আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

আওয়ামী লীগের আত্মসমর্পণ ও বঙ্গবন্ধুর ‘দ্বিতীয় মৃত্যু’

জুয়েল রাজ  

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যারা সপরিবারে হত্যা করেছিল তারা জানত না মৃত বঙ্গবন্ধু জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন এই বাংলায়। তাই কেবল পুরো পরিবার নয়, আত্মীয়স্বজনসহ নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তারা। ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছে সব চিহ্ন। এবং সেই ভয় থেকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর লাশের কবর দেয়ার সাহসও করেনি ঘাতকের দল।

বঙ্গবন্ধু এতই প্রকটভাবে বাংলাদেশের নামের সাথে, জন্মের সাথে জড়িয়ে আছেন। মানুষের আবেগ এবং ভালবাসায় মিশে আছেন। এই দেশের মাটি, জল, আলো, বাতাস তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন, বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। সবচেয়ে বড় কথা ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে আজকের বাংলাদেশ। আর শেখ হাসিনার এই পথচলাটি বঙ্গবন্ধুর নামে। বঙ্গবন্ধু নামটিই আওয়ামী লীগের ফিনিক্স বা আগুন পাখি। এই একটি নাম আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু সেই মানুষটি যদি অবমূল্যায়িত হন অথবা কেউ যদি তাঁকে নিয়ে ধৃষ্টতা দেখায় সেটি হজম করা সত্যিই কঠিন।

আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্যকে নিয়ে কোন সত্য সংবাদ প্রচার করলেও সেটি যদি তার বিপক্ষে যায়, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিককে জেল খাটতে হয়। আর মানহানির প্রসঙ্গ তো বাদই থাকল। বিশ কোটি থেকে শতকোটি টাকার মানহানির মামলা দিয়ে থাকেন তারা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মানহানিতে তাদের কিছুই যায় আসে বলে এখন পর্যন্ত মনে হলো না। জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর উপর বিশেষ অধিবেশনে, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বরের প্রদত্ত বক্তৃতার অডিও টেপ প্রচারিত হয়। সেই প্রচারিত বক্তৃতা থেকে জাতীয় চার নীতির তিনটির আলোচনা থাকলেও ধর্ম নিরপেক্ষতার অংশটুকো ছিল না। যদিও পরে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার মত বেতারের উপর দায় চাপানো হয়েছে।

বাকশাল গঠন পরবর্তী বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ একটি মাল্টি-ক্লাস পার্টি। আমি তার নামের আগে কৃষক শ্রমিক লাগিয়েছি বৈকি, কিন্তু দলটির চরিত্র এখনও বদলাতে পারিনি, রাতারাতি তা সম্ভবও নয়। আমার দলে নব্য-ধনীরাও আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় তাদের লুটপাটের সুযোগ বহুগুণ বেড়ে গেছে। আমি তাদের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই বাকশাল করেছি। যদি এই ব্যবস্থা সফল করতে ব্যর্থ হই এবং আমার মৃত্যু ঘটে, তাহলে দলকে কব্জা করে ওরা আরও লুটপাটে উন্মত্ত হয়ে উঠতে পারে। এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশের মূলমন্ত্রে শত্রুপক্ষের নীতি ও চরিত্র অনুসরণ করে আওয়ামী লীগেরও চরিত্র ও নীতি পাল্টে ফেলতে পারে। যদি তা হয়, সেটাই হবে আমার দ্বিতীয় মৃত্যু। সেজন্য আগেই বলেছি, আমার দল, আমার অনুসারীদের হাতেই যদি আমার এই দ্বিতীয় মৃত্যু ঘটে তাহলে দীর্ঘকালের জন্য বিস্মৃতির অন্ধকারে চলে যেতে হবে। কবে ফিরব তা জানি না।

আওয়ামী লীগ যেন বঙ্গবন্ধুর সেই দ্বিতীয় মৃত্যুর দিকেই হাঁটছে। বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগকে শেখ হাসিনাই পুনর্জীবন দিয়েছেন। আবার শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ দিন দিন তার মূল চরিত্র হারাচ্ছে। মৌলবাদী ধর্মান্ধদের কাছে আত্মসমর্পণকরছে।

জার্মান কবি ও ধর্মযাজক, মার্টিন নিম্যোলার এর বিখ্যাত এবং বহুল প্রচার একটি কবিতা আছে, ইংরেজিতে যার শিরোনাম "first come" বা প্রথম আসা।

যখন ওরা প্রথমে কমিউনিস্টদের জন্য এসেছিল, আমি কোনো কথা বলিনি,
কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।
তারপর যখন ওরা ট্রেড ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেল, আমি নীরব ছিলাম,
কারণ আমি শ্রমিক নই।
তারপর ওরা যখন ফিরে এলো ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে ভরে মারতে,আমি তখনও চুপ করে ছিলাম,
কারণ আমি ইহুদি নই।
আবারও আসল ওরা ক্যাথলিকদের ধরে নিয়ে যেতে,আমি টুঁ শব্দটিও উচ্চারণ করিনি,
কারণ আমি ক্যাথলিক নই।
শেষবার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে,
আমার পক্ষে কেউ কোন কথা বলল না, কারণ, কথা বলার মত তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না।

বাংলাদেশে ও যেন ঠিক একই অবস্থা। লালন ভাস্কর্য ভাঙা দিয়ে শুরু করা, হাই কোর্টর সামনে স্থাপিত ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলাসহ হেফাজতে ইসলামেরর সাথে কৌশলী আপোষ। আমরা ভাবছি আমরা তো নিরাপদ আছি!

চরমোনাই পীর রেজাউল করিম এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক'রা এখন হুংকার দিচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য লেনিনের ভাস্কর্যের মত ক্রেন দিয়ে টেনে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিলে কি করবেন? এই যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া সেটি তারা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেই দিয়েছে।

এতো এতো আওয়ামী লীগ চারপাশে, এতো এতো সংগঠন। লাখো মানুষের সমাবেশে প্রকাশ্যে যখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য টেনে বুড়িগঙ্গায় ফেলার হুমকি দেয়া হয়। কেউ টু-শব্দটি করেন নি। শুরুতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল একমাত্র ব্যক্তি যিনি এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বাড়াবাড়ি করলে ঘাড় মটকে দেয়ার হুংকার দিয়েছেন। বাকিরা সব চুপচাপ ছিল। অনেকেই বলছিলেন 'পর্যবেক্ষণ' করছেন!

অনেক পরে যদিও ছাত্রলীগ তাদের বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জানিনা তারুণ্যের জাগরণ নাকি জেনে বুঝে বা নির্দেশিত হয়ে ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিলটি সম্পন্ন করেছে। আশার আলো জাগিয়ে রেখেছে।

আমি জানি সবাই অপেক্ষা করছেন, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে কী বক্তব্য দেন। তিনি যদি আজকে কোন বিবৃতি দেন বা এই বিষয়ে কোন বক্তব্য রাখেন যে, বাংলাদেশে প্রতিটি উপজেলায় বা পাড়ায় পাড়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপিত করা হবে। এমন কি স্কুল মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হবে; কালকে থেকে অভিনন্দন জানানো শুরু হয়ে যাবে। আবার তিনিই যদি বলেন এই দেশে কাউকেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কোথাও ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে না। সবাই আবার ধন্য ধন্য করবে। এই হলেন আমাদের নেত্রী। ইনিয়ে-বিনিয়ে শেখ হাসিনাকে 'ইসলামী নেত্রী' হিসাবে স্থাপন করার চেষ্টা করবেন। এই যে চারপাশে এতো তেল আর তেল! এসবের কিছুই থাকবে না যদি বঙ্গবন্ধু না থাকেন।

প্রধানমন্ত্রী বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন, সেলাই মেশিনে বসে সেলাই করছেন এই দুইটা ছবি যেভাবে অনলাইনে নানা আবেগে ভেসে বেড়াচ্ছে এর ছিটেফোঁটাও ছিল না, মামুনুলরা বায়তুল মোকাররমের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুকে তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দেওয়ার পর। বরং উল্টো এক ধরনের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করলাম! মূর্তি এবং ভাস্কর্যের পার্থক্য বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তারা। আমি ধরে নিয়েছিলাম মামুনুলের প্রথম দিনের বক্তব্য থেকে হয়ত দ্রুতই সরে আসবে এবং ক্ষমা চাইবে। কিন্তু না, দ্বিতীয় দিনের বক্তব্যেও সে তার ঔদ্ধত্য ধরে রেখেছে। কারণ তারাও পানি মাপছে। ধর্মের মোড়কে মানুষের ধর্মীয় আবেগ এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালবাসা শ্রদ্ধাকে মুখোমুখি করছে। এই ঔদ্ধত্য মূলত রাজনৈতিক। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা দেয়ার মূল কারণ ধর্মীয় নয়। যারা প্রতিবাদ করছে তারা খুব ভাল করেই জানে ইসলামের জন্মস্থান থেকে শুরু করে পৃথিবীর বহু ইসলামি দেশেই ভাস্কর্য আছে। তাই ধর্মীয় উসকানি দিয়ে মূলত রাজনৈতিকভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে তারা । অনেকেই ভাবছেন, বিএনপি যখন রাজনীতি থেকে নির্বাসিত সেখানে শূন্যস্থান পূরণ করতেই হেফাজত এবং ইসলামী শাসনতন্ত্রকে মাঠে রাখছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাজীর দান ধরে যদি আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে চায় সেটি আগুন নিয়ে খেলা হবে। হেফাজতের যে সাংগঠনিক শক্তি আছে তার বিপরীতে ইসলামী শাসনতন্ত্রও সাংগঠনিকভাবে সারাদেশেই শক্তিমান। কিন্তু সরকার থেকে হেফাজত ইসলাম যাবতীয় আর্থিক সুবিধা ভোগ করছে। সুবিধা ভোগ করতেই মাঠে নেমেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র। এসবই অনুমান নির্ভর এবং নানা মস্তিষ্কপ্রসূত ধারণা। হলে হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।

আমার ধারণা ইসলামী দলগুলো দুইটি কারণে এই জায়গায় একাট্টা হয়েছেন। এক শীত মৌসুমে ওয়াজ মাহফিলের বাজার গরম করতে। যাতে করে করোনার নানা নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেয়া হয়। সেই সুযোগটি নিতে। দ্বিতীয়ত এরা রাজনৈতিকভাবেই আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে চায়। কারণ বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনীতি করার মত মেরুদণ্ড কোন রাজনৈতিক দলের অবশিষ্ট নাই।

শেখ হাসিনার মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য বিরোধী শক্তি হিসাবে এরা একাট্টা হয়েছে ধর্মের নামে উন্মাদনা সৃষ্টি করে, অরাজকতা সৃষ্টি করে রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ করা। বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় মানস এই সব ধর্মবাজিকরগণ বুঝে গেছেন। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের একটি বিশাল অংশ ভাস্কর্যবিরোধী মনোভাব লালন করেন, কেউ প্রকাশ্যে, কেউ আড়ালে আবডালে।

অতীতে এইসব হুজুরদের নামের আগে পিছে নানা রকম উপাধি দেখেছি আমরা। কিন্তু কখনো এদের নামের আগে জননেতা বলতে শুনি নাই। ধর্মের সেবক হিসাবেই উপাধি যোগ করা হত। কিন্তু এইবার দেখলাম জননেতা উপাধি সংযুক্ত করা হয়েছে। এটিও একটি বার্তা। এই বার্তাটি সেই রাজনৈতিক অভীপ্সার ইঙ্গিত বহন করে।

বঙ্গবন্ধুকে হেয় করা মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। তারেক জিয়া যেদিন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল সেদিন সবাই প্রতিবাদ মুখর হয়েছিলেন। আবার কে এম শফি উল্লাহ যখন লিখেছিলেন বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে 'জয় পাকিস্তান' বলেছিলেন, সেদিনও এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মুখর ছিলেন। কিন্তু আজ সবাই নীরব। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, ইচ্ছা থাকলেও অনেকে সাহস করে প্রতিবাদ করছেন না; কারণ ধর্মীয় এক ভয় কাজ করছে তাদের মাঝে। যদি মোল্লারা তাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে দেয়! তাই নিজেদের মুসলমান হিসাবে প্রমাণ করতেই ব্যস্ত তারা। যার জন্য মূর্তি এবং ভাস্কর্যের তুলনা মূলক আলোচনা নিয়ে এসেছেন। এই তুলনা মূলক আলোচনা ফতোয়াবাজদের আরও সুযোগ তৈরি করে দেয়।

ব্যক্তিগতভাবে এমন প্রচারক একজনকে প্রশ্ন করেছিলাম এই যে ভাস্কর্য মূর্তি নয় বলে এই ধর্মান্ধদের বুঝানোর চেষ্টা করছেন এতে লাভ কী? তিনি বললেন এটি নাকি কৌশল! মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশে মাত্র ৫০ বছরের ব্যবধানে ধর্ম নিয়ে কৌশলী হতে হচ্ছে। আরব বিশ্ব যখন সব কুসংস্কার ছিন্ন করে দরজা খুলে দিচ্ছে, আমরা তখন একে একে দরজা জানালা সব বন্ধ করে দিচ্ছি।

ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে বঙ্গবন্ধু তো পরিস্কার বলে গিয়েছেন, "বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মকর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করবও না। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রের কারো নেই। হিন্দু তাদের ধর্ম পালন করবে, কারো বাধা দেওয়া ক্ষমতা নেই। বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের কেউ বাধাদান করতে পারবে না। খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, কেউ তাদের বাধা দিতে পারবে না। আমাদের শুধু আপত্তি হলো এই যে, ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর সেই আওয়ামী লীগের নেতারাই এখন ধর্মকে রাজনীতিতে আরও প্রকটভাবে নিয়ে আসছেন।

বঙ্গবন্ধুর চেয়েও বাংলাদেশে সাকিব আল হাসান বেশি প্রয়োজনীয়। সাকিবকে হুমকিদাতা সেই ব্যক্তিকে নিয়েই সারা বাংলাদেশ তোলপাড়। সাকিব পূজায় গিয়ে ভুল করেছেন সেটি স্বীকার করে নিয়েছেন। ভাস্কর্য মূর্তি নয়, সেই বিষয়ে জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার মানে দাঁড়ায় মূর্তি টেনে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া যায়। কিন্তু ভাস্কর্য নয়!

বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই ধর্মান্ধদের কঠিনভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এই দেশে ভাস্কর্য হবে, মূর্তি হবে, পূজা হবে, ওয়াজ হবে, কীর্তন হবে, কঠিন চীবর দান হবে। পাহাড়ে বিজু হবে উৎসবে নির্বিঘ্নে। কারো নির্দেশে কিংবা কারো বেঁধে দেয়া নিয়মে নয়। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন বিফলে যাবে৷ যদি আওয়ামী লীগ তার নীতি আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে না পারে। ধর্মান্ধদের কাছে যেন বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় মৃত্যু না হয়।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ