আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বঙ্গবন্ধু ও মানব উন্নয়ন

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী  

বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি একটি দেশের স্রষ্টা, বাংলা ভাষাভাষীদের আশার আশ্রয়স্থল এবং শোষিত বঞ্চিত, নিপীড়িত জনতার প্রতিনিধি হিসেবে সর্বদা সজাগ এবং সোচ্চার ছিলেন। এই কারণে বঙ্গবন্ধুকে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আমার মনে পড়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে/ কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি/ কৌতূহলভরে/আজি হতে শতবর্ষ পরে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈশ্বিক ইতিহাসের অন্যতম, অবিসংবাদিত ও ক্যারিশম্যাটিক নেতা। তাঁর সহজাত এবং অতিরিক্ত গুণাবলীর কারণে তিনি সাধারণ মানুষের আস্থা, সমর্থন এবং ভরসা অর্জন করেছিলেন। তিনি বাঙালি জাতির জন্য এক শ’ শতাংশ উজাড় করে দিয়েছিলেন। তাঁর এই জনকল্যাণ ও বাঙালির হিত সাধনের মহান ব্রতে দেশ ও জাতি সুগঠিত হয়ে উঠেছে। আজ বাঙালি বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণে এগিয়ে চলেছে। তাঁর সাহসী অবদান ব্যতিরেকে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশে পরিণত হতো না। একাত্তরের সশস্ত্র রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের পর দেশটির একটি দুর্বল ও ভঙ্গুর অর্থনীতি ছিল। সব সময় মাথায় রেখেছিলেন বাঙালির আশা-ভরসার স্থল, কৃষকদরদী, শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের দরদী এবং যার জীবনটা এক ট্র্যাজিক উদ্ভাসে উদ্ভাসিত, তাঁর দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে মানবিক কল্যাণের সুযোগ্য গ্রন্থনার কথা। বিশেষত খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের মৌলিক প্রয়োজনের ঘাটতি ছিল একাত্তরের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের পর। এ কারণেই ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিকাশের এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কিছু বড় পরিবর্তন করতে হবে এটা অনুভব করেছিলেন।

সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু দেশের কৃষি খাতের সংস্কারের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুভব করেছিলেন যে, কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নে অগ্রাধিকার, গবেষণা, সম্প্রসারণ, লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। তিনি কৃষি বাজারের পরিপূর্ণতা অর্জনে চেষ্টা করেছেন। উদ্ভাবনী এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের কৃষিতে অধ্যয়নের জন্য উৎসাহিত ও কৃষিবিদদের পদমর্যাদা প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে কৃষিনীতি প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যার জন্য কৃষিখাত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছিল। তিনি তাঁর শাসনামলে কৃষকদের উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। যার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক স্থাপন ছিল একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। তিনি সমন্বিত কৃষিক্ষেত্রে অনুশীলনে বিশেষ গুরুত্ব রেখেছিলেন। কৃষক যাতে আরও ফসল জন্মাতে পারে সেজন্য তিনি মানসম্পন্ন বীজ, সার, কীটনাশক ও সেচ দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, যাতে সব ধরনের খাদ্য- ভাত, শাক-সবজি, ডাল, তেল, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য, মুরগির মাংস, ফলমূল বাঙালি সহজে পেতে পারেন। বঙ্গবন্ধু কৃষি, কৃষক এবং সমবায় ব্যবস্থা খুব পছন্দ করতেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ২২ লাখ কৃষককে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ আখ গবেষণা ইন্সটিটিউট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশের ভূমিহীন কৃষকদের খাস জমি বিতরণের ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন। তিনি সর্বনিম্ন ২৫ বিঘা জমিতে করও ছাড় দিয়েছিলেন। উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ তৈরি করে তিনি কৃষকদের ১৪ লাখ একর জমির ফসল রক্ষা করেছিলেন। দারিদ্র্য দূরীকরণে সমবায় ব্যবস্থা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিলেন। আজ বাংলাদেশ কেবল খাদ্য সুরক্ষাই অর্জন করেছে তা নয়, বিশ্বব্যাপী কৃষি উন্নয়নের রোল মডেলেও পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি পরিষ্কার, সামাজিক ন্যায়বিচারও বাস্তবভিত্তিক ছিল।

বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তাঁর বাসভবনে সাধারণ জনগণের প্রবেশ অবারিত ছিল। অথচ এখন কোন ব্যাংকের এমডিকেও কোন গ্রাহক সরাসরি ই-মেইল করতে পারে না। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জনগণ বর্তমানে ই-মেইলে সমস্যার কথা জানাতে পারে। ব্যাংকের এ বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করা উচিত।

নিজের জীবন তিনি উৎসর্গ করে গেছেন যাতে করে স্বাধীন বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে উজ্জীবিত করতে পারা যায়। তিনি সব সময় যারা অন্যায় করে, দুর্নীতি করে, পর সম্পদ লুণ্ঠন করে এবং শোষণ-বঞ্চনা করে তাদের বিরুদ্ধে ছিলেন আপোষহীন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। তিনি কূটনৈতিকভাবে জোটনিরপেক্ষ আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। বাংলাদেশে যাতে আমদানি বিকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠা করা যায় সেজন্য নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট। দেশে যাতে সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্রের বিকাশ হয় সেজন্য পাকিস্তানি কারাগার থেকে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। তাঁর সাড়ে তিন বছরের অধিককাল শাসন আমল ছিল এদেশের জনমানুষের কল্যাণে উৎসর্গীকৃত ও নিবেদিত। তিনি শিল্পোন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক এবং বাংলাদেশ শিল্পঋণ সংস্থা গঠন করেছিলেন।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে শিল্পায়নের সুবিধার্থে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন আইন, ১৯৫৭ কার্যকর করা হয়েছিল তদানীন্তন শ্রম, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বারা। তিনি পূর্ব পাকিস্তানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (পিএসসিআইসি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বাধীনতার পর এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনে (বিসিক) রূপান্তরিত হয়েছিল। আবার তিনি দেশের জ্বালানি সম্পদের সুষ্ঠু ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য পেট্রোবাংলা ও বাপেক্স প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় দারিদ্র্য বিমোচন এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি পল্লী উন্নয়নের ওপর সবিশেষ জোর দিয়েছিলেন। আমরা যে সমস্ত মাইক্রো ফাইন্যান্সের নতুন তত্ত্ব আজকাল দেখি সেগুলোর জনক হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সব দেশের সঙ্গে সমতাভিত্তিক এবং ন্যায়ভিত্তিক সম্পর্ক স্থাপন ও কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় এই নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন থাকায় তিনি বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ রোধ এবং খাদ্য নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু একটি দেশের পরিপূর্ণ অর্থনৈতিক কাঠামোর বিকাশে তাঁর শাসনামলে গণতান্ত্রিকভাবে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনায় দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখনও যখন বঙ্গবন্ধুর ওপর কোন পাঠ-পঠন করতে যাই মনে হয় এই মহান রাজনৈতিক উদ্যোক্তার জীবন কাহিনী বিশ্লেষণ করার পরিপূর্ণতা পাওয়ার মতো যোগ্যতা আমাদের হয়নি। তিনি শত্রুকেও সুন্দরভাবে তার অন্যায্য কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করেছেন। তিনি বাঙালিদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া, কর্মতৎপরতার জন্য মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে নিজের সক্ষমতা প্রমাণ এবং কাজকর্মের মাধ্যমে নিজস্ব স্বকীয়তা অনুসারে যা সত্তরের দশকে বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছিলেন, তা পরবর্তীকালে আশির দশকে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের ক্যাপাবিলিটি তত্ত্বের প্রায়োগিক কলা-কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হয়।

বাঙালি জাতীয়তাবাদে বঙ্গবন্ধু বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর সেই অনবদ্য ৭ মার্চের ভাষণকে প্রয়াত প্রফেসর মোবাশ্বের আলী বাংলাদেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি জাতির সৃষ্টি ক্ষেত্রে ম্যাগনাকার্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তা আজও আমাদের মধ্যে সাহস ও শক্তির জোগান দেয়। সমাজে কিছু খারাপ মানুষ থাকে। এরা জাতির পিতার প্রতি, তাঁর পরিবারের প্রতি, তাঁর আত্মীয়স্বজনের প্রতি এবং তাঁর একনিষ্ঠ ভক্তদের প্রতি যে অবিচার ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে ঘটিয়েছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম এবং নিন্দনীয় ঘটনা। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তবে আমরা ১৯৮০ সাল নাগাদ একটি মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারতাম। তিনি তাঁর শাসনামলে জাপানিজ মেইজি শাসকদের মতো রাষ্ট্রকে শিল্পোন্নত করতে চেয়েছিলেন এবং দেশকে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সুগঠিত করতে প্রয়াস নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই নিরলস প্রচেষ্টা একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রে, যেখানে পাকিস্তানি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস সমগ্র দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল ১৯৭১ সালে, তা থেকে পুনর্গঠনে সব ধরনের ব্যবস্থা বিভিন্ন ফ্রন্টে নিয়েছিলেন। যারা হীনস্বার্থে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কুৎসা ও কালিমা লেপন করেছিল তাদের প্রতি জানাই সর্বোচ্চ ঘৃণা ও ধিক্কার এবং নিন্দা। সে সময় যুদ্ধাপরাধী এবং কিছু অতি উৎসাহী বাম ও ডানপন্থী মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায় এবং মোশতাক-জিয়া-চাষীচক্র জাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবিচার করে এবং দেশের উন্নয়নকে পিছিয়ে দেয় ন্যূনতম পঞ্চাশ বছর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির স্বাধীন সত্তার স্রষ্টা। তাঁর নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালে। অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি অবিচল গতিতে নিষ্ঠার সঙ্গে দ্রুত কর্মকাণ্ড শুরু করেন। তাঁর নানা অর্থনৈতিক উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ড সারাদেশে বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এখন সফলভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর ফলে গ্রামীণ অঞ্চল এবং শহরের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষেরা করোনাকালেও অর্থনৈতিকভাবে নানা বঞ্চনা ও অন্যায্যতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু প্রকৃত আদর্শবাদী একজন খাঁটি বাঙালি রাষ্ট্রনায়ক, যিনি তাঁর আদর্শে সারাজীবন অবিচল ছিলেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বগুণে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খলা থেকে মুক্তি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আজকের যুব সমাজকে দেশ ও জাতি গঠনে সকল ধরনের অন্যায়-অন্যায্যতা, অপরাধপ্রবণতা তথা মাদক সেবন, শিশু ও নারী নির্যাতন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর মতো নিষ্ঠা, সততা ও আদর্শবাদী হতে পারলেই কেবল আমাদের যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রসরমানতা, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, তা বাস্তবায়ন করা সহজেই সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিকভাবে সাম্য ও মুক্তির পথ নিশ্চিত করতে যতই কণ্টকাকীর্ণ ও বন্ধর হোক সেটি বাস্তবায়নে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন রাজনৈতিক উদ্যোক্তা। তিনি গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের উন্নয়নে কৃষি বীমাসহ মাঠ পর্যায়ের নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর নেয়া অনেক উদ্যোগ এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। অবাস্তবায়ন বিষয়গুলো বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার করোনাকালেও নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আশা করব, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন অবিরাম ও অবিচল থাকবে এবং উন্নয়ন মানব প্রত্যয়ী হয়ে উঠবে।

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ই৪কোনমিস্ট; শিক্ষাসংক্রান্ত বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত; আইটি ও উদ্যোক্তা বিশেষজ্ঞ; সাবেক উপাচার্য প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ