আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

প্রসঙ্গ: ফিল্ম মেকিং

মাসকাওয়াথ আহসান  

শৈশব থেকে ফিল্ম মেকিং-এর পোকা মাথায় নিয়ে ঘুরতাম। কিন্তু কাজটা কী করে সম্ভব এটা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এসএসসি পরীক্ষার পর আড়ানীতে নানা বাড়িতে বেড়াতে গেলে; নানা একদিন বললেন, এই যে একটা ভালো ছাত্র হিসেবে তোমার বাবা-মা গড়ে তুলছেন; এটা খুব ভালো কথা। কিন্তু এই চারপাশ তোমাকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট-ব্যাংকার বানাবে। নানা একদিন দূরদর্শনে সত্যজিৎ রায়ের জলসাঘর ছবিটা দেখছিলেন। আমাকে ডেকে বসালেন, দেখতে বললেন। ছবি শেষ হলে একটু বোঝালেন, আমরা পৃথ্বীরাজ কাপুর, দিলীপ কাপুরের হিট ছবি দেখতাম। এরপর অশোক কুমার, উত্তম কুমারের সব ছবি দেখেছি। কলকাতাতে নতুন ছবি মুক্তি পেলেই চলে যেতাম। উল্টোরথের মতো সিনে ম্যাগাজিনের সাবস্ক্রাইবার ছিলাম। ডাকযোগে সেসব আসতো। ফলে চলচ্চিত্রের সব তথ্যই আমার কাছে পৌঁছে যেতো। এ এক অন্যরকম আনন্দের জগত। তুমি এক কাজ করো, এসব ভালো ছাত্রের শেকল ছিঁড়ে ভারতে পালিয়ে যাও। ফিল্ম নিয়ে পড়ো। পুনেতে একটা ফিল্ম ইন্সটিটিউট আছে। টাকা যা লাগে আমি দেবো। তোমার আব্বা-আম্মার কাছে হাত পাতার দরকার নাই। জীবন একটাই এর রূপ-রস-গন্ধ নিংড়ে নাও।

নানা আমার ভেতরে একটা দ্রোহ সঞ্চার করলেন। কিন্তু পরে রাজশাহীতে বাসায় ফিরে আম্মার চশমা পরা চোখের দিকে তাকিয়ে দ্রোহ পুঁতিয়ে গেলো। রাজশাহী কলেজে ভর্তি হবার পর মেতে উঠলাম "থিয়েটার" নিয়ে। আমার বন্ধুরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়লো এই দক্ষযজ্ঞে। রাজশাহী কলেজের পরিত্যক্ত মিলনায়তন পরিষ্কার করা হলো; শুরু হলো থিয়েটার যাত্রা। এর মাঝে আমার এক বন্ধুর বাবা অভিযোগ নিয়ে আমাদের বাসায় হাজির হলেন। আমার আম্মার কাছে বললেন, আপনার ছেলে হয়তো ঠিকই নিয়মিত না পড়েও এইচএসসি পার হয়ে যাবে; কিন্তু আমার ছেলে ফেল করে যাবে যে।

আম্মার চোখ লাল হয়ে উঠলো। আব্বাকে জানালেন এই অভিযোগের কথা। আব্বা আমাকে ধমক দিতে এসে দেখলেন, আমার ঘরের টেপ রেকর্ডারে বাজছে চাইকোভস্কি। থিয়েটার করায় আমি তখন সারাক্ষণ বাখ, বেতোফেন, মোতসার্ট আর চাইকোভস্কি শুনি; সঙ্গে মাঝে মাঝে ক্লাসের বইয়ের পাতা উলটে দেখি। কিন্তু আমি তখন বুঝে গেছি; এই কলেজের কারিকুলামে আমার স্বপ্নের কারাগার; মুক্তি খুঁজতে হবে অন্য কোন পথে। চাইকোভস্কির যুদ্ধংদেহী ইন্সট্রুমেন্টালের মাঝে আব্বার বকাঝকা একটা সত্যিকার যুদ্ধের আবহ তৈরি করলো। আমি যেন হোম থিয়েটারের আনন্দ পেতে শুরু করলাম।

আমাকে পছন্দ করলেও; সারাক্ষণ থিয়েটার নিয়ে থাকি; ক্লাসে কম যাই বলে; ভালো ছাত্রী বান্ধবীরা এড়িয়ে চলতে শুরু করলো। যে ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে না; তাকে বান্ধবীদের বাবা-মায়েরা বিশেষ পছন্দ করতেন না। কিন্তু আবার এড়িয়ে যেতে পারতেন না। এর মাঝে এক সহৃদয় বান্ধবী আমার সায়েন্স প্র্যাকটিক্যাল খাতাগুলো তৈরি করে দিতে থাকলো। এরমাঝে বিসিসি আই ব্যাংকের ট্যালেন্ট এসিট্যান্স স্কিমে ডাক পড়লো। ঢাকায় গেলাম তাদের ওয়ার্কশপে। তারা কিছু শিক্ষিত ও আলোকিত ব্যাংকার তৈরি করতে চায়। সেইখানে দেখা হলো এক বন্ধুর সঙ্গে; যে নিজেও ফিল্মমেকার হতে চায়; ওর সঙ্গে আগে শিশু একাডেমিতেও দেখা হয়েছিলো। দুজন মিলে নিউমার্কেটে গেলাম ফিল্মের বই কিনতে আর ক্যামেরার দামাদামি করতে। সেইখানে পেয়ে গেলাম আমার বাইবেল, সত্যজিৎ রায়ের লেখা বিষয় চলচ্চিত্র বইটি।

রাজশাহীতে ফিরে সারাক্ষণ এই বইটাই পড়তাম। কোনমতে ধাক্কা দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষাটা পার করে দিয়েই; সমসাময়িক মাদক বিস্তারের সংকট মাথায় রেখে লিখে ফেললাম "ক্ষয়" নামে একটা চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি। ভি এই এস ক্যামেরায় শুরু হলো এর সুটিং। থিয়েটারের বন্ধুরা সবাই অংশ নিলো; সময় দিলো; সুটিং স্পট থেকে প্রয়োজনীয় সব জোগাড়যন্ত্রে কারো আন্তরিকতার ঘাটতি ছিলো না। টাকার ঘাটতি পড়লে হাত পাতলাম আম্মার কাছে। আম্মা সাহায্য করলেন। কিন্তু কৃতকৌশলে দখল না থাকায় এক্সেকিউশান বেশ দুর্বল হলো। মনটা ভেঙে গেলো। ঢাকায় কোন ফিল্ম স্কুল নেই; এই বেদনা দীর্ণ করতে থাকলো। শিখবো কোথায় ফিল্ম মেকিং তা কিছুতেই খুঁজে পেলাম না।

ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিতে এলে, দেখলাম সেই ফিল্মমেকার হতে চাওয়া বন্ধুটি তখন ফিল্ম সোসাইটিতে যোগ দিয়েছে। ও একটা ফিল্ম এপ্রিসিয়েশান কোর্সের খবর দিলো। আলমগীর কবির, তানভীর মোকাম্মেল, মোরশেদুল ইসলামের মতো বিকল্পধারার চলচ্চিত্রকারেরা আমাদের ক্লাস নিলেন। বিশ্বের ধ্রুপদী ছবিগুলো দেখা হলো "জার্মান কালচারাল সেন্টারে"। বেশ কিছু ছবি আগে দেখা ছিলো। কিন্তু এবার প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র শিক্ষকের সাহচর্যে ছবিগুলো দ্বিতীয়বার দেখে; উনাদের লেকচার শুনে; আলোচনায় অংশ নিয়ে একটু একটু করে শিখতে শুরু করলাম। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হতে হলো; ঢাকায় ফিল্ম স্কুল না থাকায়।

একবার সেই নানার দেয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতে যাবার ষড়যন্ত্র করলাম। প্রায় দুই মাস ভারতে কাটিয়ে গোটা ভারত ঘুরে অবশেষে; সেন্ট স্টিফেনস-এ ইংরেজিতে ভর্তি হবার ব্যবস্থা করে ফিরে এলাম। পরিকল্পনা করলাম, এর পাশাপাশি দিল্লীর স্কুল ড্রামাতে কোর্স করবো। পরে পুনেতে গিয়ে ফিল্মে মাস্টার্স করবো। পড়ালেখার খরচ দিল্লীতে তখন ঢাকার চেয়েও কম। কিন্তু দেশে ফিরে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালে, আব্বা বললেন, ঢাকায় টো টো করে ঘুরেও একটা সেকেন্ড ক্লাস জুটবে; আর দিল্লীতে পেয়ে যাবো থার্ড ক্লাস। আব্বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন বলে এরকম ভাবনা তার। উনি আম্মার দিকে তাকিয়ে রায় দিলেন, তোমার ছেলে উচ্ছন্নে গেছে। আম্মা তখন রেগে গিয়ে বললেন, আর যদি দিল্লী যাবার কথা মুখে শুনি; পাবনা মানসিক হাসপাতালে রেখে আসবো। আমরা তখন রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীতে ফিরেছি। সুতরাং পাবনা মানসিক হাসপাতাল মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে। পরে একবার সত্যিই আমি মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা জানতে সেখানে গিয়েছিলাম পরিণত বয়সে। ডাক্তার পরিচিত বড়দা হওয়ায় অস্বীকৃতি জানিয়েছেন আমাকে "পাগল" বলে মেনে নিতে। সেসময় আম্মার আরেকটা আশংকা ছিলো, দিল্লীতে পড়তে গেলে ওখানকার মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হবে আমার। শেষ পর্যন্ত কিন্তু তাই হয়েছে; ভারতীয় লক্ষ্ণৌ বংশোদ্ভূত একটি মেয়েকে ছেলের বউ হিসেবে মেনে নিয়ে দিব্যি আম্মাকে নিয়মিত গল্প করতে হয় তার সঙ্গে। মাঝখান থেকে আমার দিল্লী যাওয়া হলো না। ফলে ফিল্ম মেকার হওয়া হলো না। তবুও ফিল্মের পিছু আমি ছাড়িনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এরশাদ ভ্যাকেশানে ঈশ্বরদীতে গিয়ে; রাজনীতির ফুট সোলজার হয়ে নেতার অঙ্গুলি হেলনে খুনি হয়ে যাওয়ার একটি ছেলের গল্প নিয়ে "দ্রোণ" নামে একটা স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়েছিলাম। এরপর ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার অভিঘাতে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মীদের জীবন বিপন্ন হলে, নির্মাণ করি সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী চলচ্চিত্র "জন্মান্ধ"। এরপর বিতর্কের ইতিহাস নিয়ে নির্মাণ করি প্রামাণ্য চিত্র "দ্য ডি এম্পায়ার"। সবই ভিএইচ এস ফরমেটে ফলে ঠিক চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বাদ পাইনি কখনোই।

সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়ার পর সরকারি সাংবাদিকতার পাশাপাশি চ্যানেল আইতে বেসরকারি সাংবাদিকতা করতাম। কবি হুমায়ূন রেজার উদ্যোগে "খোলা চোখে" নামে একটা ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং শো'তে "মুক্তিযুদ্ধে বিধবাদের গ্রাম", "ঈশাখাঁ'র ভিটা", ঢাকার পাশেই "আলোর নিচে অন্ধকার" গ্রামের বিচ্ছিন্ন জীবন; এরকম কিছু বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র বানাই রেজার সঙ্গে বন্ধুত্বের যৌথতায়।

পরে ইংরেজি সাহিত্যের পড়ালেখা শেষ করে, নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের সস্নেহ আমন্ত্রণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিষয়ে এম ফিল। পিএইচ ডি শেষ করা হয়নি। মুসাফির জীবন আমার। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে; সিভিল সার্ভিসে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশ বেতার, বিটিভি ও ডিএফপিতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অভিযোগে "আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ জীবন যাপনের" আকাশকুসুম অভিযোগ বানিয়ে গোয়েন্দা দপ্তরের লোকেরা এসে জাতীয় বেতার ভবনে বিরক্ত করতে শুরু করলে; জার্মানির ডয়চেভেলেতে সাংবাদিকতা করতে চলে যাই। সেই সুযোগে ইউরোপের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালগুলো কাভার করতে থাকি; ফিল্ম ক্রিটিক হিসেবে কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করি।

এরপর দেশে ফিরে বিডিনিউজ ডটকম ও দ্য এডিটর ডটনেটে কাজ করার সময় পরিবেশ, চিংড়ি রপ্তানি, শিশু স্বাস্থ্য এসব বিষয়ে কিছু প্রামাণ্য চিত্র বানাই। কিন্তু দেশে অভিমত প্রকাশের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। আওয়ামী লীগের মিডিয়া সৈনিকেরা অভিযোগ আনে, আমি যেহেতু লীগ করিনা; তাই বিটিভিতে আমার কোন শো যেতে পারবে না। এমনকি জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কের বিচারক হিসেবে আমাকে যেন না ডাকা হয়।

সুতরাং এবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অপরাধী দেশ জার্মানির অভিজ্ঞতা সম্বল করে চলে গেলাম একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীর দেশ পাকিস্তানে। সেইখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনায়াসে সুযোগ পেয়ে গেলাম মিডিয়া স্টাডিজ ও সমাজ বিজ্ঞান-রাজনীতি এসব পড়ানোর। অবশেষে ফিল্ম কোর্স পড়ানোর সুযোগ এলো। থিওরি, ক্রিটিক্যাল এপ্রিসিয়েশান-এর দিকগুলো পড়াতে থাকলাম। আমার ছাত্রদের শেখাতে চেষ্টা করলাম ফিল্ম সম্পর্কে যা জানি তার সবটুকু। এদিকে ফেসবুক বিশ্ববিদ্যালয় তো আছেই। ঢাকা ও কলকাতার তরুণরা ছোট ছোট ফিল্ম বানানোর আগে পরামর্শ করে, চিত্রনাট্য দেখিয়ে নেয়। একই কাজ যা ভূমি বাস্তবতায় করে চলেছি। ঢাকায় একটা ফিল্ম স্কুল না থাকায়; ফিল্মমেকার হওয়া হলো না। কিন্তু ফিল্ম মেকিং-এর সঙ্গে ঠিকই রয়ে গেলাম। "অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক; জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই।"

মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা শিক্ষক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ