আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

আল-জাজিরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণ কী?

ড. শামীম আহমেদ  

প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রচার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে গেল কেন আল-জাজিরা? গত সপ্তাখানেক ধরে এটাই চিন্তা করছিলাম। নানাকিছু মাথায় আসল, তার কিছু উল্লেখ:

ভাড়াটে খুনি
আল-জাজিরা একটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এদেরকে আপনি ভাড়াটে খুনি হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। টাকা দিবেন, লাশ ফালায় দিবে, কার লাশ ফালায় দিতে হবে সেটা ইস্যু না। আল-জাজিরা এই পুরো ঘটনায় ভাড়াটে খুনির ভূমিকা পালন করেছে।

নেপথ্যে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি
২০০৮ সাল থেকে একটা শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে। খেয়াল করবেন এরশাদ আর খালেদা জিয়ার শাসনামলে স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-বিএনপি সমর্থক ব্যক্তিরা সরকারের উচ্চ আসীনে বসেছে, বিদেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে, এমনকি এমপি, মন্ত্রী হয়েছে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এরা অবৈধভাবে নানা জায়গায় তাদের অনুসারীদের বসিয়েছে, দেদারসে টাকা বানিয়েছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের ক্ষমতার খর্ব হতে থাকে, এবং তখন তারা নানা মিডিয়াকে সরকার ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করানোর চেষ্টা করেছে। টুকটাক বেশ কয়েকটি চ্যানেলকে দিয়ে রিপোর্ট করালেও দীর্ঘমেয়াদের তারা আল-জাজিরায় স্থায়ী হয়েছে। সাম্প্রতিক ডকুমেন্টারিটাও তারই উদাহরণ।

গণজাগরণ মঞ্চ
আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর পরই বিডিআর বিদ্রোহ, সারা দেশব্যাপী বোমা হামলাসহ নানা ঘটনা, রটনা ও গুজব দিয়ে তাদের ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করে বিএনপি-জামাত শক্তি। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেগুলো সব সামলে উঠে বাংলাদেশ। কিন্তু কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে সারা বাংলাদেশ যখন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে তোলে এবং ৭১ এর মানবতাবিরোধীদের ফাঁসিতে ঝোলানো শুরু করে, তখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বুঝে যায় শেখ হাসিনার বাংলাদেশে তাদের ঠাঁই নাই। তারা তাদের বিশাল অবৈধ সাম্রাজ্যের একটা বড় অংশ দিয়ে লন্ডন এবং কাতার ভিত্তিক আল-জাজিরাকে দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্রের শুরু করে।

কেন সেনাবিরোধী
আল-জাজিরা তাদের পুরো ডকুমেন্টারিতে মূলত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। তারা চেষ্টা করেছে এবং করছে সেনাবাহিনীর ভিতরে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে সরকারকে বিব্রত করতে, দুর্বল করতে যাতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারে। এর বাইরে আরেকটা ঘটনা বড় ভূমিকা রেখেছে তাদের সেনাবিরোধী মনোভাবের পিছনে। সেটা হচ্ছে ২০০৬ সালের পর যখন সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসে তখন এই ডকুমেন্টারির মূল চরিত্রের প্রায় সবাই সেনাবাহিনীর হাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শক্ত “ডলা” খায়। কেউ কেউ দেশত্যাগে বাধ্য হয়। এরা তাদের সেই রাগ ভেতরে ভেতরে পোষণ করতে থাকে, এবং বিদেশে বসে বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রে অংশীদার হয়।

গোঁড়ায় গলদ
প্রায় ৫ বছরেরও অধিক সময় নিয়ে যে ডকুমেন্টারি আল-জাজিরা বানিয়েছে তা অত্যন্ত দুর্বল, ভিত্তিহীন এবং অনেকাংশেই গাঁজাখুরি। পুরো ডকুমেন্টারিতে কয়েকজন মানুষের অসংলগ্ন বক্তব্য ছাড়া একটি, আমি আবারও বলছি সেনাবাহিনী বা সরকারের কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি প্রমাণও তুলে ধরতে পারেনি। আল-জাজিরা মুসলিম বিশ্ব ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া হিসেবে পরিচিত নয়। তবুও এত দুর্বল ডকুমেন্টারি তারা কেন বানাল? আল-জাজিরা আসলে এটিকে একটি বিজনেস কেইস হিসেবে নিয়েছিল। বিএনপি-জামাত ও সরকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের যে আর কোন যাবার জায়গা নেই সেটি বুঝতে পেরে, তারা এটিকে শুধু মাত্র একটি টাকা বানানোর উৎস ধরে নিয়েছে। তারা দেখেছে এইসব অভিযোগের কোন তথ্য-প্রমাণ নেই, এবং তারা এর পিছনে তেমন কোন এফোর্টও তাই দেয়নি। ফলশ্রুতিতে অত্যন্ত দুর্বল একটি ডকুমেন্টারি, যা কিনা বাংলাদেশে বিএনপি-জামাত ও স্বাধীনতাবিরোধীদের দুর্বল অবস্থানকে আরও দুর্বল করেছে।

বিএনপি-জামাত ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আল-জাজিরাকে দিয়ে বানানো এই ডকুমেন্টারি দিয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হলো কেন সেটিও চিন্তা করার সুযোগ আছে। এই বিষয়ে আসুন আলাপ করা যাক।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাকিস্তান কিংবা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নয়
এদের প্রথম ভুল ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাকিস্তান কিংবা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মতো বোধশক্তিহীন মাথামোটা মেরুদণ্ডহীন ভাবা। তাদের বোঝা উচিৎ ছিল, ২০২০ সালের সেনাবাহিনী আর ১৯৭৫ থেকে ১৯৯১ এর সেনাবাহিনী এক নয়। পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত কিংবা ৭১ এ পাকিস্তান ক্যান্টনমেন্টে থাকা এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, পাকিস্তানপ্রেমী সেনা সদস্য ২০২০ সালের সেনাবাহিনীতে নেই বললেই চলে। হ্যাঁ সেনাবাহিনীতে বিএনপি সমর্থক সদস্য থাকতে পারে, কিন্তু তারা বাংলাদেশ বিরোধী নয়। বিএনপি-জামায়াতের জন্ম যেহেতু অবৈধ এবং পাকিস্তানপন্থী সেনাবাহিনীতে, তাই তারা ভেবেছিল সেনাবাহিনীকে উস্কে দিয়ে দেশের ক্ষতি করা যায়। কিন্তু ভুল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন আর পাকিস্তান বা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মতো নয়, তারা ক্ষমতা দখল করে নিজেদের ও রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে আগ্রহী নয়।

জাতিসংঘ জানে ২০২০ এর বাংলাদেশ কী
বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল আল-জাজিরাকে পয়সা দিয়ে একটা ডকুমেন্টারি বানালে শুধু সেনাবাহিনী নয়, জাতিসংঘকেও বোকা বানানো যাবে। তাদের ভিত্তিহীন ও মনগড়া এই ডকুমেন্টারি দেখে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সেনাসদস্যদের নিয়োগ করা বন্ধ করে দিবে এবং ফলশ্রুতিতে বৈদেশিক মুদ্রা হারানোর ভয়ে সেনাবাহিনী সরকার পতন করিয়ে দেবে। কিন্তু জাতিসংঘ পরিষ্কার করে বলেছে আল-জাজিরার ডকুমেন্টারির ব্যাপারে কোন তদন্ত হবে কিনা এটা বাংলাদেশ সরকারের বিষয়, এটি নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। এমনকি জাতিসংঘ ও বাংলাদেশকে জড়িয়ে ইসরায়েলের কাছে প্রযুক্তি কেনার প্রমাণহীন যে বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে আল-জাজিরায়, তা তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ কাউকেই বোকা বানাতে পারেনি বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি।

শেখ হাসিনার লোক বলে কাদের দেখাল এরা?
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা দেশের একমাত্র জনগণের দল পরিচালনা করেন। তার আশেপাশে সেই ১৯৮১ সাল থেকেই আছে মাঠে রাজনীতি করা মানুষজন। দীর্ঘ ১৫ বছর মাঠের রাজনীতি করে মাঠের মানুষকে নিয়েই তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। অথচ আল-জাজিরার শেখ হাসিনার মানুষ বলে দেখানো হলো সেনাবাহিনীর প্রধান ও তার ভাইদের। এর চাইতে হাস্যকর কনসেপ্ট আর হতে পারে না। বিএনপি-জামাত যে মেধা ও দিকনির্দেশনা শূন্য এবং আল-জাজিরা যে এই ডকুমেন্টারিতে টাকা নেয়া ছাড়া কোন এফোর্টই দেয়নি, এর চাইতে বড় প্রমাণ আর হতে পারে না।

বর্তমান বাংলাদেশকে চিনতে ভুল করা
যারাই এই ডকুমেন্টারির গল্প সাজিয়েছে তারা হয় বর্তমান বাংলাদেশকে চেনে না, অথবা এখনও জিয়া বা এরশাদের বাংলাদেশে বাস করে। এরশাদের সময় যদি বিবিসি চাইতো তাহলে কোন গরীব দেশের সরকার পতন করিয়ে ফেলতে পারত। কিন্তু যারা এই ডকুমেন্টারির পিছনে কাজ করেছে তারা ভুলে গেছে ২০২০ সালের বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ, পদ্মা সেতুর দেশ, আমেরিকাকে গুরুত্ব না দেয়া দেশ, এখানে আল-জাজিরার মতো একটা মামুলি টিভি চ্যানেলের ডকুমেন্টারি দিয়ে সরকারকে নাড়া দেয়া যায় না। এই ডকুমেন্টারির পিছনে কারা আছে আমরা দেখেছি। এরা হয় বিদেশী নাগরিক, অথবা বাংলাদেশকে ভাঙ্গিয়ে বিদেশের মাটিতে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষ অথবা হৃদয়ে পাকিস্তান টাইপের মানুষ। এরা বাংলাদেশকে চেনে না, তাই তাদের বানোয়াট প্লট কাজে দেয় নাই।

সচেতন মানুষকে ছোট করে দেখা
স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামাত শক্তি বাংলাদেশের মানুষকে ছোট করে দেখেছে। তারা ভেবেছে বাংলাদেশের মানুষ এখনও পাকিস্তানের মতো গাঁজাখুরি গল্প খায় বা বার্মার মতো সেনা শাসনকে স্বাগত জানায়। না হে না। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। তারা গত ১২ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্য বাংলাদেশকে দেখেছে। উন্নত বাংলাদেশকে দেখেছে। যে বাংলাদেশে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার লোডশেডিং রূপকথার গল্প, যে বাংলাদেশে মানুষের টাকায় পদ্মা সেতু হয়, যে বাংলাদেশ বিদেশী মধ্যস্থতাকারীদের সচিবালয় থেকেই ফিরিয়ে দেয়, সেই বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির, জামায়াতের, স্বাধীনতাবিরোধীদের, সাকা চৌধুরীর প্রেতাত্মার, কাদের মোল্লার হাহাকারে ভরা মিথ্যার বেসাতিতে তৈরি ডকুমেন্টারিকে গুরুত্ব দেয় না।

সেই দিন শেষ। জয় বাংলা।

ড. শামীম আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সামাজিক-বিজ্ঞান গবেষক।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ