আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

❛করোনাকালে❜ খালেদা ও হাসিনার কাছে খোলা চিঠি

মাসকাওয়াথ আহসান  

২০০১ থেকে ২০২০; এই দুটি দশকে এক এক করে বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আত্মহত্যা করে। এ দুটি রাজনৈতিক দল তার ক্রেডিবিলিটি ও জনআস্থা হারিয়েছে পুরোপুরি।

২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল; এই সময়ে বিএনপি ও তার মিত্রদল জামায়াত ক্ষমতায় ছিলো। ক্ষমতাকালের শুরুর দিকে বিএনপির পারিবারিক রাজনীতির যুবরাজ তারেক রহমান এনটিভিতে দেয়া একটি ইন্টারভিউতে বলেন, যে লোকটা একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি চালায়; সে দেশের ব্যবস্থাপনা চালাতে সক্ষম। কারখানা ব্যবস্থাপনা যে করে; দেশ ব্যবস্থাপনা তার পক্ষে সহজ হয়।

"বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ড রূপে দেখা দেওয়ার" এই রাজনীতিকে বরণ করেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয়েই। ব্যবসায়ী নীতি নির্ধারণে থাকলে একটি দেশ কেবল ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখে; নাগরিকের স্বার্থ হয় উপেক্ষিত। রাজনীতিতে এই ট্র্যাজেডির কুরুক্ষেত্র আমাদের বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে আমি জার্মানির ডয়চেভেলে বাংলা বিভাগের সম্পাদক ও ওয়েবপোর্টাল পরিচালনার দায়িত্বে ছিলাম। ফলে একজন সাংবাদিক হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের শাসনকালটিকে ইতিহাসের প্রামাণিক দলিলে রেকর্ড করে রাখা খুব সহজ ছিলো।

দুর্নীতি-জঙ্গিবাদ-প্রতিপক্ষের ওপর গ্রেনেড হামলা-ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা-"ছায়া সরকার" হাওয়া ভবনের বেআইনি কার্যকলাপ; বিএনপি ও জামায়াত প্রতিদিন দেশ শাসনের নামে যে শাসন-ত্রাসন-সংহার করেছে; তা আর্কাইভ হয়ে আছে ডয়চেভেলের অডিও জাদুঘরে। সুতরাং আত্মঘাতী বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক মৃত্যুর প্রামাণিক উপস্থাপনা হাজিরের চেষ্টা করেছি সে সময়ের ডয়চেভেলের পরিবেশনায়।

পাশাপাশি লেখা "সতত হে নদ" ও "অদ্ভুত আঁধার এক" উপন্যাসে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালের বিএনপি-জামায়াত শাসনকালটিকে চিত্রিত করি। এভাবে দুটো কাজের মধ্যে ইতিহাস সংরক্ষণের সংকল্প করি।

এরজন্য ২০০৪ সাল থেকে একাধিক হুমকি পাই। বিসিএস তথ্য সার্ভিস থেকে লিয়েনে যাওয়ায়; ক্ষমতাসীন সরকার আমাকে বার বার দেশে ফেরার জন্য পত্রাঘাত করে। কিন্তু সাংবাদিকতায় যাবার প্রস্তুতি ছিলো আমার জীবনের শুরু থেকেই। ফলে কোন রাজনৈতিক দলের জিঘাংসার খপ্পরে পড়ার মতো বোকামি আমি ২৫ বছরের মিডিয়া অভিজ্ঞতায় করিনি। আর সংবাদ ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার নৈতিকতা এমনভাবে অনুসরণ করি; যেখানে আইনের চোখে প্রতিটি কাজই নির্ভুল প্রমাণিত হবে; এ ব্যাপারে আমি খুবই নিশ্চিত।

এসময় বিএনপির মুখপাত্র "দৈনিক দিনকাল" আমার বিরুদ্ধে "কে এই মাসকাওয়াথ" নামে একটি কল্প-প্রতিবেদন ছাপে। যে এই প্রতিবেদন লিখেছিলো, তার কাছে জার্মানিতে থাকা স্বপ্নের ব্যাপার। ফলে সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়, জার্মানিতে থাইকা যাওনের লাইগা হুমকির নাটক সাজাইছে। জার্মানিতে থাকাটা এমন কোন কঠিন ব্যাপার সবার জন্য নয়; বা ওর চেয়ে ভালো জীবনমানে যে দেশে বা উপমহাদেশে থাকা সম্ভব; তা তাকে বোঝাবে কে?

ডয়চেভেলের প্রবীণ সাংবাদিক ফ্রিডেমান শ্লেন্ডার তখন এশিয়া বিভাগের প্রধান; আর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক আবদুল্লাহ আল ফারুক তখন ডয়চেভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান । উনারা এসব ডিফেমেশান অগ্রাহ্য করে কাজ করে যেতে বললেন। কারণ আমার লক্ষ্য সত্যান্বেষণ ও তা প্রচার।

বলাই বাহুল্য এসময় বিএনপি-জামায়াতের কিছু সংকীর্ণ চিন্তার মানুষ আমাকে "ভারতের দালালের তকমা দিতে থাকে।"

সাংবাদিকতা ও লেখালেখিকে যারা কোমল কাজ মনে করেন; তারা হয়তো ধারণাই করতে পারেন না কীরকম স্নায়ুচাপ আর ঝুঁকির কাজটি সাংবাদিক ও লেখকরা হাসিমুখে সতত করে চলেছে জনস্বার্থে। সত্যানুসন্ধান আর সত্য প্রকাশের চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ আর নেই।

আওয়ামী লীগের ২০০৯ থেকে ২০১৩ সময়টিতে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হওয়ায়; সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে সর্বময় দুর্নীতির ঘটনাগুলোকে কিছুকাল ইগনোর করি। আর একটা আশা ছিলো এ দলকে ঘিরে; যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দলটির অগ্রগামী ভূমিকা ছিলো। এসময় অনলাইন মাধ্যম এসে যাওয়ায় ইতিহাস সংরক্ষিত হয় প্রতিটি মানুষের ফেসবুকের আইডিতে। আত্মঘাতী আওয়ামী লীগের শাসনকাল স্বচ্ছ আয়নায় প্রতিবিম্বিত প্রতিদিন।

২০১৪-র নির্বাচনটি দেখেও ভাবলাম; বিএনপি যেহেতু আগুন সন্ত্রাস করছে; ফলে আওয়ামী মন্দের ভালো থিওরিতে পরপর দু'বার দেশ শাসন করলে হয়তো উন্নয়ন ধারাবাহিকতাটুকু থাকবে। কিন্তু অবস্থা দাঁড়ালো ভয়াবহ। বিএনপির হাওয়া ভবনের মতো অসংখ্য ছায়া ভবন দাঁড়িয়ে গেলো আওয়ামী লীগের নেশাতলে; যারা প্রকাশ্যে দুর্নীতি চালিয়ে গেলো; আর কলতলার হৈ চৈ-এ ফেসবুক সরগরম করে রাখতে "সিপি গ্যাং"-সহ নানা রঙের গ্যাং ছেড়ে রাখলো। এদের কাজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর দেশপ্রেম শেখানো "চ-বর্গীয়" গালি দিয়ে। সেই ফাঁকে ব্যাংক লুট করে বিদেশে টাকা-পাচার চলতে থাকে।

বিজ্ঞাপন

কাউকে সত্যানুসন্ধান ও সত্যপ্রকাশ করতে দেখলেই এইসব গ্যাং তার "বেডরুমের খবর প্রকাশ কইরা গান্ধা কইরা দিমু; মাইরা ফালামু, কাইটা ফালামু" ইত্যাদি বলতে থাকে। জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের উগ্র জাতীয়তাবাদী নাৎসিদের যে মনোবিকৃতি; একই মনোবিকৃতি খুঁজে পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের এসব গ্যাং-এর মধ্যে।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুভব করে ফেসবুকে এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে; এবার কোন মূলধারার মিডিয়া না পেয়ে একটা দুটো আওয়ামী ডটকমে কল্পনা প্রতিবেদন এসে যায়, কে এই মাসকাওয়াথ?

এইসব গ্যাং সদস্য; যাদের স্বপ্নই দালালি করে পেটের ভাত জোগাড় করা; তারা তাদের কল্পনায় সবাইকে দালাল মনে করে। মনে করে দালালি না করলে কী ভাত পাওয়া যায়? এইডা কী কইরা সম্ভব?

২০০৪ সালে বিএনপির দিনকালের চোখের "ভারতীয় দালাল" এবার ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের ডটকমের কাছে "পাকিস্তানের দালাল" তকমা পেয়ে গেলো।

সাংবাদিকতার বন্ধুরা বললো, মন খারাপ করোনা; তুমি তোমার চিন্তার একই জায়গায় আছো; সে চিন্তার বিরুদ্ধের দলটি বদলেছে কেবল।

এ থেকে আমি বুঝলাম, বাঙ্গির জীবনের অভিশাপ হচ্ছে চাড্ডি প্রেম ও পাকিপ্রেম। চাড্ডি প্রেমে এরা ইয়াহিয়াকে ঘৃণা করে মোদিকে ভালোবাসে আর পাকিপ্রেমে এরা মোদিকে ঘৃণা করে ইয়াহিয়াকে ভালোবাসে।

আমি এই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি; একই রকম অর্থনৈতিক সামর্থ্যের দেশ। সে কারণে এই প্রশ্নের জবাব আমি খুঁজে পাইনা; এক ফইন্নি আরেক ফইন্নির দালাল হয় কী করে? ফইন্নি চাড্ডি বা ফইন্নি পাকি দালাল পোষার টাকা কোথায় পাবে; আর বাঙ্গিই এখন চাড্ডি-পাকিদের চেয়ে সচ্ছল; সুতরাং বাঙ্গি কারো দালাল হবার প্রশ্নই ওঠে না; এ অত্যন্ত ভ্রান্ত এক ট্যাগিং। এসব বাদ দেয়া হোক।

ছোট বেলায় বিজ্ঞান বইতে আমরা দেখেছি দুটি সারণিতে উদ্ভিদ ও প্রাণির পার্থক্য লেখা থাকতো। ঐরকম দুটি সারণিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পার্থক্য লিখতে গিয়ে বৈশিষ্ট্যের কোন পার্থক্যই খুঁজে পাইনি।

বিএনপি একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করেছে; আওয়ামী লীগ একবিংশের মানবতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করে চলেছে। মিডিয়ার দিকে তাকালে লাইভ দেখতে পাবেন।

বিএনপি জামায়াতের "ধর্মীয় অনুভূতির দোকান" খুলে দিয়েছে; আওয়ামী লীগ হেফাজত ও শিবসেনার "ধর্মীয় অনুভূতির দোকান" খুলে দিয়েছে।

বিএনপি ক্রসফায়ারে বিনাবিচারে মানুষ মেরেছে; তাদের মধ্যে আওয়ামী কর্মী ছিলো অনেক। আওয়ামী লীগ ক্রসফায়ারে বিনাবিচারে অনেক মানুষ মেরেছে; তাদের মধ্যে অনেক বিএনপির কর্মী আছে।

বিএনপি দুর্নীতি ও টাকা পাচার বান্ধব ছিলো। আওয়ামী লীগও দুর্নীতি ও টাকা পাচার বান্ধব।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে চাটার দল ও চোরের খনিকে দেশের শত্রু বলে চিহ্নিত করেছিলেন; তারাই যেন একবার বিএনপির হয়ে আরেকবার আওয়ামী লীগের হয়ে খেলে বাংলাদেশকে ঝাঁঝরা করে দিলো।

আর বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সত্যানুসন্ধানীদের ওপর নির্যাতন-গ্রেপ্তার চালিয়েছে একই রকম মানবতাবিরোধী ফ্যাশানে।

এই লেখাটি করোনার অবসরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সমীপে লিখছি। উনারা আমার মায়ের প্রজন্মের মানুষ। ফলে যোগ্য শ্রদ্ধাবোধ রেখেই তাদের উদ্দেশ্যে লিখছি; ২০০১ সাল থেকে ২০২০ এই উনিশ বছরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ যেরকম হত্যা-ধর্ষণ-লুণ্ঠন-টাকাপাচারের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে; তা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের অনুরূপ বিচারের ও শাস্তির দাবি রাখে কি না; তা উনারা একটু ভেবে জানালে বাধিত হই।

মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা শিক্ষক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ