আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

একজন মুশতাকের মৃত্যু এবং কথা ও কলমের স্বাধীনতা

জুয়েল রাজ  

কথা চলবে, কলম চলবে, এই দাবির সাথে আমি না শুধু যেকোনো মানুষ একমত হবেন। গণতান্ত্রিক একটি দেশে তাই স্বাভাবিক। চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া সভ্যতা অগ্রসর হয় না। মুশতাকের মৃত্যু পরবর্তী শাহবাগে প্রতিবাদের কথা চলবে, কলম চলবে শিরোনামের প্ল্যাকার্ডটি আমাকে আকর্ষিত করেছে।

কথার জন্য, লেখার জন্য প্রাণ দিতে হবে কেন? ২৫ তারিখ থেকেই লেখক মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ, উত্তাল শাহবাগ। লেখক মুশতাকের কারাগারে মৃত্যু নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনের চুম্বক অংশটি দিয়েই শুরু করি, আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকালও হাজিরা দিতে মুশতাক আদালতে এসেছিলেন। বোঝাই যাচ্ছিল তার শরীর খারাপ। কিন্তু জামিন পাননি।’ তিনি বলেন, ‘মুশতাক যদি গতকালও জামিন পেতেন তাহলে আমাদের হয়তো এই পরিণতি দেখতে হতো না। একজন আইনজীবী হিসেবে যতটুকু বুঝি যে এ মামলায় মুশতাকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে অভিযোগে জামিন না পাওয়ার কোনো কারণই ছিল না। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি জামিন পেলেন না। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এটা হত্যাকাণ্ড।' কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ঐদিন মামলাটিতে কিছু আসামিকে (সামি, তাসনিম খলিল) বাদ দেয়ার পুলিশ প্রতিবেদনের বিপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ অধিকতর তদন্তের আবেদন করে যার উপর শুনানি ছিলো। মুশতাকের জামিনের কোন শুনানি ছিল না। মুশতাক কি লেখক হিসাবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন? কিংবা কোন লেখার জন্য মুশতাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আমরা কি জানি সেটা? মুশতাককে লেখক হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল একটি ফেইসবুক পেইজের এডমিন হিসাবে।

একেকটি মৃত্যু একেকটি পরিবারের জন্য কতোটা বেদনাদায়ক, দুর্বিষহ হয়। সেই জানে যে হারায়। বলা হয়ে থাকে, জেল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। সেই নিরাপদ হেফাজতে যদি কেউ মারা যায়, সেই মৃত্যু অনেক প্রশ্নের জন্ম দেবে সেটাই তো স্বাভাবিক। তাই জেলে থাকা মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এতো ব্যাপক ভাবে। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিনের ভাষ্য অনুযায়ী, মুশতাক আহমেদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন জন্ম মৃত্যু সব সৃষ্টিকর্তার বিধান। অজ্ঞেয়বাদী, কিংবা অবিশ্বাসীরা ও প্রকৃতির নিয়ম বলেই মানেন। আর জেলে ও অনেক মানুষ মারা যায়, অতীতে ও মারা গেছে, ভবিষ্যতে ও মারা যাবে। ইংল্যান্ডের ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বছরে প্রতি এক হাজারে ৩ দশমিক ৬২ জন মানুষ জেলে মারা গেছে। ২০২০ সালে মারা গেছেন মোট ৩১৮ জন। আমেরিকায় সেটি হাজারে ৩ দশমিক ৫ জন। জেলে মৃত্যু হতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে মুশতাকের মৃত্যু আলাদা কেন? মুশতাক বিশেষ কেন? তিনি লেখক ছিলেন বলে? তিনি বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিক কুমির চাষ শুরু করেছিলেন বলে? নাকি আইএম বাংলাদেশি নামক পেইজটি বন্ধ হয়ে যাবে বলে?

২০১৬ সালে বাংলাদেশে ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল হৃদরোগে; মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে স্ট্রোক ও ক্যানসার। বাংলাদেশের জেলগুলোতে ঠিক কত মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার কোন তথ্য অনলাইন ঘেঁটে পাইনি।

যে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে, চৌধুরী নাফিজ সারাফাতের বিরুদ্ধে কার্টুন একে জেলে পচে মরতে হয়েছে মুশতাককে। এটি একটি ভুল বার্তা দেয়া হচ্ছে মানুষকে। মুশতাক গ্রেপ্তার হয়েছেন মূল যে কারণ আইএম বাংলাদেশি নামক পেইজের এডমিন হিসাবে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় জড়িত থাকার জন্য। কিন্তু বেমালুমভাবে সেটি সবাই চেপে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুলকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দিদারুলের সূত্র ধরে, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও ব্যবসায়ী মুশতাক আহমেদকেও পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তারাই ছিলেন এই মামলার মূল আসামি। জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, সুইডেনে থাকা সাংবাদিক তাসনিম খলিলও রয়েছেন এই মামলার ১১ আসামির মধ্যে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জুলকারনাইন, মানে আল জাজিরার সেই বিখ্যাত সামি। সুইডেনে থাকা সাংবাদিক তাসনিম খলিল, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, আসিফ ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার। তাদের বিরুদ্ধে ‘ফেইসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার’ অভিযোগ আনা হয়েছিল বলেই মামলার বিবরণে জানা যায়।

একটি অভিযোগ তো এখন প্রমাণিত, আল জাজিরার প্রতিবেদন। আরেকটি উদাহরণ দেই, তাদের পেইজে বঙ্গবন্ধুর চশমা ও পাইপের প্রদর্শনীর ছবি দিয়ে সেখানে ক্যাপশনে লেখা এতো বড় চশমা বাসার জানালায় লাগিয়ে দেয়া হউক, এত বড় পাইপ দিয়ে লাঙ্গল বানিয়ে হালচাষ করা যাবে। মুজিববর্ষের লগো এডিট করে সেখানে ধর্ষণবর্ষ বানানো হয়েছে। গোলাম আযম নিয়ে তাদের পেইজে উচ্ছ্বাস ও দেখা গেছে। এমন শত শত উদাহরণ আছে।

শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচুর কার্টুন আছে। আমাদের বেড়ে উঠা সময়ে, শিশির, রফিকুন নবী বা যিনি রনবী নামেই পরিচিত, পত্রিকার পাতায় এই দুই কার্টুনিস্ট এর রাজনৈতিক কার্টুন দেখেই বড় হয়েছি আমরা। তাদের তো কোনদিন কিছু হয়নি। কিন্তু কিশোর বা তার সহযোগীদের ক্ষেত্রে কেন হচ্ছে? প্রবাদ আছে, মরা গাভী দুধালো হয়। তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম মুশতাক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন। দিন বদলের স্বপ্ন দেখতেন। কুমির চাষ নিয়ে লেখার জন্য কি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল? মুশতাকের চিন্তার জায়গাটি ঠিক কি ছিল? সেটি তাদের পেইজ দেখলে যে কেউ সহজেই বুঝতে পারবেন।

বেশ কিছু আলোচনা দেখলাম, বারবার বলা হচ্ছে পৃথিবীর কোথাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলতে কিছু নেই, শুধু বাংলাদেশেই এই কালো আইন প্রচলিত। সেটিও ডাহা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। ব্রিটেনের মত দেশে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিধান আছে ২০১৫ সাল থেকে ক্রিমিনাল জাস্টিস এর সেকশন ৩২ এ এই সংক্রান্ত আইন সন্নিবেশিত হয়েছে। সেখানে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং আর্থিক দণ্ডের বিধান আছে। আমেরিকায় ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিজ ডিজিটাল আইনের সাজা বিষয়ক ২১৩ পাতার একটি গাইডলাইন দেয়া আছে। কেউ চাইলে অনলাইন থেকে পড়ে নিতে পারেন। ডিজিটাল সিকিউরিটিকে অন্যান্য দেশে আইটি সিকিউরিটি অ্যাক্ট হিসাবে নামকরণ করেছে। জার্মানসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আছে। কিন্তু আমরা বারবার বলছি বাংলাদেশে এই আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে ডিজিটাল আইনকে অনেকেই নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে দেখেছি। এই অপব্যবহার এবং অপপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে লাভ কি হয়েছে? লাভের লাভ মুক্তচিন্তার লাগাম টেনে ধরা হয়েছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির মতো খুলে দেয়া হয়েছে সামিয়ানা টাঙিয়ে মাইক বাজিয়ে বিষাদগার আর ধর্মের নামে বিভাজন। সেখানে এই আইন প্রয়োগ হচ্ছে না। নাসিরনগর রামু, রংপুরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের চিত্র দেখেছি। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেখানে ব্যর্থ হয়েছে।

জেলে কি মৃত্যু হতে পারেনা কোন কয়েদী বা সাজাপ্রাপ্ত আসামির? স্বাভাবিক মৃত্যুতে ও কারো হাত থাকেনা। জেলে আটককৃত মুশতাকের যদি স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে থাকে। তাহলে কিছু বলার নেই। তবে কিন্তু হয়তো অনেক কিছু বলা যাবে। তাঁর সঠিক চিকিৎসা হয়েছিল কি না। চিকিৎসার ত্রুটি ছিল কি না, এই সব নানান বিষয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত। এবং এই প্রশ্নগুলো উঠাও স্বাভাবিক।

কিশোর-মুশতাক-দিদারুল কিংবা রাষ্ট্রচিন্তা যদি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে থাকে তার প্রতিবেদন মানুষকে জানান। শুধুমাত্র সরকারের বিরোধিতার কারণে যেন অবিচার না হয়। আওয়ামী লীগের এই যাত্রাপথে অনেক রক্ত ঝরিয়েছে, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণে। পুলিশের প্রয়োজন ছিল না টিয়ার শেল কিংবা বুলেটের, যতক্ষণ না শাহবাগের আন্দোলন হিংসাত্মক না হয়ে উঠে।

যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বা হওয়া উচিত, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলছি না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে কথা বলছি না।

মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে, তাঁর চিন্তার মৃত্যু ঘটেনা। চিন্তা অবিনশ্বর, আলোর মতো, সূর্যের মতো সত্য। চিন্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, একটা খুনের বিচারে শুধু দেহটার বিচার হয়। কিন্তু চিন্তার খুন হলে শুধু একটি দেহ নয়, সভ্যতাকে, প্রগতিশীলতাকে থমকে দেয়। চিন্তার স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। যতক্ষণ পর্যন্ত সেটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি না হয়। ব্রুনো, গ্যালেলিও, সক্রেটিস এখনো তাই সূর্যের মতো আলো ছড়ায়। রাজীব, অভিজিৎ, অনন্ত, নিলয় নীল, সামাদ, দীপন, জাফর মুন্সীর, জন্য যদি সেদিন এই প্রতিবাদটাই আশা করে ছিলাম। এখন পর্যন্ত আমরা যতটুকো জানি মুশতাকের স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। তদন্ত প্রতিবেদন আসলেই জানা যাবে মৃত্যুর জন্য দায় কার।

ব্রিটিশ বাংলাদেশি শামীমাকে ইংল্যান্ডে এসে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ পর্যন্ত দিচ্ছে না ব্রিটেন। গত শুক্রবার ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেয়। আর কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছে, শামীমাকে ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে দেশটির আদালত। মুশতাক-কিশোরদের যদি সরকার রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে তার প্রমাণও দিতে হবে সরকারকে।

অভিজিতের মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদ হয়নি বলে মুশতাকের মৃত্যুতে প্রতিবাদ হবে না? কথা সেটি নয়। প্রতিবাদ অবশ্যই হবে। সেই প্রতিবাদ ও ঘুরে ফিরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা এইসবের সাথে ঘুলিয়ে ফেললে হবে না। সরকারের সমালোচনা কেন কেউ যদি স্বয়ং ঈশ্বরেরও সমালোচনা করে আমি মনে করি তার সেই অধিকার আছে। কিন্তু সেটি যেন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে না তুলে। আইএম বাংলাদেশি পেইজের দায়িত্বে থাকার কারণে যদি এদের গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকে, সেটিও আপনাকে মেনে নিতে হবে। সামনে নিয়ে আসা হয়েছে শুধুমাত্র সারাফাত এর কার্টুন। সারাফাত নিয়ে শেখ হাসিনা নিয়ে হাজার কার্টুন আঁকলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। শেখ হাসিনা ও সরকারের মন্ত্রী এমপিসহ প্রশাসনের সিনিয়র কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে ফেইসবুক ইউটিউবে যে পরিমাণ গালিগালাজ, মিথ্যাচার, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রচার হয়। এদের কয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানেন?

প্রতিবাদ যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না হয়। মুশতাকের মৃত্যুর দায় রাষ্ট্র, সরকার কেউ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এর সুষ্ঠু তদন্ত, হওয়া জরুরি। স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হউক। দায়িত্বে অবহেলা থাকলে সেই সবের বিচার হউক।

শাহবাগে যারা আন্দোলন করছেন, করুন। আপনাদের দাবি কী সেটি আগে পরিস্কার করুন। সরকারের পদত্যাগ নাকি মুশতাকের মৃত্যুর বিচার! মনে রাখবেন এক জর্জ ফ্লয়েড বদলে দিয়েছে আমেরিকাকে। স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে গায়েবানা জানাজা দিয়ে বিভাজন করে আপনাদের উদ্দেশ্যকে অনেকটাই পরিস্কার করে দিয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে এই গায়েবানা জানাজার সাথে বাংলাদেশ পরিচিত। আবার ও বলছি, কথা ও কলমের স্বাধীনতা চাই। তবে কোনভাবেই সেটা মিথ্যাচার নয়। চিন্তার স্বাধীনতা চাই। বাক স্বাধীনতা চাই যা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সেই স্বাধীনতা যেন রাষ্ট্রকে ঝুঁকিতে না ফেলে দেয়। কথা ও কলমের স্বাধীনতা মানে মিথ্যাচার নয়। কারণ এই দেশেই কিছু মানুষ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করেছিল। এ দেশেই ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর জেল হত্যা ঘটেছিল। রাতের আঁধারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মম ভাবে জেলের ভিতর হত্যা করা হয়েছিল। পৃথিবীর একমাত্র দেশ সাংবিধানিক ভাবে এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না মর্মে সংসদে আইন পাস করে। এর পরে ইতিহাসের বিকৃতি আর মিথ্যাচারের নমুনা আমরা দেখেছি।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ