আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

সাকা চৌধুরীর শেষ, মুসার শুরু হবে কি?

আবু সাঈদ আহমেদ  

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মহাপরাক্রমশালী রাজনীতিক। একাধিকবার ভোটে নির্বাচিত সাংসদ। অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান! বনেদী ধনকুবের। ১৯৯৬ সালে তিনি বিএনপি'তে যোগ দেন। বর্তমানে স্থায়ী কমিটির সদস্য। গত চার দশক ধরে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে তার প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে সখ্যতা বহমান ছিল- স্বার্থকেন্দ্রিক মধুচন্দ্রিমায় দু'পক্ষ লাভবান হয়েছে, একে অপরকে লাভবান করেছে।



মহাপরাক্রমশালী সাকা চৌধুরীর বন্ধুত্বের শিকড় দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে কতিপয় আরবরাষ্ট্রের অন্দরমহল ও পশ্চিমা লবিস্টের হৃদয় পর্যন্ত বিস্তৃত। এই রাষ্ট্রগুলোর কোন কোনটি বাংলাদেশের প্রধান শ্রমবাজার। অন্যদিকে, লবিস্টরা পশ্চিমাদের বাংলাদেশ বিষয়ক নীতিনির্ধারনীর প্রভাবক।



দীর্ঘদিন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনীতির নিয়ন্তা, জাতীয় রাজনীতির উদ্ধত কৌশলী খেলয়ার, কতিপয় পশ্চিমা ও আরবরাষ্ট্রের সখা ধনকুবের হাই প্রোফাইল যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করা সার্বিক বিবেচনায় ছিল কঠিনতম।



২.
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সাকা চৌধুরীর মামলা শুরু হবার পরে কতিপয় আরব রাষ্ট্রের আচরণ বদলে গিয়েছিল। ঝিঁ-কে মেরে বউকে বুঝাতে চেয়েছে তারা নাখোশ। কয়েকটি রাষ্ট্র বাংলাদেশ হতে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল। শ্রমিকদের সাথে নেতিবাচক আচরণের ঘটনা কম ঘটে নাই। বন্ধু পশ্চিমা লবিস্টরা চুপ করে বসে ছিল না।



গত চার দশকে প্রধান দু'টি রাজনৈতিক দলের কতিপয় প্রভাবশালী রাজনীতিকসহ অনেক রাজনীতিক সাকাপরিবারের আর্থিক ও ব্যবসায়িক প্রভাবের আর্শীবাদে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছেন। এরাও সরকারের ভিতরে বাইরে প্রকাশ্যে গোপনে তার পক্ষে তৎপর ছিলেন।



দশ হতে পনের হাজার টাকা বখশিসের জন্য অনেক সংবাদকর্মী সাকা চৌধুরীর প্রেস কনফারেন্স আর অগুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান কভার করতেন-তারা আর মিডিয়ার একাংশ তার পক্ষে সহানুভূতিশীল ছিল। তার উদ্ধত্যের সংবাদ প্রকাশে যত আগ্রহ একাত্তুরের ভূমিকা প্রকাশে তত নয়।



সাকা চৌধুরীর বিচার সমাপ্ত করা যাবে- এ বিষয়ে অওয়ামী লীগের অনেক হেভীওয়েট নেতা দ্বিধান্বিত ছিলেন। অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে মুখ খুললেও সাকা চৌধুরী ছিলেন বিব্রতকর প্রসঙ্গ। এছাড়া বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ও দলের দায়িত্বশীল অনেকেই তার সামনে মাথা তুলে কথা বলার হিম্মত রাখেন না।



৩.
সাকা চৌধুরী বিশ্বাস করতেন শেষ পর্যন্ত কিছুই হবেনা। তার আচরণে এই মনোভাব বারবার প্রকাশ পেয়েছে। তিনি প্রায় প্রতিটি শুনানীর দিনেই ট্রাইবুন্যালকে হাস্যরসের কেন্দ্রে পরিণত করতে সচেষ্ট ছিলেন। আত্ন-অহংকারে উদ্ধত ছিলেন, দূর্বিনীত ছিলেন। তার পরিবারের কাছে ট্রাইবুন্যাল ছিল নাট্যমঞ্চ, ট্রাইবুন্যালে রায় ঘোষণার দিনে তারা নাটক দেখতে হাজির হয়েছিলেন।



সাকা চৌধুরীর মামলা পরিচালনা করে পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া সরকারের জন্য ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ।তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একাধিকবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি জানতেন তার বিদেশী সুহৃদদের আশা-প্রত্যাশাকে মূল্য না দিয়ে বিচারকার্য চালিয়ে যাওয়া দীর্ঘমেয়াদে দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। তাদেরকে বিচারের পক্ষে নিয়ে আসার কূটনৈতিক তৎপরতায় সফল হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এই প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন সরকারের নেতা, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল আর পর্যবেক্ষকরা ধারণা করেছিলেন বিচার বিভাগকে চাপমুক্ত রাখা সম্ভব হবেনা।



৪.
দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে ট্রাইবুন্যালে সাকা চৌধুরীর বিচার পরিচালনা শেষে রায় ঘোষণা সাহসীতম কার্য। আপিল বিভাগে ঐ রায় বহাল রাখা সাহসীতর সিদ্ধান্ত। বিচার বিভাগকে টুপিখোলা অভিনন্দন।



প্রশ্নবিদ্ধ ভোটে ক্ষমতাসীন হওয়াসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাজার ব্যর্থতা, সমালোচনা ও অভিযোগ বিদ্যমান থাকার পরেও অন্তত এই বিচার প্রক্রিয়ায় বিচারবিভাগকে চাপমুক্ত রাখার জন্য সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।



৫.
সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহাল রাখায় প্রমাণ হল-
ক) আরবরাষ্ট্রগুলো এবং পশ্চিমা মুরুব্বীদের কাছে প্রভাবশালী ধনকুবের রাজনীতিক সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী মূল্য হারিয়েছেন
খ) বিএনপি তার স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্যকে রক্ষার কূটনৈতিক মিশনে ব্যার্থ হয়েছে, এবং
গ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক তৎপরতা সফল হয়েছে।

আপিল বিভাগে ট্রাইবুন্যালের রায় বহাল থাকায় পরিষ্কার হয়ে গেছে বহি:বিশ্বের নিকট শেখ হাসিনা এখন আর প্রশ্নবিদ্ধ নন। আরবরাষ্ট্রসমূহ, পশ্চিমা মুরুব্বীগণ এবং ভারত বর্তমানে শেখ হাসিনার পক্ষে আছে। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নিজেকে ইতিবাচক ইমেজে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।



প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল হওয়া সত্বেও বিএনপি বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী মহলগুলোর কাছে গুরুত্ব ধরে রাখতে পারে নাই। সৌদি আরব, আরবরাষ্ট্রসমূহ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিএনপি'র ঘনিষ্ট সম্পর্কের সেই রমরমার কিছুই আর অবশিষ্ট নাই।



৬.
মহাপরাক্রমশালী সাকা চৌধুরীর রায় বহাল রাখা আর বর্তমান বাস্তব প্রেক্ষাপট ও সংশ্লিষ্ট ঘটনাক্রম পর্যালোচনায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পাদনে দেশের ভিতরে-বাইরে গভীর প্রতিবন্ধকতা নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পাদনের প্রতি দেশি-বিদেশি সকল মহলেরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে। বিচারকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা অভিযুক্তদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনে এখন আর কেউ আগ্রহী নয়।



যুদ্ধাপরাধীদের তালিকার মহাপরাক্রমশালী সাকা চৌধুরীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে। আপিল বিভাগ মামলার রায়ের আপিল নিষ্পত্তিতে সময় নিয়েছে মাত্র এক মিনিট। একটি অভিযোগ হতে অব্যাহতি দিয়ে আপিল বিভাগ জানিয়েছে- "The appeal is allowed in part. The appellant Salauddin Quader Chowdhury is found not guilty of charge no.7 and he is acquitted of the said charge. The conviction and sentences in respect of charge nos. 2,3,4,5,6,8,17 and 18 are hereby maintained."



মহাপরাক্রমশালী সাকা চৌধুরীর বিচার করা গেলে যুদ্ধাপারাধের দায়ে অভিযুক্ত আরেক রাঘব-বোয়াল প্রিন্স মুসা বিন শমসেরকে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে না কেন? তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবেনা কেন?



৭.
ড. প্রিন্স মুসা বিন শমসের বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী। তাকে জনশক্তি রপ্তানির জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০ থেকে আশি দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টিকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ৫মিলিয়ান ডলার অনুদান দিতে চেয়েছিলেন। অবশ্য টনি ব্লেয়ার এই অনুদান প্রত্যাখান করেছিলেন। পদ্মাসেতু নির্মাণে ব্যাক্তিগত বিনিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় এসেছেন। তিনি শেখ পরিবারের সাথে আত্নিয়তার গভীর বন্ধনে আবদ্ধ- শেখ সেলিমের বেয়াই। সুতরাং, তার প্রভাব সহজেই অনুমেয়।



এই প্রভাবের কারণে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর একাত্তুরের ভূমিকা নিয়ে যতটা আলোচনা হয়েছে ড. প্রিন্স মুসা বিন শমসের ওরফে নুলা মুসার ভুমিকা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা আর মূলধারার মিডিয়া ততটাই নীরব। মিডিয়া ধনাঢ্য মুসা বিন শমসেরকে একাধিকবার চটকদার সংবাদের শিরোনাম করেছে। সে কোন ধরনের জুতো পরে, কোন কলম দিয়ে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে, তার স্যুটে কয়টা ডায়মন্ড আছে- তার রাজকীয় জীবনযাপনের এমন নানা খুঁটিনাটি নিয়ে মিডিয়াকে সরব দেখা যায়। কিন্তু তার একাওুরের ভূমিকা আলোচনা করতে নানাবিধ কারণে আড়ষ্টতাবোধ করে। ফলে আজও যুদ্ধাপরাধী হিসাবে তার নামে ফাইল খোলা হয় নাই।



৮.
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নুলা মুসা ওরফে ড. প্রিন্স মুসা বিন শমসের ছিলেন ফরিদপুরের মূর্তিমান আতংক। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে যুদ্ধাপরাধের যে সকল অভিযোগ রয়েছে-
ক) একাত্তুরের একুশে এপ্রিল পাক সেনাদের ফরিদপুরে ঢোকার ব্যাপারে মানচিত্র ও পথনির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করা।
খ) লবণ ব্যবসায়ী অমূল্য ঘোষের মেয়ে কমলারানী ঘোষকে ধর্ষণে পাকি মেজর আব্বাস কোরায়শীসহ তিনসেনাকে সহযোগিতা করা।
গ) ধর্মশালার অধিক্ষক কেষ্টমন্ডলের মেয়ে ননী ও বেলীকে যুদ্ধের নয় মাসে পাকিস্তানি সেনাদের দেহদানে বাধ্য করা।
ঘ) পাকসেনা কর্তৃক অর্ধশতাধিক নারীর ধর্ষণে প্রধান সহযোগির ভূমিকা পালন করা।
ঙ) ফরিদপুর শহরের মদনগোপাল আঙ্গিনার চন্দ্রকান্তনাথ, গৌরগোপাল আঙ্গিনার বিজয় মজুমদার, টেপাখোলার কবির আহমেদ চৌধুরী, গুড়বাজারের শেখ মোঃ আবু আব্দুল্লাহ দুলাল, খোদাবক্স রোডের অপরেশ সাহা, ভোম্বল সাহা, বৈদ্যনাথ সাহার হত্যায় পাক সেনাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা প্রদান।
চ) ফরিদপুর শহরের ইমাম উদ্দিন আহমাদ, নিত্যানন্দ কবিরাজ, সুখেন্দু রায়, মুক্তিযোদ্ধা আজাদ সিদ্দিকী, অহিভূষণ পোদ্দার, ধীরেন সাহা, চন্দ্রকান্তনাথ, নিমাই সাহা, পুটে সাহা, কৃষ্ণপদ সাহা, কৃষ্ণ বিশ্বাস এবং হরেন সাহার বাড়িসহ রথখোলা, লাহিড়ীপাড়া, ওয়্যারলেসপাড়া, শোভারামপুর ও বিভিন্ন মহল্লার সহস্রাধিক বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রত্যক্ষ নেতৃত্বদান, পাকি সেনাদের সহযোগিতা প্রদান এবং অন্যদের ইন্ধন যোগাস।
ছ) পাকি মেজরের আস্তানায় গান শোনাতে শহরের একটি পরিবারের তিন বোনকে মুসা মাঝেমধ্যেই মিলিটারি জীপে তুলে নিয়ে যেতেন। পাকি সেনারা এই তিন বোনের বাবাকে হত্যা করে। এই হত্যাকান্ডের সহযোগি ছিলেন মুসা।
জ) মুসা পাকি সেনাদের দিয়ে ফরিদপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ শহরের সব শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলেছিলেন।
ঝ) পাকি সেনারা তালমার অমূল্য কুণ্ডু ও কার্তিক সাহার বাড়ি থেকে লুট ৮ মণ সোনা লুট করেছিল। পাকি সেনারা ব্যাংক থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা ও সোনা লুট করেছিল। তালমার সোনা লুট ও ব্যাংক লুটের ঘটনার সাথে নুলা মুসা জড়িত ছিলেন।



দুঃখজনক হলেও সত্য, একমাত্র অনলাইন এক্টিভিস্ট ছাড়া আর কোন মহলকেই এই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় নাই। প্রবীর সিকদার ২০০১ সালে মুসা বিন শমসেরের বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছিলেন। সেই হামলার ভীতি আর ক্ষতি এখনও তিনি বহন করে চলেছেন।



৯.
মাহাপরাক্রমশালী সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীর বিচার সম্পন্ন করা গেলে ড. মুসা বিন শমসের ওরফে নুলা মুসার বিচার সম্পন্ন করাও সম্ভব। সাকা চৌধুরীর বিচারের রায় হোক মহাপরাক্রমশালী ড. মুসা বিন শমসেরের বিচারের নোটিশ। সকল যুদ্ধাপরাধীদের সাথে শেখ পরিবারের ঘনিষ্ট আত্নীয় যুদ্ধাপরাধীটিও সমানভাবে বিবেচিত হোক। প্রশ্নহীন বিচারে তার শাস্তি নিশ্চিত হোক। দেশকে কলঙ্কমুক্ত রাখার মহাসুযোগ যেন না হারাই। কারণ, ইতিহাস কলঙ্ক মোচনের সুযোগ বারবার দেয়না!

আবু সাঈদ আহমেদ, লেখক, কলামিস্ট, অনলাইন এক্টিভিস্ট।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ