আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

নগরে স্থাপনা নির্মাণে চাই সুচিন্তার ছাপ

আব্দুল করিম কিম  

সিলেট সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন সড়ক দ্বীপে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছে। নগরের সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে এ উদ্যোগে কারো কোনো আপত্তি নেই। আধুনিক নগর পরিকল্পনার একটি স্বাভাবিক কাজ হচ্ছে নগরীর প্রধান সড়কগুলোর পরিসর বাড়ানো, সৌন্দর্যবর্ধন, ফুটপাত ব্যবহার উপযোগী রাখা, সড়ক বিভাজক দিয়ে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরানো, গাড়ির পার্কিং নিশ্চিত করা, পয়েন্ট বা মোড়কে দৃষ্টিনন্দন করা। নগরীর বিভিন্ন সড়ক দ্বীপকে দৃষ্টিনন্দন করে স্থানীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা একটি আকর্ষণীয় কার্যক্রম। সড়ক দ্বীপে স্থাপন করা শিল্পকর্মের মাধ্যমে গোটা নগরবাসীর রুচি ও শিল্পবোধ ফুটে ওঠে। সুন্দর নগর গড়তে হলে সৌন্দর্যবর্ধনের এই কাজগুলো সুচিন্তিতভাবে করা উচিত। হুটহাট 'ধর তক্তা মার পেরেক' জাতীয় কাজে সৌন্দর্যবর্ধনের চেয়ে সৌন্দর্যহানি হয়। সড়ক দ্বীপ পাওয়া গেলেই একটা কিছু বানানোর চেয়ে, যা বানানো হচ্ছে তা ওই মোড়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা আগেভাগেই বিবেচনায় রাখা উচিত। দৃষ্টিকে নন্দিত করে নিবদ্ধ হতে যা বানানো হবে, তা আশপাশের অন্য স্থাপনা বা বসতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কি-না, তাও বিবেচনা করে উচিত।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়রের পূর্বের মেয়াদে নগরে এমন কিছু শিল্পকর্ম সড়ক দ্বীপ বসানো হয়েছিল, যা সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে শুধু সম্পর্কহীন নয়, কোনো বিবেচনায় কাজগুলো শিল্পসম্মত ছিল না। খুবই নিম্নমানের বিদঘুটে কিছু নির্মাণ স্থাপত্য বর্তমানে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তাই আগামীতে যা হবে, তা যেন সর্বজন গ্রহণযোগ্য, মানসম্মত ও অর্থবহ হয়। অযৌক্তিক ও অসুন্দর কোনো স্থাপনা যেন নির্মাণ করা না হয়। নির্মাণের সাথে শৈলী বলে একটি শব্দ যুক্ত করা হয়। যা নির্মাণ করা হবে, তা শৈলী হিসেবে গণ্য হবে। তা না হলে দৃষ্টিনন্দন নয়, দৃষ্টিকে ফিরিয়ে দেয়। জলজ্যান্ত সাক্ষী অতীত। নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন মোড়ের কিম্ভুতকিমাকার 'কদম ফুল' হালে দুনিয়াজুড়ে ব্যবহৃত করোনাভাইরাস চিত্রের মতো দেখায়! আর নাইওরপুল মোড়ে কলস আকৃতির দুটো স্থাপনার দিকে তাকালে মাথায় কী চিন্তা কিলবিল করে, চলার পথে তা বোঝার সাধ্য কারো থাকে না।

সিলেটের প্রতীকখ্যাত ব্রিটিশ ঐতিহ্যের কিনব্রিজ দিয়ে সুরমা নদী পাড়ি দিয়ে নগরের প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজার এলাকার সুরমা মার্কেট মোড়কে বলা হচ্ছে নাগরী চত্বর। এখানে নির্মাণ করা হয়েছে 'নাগরী মিনার' নামের একটি স্থাপনা। সিলেটিদের নিজস্ব বর্ণমালা হচ্ছে নাগরী লিপি। যা কালের বিবর্তনে বিস্মৃতপ্রায়। এই স্থাপনার মাধ্যমে নাগরিকদের মানসপটে নাগরীলিপির স্মৃতি যেমন ফিরিয়ে আনা গেছে, তেমনি নগরে আসা পর্যটকের কাছে সিলেটের এই ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। নগরের শাহী ঈদগাহতে নির্মাণ করা হয়েছিল 'আল্লাহু' লেখা একটি ক্যালিগ্রাফি। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়েছে 'আল্লাহু' লেখা শিল্পকর্মকে অপসারণ করে আরও আধুনিক ও ইসলামী শিল্পশৈলীতে ১৫-২০ ফুট উঁচু দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম নির্মাণের। এছাড়া ঈদগাহ এলাকার অন্য তিনটি পয়েন্টেও একই ধরণের শিল্পকর্ম নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে।

শাহী ঈদগার চারপাশের চারটি মোড়ে এমন কিছু নির্মাণ করাটা যুক্তি সম্পন্ন সিদ্ধান্ত। একইভাবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সংগ্রামী, ভারতের বিখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক সদরুল মুদাররিসিন হযরত মাওলানা সৈয়দ হুসাইন আহমদ মাদানির (রহ.) স্মৃতি ধরে রাখতে নয়াসড়ক পয়েন্টকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘মাদানি চত্বর’। নগর পিতার ইচ্ছাতে এই পয়েন্টে ‘আল্লাহু’ লিখিত নান্দনিক মিনার স্থাপন করে এই নতুন নামকরণ হয়। এখানে এই নামকরণের কারণ হচ্ছে, পাশে থাকা নয়াসড়ক মসজিদের সাথে মাওলানা সৈয়দ হুসাইন আহমদ মাদানির (রহ.) স্মৃতি। ১৯২২ সাল থেকে তিনি সিলেটের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রথম দিকে একটানা তিন বছর তিনি এখানে অবস্থান করেন। ১৯৪৭ পূর্ববর্তী সময়ে তিনি প্রতিবছর রমজান মাসে সিলেট আসতেন। সে সময়ে তিনি নয়াসড়ক জামে মসজিদে অবস্থান করতেন। তাই নয়াসড়ক মসজিদের পাশের মোড়কে 'মাদানি চত্বর' ঘোষণা যুক্তিযুক্ত বটে। তবে এমন বিবেচনায় আরও অনেক ধর্মীয় নেতার স্মৃতি রক্ষার্থে এমন স্মৃতিমিনার নির্মাণের দাবি ভবিষ্যতে আসতে পারে। মাদানি চত্বর মাত্র কয়েক ফুট জায়গার উপর নির্মিত। কয়েকফুট জায়গা নিয়ে বানানো মিনারকে 'চত্বর' না বলাই ভালো। চত্বর নামকরণ সঠিক বলা যায় নগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার 'হুমায়ুন রশিদ চত্বর' ও 'মুক্তিযোদ্ধা চত্বরকে'।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন ভবনের সামনে কোর্ট পয়েন্টসংলগ্ন আলী আমজাদের ঘড়ির রেপ্লিকা কোনো শিল্পকর্ম নয়, একটি উদ্ভট কাণ্ড। এই জায়গা থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে 'আলী আমজাদের ঘড়ি' বহাল তবিয়তে আছে। তা সত্ত্বেও এখানে সেই ঘড়ির আদলে যা নির্মাণ করা হয়েছে, তা কোনো বিবেচনায় দর্শনীয়, দৃষ্টিনন্দন কিছু নয়। সর্বসাকুল্যে পাঁচ ফুট জায়গাকে পরবর্তীতে আবার 'জনতার কামরান চত্বর' নামকরণটাও অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। সিলেটের জননন্দিত সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান-এর স্মৃতি স্মরণে এই স্থাপনাকে বরং 'জনতার কামরান সৌধ' বলা যেতে পারে।

নগরীর শিল্প সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল রিকাবিবাজার পয়েন্টকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে 'নজরুল চত্বর' ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে জাতীয় কবির একটি স্কেচের পাশে মার্বেল পাথরে খোদাই করে বিদ্রোহী কবিতার কয়েকটি চরণ আছে। এই চত্বরকে আরও নান্দনিক করার সুযোগ রয়েছে। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টর মূল অংশে টিনের বেড়া। ট্রাফিক আইল্যান্ড হিসেবে যে অংশটুকু ব্যবহৃত হতো, সেখানে কিছু একটা হচ্ছে। কোনো একটি বেসরকারি ব্যাংকের অর্থায়নে কিছু একটা বানানো হবে। চৌহাট্টা চৌরাস্তার মোড় সিলেট শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। একপাশে ১০০ গজের মধ্যেই রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গণকবর, শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিস্থল, আমাদের সকল মুক্তির, প্রগতির ও অস্তিত্বের প্রতীক কেন্দ্রীয় শহীদমিনার, অপর পাশে এই অঞ্চলের নারী শিক্ষাকে অগ্রগামী করার প্রথম উচ্চবিদ্যাপীঠ সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ। অন্যপাশে মহান ভাষা আন্দোলনসহ নানা সংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত আলিয়া মাদ্রাসা ক্যাম্পাস ও মাঠ। রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নৃশংসতা ও বর্বরতার সাক্ষী শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতাল। চৌহাট্টা পয়েন্টের দুই পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মীয় নাগরিকদের দুইটি ঐতিহ্যবাহী বাড়ি। একটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য সিংহ বাড়ি, অন্যটি বিজেন্দ্র কুমার দে সাহেবদের বাড়ি। চৌহাট্টার পয়েন্টে ঘিরে কিছু হলে কী হবে? তা ঘোষিত নয়। সর্বজনীন কিছু একটা হবে, তা আশা করা যায়।

এই আশাবাদে বলা যায়, এই স্থানটি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্ক রেখে এমন কিছু নির্মাণ করা, যা কোন ভাবেই দৃষ্টিকে জোর করে নিবদ্ধ করতে না হয়। এসব বিবেচনায় চৌহাট্টা মোড়কে 'ভাষা চত্বর' করা যেতে পারে। এখানে বিভিন্ন ভাষার বর্ণমালা দিয়ে স্মারক নির্মাণ করা যেতে পারে। যা এই মোড়ের অবস্থান ও পারিপার্শ্বিকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। এই পথ দিয়ে যেতে বা আসতে বাংলাদেশের প্রথম চা-বাগান মালনীছড়া দর্শন হয়। চায়ের দেশের প্রসারে পাতাকুঁড়ির কোনো স্থাপত্য হতে পরে। সোজাসুজি দুটি পাতা-একটি কুড়ি দিয়েও চৌহাট্টা পয়েন্ট দৃষ্টিনন্দন করা যেতে পারে।

চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানার দিকে এগোলে এক পাশে পড়ে দরগাহ-ই-হযরত শাহজালাল (রহ)-এ প্রবেশমুখ। আল্লাহতালার নিরানব্বইটি নাম খচিত স্থাপত্য নির্মাণের একটি ইচ্ছে রয়েছে সিটি মেয়র জনাব আরিফুল হক চৌধুরী সাহেবের। এমন নির্মাণের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে দরগার প্রবেশমুখটি। বিকল্প হিসেবে বলা যায়, বড় পরিসরে এই নির্মাণ সম্পন্ন করতে হলে আম্বরখানা জামে মসজিদকে মাথায় রেখে আম্বরখানায়, মীরেরময়দান মোড় বা শেখঘাট মোড়ে (মসজিদের পাশে) এটি করা যেতে পারে। তবে আল্লাহ তালার নিরানব্বইটি পবিত্র নাম অঙ্কিত টাওয়ার নির্মাণে বেসরকারি ব্যাংকের সুদের অর্থ যেন কোনভাবে ব্যাবহার করা না হয়। এমন ব্যাবহার কোনভাবেই ইসলামী ভাবাদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না।

বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে সিলেট নগরে প্রবেশ করার প্রাক্কালে চৌকিদেখি-লাক্কাতুরা এলাকায় একটি নান্দনিক তোরণ নির্মাণ করা যেতে পারে। সিলেট মহানগরীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নামে কোন স্থাপনা নেই। ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের স্থানান্তরিত জায়গায় উদ্যান-উদ্যোগ বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সিলেট শাখার পক্ষ থেকে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বাপার পক্ষ থেকে পরিত্যক্ত কারাগারকে বঙ্গবন্ধু উদ্যান করার প্রস্তাব দেয়া হলে সেই বৈঠকে উপস্থিত সিলেটের প্রাক্তন মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সহ উপস্থিত সকল প্রতিনিধিত্বশীল নাগরিক ঐক্যমত প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য যে, সিলেট নগরীর ধোপাদীঘির পাড়ে ২৪. ৬৭ একর ভূমির উপর ১৭৮৯ সালে তৈরি করা হয়েছিল এই কারাগার। প্রায় দুইশ বছর পূর্বের বাস্তবতায় নির্মাণ করা এই কারাগার বন্দিদের আধিক্যে ও নগর জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করায় স্থানান্তর করা জরুরী হয়ে পরে। বিভিন্ন মহল থেকে কারাগার স্থানান্তরের দাবিও উঠতে থাকে। এ অবস্থায় ২০০৮ সালে আলোকিত সিলেটের স্বপ্ন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে আবুল মাল আব্দুল মুহিত কারাগার স্থানান্তর করে উক্ত স্থানকে উন্মুখ উদ্যান করার প্রতিশ্রুতি দিলে সর্বমহলে তা সমাদৃত হয়। সেই নির্বাচনে তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে পরাজিত করেন। কারাগার স্থানান্তর করা হলেও উদ্যান আর বাস্তবায়ন করা হয়নি।

এখন সিলেট মহানগরীর অন্তর্ভুক্ত না, তবে ভবিষ্যতে হবে। এই বিবেচনায় খাদিমনগর বাইপাস মোড়, দক্ষিণ সুরমা-কুমারগাও বাইপাস মোড়, পারাইরচকে জননেতা পীর হবিবুর রহমান চত্বর, চন্ডিপুলের জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ চত্বরকে সংস্কার করে এসব স্থানে ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে শিল্পকর্ম স্থাপন করা যেতে পারে। সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও দেওয়ান ফরিদ গাজীর নামে নগরে দুটি চত্বর নির্মাণ সময়ের দাবি। গণমানুষের কবি দিলওয়ার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উপদেষ্টা, জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরী, সিলেট পৌরসভার নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান শ্রী রায় বাহাদুর দুলাল চন্দ্র দেবসহ নগরসংস্কৃতি ও নগর উন্নয়নে অবদান রাখা গুণীদের নামেও স্মৃতিফলক নির্মাণ করা যেতে পারে।

মনে রাখা দরকার, দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা পথ চলতি মানুষের জন্য। এই নির্মাণে সুচিন্তার ছাপ থাকলেই পড়ে সুদৃষ্টি। নজর কাড়লে আরেকবার দেখার আশা জাগায়। এই শিক্ষা দেখা থেকে শেখার।

আব্দুল করিম কিম, সমন্বয়ক, সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও প্রকৃতি রক্ষা পরিষদ।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ