আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

প্রকৃত মুজিবপ্রেমি অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের কাজে লাগান

ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ  

এক খবরে দেখলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সত্যপ্রচারে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। ভালো লাগলো যে প্রয়োজনটা আমরা এতদিন ধরে খুব বেশি করে উপলব্ধি করছিলাম ওবায়দুল কাদের আজ তা সাংগঠনিকভাবে উপলব্ধি করেছেন।

বস্তুত: বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্নরকমের মিথ্যা অপপ্রচার আর মনগড়া আজগুবি সব তথ্যবিভ্রাটের ফুলঝুরি নতুন কিছু নয়। এটা আগেও ছিলো, এখনো আছে। তবে একটা পার্থক্য আছে। এই পার্থক্যটা হলো, আগের গুজব ও অপপ্রচারগুলো এখনকার মতো এতটা সংগঠিত আকারে ছিলো না, এতোটা বিস্তৃত আকারেও ছিলো না। নিয়তির নির্মম পরিহাস হলো, যে আওয়ামী লীগ সরকার এই বাংলাদেশকে শতভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করলো সেই আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি মিথ্যা, গুজব আর অপপ্রচার ছড়ানো হয় এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়েই! এই ডিজিটাইজেশনের কল্যাণেই এখন যেমন শিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সকলের মাঝেই এইসব গুজব আর অপপ্রচারের ছড়াছড়ি আজ থেকে একযুগ আগেও এতটা ছিলো না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য এর চেয়ে বুমেরাং আর কিই বা হতে পারে!

ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব কিংবা ব্লগ খুললেই দেখবেন এদেশে যত খারাপ কাজ যত অকল্যাণকর কাজ শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই করেছে, এদেশের আর সবাই ধুয়া তুলসী পাতা। দেখবেন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও আজগুবি সব মনগড়া মিথ্যাচার। এর বিপরীতে অনলাইন জগতের এইসব শাখায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সত্যিকারের প্রচার প্রচারণা একেবারে নেই বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না। মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা যদি এখানে উল্লেখ নাও করি তারপরেও বলা যায়, এই 'বাংলাদেশ' নামক ভূখণ্ডটির জন্য এই 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ' নামক সংগঠনটির যে হাজারও ত্যাগ, নিরলস শ্রম আর অজস্র কল্যাণকর কর্মের অযুত নিযুত উদাহরণ রয়েছে তার কোন ছিটাফোঁটাও এইসব অনলাইন জগতে খুঁজে পাবেন না, আতসি কাচ দিয়েও খুঁজে পাবেন না।

বিগত প্রায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে আওয়ামীপন্থী হাতেগোনা কতিপয় আদি ও অকৃত্রিম অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট কোনরকম সরকারি উদ্যোগ বা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনরকম সাংগঠনিক সহযোগিতা ব্যতিরেকে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও মনের টানে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উদ্দীপনায় উজ্জীবিত হয়ে অনলাইনে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত তথ্যের খরা কাটানোর জন্য দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, অকাতরে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো এইসব আওয়ামীপন্থী সত্যান্বেষী নির্ভীক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদেরকেই বারবার নানাবিধ বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, আগেও হতে হয়েছে, এখনো হতে হচ্ছে।

মার্ক জুকারবার্গ তো দু'দিন পরপর আমাদের একেকজন আওয়ামীপন্থী অ্যাক্টিভিস্টকে মাসের পর মাস ব্লক করে দিচ্ছে। আমাদের সত্যিকারের তথ্যগুলোও নাকি জুকারবার্গের 'কম্যূনিটি স্ট্যান্ডার্ড' ভঙ্গ করছে আর আওয়ামীবিদ্বেষী জামায়াত-বিএনপি কিংবা পচে যাওয়া বামদের আজগুবি মিথ্যাচার আর মনগড়া তথ্যবিভ্রাটও জুকারবার্গের 'কম্যূনিটি স্ট্যান্ডার্ড'র ফিল্টারে ধরা পড়ছে না। আসলে ব্যাপারটা হলো আমরা সংখ্যায় খুবই অল্প আর ওরা সংখ্যায় অনেক বেশি আর সংঘবদ্ধ। তাছাড়া ওদের পেছনে জামায়াত-বিএনপির কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগ ও সরাসরি মদদ তো আছেই, এতো একেবারে অপেন সিক্রেট।

আমাদের কোন একটি তথ্যবহুল সত্যিকারের পোস্ট বা ইউটিউব আপলোডকে যখন ওরা সংঘবদ্ধভাবে রিপোর্ট করে তখন জুকারবার্গ বা ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কিছু করারও থাকে না, তাছাড়া ভাষার অনুবাদগত পার্থক্যের জটিলতা তো আছেই। আর ওরা যখন মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে অনলাইনে গুজব ছড়ায় তখন আমাদের সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভাবে অথবা নিঃস্পৃহ আচরণের কারণে সেগুলো অনলাইনে বহাল তবিয়তেই থেকে যায়। ভবিষ্যতের জামায়াত-বিএনপিপন্থীদের তর্কের খোরাক হয়েই থেকে যায়।

ওবায়দুল কাদের যথার্থই বলেছেন, তবে এতদিন পর সাংগঠনিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এমন বক্তব্য ও উপলব্ধিকে স্বাগত জানালেও খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না। কারণ বছর পাঁচ/সাত আগেও আমরা দেখেছিলাম প্রাইম মিনিস্টারস অফিসের তত্ত্বাবধানে প্রায় একইরকম কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সেইসব লেবাসধারী স্যুটেড-বুটেড অফিসিয়াল অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের তেমন কোন জোরালো ভূমিকা আমরা আজও দেখিনি। তারা যদি সত্যিকারার্থেই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারতো তাহলে এই পাঁচ/সাত বছর পরে এসেও ফেসবুক, ইউটিউব আর ব্লগে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এত এত মিথ্যা গুজব আর মনগড়া প্রচারণা আমাদেরকে দেখতে হতো না কিংবা আমাদের মতো আওয়ামীপন্থী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদেরকে সত্য তথ্য প্রচার করেও মাসের পর মাস ব্যান খাওয়া লাগতো না।

অবশ্য এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিলো। কারণ আমরা দেখেছিলাম প্রাইম মিনিস্টারস অফিসের সেইসব স্যুটেড বুটেড অ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো যারা ইতিপূর্বে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিলো, যারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও চরম নোংরা ও ন্যক্কারজনক ভাষায় ভিত্তিহীন সমালোচনা করেছিলো। সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকলে আর কতদূরই বা আগানো যায়!

অনলাইন জগতে চরম আওয়ামীবিদ্বেষী, ইদানীংকালে নতুন নতুন উদ্ভট সব ইতিহাস রচনাকারী বিএনপি-জামায়াত আর পচে যাওয়া বামদের একনিষ্ঠ অনলাইন এক 'পির'-কে চেনে না এমন লোক খুব কমই আছে। আশ্চর্য এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে সেই ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টও আমরা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একজন অতিপরিচিত কর্মকর্তাকেও শেয়ার করতে দেখেছিলাম। দেওলিয়াপনা আর কাকে বলে!

অনলাইন জগতে যাকে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ এই তিন বিষয়ের জীবন্ত কিংবদন্তি মনে করি, যিনি তাঁর হাজার হাজার লেখা ও তথ্যচিত্র এবং ফটো ও ভিডিও ডকুমেন্ট সংগ্রহের মাধ্যমে আমাদের কাছে একটা জীবন্ত আর্কাইভ বা সংগ্রহশালা হয়ে আছেন সেই প্রিয় অমি রহমান পিয়াল ভাই এইমাত্র ৫/৭ বছর আগে যখন শুধুমাত্র অনলাইনে লেখালেখির কারণে আওয়ামীবিদ্বেষী অনলাইন ও অফলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের চরম শত্রুতে পরিণত হয়েছিলেন, যখন তার জীবন চরম হুমকির মধ্যে পড়েছিলো তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলো; চরম দুর্ভাগ্য সেদিন আওয়ামী লীগ যথাযথ সরকারি বা সাংগঠনিক সহায়তা নিয়ে তার পাশে দাঁড়ায়নি, অভয় হয়ে তার কাঁধে হাত রাখেনি। শেষ পর্যন্ত তিনি জীবন নিয়ে একরকম পালিয়ে বেঁচেছেন, দেশ ছেড়ে বিদেশ বিভূঁইয়ে পরবাসী হয়েছেন। তারপরেও কিন্তু তার কলম থেমে যায়নি, তারপরেও কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতি তার কোন ক্ষোভ নেই, রাগ নেই। এখনও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও জননেত্রীর পক্ষেই অবিরতভাবে লিখে চলেছেন। যখন এই লেখা লিখছি তখনও তিনি জুকারবার্গের অন্যায় সিদ্ধান্তে ফেসবুকে ব্লক খেয়ে তিনদিনের নির্বাসনে আছেন এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে লিখেই তিনি দু'দিন আগে এই নির্বাসন পেয়েছেন। নির্বাসন থেকে ছাড়া পেয়ে নিশ্চয় তিনি আবারো লিখবেন। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষেই লিখবেন।

পরিশেষে ওবায়দুল কাদেরের কাছে অনুরোধের আহ্বান রেখে বলতে চাই- সত্যপ্রচারে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ গড়ে তোলার জন্য আপনার আহ্বানকে স্বাগত জানাই। তবে স্যুটেড বুটেড মোয়া খাওয়া অন্তঃসারশূন্য হাইব্রিড অ্যাক্টিভিস্ট নয় বরং এমন জ্ঞানগর্ভ এবং নিঃস্বার্থ ও নির্লোভ মুজিবপ্রেমিদেরকেই খুঁজে বের করে তাদের দ্বারাই অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ তৈরি করুন। তাহলেই আপনার আহ্বানের যথার্থতা মিলবে, তাহলেই উপকৃত হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বেঁচে যাবে সত্যিকারের ইতিহাস, তলিয়ে যাবে মিথ্যা আর গুজবে ভরা অপপ্রচার।

ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ, সাবেক সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ