আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

প্রাচীন উগান্ডার গল্প...

আব্দুল করিম কিম  

যুদ্ধ-বিগ্রহের ইতিহাস জানতে ভালোবাসে অথচ গ্ল্যাডিয়েটরদের নাম শোনে নি, এমন মানুষ সম্ভবত খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিনই হবে। ল্যাটিন শব্দ ‘গ্ল্যাডিয়েটর’ মানে হচ্ছে ‘তরবারিওয়ালা মানব’ যার উৎপত্তি ‘গ্ল্যাডিয়াস’ বা ‘সোর্ড’ অর্থাৎ তরবারি থেকে। গ্ল্যাডিয়েটর হচ্ছেন এমন একজন অস্ত্রধারী যোদ্ধা যিনি অন্য কোনো গ্ল্যাডিয়েটরের সঙ্গে লড়াই করে সাধারণ মানুষ ও রাজাদের আনন্দ দেন। এটি মূলত রোমান সাম্রাজ্যের একটি প্রাচীন রীতি। এই রীতি অনুসারে গ্ল্যাডিয়েটররা হাজার হাজার দর্শকের সামনে কেবল অন্য যোদ্ধার সঙ্গেই লড়াই করতেন এমন নয়, এর বাইরেও দাগি আসামি কিংবা হিংস্র বন্যপ্রাণীদের সঙ্গেও লড়াই করতেন।

গ্ল্যাডিয়েটরেরা হিংস্র বন্যপ্রাণীদের মধ্যে লড়াইয়ে লিপ্ত হতো বাঘ, সিংহ, হাতির মতো পশুদের সাথে! একজন বা একাধিক যোদ্ধাকে ছেড়ে দেয়া হত হিংস্র কোন প্রাণীর খাঁচায়। মানুষে ও পশুতে চলা সে যুদ্ধের সমাপ্তি হতো যোদ্ধা বা পশুর মৃত্যুতে। দস্তার পুরু বর্ম, বড় বর্শার ফলক আর ধারালো তলোয়ার নিয়ে যোদ্ধারা ঘেরাও দেয়া এরেনায় (মাঠে) হিংস্র পশুর সাথে জীবনপণ লড়ে যেতেন।

সে লড়াই দেখতে হাজার হাজার মানুষে এরেনার চারপাশে ভিড় জমাতো। সম্রাট তাঁর পরিষদ নিয়ে লড়াই দেখতে বসতেন। উত্তেজনাকর সে লড়াইয়ে হিংস্র প্রাণির বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে সামান্য ভুলে যোদ্ধারা মারা পরতো। আবার কোন এক বীর যোদ্ধা সেই হিংস্র প্রাণীকে শেষতক হত্যা করে গ্লাডিয়েটরের বিজয় মাল্য পরতো।

প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যের এই লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রাচীন উগান্ডা দেশের মহারাজের শখ হলো গ্লেডিয়েটর লড়াই আয়োজনের। সে আয়োজন করতে গিয়ে কি কান্ড ঘটেছিল- সে গল্প আপনাদের আজ শোনাবো।

উগান্ডা দেশে প্রথমবারের মত গ্লাডিয়েটরদের লড়াই হবে।

উগান্ডার মহারাজার সে লড়াই নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ। যদিও জনসাধারণ সে লড়াই সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। মহারাজা সে লড়াই সম্পর্কে ভালো করে তথ্য নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে রোম সাম্রাজ্যে পাঠালেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর ছিলো পটেটো প্রব্লেম। তিনি সেখানে গিয়ে রোমান এক সুন্দরীর প্রেমে পড়ে গেলেন। এছাড়া তিনি রোমান সাম্রাজ্যের নান্দনিক বাজু বন্দনী দেখে সে সব সংগ্রহ করতে লাগলেন। এসব করতে যেয়ে তিনি গ্ল্যাডিয়েটর লড়াই আয়োজন সম্পর্কে ভালো করে আর কিছুই জানতে পারলেন না। ভাসা ভাসা আইডিয়া নিয়ে তিনি উগান্ডায় ফিরে এলেন। উগান্ডায় ফিরে মহারাজকে বললেন, এই খেলার আয়োজন করা কোন ব্যাপারই না।
আমরা আফ্রিকার সবচেয়ে হিংস্র সিংহের সাথে আমাদের যোদ্ধাদের লড়াই করাবো। ওরা বীরের মত লড়াবে।
মহারাজা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে সব তদারকির নির্দেশ দিলেন। খেলার তারিখ নির্ধারন হলো।

মহারাজা আয়োজন সম্পর্কে মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে মন্ত্রী বলেন, আপনি কিছু চিন্তা করবেন না। আমাদের মত গ্লেডিয়েটরের খেলা রোমানরাও করতে পারবে না। এমন হবে আমাদের আয়োজন।

মহারাজ নিশ্চিন্তবোধ করলেন।

মন্ত্রী কথাতো লম্বা বলে দিলেন কিন্তু তাঁর মন উচাটন। রোমান সেই সুন্দরীর জন্য মন পোড়ে। তাই তিনি ক্রীড়ামন্ত্রীকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দিলেন প্রস্তুতির। ক্রীড়ামন্ত্রী সব শুনে একটু অভিমান করলেন। খেলাধুলার ব্যাপার। রোমেতো তাঁকে পাঠানো যেতো। যাইহোক কি করতে হবে বুঝে নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী কাজে নামলেন।
প্রথমেই এরেনা প্রস্তুত করতে হবে। চারপাশ মজবুত করে বেষ্টনী হবে।

বেষ্টনী বানানোর জন্য টেন্ডার কল করা হলো- মন্ত্রীর শালা সে কাজ বাগালো।

সে মহা উৎসাহে বেষ্টনী বানাতে লাগলো। কথা ছিল বেষ্টনী বানানো হবে গর্জন গাছের গুড়ি দিয়ে কিন্তু মন্ত্রীর শালা গর্জনের বদলে আমড়া কাঠ দিয়ে মাঠ প্রস্তুত করে দিলো। পূর্তমন্ত্রী জানেন না, এরেনা কি জন্য বানানো হচ্ছে। তিনি আমড়া কাঠের বেষ্টনী দেখে বেশ বেশ বলে সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন। এরেনা বানানোর বিল পরিশোধ হয়ে গেলো।

এদিকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী লড়াইয়ের জন্য একটি সিংহ দিতে বললেন বনমন্ত্রীকে।

বনমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন প্রধান বনরক্ষীকে। প্রধান বনরক্ষী মন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে তিনটি তাগড়া সিংহ ফাঁদ পেতে ধরে আনলো। এই কাজে উগান্ডার বনরক্ষীরা খুব পাকা।

খাদ্যমন্ত্রীকে বলা হলো সিংহের জন্য খাবার সরবরাহ করতে।
সিংহের জন্য তাগড়া তাগড়া হরিণ এলো।

বনরক্ষী ভাবলো, সিংহ কিছুদিন না খেলে সমস্যার কিছু না। অনেক দিন না খেয়ে থাকতে পারে। সে হরিণগুলা মিশরে গোপনে বিক্রি করে দিলো।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানালো হলো- স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এক ডজন যোদ্ধাকে তৈরি রাখতে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী যোদ্ধা বাছাইয়ে লাগলেন। বলিষ্ঠ দেহের যোদ্ধা বাছাই করা হলো।

যোদ্ধারা যখন শুনলো একটি সিংহের সামনে তাঁদের খাঁচায় ছেড়ে দেয়া হবে তখন ওরা বললো, আমরাতো এভাবে কখনো লড়াই করিনি। মন্ত্রী বললেন, লড়তে হবে। রোমে লড়ছে যোদ্ধারা।

তখন যোদ্ধারা বলল, ঠিক আছে আমরা লড়বো। আমাদের লড়াই করতে সমস্যা নেই কিন্তু আমাদেরকে পুরু দস্তার বর্ম, লম্বা বর্শা ও ধারালো তলোয়ার দিতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন, এসব কোন ব্যাপার না। তিনি এসব জোগাড় করে দিতে বাণিজ্যমন্ত্রীকে বললেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী সে সব দেয়ার জন্য দেশের সাপ্লায়ারদের নির্দেশ দিলেন। সাপ্লায়ারদের কি জন্য এসব দরকার তা বলা হলো না। কবে দরকার তাও জানানো হলো না। আসলে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই কিছু জানেন না।

এদিকে গ্ল্যাডিয়েটর লড়াইয়ের সময় চলে আসছে। যোদ্ধারা এখনো পুরু দস্তার বর্ম, লম্বা বর্শা ও ধারালো তলোয়ারের দেখা পায়নি। ওরা চেঁচামেচি শুরু করলো। মহারাজের কানে গেলো সে খবর।

রাজা ডাকলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে। মন্ত্রী তলব পেয়ে মহারাজকে বললেন, সিংহ রেডি, এরেনা রেডি মহারাজ। শুধু যোদ্ধাদের কিছু জিনিস রেডি না। এসব রেডি হয়ে যাবে। আপনি কিছু ভাববেন না।
মহারাজ উত্তর পেয়ে খুশি হয়ে ।

এদিকে লড়াইয়ের দিন চলে এলো।
সিংহেরা প্রায় এক মাস ধরে উপোষ। খাবার না পেয়ে হুংকার দিচ্ছে।

বনরক্ষী ভাবলো, খাবার না খেয়ে এরা দূর্বল। আমাদের যোদ্ধারা এদের সাইজ করে দেবে। তখন চামড়া বিক্রি করে দেয়া যাবে গ্রীসে।

লড়াইয়ের দিন মহারাজা সবাইকে নিয়ে এরেনার (মাঠের) পাশের উচ্চাসনে বসলেন।

লড়াইয়ের আগের দিন জনসাধারণকে জানানো হলো মাঠে আসতে।

সবাই নেচে নেচে মাঠে আসলো। লড়াই হবে লড়াই। বন্ধ খাঁচায় সিংহের সাথে মানুষের।

যোদ্ধারা প্রস্তুত। তাঁদের মাঠে নামতে বলা হলো। কিন্তু তাঁদের বর্ম কোথায়? বর্শা কোথায়? তলোয়ার বা কোথায়? সাপ্লায়ারেরা কার্যাদেশ না পাওয়ায় এসব সরবরাহ করেনি। এখন উপায়? মহারাজকেতো এসব বলা যাবে না।

মন্ত্রী ও উজির নাজীরেরা পাগলের মত রাজধানীতে খোঁজ লাগালেন। খুঁজে যা পাওয়া গেলো তাই তুলে দেয়া হলো যোদ্ধাদের হাতে। ঠুনকো বর্ম, খাটো বর্শা, ভুতা তলোয়ার দেখে যোদ্ধারা বেঁকে বসলো। তাঁরা এভাবে মরতে রাজি নয়।

তাঁরা বীরের মত লড়বে কিন্তু তাঁদের অস্ত্রতো দিতে হবে?

যোদ্ধারা গাইগুই শুরু করে দিলো। মন্ত্রী মহারাজকে জানালেন, যোদ্ধারা সিংহের সাথে লড়বে না।
শুনে মহারাজা ক্ষেপে গেলেন। যোদ্ধার কাজ যুদ্ধ করা। রাজা যার সাথে যুদ্ধ করতে বলবেন, তাঁর সাথেই তাদের যুদ্ধ করতে হবে। ওরা এসব কথা আগে জানালে মহারাজা রোমান থেকে গ্ল্যাডিয়েটর আনাতেন।
মহারাজের রাগ দেখে কতোয়াল যোদ্ধাদের ধাক্কা দিয়ে এরেনায় ঢুকিয়ে দিলো।

এদিকে হিংস্র সিংহেরা ক্ষুধায় অস্থির। তাদেরকে বনরক্ষী এরেনায় ছেড়ে দিতেই সিংহেরা হুংকার দিয়ে উঠলো।

রাজা তিনটি সিংহ দেখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাঁধ চাপড়ে দেন। আজ খেলা জবরদস্ত হবে।
যদিও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নিজেও জানেন না- সিংহ যে তিনটি আছে।
মাঠে ঢুকেই সিংহেরা যোদ্ধাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

যোদ্ধারাও জীবনবাজি লড়তে থাকে। ভোঁতা তলোয়ারের খোঁচায় সিংহ প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে দৌড়াতে থাকে।

উত্তেজিত জনতা আমড়া কাঠের এরেনাতে ধাক্কা লাগায় লড়াই আরো ভালো করে দেখবে বলে। ব্যাস আমড়া কাঠের ঘের হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ে। সিংহেরা এরেনার বাইরে চলে আসে। ইচ্ছে খুশি আক্রমন করতে থাকে।
মহারাজা থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা দুই চোখে শর্ষে ফুল দেখেন।

হিংস্র সিংহের সামনে প্রস্তুতি ছাড়া এমন লড়াইয়ের খেসারত দিতে হয় প্রাচীন উগান্ডার সকল মানুষকে।

আব্দুল করিম কিম, সমন্বয়ক, সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও প্রকৃতি রক্ষা পরিষদ।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ