃত হিসাবে দেখা গেছে পাঁচ বছরে কমপক্ষে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাদের হিসাব বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় কেউ কেউ ১৭৫ টাকা শতাংশ দরে জমি কিনেছেন, ঢাকা শহরে জমি কিনেছেন মাত্র ২০০০০ টাকা শতাংশ দরে। কেউ কেউ পুকুরে মাছ চাষ করে বিঘা প্রতি বার্ষিক আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা। এদের অধিকাংশই বর্তমান সংসদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত সাংসদ। আবার কেউ কেউ ভোট নাটকে নির্বাচিত।



যাদের বিরুদ্ধে দূদকে অভিযোগ জমা হয়েছিলো তাদের প্রায় সকলকে দূদক আবুল হোসেন আর সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মত দুধে ধোয়া তুলসি পাতা সার্টিফিকেট দিয়েছে। অবশ্য বর্তমান সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রী আপোষ করেন নাই। তিনি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে মাহবুবুল হানিফ আর হাছান মাহমুদের মত কোনো কোনো মন্ত্রীকে এবার মন্ত্রীত্ব দেন নাই। যারা তিন টার্মের কামাই এক টার্মে করে নিয়েছে তাদের এবার এমপি না বানিয়ে নতুনদের সুযোগ দিয়েছেন।



একজন এমপি কি করেন, কিভাবে কত আয় করেন, কতটা দূর্নীতি করেন তা দূদক না জানলেও সে এলাকার সাধারন জনগণ জানে। নির্বাচনে কেনো অনাগ্রহ তার যথাযথ উত্তর এই বাস্তবতায় নিহিত আছে।



৮.


স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের উন্নতিতে রাজনীতি যতটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে আর কিছু তা করে নাই। খাই-খাই রাজনীতির কারণেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ আজও গণপ্রজাতন্ত্র হয়ে উঠতে পারে নাই। কল্যাণ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠার ক্ষেত্রে বারবার বাধাগ্রস্থ হয়েছে এবং হচ্ছে।



সেলাইকল শ্রমিক, কৃষক আর প্রবাসী শ্রমিকেরা তথা সাধারণ মানুষ কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে, ভোট দেয়। কিন্তু রাজনীতিতে ভাগ বসায় না। তারা জাতীয় রাজনীতি আর সংসদে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবী জানায় না। কিন্তু যাদের প্রদানকৃত শ্রমে আর আয়কৃত অর্থে দেশের অর্থনীতি বেঁচে আছে রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তৃণমূল হতে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে তাদের প্রাধান্য দিতে হবে। তাদেরকে কেন্দ্র করেই সামগ্রীক রাজনীতি আবর্তিত হওয়া উচিত, হতে হবে।



রাজনীতি ঘৃণার বস্তু নয়। 'আই হেট পলিটিক্স' প্রজন্মকে রাজনীতি সচেতন করতে হবে। নিজ দায়িত্বে রাজনীতি সচেতন হতে হবে। দেশে আজ রাজনীতি সচেতন 'আই লাভ পলিটিক্স' প্রজন্ম ভিষন প্রয়োজন। যত দ্রুত রাজনীতি সচেতন এই প্রজন্ম দলবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে আসবে তত দ্রুত রাজনীতিক নামক মুখোশধারী রাক্ষসদের হাত আর অসীম ক্ষুধাভর্তি পেট থেকে দেশ এবং জাতি রক্ষা পাবে।

 

আবু সাঈদ আহমেদ, লেখক, কলামিস্ট, অনলাইন এক্টিভিস্ট।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ