আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Advertise

অনেক হয়েছে: এবার খামোশ!

রণেশ মৈত্র  

এবার সম্রাজ্ঞী পাপিয়া, যুব মহিলা লীগ। প্রকাশ্যে বহু সর্বনাশ করে, লুঠ করে, দুর্নীতি করে, যুবক-যুবতিদের চরিত্র হনন করে, টাকার কুমীর সেজে, সবার সামনেই অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়ে বিদেশে বিপুল অংকের টাকা পাচার করে কোন এক ভুলবশত: ধরা পড়ে অবশেষে দল থেকে তিনি “আজীবন” বহিস্কার হলেন। এমন বহিষ্কার এযাবৎ কম দেখলাম না।

মাত্র কয়েকমাস আগেই তো যুব লীগ নেতা ওমর ফারুক চৌধুরী, ইসমাইল হোসেন সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া, জি.কে শামীম সহ বেশ ক’জনকেও বহিস্কার করা হলো, কেউ কেউ জেলেও আছেন, কিন্তু তাঁদের গড়ে তোলা সাম্রাজ্য? বিশাল বিশাল অট্টালিকা? গাড়ি-বাড়ি? ব্যাংক ব্যাল্যান্স? বিদেশে পাঠানো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা? তাদের গড়ে তোলা এবং লালিত ক্যাডার-বাহিনী? এরা কি কম কিছু? কিন্তু এগুলির গায়ে কাঁটার আঁচড়ও লাগে নি আজ পর্যন্ত। তাদের জমি-জিরাত ব্যবসা-বাণিজ্য, তাও চলছে বহাল তবিয়তে।

শামীমা নূর পাপিয়া, তার গুণধর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, এদের দুই সহযোগী সাব্বির খোন্দকার ও শেখ তায়্যিবারা যে দাপটের সাথে বেশ কয়েক বছর ধরে নরসিংদী ও ঢাকায় দলের সুবাদে রাজত্ব করেছেন তা কি গোপন কোন ব্যাপার ছিল? তাদের এত সাহসের ভিত্তিই বা কি? তাদের পৃষ্ঠপোষক কারা? তাদের বেনিফিসিয়ারিই বা কারা এবং কে কে?

তদন্ত চলছে চলুক। তবে এ যাবত প্রাপ্ত তথ্যাদি দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীকে সবিস্তারে জানানো হোক। তদন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে সমাপ্ত হলে তখন আবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক।

এই নিবন্ধটি লিখতে লিখতে ফেসবুকের মাধ্যমে ২৫ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার একটি দৈনিক প্রকাশিত খবরে জানা গেল, ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামূল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভুঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। সূত্রাপুর মুরগীটোলা মোড়ের বাসা থেকে নগদ এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ও ৭৩০ ভরি সোনা জব্দ করেছে র্যাব। সোমবার দিবাগত রাতে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব সামগ্রী জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে, কর্নেল কে এম সফিউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেল যে রাজধানীর ইংলিশ রোড থেকে ৫টি ভল্ট ভাড়া নেয় কে বা কারা। পরে তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায় ভল্টগুলো রূপন ও এনামূল এই দুই ভাই ভাড়া নিয়েছে এবং ক্যাসিনোর লাভের টাকা এসব ভল্টে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জুয়ার টাকা দিয়ে এরা অনেকগুলো বাড়ি কিনেছে। এখন পর্যন্ত ১৫টি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। ৩১, বানিয়ানগরে অবস্থিত ভবনের দ্বিতীয় ও পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ভল্ট উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকেও টাকা ও স্বর্ণ পাওয়া যায়। একই সাথে ঐ অভিযানে ৫টি অস্ত্রও পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা র‍্যাবকে জানিয়েছে, এসব অস্ত্র দিয়ে এলাকাবাসীদেরকে ভয় দেখানো হতো।

সূত্র জানায়, এনামূল ও রূপনরা ছয় ভাই। ১৯৮৫ সাল থেকেই এনামূল ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও রূপন আরামবাগ ক্লাবে জুয়া খেলত। কিন্তু গত ৩/৪ বছর আগে তারা হঠাৎ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি কিনতে শুরু করে। যে বাড়িটি র্যাব ঘিরে রেখে অভিযান চালাল সে বাড়িটি গত দেড় বছর আগে হারুনর রশিদ নামে একজনের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল। ভবনের চতুর্থ তলায় এনামূলের শ্যালক-শাশুড়ি থাকেন। র্যাব সূত্র জানায়, এই চতুর্থ তলার সিন্দুক থেকে ৭ কেজি স্বর্ণ পাওয়া গেছে। আর একটি সিন্দুক থেকে এক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, ওয়ারী, সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, বংশাল, কোতোয়ালি থানা এলাকায় এই পরিবারের ৫০টির মত বাড়ি রয়েছে। তবে রূপন এবং এনামূল কোন বাড়িতে থাকেন, সেটা তাঁরা জানেন না। ঐ বাড়িতে এই নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিলো। সূত্র: নয়া দিগন্ত, ২৫ ফেব্রুয়ারি।
সর্বশেষ জানা গেল, অভিযান শেষে মোট পাওয়া গেছে নগদ প্রায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকা এবং সোনার গহনা ও এফডিআর পাঁচ কোটি টাকা। অপরাপর সম্পত্তির দাম ধরলে মোট কত কোটি টাকায় পৌঁছাবে তা অনুমান করাও দুঃসাধ্য।

এছাড়াও প্রতিদিনকার সংবাদপত্রগুলি বয়ে আনছে ক্ষমতাসীন দলীয় বা তাদের অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনগুলির কোন না কোন নেতা-নেত্রী বা কর্মীরা কারও বাড়ি দখল, টেন্ডার বাজি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সেটা দখল ও হলে অস্ত্র রাখা, টর্চার সেল পরিচালনা সহ নানা অপকর্মের লজ্জাজনক কাহিনী। অনেকক্ষেত্রে সেগুলি টেলিভিশন চ্যানেলগুলি লাইভও দেখায়। দৃশ্যগুলি দেখতে দেখতে এখন যেন অনেকটা গা সহা হয়ে পড়েছে। জন্মাচ্ছে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী ও দল সমূহের এবং সামগ্রিক ভাবেই রাজনীতির প্রতি বিতৃষ্ণা, ঘৃণা ও অনীহা। এই বিতৃষ্ণা, ঘৃণা ও অনীহাই ধীরে ধীরে সবার অলক্ষ্যে মানুষকে রাজনীতি, রাজনৈতিক দল ও তার নেতা-নেত্রীদের প্রতি গভীর অনাস্থার সৃষ্টি করে চলেছে যা অতীতে অরাজনৈতিক শক্তির ক্ষমতা দখলের পথকে সুগম করে দিয়েছে।

শুধুমাত্র পাপিয়া এক নন। হাজার হাজার পাপিয়া হাজার হাজার নামী-দামী হোটেলে পতিতাবৃত্তি, মেয়েদের নগ্ন-ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলিং এ লিপ্ত। কিন্তু কারা তাদের খদ্দের? কারা ঐ কথিত সুন্দরী যুবতিদেরকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে অন্ধকারের রাজ্যে টেনে এনে তাদের জীবন-যৌবন-ভূত-ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত?

জানা গেল, জিজ্ঞাসাবাদে নাকি পাপিয়া ও তার স্বামী মুখ খুলতে শুরু করেছে। তারা পুলিশকে জানিয়েছে ১১ জন মন্ত্রী ও ৩৩ জন এম.পি পাপিয়ার কল লিস্টে আছেন। ধারণা করা যায় ঐ কললিষ্টে আরও অনেক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এবং উপর মহলের আরও অনেকের নামই রয়েছে যাঁদের অনেকেই ঐ মেয়েদেরকে বিপথগামী করে তুলছেন, অনেকে হয়তো তাঁদের দেহভোগও করে আসছিলেন।

প্রতিদিন দুই লক্ষ টাকার মদের বিল-তাও ঢাকার অভিজাত এলাকার পাঁচ-তারকা হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে। তাহলে সকল খরচ যোগ করলে ঐ স্যুটে দৈনিক কত টাকার বিল পরিশোধ করতে হতো? মগের মুল্লুক আর কাকে বলে?

আমাদের সুস্পষ্ট দাবি। পাপিয়ার মোবাইলের কল লিস্টে যাদের নাম পাওয়া গেল তাদের নামধাম রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যবসায়িক পরিচয় অবিলম্বে সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হোক। হোমড়া চোমড়ারা সকল অপকর্মেই জড়িত কিন্তু এর বেশি আর কিছু তাদের সম্পর্কে কোনদিনই কাউকে জানতে দেওয়া হয় না।

ইঙ্গিতে বলা হয়, উপরমহলের সম্মতি পেলেই সব কিছু প্রকাশ করা হবে। কিন্তু কিছুকাল পরেই সব কিছুই যেন বিস্মৃতির অতলে চলে যায়-সব কিছু নিয়ে যাওয়া হয় লোকচক্ষুর অন্তরালে। এই গোপনীয়তা কার স্বার্থে? দেশ ও জনগণের স্বার্থে নিশ্চয়ই নয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে, দিব্যি বলে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী মারাত্মক। সমগ্র আওয়ামী লীগ, নানা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও মন্ত্রণালয় যেন দায়িত্ববোধও কর্তব্যজ্ঞানহীন। তাঁরা নিজেরা কেন কোন অপরাধীকে নিজ উদ্যোগে আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তার করতে পারেন না? কোন রাঘব বোয়ালদেরকে কোনভাবেই কেন গ্রেপ্তার করতে পারেন না? বাধাটা আসলে কোথায়? আইন নাকি তার নিজের গতিতে চলে? তাহলে আইনের গতিকে রুদ্ধ করে রেখেছেন কে? এ প্রশ্নের উত্তর সকলের জানার অধিকার রয়েছে। অবিলম্বে তা জানানো হোক।

যুবলীগ নেত্রী সংগঠন থেকে আজীবন বহিস্কৃত হয়েছেন। যেমন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে, বিশেষ করে পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে অভিযুক্ত হলে ক্লোজ করতে দেখি বা ও এস ডি হতে দেখিবা অন্যত্র বদলি হতে দেখি, এটাও যেন তেমনই একটা কিছু।

হ্যাঁ, এক্ষেত্রে তদন্ত হচ্ছে, মামলা দায়ের করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করে জেলে পুরা হয়েছে-সবই ঠিক। কিন্তু ঐ অন্ধকার জগতটা ও তার অলি-গলি, নায়ক-নায়িকারা আজও ধরা ছোঁয়ার অন্তরালে। সকল তথ্য অবিকল প্রকাশ করা হোক।

দুই আওয়ামী লীগ নেতার পুরান ঢাকার বাড়ির গোপন জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হলো যেন টাকার খনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের ছোট-বড়-মাঝারি নেতাদের বাড়িতে বা তাদের ব্যাংকে বা বিদেশে। তাদের বাড়ির সংখ্যাও অগণিত। যে দেশে প্রায় সিকি ভাগ মানুষ গৃহহীন সেখানে আওয়ামী লীগের পাতি নেতাদেরও এতো বাড়ি? কোথা থেকে আসে এত সম্পদ? তার সকল উৎস জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক।

এগুলি ছাড়াও ছাত্রলীগের নামে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে টর্চার সেল তৈরি করে বিরোধীদের নির্যাতন এসবই সংবাদপত্রে হর-হামেশাই প্রচারিত হয়। প্রচারিত হয় নানা জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-উপনেতা-পাতিনেতাদের দ্বারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু-আদিবাসীদের বাড়ি-ঘর-সয়-সম্পত্তি দখল, দেশ ত্যাগের হুমকি, তাদের পরিবারের মেয়েদের অপহরণ-ধর্ষণ-খুন প্রভৃতির খবর।

মাত্র কয়েক বছর আগে খোদ ঢাকা শহরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রলীগ নেতা ছাত্রী-সহপাঠীদেরকে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালনের খবরও দেশবাসী গভীর উদ্বেগের সাথে জেনেছে। সেই নেতার শেষ পর্যন্ত কি শাস্তি হয়েছে বা হয় নি-আজও তা অজ্ঞাত।

ব্যাংক ডাকাতি, বিদেশে টাকা পাচার, নানা উন্নত দেশে বহুতল বাড়ি নির্মাণেও আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা পারদর্শিতা দেখাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আজ বলতেই, মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যেমন অপরিহার্য ছিল, তেমনই আজ বলার এবং উপলব্ধি করার সময় এসেছে যে, না, এরা নন। দুর্নীতিমুক্ত, লুটপাটমুক্ত, ধর্ষণমুক্ত, স্বাধীন বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক উন্নয়ন এক মাত্র সৎ রাজনীতির মাধ্যমেই সম্ভব।

তাই প্রগতিশীল বিকল্প শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জন সমর্থন সৃষ্টি করে ব্যাপক জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বলতে হবে, “অনেক হয়েছে-এবার খামোশ”।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ